আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা
বিশ্বব্যাপী উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীরা মূলধন বা পুঁজির জন্য যেখানে পুঁজিবাজারের ওপর নির্ভরশীল, সেখানে বাংলাদেশের চিত্র একেবারে উল্টো। দেশের উদ্যোক্তারা পুঁজিবাজারের চেয়ে ব্যাংক থেকে ঋণ নিতেই বেশি আগ্রহী, যে কারণে পুঁজিবাজারে আসছে না ভালো কোম্পানি। যেসব কোম্পানি আসছে, সেগুলো আইনি শর্ত পূরণের জন্যই তালিকাভুক্ত হচ্ছে।
পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্ত না হওয়ার পেছনে দুর্বল নীতি-কাঠামো, সুশাসনের অভাব, দুর্নীতি, দায়িত্বশীলদের দক্ষতা ও দেশপ্রেমের অভাবকে দায়ী করছেন পুঁজিবাজারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
বাংলাদেশের দুর্বল নীতি-কাঠামোকে আইপিওতে পিছিয়ে থাকার কারণ বলে মনে করেন প্রাইম ব্যাংক সিকিউরিটিজের সিইও মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান। তিনি বলেন, এখানে কর ফাঁকির সুযোগ অনেক বেশি। কোম্পানি আইপিওতে এলে নতুন শেয়ারহোল্ডাররা প্রতিবছর ভালো লভ্যাংশ চাইবেন, আয়-ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন। উদ্যোক্তারা জবাবদিহির সংস্কৃতিতে যেতে চান না।
প্রতিবেশী ভারতে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১৯৯টি কোম্পানি ৬৩ হাজার কোটি রুপির বেশি পুঁজি সংগ্রহ করেছে বোম্বে ও ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে। সমপর্যায়ের অর্থনীতির দেশ ভিয়েতনামে চলতি বছর ২৩৬ দশমিক ৫০ মিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ আইপিও হয়েছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকার বেশি। বিপরীতে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত চার কোম্পানি মাত্র ২৫২ কোটি টাকা তুলেছে। গত বৃহস্পতিবার এনআরবি ব্যাংক ১০০ কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমোদন পেয়েছে। এটি নিয়ে এ বছরে এখন পর্যন্ত আইপিও ৩৫২ কোটি টাকা, যেখানে গত বছর মোট সাতটি কোম্পানি আইপিও প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে ১ হাজার ২১ কোটি টাকার পুঁজি সংগ্রহ করেছিল।
অবশ্য গত দুই বছর আইপিওর মাধ্যমে যে পরিমাণ পুঁজি সংগ্রহ হয়েছে, তার সিংহভাগ নিয়েছে ব্যাংক ও বিমা কোম্পানি। আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে এসব কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার শর্ত পূরণ করতে গিয়ে আইপিওতে এসেছে।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি ছায়েদুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে দু-তিন মাসের মধ্যে ব্যাংক থেকে যেকোনো আকারের ঋণ নেওয়া যায়। ৫ লাখ টাকা মূলধনের কোম্পানিও ৫০০ কোটি টাকা ঋণ নিতে পারে। এমনকি থার্ড পার্টি মর্টগেজও গ্রহণযোগ্য। বিপরীতে আইপিওতে আসতে কমপক্ষে ৩০ কোটি টাকার মূলধন থাকতে হয়। মুনাফায় থাকতে হবে।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, সুশাসনের বড় অভাব। যাঁরা আইনকানুন মানতে চান, তাঁদের হয়রানি বেশি। এখানে দুর্নীতি বেশি হওয়ায় অসৎরা ঘুষ দিয়ে সবকিছু হালাল করে নেন। ভালো উদ্যোক্তারা এর মধ্যে পারতপক্ষে যেতে চান না। তিনি বলেন, এখানে নিজ মালিকানায় রেখে কোম্পানি যত ইচ্ছা বড় করা যায়। আবার ব্যাংক থেকে ধার করে ফেরত দেওয়া লাগে না। কোম্পানি বড় হলে বা বড় অঙ্কের পুঁজির প্রয়োজনে পুঁজিবাজারে আসার আইনি বাধ্যবাধকতা নেই।
পরিস্থিতি উত্তরণে পরামর্শ হিসেবে অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, বিদেশি কোম্পানিকে নিবন্ধন নেওয়ার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পুঁজিবাজারে আসার বাধ্যবাধকতা থাকতে হবে। বাজারকে নিজের মতো করে চলতে দিতে হবে।
ছায়েদুর রহমান বলেন, ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে সীমা আরোপ করতে হবে। আইপিও প্রক্রিয়ায় কোম্পানির মূলধন উত্তোলনের পথ সহজ ও দ্রুততর করতে হবে।
বিশ্বব্যাপী উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীরা মূলধন বা পুঁজির জন্য যেখানে পুঁজিবাজারের ওপর নির্ভরশীল, সেখানে বাংলাদেশের চিত্র একেবারে উল্টো। দেশের উদ্যোক্তারা পুঁজিবাজারের চেয়ে ব্যাংক থেকে ঋণ নিতেই বেশি আগ্রহী, যে কারণে পুঁজিবাজারে আসছে না ভালো কোম্পানি। যেসব কোম্পানি আসছে, সেগুলো আইনি শর্ত পূরণের জন্যই তালিকাভুক্ত হচ্ছে।
পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্ত না হওয়ার পেছনে দুর্বল নীতি-কাঠামো, সুশাসনের অভাব, দুর্নীতি, দায়িত্বশীলদের দক্ষতা ও দেশপ্রেমের অভাবকে দায়ী করছেন পুঁজিবাজারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
