রিফাত মেহেদী, সাভার
আশুলিয়ার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন শ্রমিক হালিম। হঠাৎ একদিন শুনতে পান তাঁর চাকরি নেই। তাঁর অপরাধ, ট্রেড ইউনিয়নের জন্য জমা দেওয়া তালিকায় তাঁর নাম আছে। অথচ যে অপরাধে হালিমের চাকরি গেল, তার কিছুই জানতেন না এই শ্রমিক।
হালিমের ভাষ্য, ‘আমি ট্রেড ইউনিয়ন কী এটা জানতাম না। চাকরি যাওয়ার দিন প্রথম শুনেছিলাম নামটা। পেটের দায়ে কারখানায় আসতাম, কাজ করতাম। কিন্তু সেই ইউনিয়ন নাকি আমিই জমা দিয়েছিলাম। এই দায়ে আমার চাকরিটা গেল। পরে শুনলাম কোনো এক শ্রমিক নেতা আমার আইডি কার্ডের ছবি নিয়ে এই ইউনিয়ন জমা দিয়েছিলেন। আমি চাকরি হারিয়ে আজ অসহায়। আল্লাহ যেন ওই নেতার বিচার করেন।’
শুধু হালিম নন, তাঁর মতো আরও অনেক শ্রমিক চাকরি হারিয়েছেন ট্রেড ইউনিয়নের খপ্পরে পড়ে। ঠিক ট্রেড ইউনিয়ন নয়, ভুয়া ট্রেড ইউনিয়ন। সাভার-আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে একে বলা হয় ‘হলুদ ট্রেড ইউনিয়ন’।
ট্রেড ইউনিয়ন শ্রমিকের আইনসিদ্ধ অধিকার। কিন্তু অধিকাংশ কারখানার মালিক ট্রেড ইউনিয়নের স্বীকৃতি দিতে চান না। যেকোনোভাবে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন ঠেকাতে চান তাঁরা। আর এই সুযোগটিই নিচ্ছেন কিছু তথাকথিত শ্রমিক নেতা। তাঁদের কাজই হলো, কৌশলে শ্রমিকদের কাছ থেকে জাতীয় তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি ও ছবি সংগ্রহ করে তাঁদের নামে শ্রম অধিদপ্তরে ট্রেড ইউনিয়ন প্রস্তাব করা। আর সেটি দেখিয়ে মালিকের কাছ থেকে বড় অঙ্কের অর্থ আদায় করা। অভিযোগ রয়েছে, ঠিক এই কাজই করে বেড়ান বাংলাদেশ তৃণমূল গার্মেন্ট কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি শামীম খান।
সম্প্রতি আশুলিয়ার জামগড়ার উচ্চো ফ্যাশন লিমিটেড কারখানার ৯ জন শ্রমিকের একটি কমিটি করে শ্রম অধিদপ্তরে ভুয়া বা হলুদ ইউনিয়ন জমা দিয়েছেন তিনি। নিয়ম অনুযায়ী ৯ জন শ্রমিকেরই বিষয়টি জানার ও সম্মতি দেওয়ার কথা থাকলেও এ ব্যাপারে তাঁরা কিছুই জানতেন না। শ্রমিকের কাছ থেকে প্রতারণা করে আইডি কার্ডের ছবি নিয়ে ট্রেড ইউনিয়ন জমা দেওয়ায় শ্রমিক নেতা শামীম খানের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানা এবং শ্রম অধিদপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন প্রতারণার শিকার শ্রমিক নেতারা।
অভিযোগে বলা হয়, শ্রমিক নেতা শামীম খানের নিয়োগ দেওয়া এজেন্টরা বিজিএমইএ থেকে ফ্রি চিকিৎসাসেবার সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়ার কথা বলে শ্রমিকদের আইডি কার্ডের ছবি নেন। পরবর্তী সময়ে তাঁদের নাম ও পদবি ঠিক রেখে জাল স্বাক্ষর ও বাবা-মায়ের উল্টোপাল্টা নাম বসিয়ে শ্রম অধিদপ্তরে ট্রেড ইউনিয়ন জমা দেন। শ্রমিকদের অনুমতি না নিয়েই এমন হলুদ ইউনিয়ন জমা দেওয়ায় আশুলিয়া থানায় তাঁরা অভিযোগ দায়ের করেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, শুধু উচ্চো ফ্যাশন নয়, কালার সিটি লিমিটেড, মতি স্পিনিং মিলস, ডেই ইউ ফ্যাশন লিমিটেড, ডিজাইন টেক্স