Ajker Patrika

রোজার আগে চড়া নিত্যপণ্যের বাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক
রোজার আগে চড়া নিত্যপণ্যের বাজার

রোজাকে সামনে রেখে বেড়েছে মাছ মাংস সবজির দাম। তবে লকডাউন ও রোজাকে সামনে রেখে বাড়তি দামেই ক্রেতারা বেশি পরিমাণে এসব পণ্য কিনছেন। আজ রোববার রাজধানীর বাজারগুলোতে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বাজারে সবধরনের মুরগির দাম চড়া। ইলিশসহ প্রায় সবধরনের মাছও বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। এছাড়া বেগুন, শিম, পটল, করলা,  ঢেঁড়স, লাউ, টমেটোসহ বেশিরভাগ সবজির কেজি ৪০ টাকার ওপরে। পেঁয়াজ, রসুনের দামও কয়েকদিন আগের তুলনায় কেজি প্রতি ১০-২০ টাকা বেড়েছে। 

চাল, ডাল, আটা-ময়দার  দাম নতুন করে এ সপ্তাহে বাড়েনি, বিক্রি হচ্ছে আগের চড়া দামেই। তবে চিনির দাম কেজিতে নতুন করে বেড়েছে ৫ টাকা। বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৮০ টাকা কেজিতে।

বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা।  লাল লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা এবং পাকিস্তানি কক মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৫০ টাকা। ফার্মের মুরগির ডিম ডজন বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়।  পেঁয়াজের পাশাপাশি রসুন, আদার দামও চড়া।  দেশি রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা। দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা কেজি দরে, চীনের আদা কেজি ১১০-১২০ টাকা।

হাতিরপুল কাঁচাবাজারে বাজার করতে আসা মোহাম্মদ আলি বলেন, ‘এমনিতেই লকডাউনে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের আয় কমেছে। এরমধ্যে রোজারে মাসকে সামনে রেখে এভাবে যদি নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে থাকে তাহলে আমরা যাবো কোথায়?’

নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফা করার প্রবণতা বন্ধে বাজারে নিয়মিত সরকারি অভিযান চালানো জরুরি। বাজারে  কোনো পণ্যের ঘাটতি আছে বলে মনে হয় না।’

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, বাজারে যেন পণ্যের স্থিতিশীলতা ঠিক থাকে এবং ভোক্তারা যেন ন্যায্য মূল্যে পণ্য কিনতে পারেন এজন্য পুরো রমজান জুড়ে বাজারে অভিযান চালানো হবে।

ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, গত প্রায় দুই মাস ধরে বাজারে বেড়ে চলেছে অন্তত ১২টি পণ্যের দাম।  পণ্যগুলো হচ্ছে- সয়াবিন, চিনি, মশুর ডাল, মুগডাল, পেঁয়াজ, আটা, ময়দা, গরুর মাংস, খাসির মাংস, মুরগি, গুড়া দুধ, হলুদ, আদা ও জিরা।

বিশ্লেষকদের মতে, পবিত্র রমজানকে পুঁজি করে মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা এই পণ্যগুলোর দাম পরিকল্পিতভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে। এভাবে পণ্যের দাম বাড়তে থাকলে সীমিত আয়ের মানুষেরা পরবেন বিপাকে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত