বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন
অনলাইন ডেস্ক
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ঋণ কার্যক্রমের নিয়মনীতি ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন নিয়ম অনুযায়ী ঋণের কিস্তি পরিশোধের নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার ৩ মাস পার হলেই সেই ঋণ খেলাপির খাতায় চলে যাবে। এ ছাড়া অনাদায়ি ঋণের বকেয়া সময়সীমা অনুযায়ী খেলাপির স্তর এবং আনুপাতিক হারে প্রভিশন সংরক্ষণ করতে নির্দেশনাও জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ ক্ষেত্রে ঋণ মেয়াদোত্তীর্ণের পর ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে ‘নিম্নমান’, ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে ‘সন্দেহজনক’ ও ১২ মাসের অধিক হলে ‘মন্দ’ ক্যাটাগরিতে পড়বে।
নিয়মিত ঋণের জন্য ১ শতাংশ এবং খেলাপির বিপরীতে সর্বোচ্চ ১০০ শতাংশ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের গতকাল প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে। ২০২৫ সালের ১ এপ্রিল থেকে নতুন এ নির্দেশনা কার্যকর হবে। তবে এককালীন পরিশোধ করে পুনঃ তফসিলের মাধ্যমে ঋণ নিয়মিত করার বহুল আলোচিত বিষয়টি নিয়ে প্রজ্ঞাপনে কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, স্ট্যান্ডার্ড ঋণের ক্ষেত্রে ঋণস্থিতির ১ শতাংশ, স্পেশাল মেনশন অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে ঋণস্থিতির ৫ শতাংশ জেনারেল প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে। এ ছাড়া খেলাপিকৃত ঋণের ক্ষেত্রে নিম্নমান হলে প্রভিশনের ভিত্তির ওপর ২০ শতাংশ, সন্দেহজনক হলে প্রভিশনের ভিত্তির ওপর ৫০ শতাংশ ও মন্দ বা ক্ষতিজনক হলে প্রভিশনের ভিত্তির ওপর ১০০ শতাংশ স্পেসিফিক প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সেপ্টেম্বর শেষে দেশের ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি ৩১ লাখ টাকা। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ছিল ১৬ লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা। সেই হিসাবে অনাদায়ি ঋণ মোট ঋণের ৪১ দশমিক ৫০ শতাংশ।
এর আগে জুন পর্যন্ত অর্থঋণ আদালতে বিচারাধীন ৬৭ হাজার ৫১৯টি মামলায় আটকে থাকা অর্থের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৯ হাজার ৬৯১ কোটি টাকা। রিট মামলায় ঝুলে থাকা অর্থের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৫৩ হাজার কোটি টাকা। স্পেশাল মেনশন হিসাবে অনাদায়ি ঋণ প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা। সব মিলে ঘোষিত খেলাপির বাইরে অনাদায়ি ঋণ ৪ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা। এর বাইরেও সার্টিফিকেট মামলায় ৪ হাজার কোটি টাকা এবং অডিটজনিত অপ্রদর্শিত খেলাপি কয়েক হাজার কোটি টাকা। নতুন নিয়মে খেলাপি এবং অনাদায়ি ঋণ প্রায় ৬ লাখ ৯৮ হাজার কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, খেলাপি ঋণ কমাতে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হবে। আর অর্থঋণ আদালতের যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, সেগুলো দূর করা হবে। প্রয়োজনে আর খেলাপিদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
আব্দুর রউফ তালুকদার গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র দেড় মাসের মধ্যে বড় বড় খেলাপিকে সুবিধা দিতে ঋণ পুনঃ তফসিলে একটি মাস্টার সার্কুলার জারির নির্দেশ দেন। তাঁর কথামতো ২০২২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর সার্কুলার জারি করা হয়। এতে একজন ঋণগ্রহীতাকে ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট (এককালীন পরিশোধ) করে চারবার ঋণ পুনঃ তফসিল বা ঋণ পুনর্গঠনের সুযোগ দেওয়া হয়। আর ঋণ পরিশোধে সময় রাখা হয় ২১ বছর। অর্থাৎ ২১ বছর পার না হলে কোনো ব্যাংক খেলাপিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারত না।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ঋণ কার্যক্রমের নিয়মনীতি ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন নিয়ম অনুযায়ী ঋণের কিস্তি পরিশোধের নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার ৩ মাস পার হলেই সেই ঋণ খেলাপির খাতায় চলে যাবে। এ ছাড়া অনাদায়ি ঋণের বকেয়া সময়সীমা অনুযায়ী খেলাপির স্তর এবং আনুপাতিক হারে প্রভিশন সংরক্ষণ করতে নির্দেশনাও জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ ক্ষেত্রে ঋণ মেয়াদোত্তীর্ণের পর ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে ‘নিম্নমান’, ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে ‘সন্দেহজনক’ ও ১২ মাসের অধিক হলে ‘মন্দ’ ক্যাটাগরিতে পড়বে।
