আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা
অনুমোদিত বাজেটের পরিপন্থী লভ্যাংশ ঘোষণা করায় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দুটি ব্যাংককে অতিরিক্ত ১৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা আয়কর প্রদানের শাস্তির আওতায় পড়তে হবে। ব্যাংক দুটি হলো ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক এবং এবি ব্যাংক। এর মধ্যে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংককে ১০ কোটি ৪৬ লাখ এবং এবি ব্যাংককে দুটি কারণে মোট ৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা প্রদান করতে হবে।
২০১৮-১৯ অর্থবছরের অনুমোদিত বাজেট অনুযায়ী, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি কোনো অর্থবছরে নগদ লভ্যাংশের বেশি বোনাস শেয়ার দিতে পারবে না। অর্থাৎ বোনাস লভ্যাংশ সর্বোচ্চ নগদের সমান হতে পারবে। যদি কোনো কোম্পানি বোনাস শেয়ার বেশি দেয়, তাহলে ওই বোনাস শেয়ারের ওপর ১০ শতাংশ হারে কর আরোপ করা হবে।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ২০২২ সালে শেয়ারহোল্ডারদের শুধু ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বছরটিতে ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি ২ টাকা ৮১ পয়সা করে ২৯৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকার নিট মুনাফা হয়েছে। এর মধ্য থেকে ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার হিসাবে ১০৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা দিয়ে পরিশোধিত মূলধন বাড়ানো হবে। বাকি ১৮৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা বা ৬৪ শতাংশ রিটেইন আর্নিংসে রাখা হবে। ফলে ১০৪ কোটি ৬০ লাখ টাকার ওপরে ১০ শতাংশ হারে ১০ কোটি ৪৬ লাখ টাকার অতিরিক্ত কর দিতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের কোম্পানি সচিব অলি কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পরিশোধিত মূলধন বাড়াতে বোনাস শেয়ার দেওয়া হয়েছে। ইচ্ছা করলেও আমরা ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিতে পারছিলাম না। রাইটের জন্য আবেদন করেছিলাম, সেটা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। ট্যাক্সের বিষয়টা এখন বলা যাবে না। যেহেতু এটা আর্থিক বিষয়, আইনগত ঝামেলা রয়েছে।’
এদিকে দুটি কারণে এবি ব্যাংককে মোট ৭ কোটি ১৪ লাখ টাকার অতিরিক্ত করের শাস্তির কবলে পড়তে হবে। ২০২২ সালে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি ৮৩ পয়সা করে ৭১ কোটি ৪৬ লাখ টাকার নিট মুনাফা হয়েছে। এর মধ্যে থেকে ২ শতাংশ বোনাস শেয়ার বাবদ ১৭ কোটি ২২ লাখ টাকা দিয়ে পরিশোধিত মূলধন বাড়ানো হবে। মুনাফার বাকি ৫৪ কোটি ২৪ লাখ টাকা বা ৭৬ শতাংশ রিটেইন আর্নিংসে যোগ হবে। কোম্পানিটিকে শুধু ওই বোনাস শেয়ার ঘোষণার কারণে ১৭ কোটি ২২ লাখ টাকার ওপর ১০ শতাংশ হারে ১ কোটি ৭২ লাখ টাকার অতিরিক্ত কর দিতে হবে।
অন্যদিকে মুনাফার কমপক্ষে ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ আকারে শেয়ারহোল্ডারদের দিতে হবে। যদি ৩০ শতাংশের কম দেওয়া হয়, তাহলে রিটেইন আর্নিংসে স্থানান্তর করা বা কোম্পানিতে রেখে দেওয়া পুরো অর্থের ওপর ১০ শতাংশ হারে কর আরোপ করার বিধান রয়েছে। ফলে মুনাফার ৩০ শতাংশের কম লভ্যাংশ ঘোষণা করায় ৫৪ কোটি ২৪ লাখ টাকার ওপর ১০ শতাংশ হারে আরও ৫ কোটি ৪২ লাখ টাকার অতিরিক্ত কর দিতে হবে এবি ব্যাংককে।
ব্যাংকটির প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) মো. মহিউদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গাইডলাইন অনুযায়ী ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে হয়। রেগুলেশনগুলো হওয়া উচিত অন্য আইন কেমন আছে তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে। আমরা চেষ্টা করব অব্যাহতি পেতে। যদি না মানে তাহলে সেটা প্রদান করতে হবে।
অনুমোদিত বাজেটের পরিপন্থী লভ্যাংশ ঘোষণা করায় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দুটি ব্যাংককে অতিরিক্ত ১৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা আয়কর প্রদানের শাস্তির আওতায় পড়তে হবে। ব্যাংক দুটি হলো ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক এবং এবি ব্যাংক। এর মধ্যে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংককে ১০ কোটি ৪৬ লাখ এবং এবি ব্যাংককে দুটি কারণে মোট ৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা প্রদান করতে হবে।