সোয়েটার লিমিটেড, স্প্যারো অ্যাপারেলস লিমিটেড, টার্গেট ফ্যাশন লিমিটেড, ইনক্রেডিবল অ্যাপারেলস লিমিটেডসহ অসংখ্য পোশাক কারখানার শ্রমিকদের প্রতারণার মাধ্যমে আইডি কার্ড সংগ্রহ করার চেষ্টা করেছেন শামীম খানের এজেন্টরা। এ ছাড়া শুধু আশুলিয়া থানায় শামীম খান এমন ৪৭টি হলুদ ইউনিয়ন জমা দিয়েছেন বলে দাবি আরেক শ্রমিক নেতার। পরবর্তী সময়ে সেসব কারখানা থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে ট্রেড ইউনিয়ন কার্যক্রম বন্ধ করে দেন বলে দাবি করেন শ্রমিক নেতারা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ বস্ত্র ও পোশাক শিল্প শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও আইবিসির সাভার আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, আসলে ট্রেড ইউনিয়ন বলতে আমরা বুঝি, শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষা ও কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টিকারী এবং শ্রমিক শ্রেণির কল্যাণে আইন স্বীকৃত সংগঠনই হলো ট্রেড ইউনিয়ন। যার স্বীকৃতি শ্রম আইন দিয়েছে। শ্রমিকেরা চাইলে বৈধভাবে এই ট্রেড ইউনিয়ন করতে পারবেন। এখানে অন্য কারও এই ইউনিয়ন করার এখতিয়ার নেই। কিন্তু শামীম খান আইডি কার্ড সংগ্রহ করে শ্রমিকদের না জানিয়ে উচ্চো ফ্যাশন লিমিটেড কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন জমা দেন। একই ঘটনা ঘটিয়েছেন গাজীপুরের আহসান কম্পোজিট কারখানায়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড ট্রেড ইউনিয়ন শ্রমিক আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে, যা প্রকৃত ও গঠনমূলক ট্রেড ইউনিয়নের জন্য অশনি সংকেত।
হলুদ ট্রেড ইউনিয়ন সম্পর্কে এই শ্রমিক নেতা জানান, হলুদ ট্রেড ইউনিয়নের জন্য গোপনে একটি কারখানার কমপক্ষে ৯ জন শ্রমিকের আইডি কার্ড সংগ্রহ করেন অসাধু শ্রমিক নেতারা। পরে আইডি কার্ড অনুযায়ী শুধু নাম-পদবি ঠিক রেখে ভুলভাল বাবার নাম, ঠিকানা ও ভুয়া স্বাক্ষর দিয়ে কাগজ প্রস্তুত করে জমা দেন। জমা দেওয়ার পর কারখানায় একটি চিঠি আসে। চিঠি আসা মাত্র কারখানা কর্তৃপক্ষ ট্রেড ইউনিয়ন বন্ধে তোড়জোড় শুরু করে। আর এই কাজে সহযোগিতা করেন খোদ শ্রম অধিদপ্তরের অসাধু কর্মকর্তারা। পরবর্তীতে অসাধু শ্রমিক নেতা সেই কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে ট্রেড ইউনিয়ন না করার শর্তে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেন। এর বিনিময়ে প্রস্তুতকৃত কাগজের এক কপি কারখানা কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়। কাগজপত্রে যাঁদের নাম থাকে তাঁদের কৌশলে ছাঁটাই করে কারখানা কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকে শ্রমিক নেতার হদিস পাওয়া যায় না। একসময় ইউনিয়নটি প্রত্যাখ্যান করে শ্রম অধিদপ্তর।
শ্রম অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ট্রেড ইউনিয়ন প্রত্যাখ্যান হয়েছে ৫৭৯টি। আর শ্রমিক নেতাদের তথ্য অনুযায়ী, ৫৭৯টি প্রত্যাখ্যাত ইউনিয়নের কারণে এ পর্যন্ত চাকরি হারিয়েছেন ৫ হাজার ২১১ জন শ্রমিক। যাঁদের কেউ হয়তো কষ্টে জোগাড় করেছেন চাকরি, কেউবা হয়েছেন রিকশাচালক।
