নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ব্রয়লার মুরগি, গরু ও খাসির মাংসসহ সব ধরনের পণ্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে আমদানির অনুমতি চেয়েছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। একই সঙ্গে যেসব অসাধু ব্যবসায়ী নিত্যপণ্যের বাজার অস্থিতিশীল করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর ইস্কাটনে পুলিশ কনভেনশন হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি মহাসচিব ইমরান হাসান। এ সময় সংগঠনের সভাপতি মো. ওসমান গনিসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
একইদিনে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির ৩৫ তম কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের (বর্ধিত) সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আগামী দুই বছরের জন্য বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি ওসমান গনি এবং মহাসচিব ইমরান হাসান পুনর্নির্বাচিত হন।
ইমরান হাসান বলেন, ‘সারা বিশ্বে একটি ক্রান্তিকাল যাচ্ছে বাজার পরিস্থিতিতে। আমরাও এ ক্রান্তিকালের বাইরে না। বাংলাদেশের রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীরা সবচেয়ে বেশি খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিদিনই রেস্তোরাঁ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ব্যবসাই টিকে থাকতে পারছে না। আমরা এখনো সরকারের কোনো উদ্যোগ দেখতে পাইনি। বাজারে প্রতিদিন মাছ ও মাংসের দাম বেড়েই চলেছে।’
তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে আমরা জানতে পেরেছি, সরকার গরুর মাংস রপ্তানি করবে। কিন্তু আমরা জানাতে চাই, গরুর মাংস আমাদের দেশেই পর্যাপ্ত নেই। আমরা কী করে রপ্তানি করব? বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশে সবচেয়ে দামি গরুর মাংস। তাই গরু-ছাগল ও পোলট্রি ফার্মের মুরগির মাংসের দাম কমাতে অবিলম্বে আমদানি করার অনুমোদন দেওয়া হোক। সরকার এসব পণ্য আমদানি করার অনুমতি দিলেই বাজার স্বাভাবিক পর্যায়ে আসবে।’
লিখিত বক্তব্যে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির এ নেতা বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে মাছ, মাংস, ডিম, আলু, পেঁয়াজসহ বাজারে বেশির ভাগ পণ্যের দামের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি হচ্ছে। চড়া দ্রব্যমূল্য উসকে দিচ্ছে মূল্যস্ফীতিকে। মূল্যস্ফীতির কশাঘাতে পিষ্ট হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। গত কয়েক মাস ধরে ৮ শতাংশের বেশি হারে মূল্যস্ফীতি হচ্ছে। গত জুন মাসেও মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ। এতে সাধারণ মানুষের ক্রয়-ক্ষমতা কমছে, যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে রেস্তোরাঁ খাতে। বেশির ভাগ রেস্তোরাঁর দৈনিক বিক্রি অনেকাংশে কমে গেছে। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত রেস্তোরাঁ খাতের জন্য এটি মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘার মতো। এ অবস্থায় কার্যকর বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ জরুরি। তাই গরু-ছাগল ও পোলট্রি ফার্মের মুরগির মাংস আমদানি করার অনুমতি দিতে হবে।’
হোটেল রেস্তোরাঁয় ৩০ শতাংশ বিক্রি কমেছে বলে দাবি করেন সংগঠনটির মহাসচিব।
রেস্তোরাঁ খাত টিকিয়ে রাখতে ট্যাক্স ছাড়ের পাশাপাশি ট্যাক্সের হার কমানোর প্রস্তাব করেন তিনি। মাঠপর্যায়ে কিছু অসাধু কর কর্মকর্তার দ্বারা হয়রানি থেকে নিস্তার চান। পাশাপাশি ভ্যাট আদায়ে সব রেস্তোরাঁয় ইএফডি মেশিন সরবরাহ এবং স্ট্রিট ফুডসহ সব রেস্তোরাঁকে ভ্যাটের আওতায় আনার দাবি জানান।
করপোরেট খামারিদের সিন্ডিকেটের কারণে পণ্যের দাম বাড়ছে কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ইমরান হাসান বলেন, ‘এটা তো আছেই। তার সঙ্গে রাস্তায় চাঁদাবাজির কথা আমরা শুনেছি।’
ব্রয়লার মুরগি, গরু ও খাসির মাংসসহ সব ধরনের পণ্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে আমদানির অনুমতি চেয়েছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। একই সঙ্গে যেসব অসাধু ব্যবসায়ী নিত্যপণ্যের বাজার অস্থিতিশীল করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর ইস্কাটনে পুলিশ কনভেনশন হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি মহাসচিব ইমরান হাসান। এ সময় সংগঠনের সভাপতি মো. ওসমান গনিসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
