নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশের বিদ্যমান প্রবৃদ্ধির কাঠামো টেকসই নয়। ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধির পথে বাণিজ্য প্রতিযোগিতায় সীমিত সক্ষমতা; দুর্বল ও ঝুঁকিপূর্ণ আর্থিক খাত এবং ভারসাম্যহীন নগরায়ণ—এ তিনটি বাধা রয়েছে। বাধাগুলো দূর করাসহ প্রবৃদ্ধি কাঠামো সংস্কার না হলে ২০৩৫ থেকে ২০৩৯ সালের মধ্যে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশে নেমে যাওয়ার আশঙ্কা করছে বিশ্বব্যাংক।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশ কান্ট্রি ইকোনমিক মেমোরেন্ডাম’-এর অংশ হিসেবে ‘চেঞ্জ অব ফেব্রিক’ প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ড্যান ড্যান চেন, সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন, সিনিয়র ইকোনমিস্ট নোরা ডিহেল, সানেমের নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান, এসবিকে ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সোনিয়া বশির কবির প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের বর্তমান গড় জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৬ শতাংশ। বিভিন্ন খাতে সংস্কার না হলে এটি ক্রমেই নিচের দিকে যাবে। ২০২১ থেকে ২০২৫ সালে গড়ে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি থাকবে। তবে ২০২৬-৩০ সালের মধ্যে আরও কমে ৬ শতাংশে, পরের পাঁচ বছরে ৫ দশমিক ৫ শতাংশে এবং ২০৩৬-৪১ সালে এটি ৫ শতাংশে নেমে আসবে।
কিছুটা সংস্কার হলে পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হতে পারে। ২০২১-২৫ সময়ে প্রবৃদ্ধি গড়ে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ, পরের পাঁচ বছরে সাড়ে ৬ শতাংশ, তার পরের পাঁচ বছরে ৬ দশমিক ২ শতাংশ এবং ২০৩৬-৪১ সময়ে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে। কিন্তু ভালো সংস্কার হলে প্রবৃদ্ধিও বর্তমানের চেয়ে ভালো হবে। তাতে ২০২১-২৫ সময়ে গড়ে ৭ শতাংশ, ২০২৬-৩০ সালে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ, ২০৩১ থেকে ৩৫ সালে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ এবং ২০৩৬-৪১ সময়ে প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৭ শতাংশে গিয়ে দাঁড়াতে পারে।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের কিছু প্রস্তাব আমরা গ্রহণ করতে পারি; তৈরি পোশাক রপ্তানির ওপর নির্ভরশীলতা কমানো, ব্যাংকিং সেক্টরকে গতিশীল করা ইত্যাদি। ব্যাংকিং খাতসহ বিভিন্ন খাতে সমস্যা আছে; অনেক ব্যর্থতা আছে। এসব খাতের সংস্কার করতে হবে। আমরা পুরো সংস্কার না পারলেও কিছুটা করতে পারব। আমাদের বৈদেশিক বাণিজ্যিক ঘাটতি প্রচুর। ১ টাকা রপ্তানি করলে ১০ টাকা আমদানি করতে হয়। এ ক্ষেত্রে ঘাটতি কমাতে রাজনৈতিকভাবে বসে কথা বলা প্রয়োজন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘রাজনৈতিক অর্থনীতির একটি চাপ আছে, এটি সত্যি কথা। তবে রাজনীতির আকাশে কালো মেঘ দেখা যাচ্ছে। আশা করি, ঝড় আসবে না। সামনে রাজনৈতিক সংঘাত নয়, অনিশ্চয়তা আছে। এর জন্য রাজনীতিবিদদের আলোচনার পথে আসতে হবে।’
মোটাদাগে, বাণিজ্য প্রতিযোগিতার ক্ষয় রোধ করা, আর্থিক খাতে দুর্বলতা মোকাবিলা করা এবং সুশৃঙ্খল নগরায়ণ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা—এই তিন বিষয়ে জোর দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। প্রবৃদ্ধির হার ধরে রাখতে সংস্থাটির পরামর্শের মধ্যে রয়েছে রপ্তানি আয় বাড়াতে পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে হবে। অতিরিক্ত শুল্ক-কর বাণিজ্যে সক্ষমতা কমাচ্ছে, তাই করহার যৌক্তিক করতে হবে। অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাংক-আর্থিক খাতের গুরুত্ব বাড়বে, কিন্তু দেশের আর্থিক খাত অতটা গভীর নয়। এ খাতের উন্নতি পর্যাপ্ত নয়।
সংস্থাটি বলছে, দেশের জিডিপির এক-পঞ্চমাংশ এবং আনুষ্ঠানিক কর্মসংস্থানের প্রায় অর্ধেক বৃহত্তর ঢাকাকেন্দ্রিক। পরবর্তী ধাপের উন্নয়নের জন্য ভারসাম্যপূর্ণ আধুনিক নগরায়ণের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। ইতিমধ্যেই ঘনবসতিপূর্ণ রাজধানীকে আরও প্রস্তুতি নিতে হবে।
বাংলাদেশের বিদ্যমান প্রবৃদ্ধির কাঠামো টেকসই নয়। ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধির পথে বাণিজ্য প্রতিযোগিতায় সীমিত সক্ষমতা; দুর্বল ও ঝুঁকিপূর্ণ আর্থিক খাত এবং ভারসাম্যহীন নগরায়ণ—এ তিনটি বাধা রয়েছে। বাধাগুলো দূর করাসহ প্রবৃদ্ধি কাঠামো সংস্কার না হলে ২০৩৫ থেকে ২০৩৯ সালের মধ্যে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশে নেমে যাওয়ার আশঙ্কা করছে বিশ্বব্যাংক।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশ কান্ট্রি ইকোনমিক মেমোরেন্ডাম’-এর অংশ হিসেবে ‘চেঞ্জ অব ফেব্রিক’ প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ড্যান ড্যান চেন, সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন, সিনিয়র ইকোনমিস্ট নোরা ডিহেল, সানেমের নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান, এসবিকে ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সোনিয়া বশির কবির প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের বর্তমান গড় জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৬ শতাংশ। বিভিন্ন খাতে সংস্কার না হলে এটি ক্রমেই নিচের দিকে যাবে। ২০২১ থেকে ২০২৫ সালে গড়ে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি থাকবে। তবে ২০২৬-৩০ সালের মধ্যে আরও কমে ৬ শতাংশে, পরের পাঁচ বছরে ৫ দশমিক ৫ শতাংশে এবং ২০৩৬-৪১ সালে এটি ৫ শতাংশে নেমে আসবে।