২০১৮-১৯ অর্থবছরের অনুমোদিত বাজেট অনুযায়ী, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি কোনো অর্থবছরে নগদ লভ্যাংশের বেশি বোনাস শেয়ার দিতে পারবে না। অর্থাৎ বোনাস লভ্যাংশ সর্বোচ্চ নগদের সমান হতে পারবে। যদি কোনো কোম্পানি বোনাস শেয়ার বেশি দেয়, তাহলে ওই বোনাস শেয়ারের ওপর ১০ শতাংশ হারে কর আরোপ করা হবে।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ২০২২ সালে শেয়ারহোল্ডারদের শুধু ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বছরটিতে ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি ২ টাকা ৮১ পয়সা করে ২৯৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকার নিট মুনাফা হয়েছে। এর মধ্য থেকে ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার হিসাবে ১০৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা দিয়ে পরিশোধিত মূলধন বাড়ানো হবে। বাকি ১৮৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা বা ৬৪ শতাংশ রিটেইন আর্নিংসে রাখা হবে। ফলে ১০৪ কোটি ৬০ লাখ টাকার ওপরে ১০ শতাংশ হারে ১০ কোটি ৪৬ লাখ টাকার অতিরিক্ত কর দিতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের কোম্পানি সচিব অলি কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পরিশোধিত মূলধন বাড়াতে বোনাস শেয়ার দেওয়া হয়েছে। ইচ্ছা করলেও আমরা ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিতে পারছিলাম না। রাইটের জন্য আবেদন করেছিলাম, সেটা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। ট্যাক্সের বিষয়টা এখন বলা যাবে না। যেহেতু এটা আর্থিক বিষয়, আইনগত ঝামেলা রয়েছে।’
এদিকে দুটি কারণে এবি ব্যাংককে মোট ৭ কোটি ১৪ লাখ টাকার অতিরিক্ত করের শাস্তির কবলে পড়তে হবে। ২০২২ সালে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি ৮৩ পয়সা করে ৭১ কোটি ৪৬ লাখ টাকার নিট মুনাফা হয়েছে। এর মধ্যে থেকে ২ শতাংশ বোনাস শেয়ার বাবদ ১৭ কোটি ২২ লাখ টাকা দিয়ে পরিশোধিত মূলধন বাড়ানো হবে। মুনাফার বাকি ৫৪ কোটি ২৪ লাখ টাকা বা ৭৬ শতাংশ রিটেইন আর্নিংসে যোগ হবে। কোম্পানিটিকে শুধু ওই বোনাস শেয়ার ঘোষণার কারণে ১৭ কোটি ২২ লাখ টাকার ওপর ১০ শতাংশ হারে ১ কোটি ৭২ লাখ টাকার অতিরিক্ত কর দিতে হবে।
অন্যদিকে মুনাফার কমপক্ষে ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ আকারে শেয়ারহোল্ডারদের দিতে হবে। যদি ৩০ শতাংশের কম দেওয়া হয়, তাহলে রিটেইন আর্নিংসে স্থানান্তর করা বা কোম্পানিতে রেখে দেওয়া পুরো অর্থের ওপর ১০ শতাংশ হারে কর আরোপ করার বিধান রয়েছে। ফলে মুনাফার ৩০ শতাংশের কম লভ্যাংশ ঘোষণা করায় ৫৪ কোটি ২৪ লাখ টাকার ওপর ১০ শতাংশ হারে আরও ৫ কোটি ৪২ লাখ টাকার অতিরিক্ত কর দিতে হবে এবি ব্যাংককে।
ব্যাংকটির প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) মো. মহিউদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গাইডলাইন অনুযায়ী ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে হয়। রেগুলেশনগুলো হওয়া উচিত অন্য আইন কেমন আছে তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে। আমরা চেষ্টা করব অব্যাহতি পেতে। যদি না মানে তাহলে সেটা প্রদান করতে হবে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরে পণ্য ও সেবা রপ্তানি থেকে ৬৩.৫ বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। এর মধ্যে পণ্যের রপ্তানি থেকে ৫৫ বিলিয়ন ডলার এবং সেবা খাত থেকে ৮.৫ বিলিয়ন ডলার আয়ের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান।
১২ আগস্ট ২০২৫পাঁচ ধরনের করদাতাকে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা থেকে ছাড় দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। অন্য সব করদাতার জন্য অনলাইনে রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। গতকাল সোমবার এ-সংক্রান্ত বিশেষ আদেশ জারি করা হয়।
১২ আগস্ট ২০২৫বিশ্ববাজারে চালের মূল্য ধারাবাহিকভাবে নেমে এলেও দেশের খুচরা বাজারে দাম কমছে না। এই অবস্থা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেসরকারিভাবে পাঁচ লাখ টন চাল আমদানির জন্য ২৪২টি প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচন করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
১২ আগস্ট ২০২৫আজ দেশের মুদ্রাবাজারে প্রধান মুদ্রাগুলোর মধ্যে ডলারের দাম কিছুটা বেড়েছে। ব্রিটিশ পাউন্ড স্টারলিংয়ের পাশাপাশি দাম কমেছে ইউরোরও। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত বৈদেশিক মুদ্রার দামের চেয়ে কিছুটা বেশি দামে খোলাবাজারে বিক্রি হয়। বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের ওঠানামার সঙ্গে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের খরচ ওঠানামা
১২ আগস্ট ২০২৫