নিয়মিত ঋণের জন্য ১ শতাংশ এবং খেলাপির বিপরীতে সর্বোচ্চ ১০০ শতাংশ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের গতকাল প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে। ২০২৫ সালের ১ এপ্রিল থেকে নতুন এ নির্দেশনা কার্যকর হবে। তবে এককালীন পরিশোধ করে পুনঃ তফসিলের মাধ্যমে ঋণ নিয়মিত করার বহুল আলোচিত বিষয়টি নিয়ে প্রজ্ঞাপনে কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, স্ট্যান্ডার্ড ঋণের ক্ষেত্রে ঋণস্থিতির ১ শতাংশ, স্পেশাল মেনশন অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে ঋণস্থিতির ৫ শতাংশ জেনারেল প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে। এ ছাড়া খেলাপিকৃত ঋণের ক্ষেত্রে নিম্নমান হলে প্রভিশনের ভিত্তির ওপর ২০ শতাংশ, সন্দেহজনক হলে প্রভিশনের ভিত্তির ওপর ৫০ শতাংশ ও মন্দ বা ক্ষতিজনক হলে প্রভিশনের ভিত্তির ওপর ১০০ শতাংশ স্পেসিফিক প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সেপ্টেম্বর শেষে দেশের ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি ৩১ লাখ টাকা। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ছিল ১৬ লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা। সেই হিসাবে অনাদায়ি ঋণ মোট ঋণের ৪১ দশমিক ৫০ শতাংশ।
এর আগে জুন পর্যন্ত অর্থঋণ আদালতে বিচারাধীন ৬৭ হাজার ৫১৯টি মামলায় আটকে থাকা অর্থের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৯ হাজার ৬৯১ কোটি টাকা। রিট মামলায় ঝুলে থাকা অর্থের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৫৩ হাজার কোটি টাকা। স্পেশাল মেনশন হিসাবে অনাদায়ি ঋণ প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা। সব মিলে ঘোষিত খেলাপির বাইরে অনাদায়ি ঋণ ৪ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা। এর বাইরেও সার্টিফিকেট মামলায় ৪ হাজার কোটি টাকা এবং অডিটজনিত অপ্রদর্শিত খেলাপি কয়েক হাজার কোটি টাকা। নতুন নিয়মে খেলাপি এবং অনাদায়ি ঋণ প্রায় ৬ লাখ ৯৮ হাজার কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, খেলাপি ঋণ কমাতে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হবে। আর অর্থঋণ আদালতের যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, সেগুলো দূর করা হবে। প্রয়োজনে আর খেলাপিদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
আব্দুর রউফ তালুকদার গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র দেড় মাসের মধ্যে বড় বড় খেলাপিকে সুবিধা দিতে ঋণ পুনঃ তফসিলে একটি মাস্টার সার্কুলার জারির নির্দেশ দেন। তাঁর কথামতো ২০২২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর সার্কুলার জারি করা হয়। এতে একজন ঋণগ্রহীতাকে ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট (এককালীন পরিশোধ) করে চারবার ঋণ পুনঃ তফসিল বা ঋণ পুনর্গঠনের সুযোগ দেওয়া হয়। আর ঋণ পরিশোধে সময় রাখা হয় ২১ বছর। অর্থাৎ ২১ বছর পার না হলে কোনো ব্যাংক খেলাপিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারত না।
২০২৫-২৬ অর্থবছরে পণ্য ও সেবা রপ্তানি থেকে ৬৩.৫ বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। এর মধ্যে পণ্যের রপ্তানি থেকে ৫৫ বিলিয়ন ডলার এবং সেবা খাত থেকে ৮.৫ বিলিয়ন ডলার আয়ের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান।
২৫ দিন আগেপাঁচ ধরনের করদাতাকে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা থেকে ছাড় দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। অন্য সব করদাতার জন্য অনলাইনে রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। গতকাল সোমবার এ-সংক্রান্ত বিশেষ আদেশ জারি করা হয়।
২৫ দিন আগেবিশ্ববাজারে চালের মূল্য ধারাবাহিকভাবে নেমে এলেও দেশের খুচরা বাজারে দাম কমছে না। এই অবস্থা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেসরকারিভাবে পাঁচ লাখ টন চাল আমদানির জন্য ২৪২টি প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচন করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
২৫ দিন আগেআজ দেশের মুদ্রাবাজারে প্রধান মুদ্রাগুলোর মধ্যে ডলারের দাম কিছুটা বেড়েছে। ব্রিটিশ পাউন্ড স্টারলিংয়ের পাশাপাশি দাম কমেছে ইউরোরও। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত বৈদেশিক মুদ্রার দামের চেয়ে কিছুটা বেশি দামে খোলাবাজারে বিক্রি হয়। বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের ওঠানামার সঙ্গে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের খরচ ওঠানামা
২৫ দিন আগে