জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
কৃষি খাতে ঋণসুবিধা বাড়াতে একের পর এক উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। কিন্তু অধিকাংশ ব্যাংক সরাসরি এ ঋণ বিতরণ করছে না। গত অর্থবছরে আটটি ব্যাংক কৃষি খাতে একটি টাকাও বিতরণ করেনি। ব্যাংকগুলো কৃষিঋণের ৫০ থেকে ৮০ শতাংশ ঋণ বিতরণ করে এনজিওর মাধ্যমে। এতে সুদ বেড়ে যাচ্ছে প্রায় ৪ গুণ। ব্যাংক থেকে কৃষকেরা ঋণ পান সর্বোচ্চ ৮ শতাংশ সুদে। কিন্তু এনজিওর মাধ্যমে নেওয়া ঋণের সুদহার দাঁড়াচ্ছে ২৫-৩০ শতাংশে। এই চড়া সুদ ও এনজিওদের সীমাহীন চাপে কৃষক ঋণ নিয়ে তটস্থ থাকেন। এমনকি মহাজনদের কাছ থেকে সুদ নিয়ে এনজিওর ঋণ শোধ করেন। মহাজনদের সুদ তো ২০০ শতাংশের বেশি। এসব চড়া সুদের কারণে ঋণের ঘানি টানতে টানতে কৃষক নাজেহাল। যার ফলে কৃষিঋণের সুফল পাচ্ছেন না কৃষক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রান্তিক কৃষকদের কাছে ঋণ পৌঁছানোর সক্ষমতাই দেশের বেশির ভাগ ব্যাংক তৈরি করতে পারেনি। এ কারণে ব্যাংকগুলো কৃষি খাতের ঋণের ৫০-৮০ শতাংশ বিতরণ করছে এনজিওর মাধ্যমে। এনজিওগুলো ব্যাংক থেকে ৮ শতাংশ সুদে ঋণ নিয়ে কৃষকদের মধ্যে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত আদায় করছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান নাসিরুজ্জামান বলেন, ‘কৃষিঋণ বিতরণে ব্যাংকগুলো সক্ষমতা বাড়াতে চেষ্টা করছে। এনজিও ছাড়া ঋণ পুরোপুরি আদায় কঠিন হয়ে পড়বে। তবে কৃষিঋণ বিতরণ লক্ষ্যের তুলনায় বেড়েছে। এতে প্রমাণ হয় যে কৃষিঋণ সুফল দিচ্ছে। আর ঋণ নিলে তো পরিশোধ করতে হবে। কৃষক কোথা থেকে অর্থ ম্যানেজ করে ঋণ পরিশোধ করবে তা ঋণদাতাদের ভাবার বিষয় নয়।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, এখন পর্যন্ত বিতরণ করা মোট কৃষিঋণের স্থিতি ৫৪ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১৮ হাজার ৪৪১ কোটি টাকা বকেয়া। সার্বিকভাবে কৃষিঋণের ঋণখেলাপির হার ৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ৩ হাজার ৯৫০ কোটি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে (২০২৩-২৪) কৃষি ও পল্লিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি করে নীতিমালা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি অর্থবছরে এই লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। কম সুদে কৃষকদের হাতে ঋণ পৌঁছাতে এবার ক্ষুদ্র ঋণদাতা সংস্থার (এমএফআই) ওপর বেসরকারি ব্যাংকের নির্ভরশীলতা আরও কমিয়ে আনা হচ্ছে। আর এ জন্য ব্যাংকের নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অন্তত ৫০ শতাংশ কৃষিঋণ বিতরণ বাধ্যতামূলক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক, যা এত দিন ছিল ৩০ শতাংশ। এ ছাড়া কৃষিঋণের কত অংশ কোন খাতে দিতে হবে, তাও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, কৃষকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় ঋণের পরিমাণ ৫ হাজার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা। এই কৃষকদের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৯ হাজার ৩৫৭টি মামলা (সার্টিফিকেট মামলা) করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় ব্যাংক। এর বিপরীতে ব্যাংকগুলোর পাওনা ৩৯৯ কোটি টাকা। আর ৭৪ হাজার ৩৯৮টি মামলা রয়েছে, যেগুলোর প্রতিটির পাওনা ১ লাখ টাকার নিচে। বাকি মামলা ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত রয়েছে। তবে ৫৭ হাজার মামলা করে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক।
কৃষি খাতে ঋণসুবিধা বাড়াতে একের পর এক উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। কিন্তু অধিকাংশ ব্যাংক সরাসরি এ ঋণ বিতরণ করছে না। গত অর্থবছরে আটটি ব্যাংক কৃষি খাতে একটি টাকাও বিতরণ করেনি। ব্যাংকগুলো কৃষিঋণের ৫০ থেকে ৮০ শতাংশ ঋণ বিতরণ করে এনজিওর মাধ্যমে। এতে সুদ বেড়ে যাচ্ছে প্রায় ৪ গুণ। ব্যাংক থেকে কৃষকেরা ঋণ পান সর্বোচ্চ ৮ শতাংশ সুদে। কিন্তু এনজিওর মাধ্যমে নেওয়া ঋণের সুদহার দাঁড়াচ্ছে ২৫-৩০ শতাংশে। এই চড়া সুদ ও এনজিওদের সীমাহীন চাপে কৃষক ঋণ নিয়ে তটস্থ থাকেন। এমনকি মহাজনদের কাছ থেকে সুদ নিয়ে এনজিওর ঋণ শোধ করেন। মহাজনদের সুদ তো ২০০ শতাংশের বেশি। এসব চড়া সুদের কারণে ঋণের ঘানি টানতে