একইদিনে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির ৩৫ তম কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের (বর্ধিত) সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আগামী দুই বছরের জন্য বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি ওসমান গনি এবং মহাসচিব ইমরান হাসান পুনর্নির্বাচিত হন।
ইমরান হাসান বলেন, ‘সারা বিশ্বে একটি ক্রান্তিকাল যাচ্ছে বাজার পরিস্থিতিতে। আমরাও এ ক্রান্তিকালের বাইরে না। বাংলাদেশের রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীরা সবচেয়ে বেশি খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিদিনই রেস্তোরাঁ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ব্যবসাই টিকে থাকতে পারছে না। আমরা এখনো সরকারের কোনো উদ্যোগ দেখতে পাইনি। বাজারে প্রতিদিন মাছ ও মাংসের দাম বেড়েই চলেছে।’
তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে আমরা জানতে পেরেছি, সরকার গরুর মাংস রপ্তানি করবে। কিন্তু আমরা জানাতে চাই, গরুর মাংস আমাদের দেশেই পর্যাপ্ত নেই। আমরা কী করে রপ্তানি করব? বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশে সবচেয়ে দামি গরুর মাংস। তাই গরু-ছাগল ও পোলট্রি ফার্মের মুরগির মাংসের দাম কমাতে অবিলম্বে আমদানি করার অনুমোদন দেওয়া হোক। সরকার এসব পণ্য আমদানি করার অনুমতি দিলেই বাজার স্বাভাবিক পর্যায়ে আসবে।’
লিখিত বক্তব্যে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির এ নেতা বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে মাছ, মাংস, ডিম, আলু, পেঁয়াজসহ বাজারে বেশির ভাগ পণ্যের দামের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি হচ্ছে। চড়া দ্রব্যমূল্য উসকে দিচ্ছে মূল্যস্ফীতিকে। মূল্যস্ফীতির কশাঘাতে পিষ্ট হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। গত কয়েক মাস ধরে ৮ শতাংশের বেশি হারে মূল্যস্ফীতি হচ্ছে। গত জুন মাসেও মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ। এতে সাধারণ মানুষের ক্রয়-ক্ষমতা কমছে, যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে রেস্তোরাঁ খাতে। বেশির ভাগ রেস্তোরাঁর দৈনিক বিক্রি অনেকাংশে কমে গেছে। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত রেস্তোরাঁ খাতের জন্য এটি মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘার মতো। এ অবস্থায় কার্যকর বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ জরুরি। তাই গরু-ছাগল ও পোলট্রি ফার্মের মুরগির মাংস আমদানি করার অনুমতি দিতে হবে।’
হোটেল রেস্তোরাঁয় ৩০ শতাংশ বিক্রি কমেছে বলে দাবি করেন সংগঠনটির মহাসচিব।
রেস্তোরাঁ খাত টিকিয়ে রাখতে ট্যাক্স ছাড়ের পাশাপাশি ট্যাক্সের হার কমানোর প্রস্তাব করেন তিনি। মাঠপর্যায়ে কিছু অসাধু কর কর্মকর্তার দ্বারা হয়রানি থেকে নিস্তার চান। পাশাপাশি ভ্যাট আদায়ে সব রেস্তোরাঁয় ইএফডি মেশিন সরবরাহ এবং স্ট্রিট ফুডসহ সব রেস্তোরাঁকে ভ্যাটের আওতায় আনার দাবি জানান।
করপোরেট খামারিদের সিন্ডিকেটের কারণে পণ্যের দাম বাড়ছে কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ইমরান হাসান বলেন, ‘এটা তো আছেই। তার সঙ্গে রাস্তায় চাঁদাবাজির কথা আমরা শুনেছি।’
২০২৫-২৬ অর্থবছরে পণ্য ও সেবা রপ্তানি থেকে ৬৩.৫ বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। এর মধ্যে পণ্যের রপ্তানি থেকে ৫৫ বিলিয়ন ডলার এবং সেবা খাত থেকে ৮.৫ বিলিয়ন ডলার আয়ের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান।
২১ দিন আগেপাঁচ ধরনের করদাতাকে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা থেকে ছাড় দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। অন্য সব করদাতার জন্য অনলাইনে রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। গতকাল সোমবার এ-সংক্রান্ত বিশেষ আদেশ জারি করা হয়।
২১ দিন আগেবিশ্ববাজারে চালের মূল্য ধারাবাহিকভাবে নেমে এলেও দেশের খুচরা বাজারে দাম কমছে না। এই অবস্থা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেসরকারিভাবে পাঁচ লাখ টন চাল আমদানির জন্য ২৪২টি প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচন করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
২১ দিন আগেআজ দেশের মুদ্রাবাজারে প্রধান মুদ্রাগুলোর মধ্যে ডলারের দাম কিছুটা বেড়েছে। ব্রিটিশ পাউন্ড স্টারলিংয়ের পাশাপাশি দাম কমেছে ইউরোরও। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত বৈদেশিক মুদ্রার দামের চেয়ে কিছুটা বেশি দামে খোলাবাজারে বিক্রি হয়। বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের ওঠানামার সঙ্গে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের খরচ ওঠানামা
২১ দিন আগে