কিছুটা সংস্কার হলে পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হতে পারে। ২০২১-২৫ সময়ে প্রবৃদ্ধি গড়ে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ, পরের পাঁচ বছরে সাড়ে ৬ শতাংশ, তার পরের পাঁচ বছরে ৬ দশমিক ২ শতাংশ এবং ২০৩৬-৪১ সময়ে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে। কিন্তু ভালো সংস্কার হলে প্রবৃদ্ধিও বর্তমানের চেয়ে ভালো হবে। তাতে ২০২১-২৫ সময়ে গড়ে ৭ শতাংশ, ২০২৬-৩০ সালে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ, ২০৩১ থেকে ৩৫ সালে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ এবং ২০৩৬-৪১ সময়ে প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৭ শতাংশে গিয়ে দাঁড়াতে পারে।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের কিছু প্রস্তাব আমরা গ্রহণ করতে পারি; তৈরি পোশাক রপ্তানির ওপর নির্ভরশীলতা কমানো, ব্যাংকিং সেক্টরকে গতিশীল করা ইত্যাদি। ব্যাংকিং খাতসহ বিভিন্ন খাতে সমস্যা আছে; অনেক ব্যর্থতা আছে। এসব খাতের সংস্কার করতে হবে। আমরা পুরো সংস্কার না পারলেও কিছুটা করতে পারব। আমাদের বৈদেশিক বাণিজ্যিক ঘাটতি প্রচুর। ১ টাকা রপ্তানি করলে ১০ টাকা আমদানি করতে হয়। এ ক্ষেত্রে ঘাটতি কমাতে রাজনৈতিকভাবে বসে কথা বলা প্রয়োজন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘রাজনৈতিক অর্থনীতির একটি চাপ আছে, এটি সত্যি কথা। তবে রাজনীতির আকাশে কালো মেঘ দেখা যাচ্ছে। আশা করি, ঝড় আসবে না। সামনে রাজনৈতিক সংঘাত নয়, অনিশ্চয়তা আছে। এর জন্য রাজনীতিবিদদের আলোচনার পথে আসতে হবে।’
মোটাদাগে, বাণিজ্য প্রতিযোগিতার ক্ষয় রোধ করা, আর্থিক খাতে দুর্বলতা মোকাবিলা করা এবং সুশৃঙ্খল নগরায়ণ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা—এই তিন বিষয়ে জোর দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। প্রবৃদ্ধির হার ধরে রাখতে সংস্থাটির পরামর্শের মধ্যে রয়েছে রপ্তানি আয় বাড়াতে পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে হবে। অতিরিক্ত শুল্ক-কর বাণিজ্যে সক্ষমতা কমাচ্ছে, তাই করহার যৌক্তিক করতে হবে। অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাংক-আর্থিক খাতের গুরুত্ব বাড়বে, কিন্তু দেশের আর্থিক খাত অতটা গভীর নয়। এ খাতের উন্নতি পর্যাপ্ত নয়।
সংস্থাটি বলছে, দেশের জিডিপির এক-পঞ্চমাংশ এবং আনুষ্ঠানিক কর্মসংস্থানের প্রায় অর্ধেক বৃহত্তর ঢাকাকেন্দ্রিক। পরবর্তী ধাপের উন্নয়নের জন্য ভারসাম্যপূর্ণ আধুনিক নগরায়ণের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। ইতিমধ্যেই ঘনবসতিপূর্ণ রাজধানীকে আরও প্রস্তুতি নিতে হবে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরে পণ্য ও সেবা রপ্তানি থেকে ৬৩.৫ বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। এর মধ্যে পণ্যের রপ্তানি থেকে ৫৫ বিলিয়ন ডলার এবং সেবা খাত থেকে ৮.৫ বিলিয়ন ডলার আয়ের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান।
২৩ দিন আগেপাঁচ ধরনের করদাতাকে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা থেকে ছাড় দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। অন্য সব করদাতার জন্য অনলাইনে রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। গতকাল সোমবার এ-সংক্রান্ত বিশেষ আদেশ জারি করা হয়।
২৩ দিন আগেবিশ্ববাজারে চালের মূল্য ধারাবাহিকভাবে নেমে এলেও দেশের খুচরা বাজারে দাম কমছে না। এই অবস্থা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেসরকারিভাবে পাঁচ লাখ টন চাল আমদানির জন্য ২৪২টি প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচন করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
২৩ দিন আগেআজ দেশের মুদ্রাবাজারে প্রধান মুদ্রাগুলোর মধ্যে ডলারের দাম কিছুটা বেড়েছে। ব্রিটিশ পাউন্ড স্টারলিংয়ের পাশাপাশি দাম কমেছে ইউরোরও। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত বৈদেশিক মুদ্রার দামের চেয়ে কিছুটা বেশি দামে খোলাবাজারে বিক্রি হয়। বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের ওঠানামার সঙ্গে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের খরচ ওঠানামা
২৩ দিন আগে