টানতে কৃষক নাজেহাল। যার ফলে কৃষিঋণের সুফল পাচ্ছেন না কৃষক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রান্তিক কৃষকদের কাছে ঋণ পৌঁছানোর সক্ষমতাই দেশের বেশির ভাগ ব্যাংক তৈরি করতে পারেনি। এ কারণে ব্যাংকগুলো কৃষি খাতের ঋণের ৫০-৮০ শতাংশ বিতরণ করছে এনজিওর মাধ্যমে। এনজিওগুলো ব্যাংক থেকে ৮ শতাংশ সুদে ঋণ নিয়ে কৃষকদের মধ্যে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত আদায় করছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান নাসিরুজ্জামান বলেন, ‘কৃষিঋণ বিতরণে ব্যাংকগুলো সক্ষমতা বাড়াতে চেষ্টা করছে। এনজিও ছাড়া ঋণ পুরোপুরি আদায় কঠিন হয়ে পড়বে। তবে কৃষিঋণ বিতরণ লক্ষ্যের তুলনায় বেড়েছে। এতে প্রমাণ হয় যে কৃষিঋণ সুফল দিচ্ছে। আর ঋণ নিলে তো পরিশোধ করতে হবে। কৃষক কোথা থেকে অর্থ ম্যানেজ করে ঋণ পরিশোধ করবে তা ঋণদাতাদের ভাবার বিষয় নয়।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, এখন পর্যন্ত বিতরণ করা মোট কৃষিঋণের স্থিতি ৫৪ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১৮ হাজার ৪৪১ কোটি টাকা বকেয়া। সার্বিকভাবে কৃষিঋণের ঋণখেলাপির হার ৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ৩ হাজার ৯৫০ কোটি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে (২০২৩-২৪) কৃষি ও পল্লিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি করে নীতিমালা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি অর্থবছরে এই লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। কম সুদে কৃষকদের হাতে ঋণ পৌঁছাতে এবার ক্ষুদ্র ঋণদাতা সংস্থার (এমএফআই) ওপর বেসরকারি ব্যাংকের নির্ভরশীলতা আরও কমিয়ে আনা হচ্ছে। আর এ জন্য ব্যাংকের নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অন্তত ৫০ শতাংশ কৃষিঋণ বিতরণ বাধ্যতামূলক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক, যা এত দিন ছিল ৩০ শতাংশ। এ ছাড়া কৃষিঋণের কত অংশ কোন খাতে দিতে হবে, তাও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, কৃষকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় ঋণের পরিমাণ ৫ হাজার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা। এই কৃষকদের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৯ হাজার ৩৫৭টি মামলা (সার্টিফিকেট মামলা) করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় ব্যাংক। এর বিপরীতে ব্যাংকগুলোর পাওনা ৩৯৯ কোটি টাকা। আর ৭৪ হাজার ৩৯৮টি মামলা রয়েছে, যেগুলোর প্রতিটির পাওনা ১ লাখ টাকার নিচে। বাকি মামলা ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত রয়েছে। তবে ৫৭ হাজার মামলা করে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক।
২০২৫-২৬ অর্থবছরে পণ্য ও সেবা রপ্তানি থেকে ৬৩.৫ বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। এর মধ্যে পণ্যের রপ্তানি থেকে ৫৫ বিলিয়ন ডলার এবং সেবা খাত থেকে ৮.৫ বিলিয়ন ডলার আয়ের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান।
১২ আগস্ট ২০২৫পাঁচ ধরনের করদাতাকে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা থেকে ছাড় দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। অন্য সব করদাতার জন্য অনলাইনে রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। গতকাল সোমবার এ-সংক্রান্ত বিশেষ আদেশ জারি করা হয়।
১২ আগস্ট ২০২৫বিশ্ববাজারে চালের মূল্য ধারাবাহিকভাবে নেমে এলেও দেশের খুচরা বাজারে দাম কমছে না। এই অবস্থা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেসরকারিভাবে পাঁচ লাখ টন চাল আমদানির জন্য ২৪২টি প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচন করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
১২ আগস্ট ২০২৫আজ দেশের মুদ্রাবাজারে প্রধান মুদ্রাগুলোর মধ্যে ডলারের দাম কিছুটা বেড়েছে। ব্রিটিশ পাউন্ড স্টারলিংয়ের পাশাপাশি দাম কমেছে ইউরোরও। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত বৈদেশিক মুদ্রার দামের চেয়ে কিছুটা বেশি দামে খোলাবাজারে বিক্রি হয়। বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের ওঠানামার সঙ্গে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের খরচ ওঠানামা
১২ আগস্ট ২০২৫