বাংলাদেশের দুর্বল নীতি-কাঠামোকে আইপিওতে পিছিয়ে থাকার কারণ বলে মনে করেন প্রাইম ব্যাংক সিকিউরিটিজের সিইও মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান। তিনি বলেন, এখানে কর ফাঁকির সুযোগ অনেক বেশি। কোম্পানি আইপিওতে এলে নতুন শেয়ারহোল্ডাররা প্রতিবছর ভালো লভ্যাংশ চাইবেন, আয়-ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন। উদ্যোক্তারা জবাবদিহির সংস্কৃতিতে যেতে চান না।
প্রতিবেশী ভারতে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১৯৯টি কোম্পানি ৬৩ হাজার কোটি রুপির বেশি পুঁজি সংগ্রহ করেছে বোম্বে ও ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে। সমপর্যায়ের অর্থনীতির দেশ ভিয়েতনামে চলতি বছর ২৩৬ দশমিক ৫০ মিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ আইপিও হয়েছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকার বেশি। বিপরীতে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত চার কোম্পানি মাত্র ২৫২ কোটি টাকা তুলেছে। গত বৃহস্পতিবার এনআরবি ব্যাংক ১০০ কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমোদন পেয়েছে। এটি নিয়ে এ বছরে এখন পর্যন্ত আইপিও ৩৫২ কোটি টাকা, যেখানে গত বছর মোট সাতটি কোম্পানি আইপিও প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে ১ হাজার ২১ কোটি টাকার পুঁজি সংগ্রহ করেছিল।
অবশ্য গত দুই বছর আইপিওর মাধ্যমে যে পরিমাণ পুঁজি সংগ্রহ হয়েছে, তার সিংহভাগ নিয়েছে ব্যাংক ও বিমা কোম্পানি। আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে এসব কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার শর্ত পূরণ করতে গিয়ে আইপিওতে এসেছে।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি ছায়েদুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে দু-তিন মাসের মধ্যে ব্যাংক থেকে যেকোনো আকারের ঋণ নেওয়া যায়। ৫ লাখ টাকা মূলধনের কোম্পানিও ৫০০ কোটি টাকা ঋণ নিতে পারে। এমনকি থার্ড পার্টি মর্টগেজও গ্রহণযোগ্য। বিপরীতে আইপিওতে আসতে কমপক্ষে ৩০ কোটি টাকার মূলধন থাকতে হয়। মুনাফায় থাকতে হবে।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, সুশাসনের বড় অভাব। যাঁরা আইনকানুন মানতে চান, তাঁদের হয়রানি বেশি। এখানে দুর্নীতি বেশি হওয়ায় অসৎরা ঘুষ দিয়ে সবকিছু হালাল করে নেন। ভালো উদ্যোক্তারা এর মধ্যে পারতপক্ষে যেতে চান না। তিনি বলেন, এখানে নিজ মালিকানায় রেখে কোম্পানি যত ইচ্ছা বড় করা যায়। আবার ব্যাংক থেকে ধার করে ফেরত দেওয়া লাগে না। কোম্পানি বড় হলে বা বড় অঙ্কের পুঁজির প্রয়োজনে পুঁজিবাজারে আসার আইনি বাধ্যবাধকতা নেই।
পরিস্থিতি উত্তরণে পরামর্শ হিসেবে অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, বিদেশি কোম্পানিকে নিবন্ধন নেওয়ার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পুঁজিবাজারে আসার বাধ্যবাধকতা থাকতে হবে। বাজারকে নিজের মতো করে চলতে দিতে হবে।
ছায়েদুর রহমান বলেন, ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে সীমা আরোপ করতে হবে। আইপিও প্রক্রিয়ায় কোম্পানির মূলধন উত্তোলনের পথ সহজ ও দ্রুততর করতে হবে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরে পণ্য ও সেবা রপ্তানি থেকে ৬৩.৫ বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। এর মধ্যে পণ্যের রপ্তানি থেকে ৫৫ বিলিয়ন ডলার এবং সেবা খাত থেকে ৮.৫ বিলিয়ন ডলার আয়ের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান।
১২ আগস্ট ২০২৫পাঁচ ধরনের করদাতাকে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা থেকে ছাড় দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। অন্য সব করদাতার জন্য অনলাইনে রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। গতকাল সোমবার এ-সংক্রান্ত বিশেষ আদেশ জারি করা হয়।
১২ আগস্ট ২০২৫বিশ্ববাজারে চালের মূল্য ধারাবাহিকভাবে নেমে এলেও দেশের খুচরা বাজারে দাম কমছে না। এই অবস্থা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেসরকারিভাবে পাঁচ লাখ টন চাল আমদানির জন্য ২৪২টি প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচন করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
১২ আগস্ট ২০২৫আজ দেশের মুদ্রাবাজারে প্রধান মুদ্রাগুলোর মধ্যে ডলারের দাম কিছুটা বেড়েছে। ব্রিটিশ পাউন্ড স্টারলিংয়ের পাশাপাশি দাম কমেছে ইউরোরও। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত বৈদেশিক মুদ্রার দামের চেয়ে কিছুটা বেশি দামে খোলাবাজারে বিক্রি হয়। বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের ওঠানামার সঙ্গে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের খরচ ওঠানামা
১২ আগস্ট ২০২৫