ভুয়া ট্রেড ইউনিয়নের অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শামীম খান বলেন, শ্রমিকেরা যখন কোনো কারখানার ইউনিয়ন করেন, তখন মালিকেরা বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করেন। যাতে ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠিত না হয়। মালিকেরা বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখান। আপনারা দেখেছেন, ইউনিয়ন করার কারণে অনেক শ্রমিক চাকরিচ্যুত হয়েছেন। শ্রমিকদের ভুলভাল বুঝিয়ে চাকরির ভয় দেখিয়ে অনেক মালিকই সফল হন। মালিকেরা ট্রেড ইউনিয়নের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এর সঙ্গে কিছু নামধারী শ্রমিক নেতৃবৃন্দ আছেন, যাঁরা মালিকদের ষড়যন্ত্রে সহযোগিতা করেন। মালিকদের কিছু দালাল রয়েছেন, যাঁরা টাকা খেয়ে শ্রমিকদের ক্ষতি করেন।
আশুলিয়ার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন শ্রমিক হালিম। হঠাৎ একদিন শুনতে পান তাঁর চাকরি নেই। তাঁর অপরাধ, ট্রেড ইউনিয়নের জন্য জমা দেওয়া তালিকায় তাঁর নাম আছে। অথচ যে অপরাধে হালিমের চাকরি গেল, তার কিছুই জানতেন না এই শ্রমিক।
হালিমের ভাষ্য, ‘আমি ট্রেড ইউনিয়ন কী এটা জানতাম না। চাকরি যাওয়ার দিন প্রথম শুনেছিলাম নামটা। পেটের দায়ে কারখানায় আসতাম, কাজ করতাম। কিন্তু সেই ইউনিয়ন নাকি আমিই জমা দিয়েছিলাম। এই দায়ে আমার চাকরিটা গেল। পরে শুনলাম কোনো এক শ্রমিক নেতা আমার আইডি কার্ডের ছবি নিয়ে এই ইউনিয়ন জমা দিয়েছিলেন। আমি চাকরি হারিয়ে আজ অসহায়। আল্লাহ যেন ওই নেতার বিচার করেন।’
শুধু হালিম নন, তাঁর মতো আরও অনেক শ্রমিক চাকরি হারিয়েছেন ট্রেড ইউনিয়নের খপ্পরে পড়ে। ঠিক ট্রেড ইউনিয়ন নয়, ভুয়া ট্রেড ইউনিয়ন। সাভার-আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে একে বলা হয় ‘হলুদ ট্রেড ইউনিয়ন’।
ট্রেড ইউনিয়ন শ্রমিকের আইনসিদ্ধ অধিকার। কিন্তু অধিকাংশ কারখানার মালিক ট্রেড ইউনিয়নের স্বীকৃতি দিতে চান না। যেকোনোভাবে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন ঠেকাতে চান তাঁরা। আর এই সুযোগটিই নিচ্ছেন কিছু তথাকথিত শ্রমিক নেতা। তাঁদের কাজই হলো, কৌশলে শ্রমিকদের কাছ থেকে জাতীয় তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি ও ছবি সংগ্রহ করে তাঁদের নামে শ্রম অধিদপ্তরে ট্রেড ইউনিয়ন প্রস্তাব করা। আর সেটি দেখিয়ে মালিকের কাছ থেকে বড় অঙ্কের অর্থ আদায় করা। অভিযোগ রয়েছে, ঠিক এই কাজই করে বেড়ান বাংলাদেশ তৃণমূল গার্মেন্ট কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি শামীম খান।
সম্প্রতি আশুলিয়ার জামগড়ার উচ্চো ফ্যাশন লিমিটেড কারখানার ৯ জন শ্রমিকের একটি কমিটি করে শ্রম অধিদপ্তরে ভুয়া বা হলুদ ইউনিয়ন জমা দিয়েছেন তিনি। নিয়ম অনুযায়ী ৯ জন শ্রমিকেরই বিষয়টি জানার ও সম্মতি দেওয়ার কথা থাকলেও এ ব্যাপারে তাঁরা কিছুই জানতেন না। শ্রমিকের কাছ থেকে প্রতারণা করে আইডি কার্ডের ছবি নিয়ে ট্রেড ইউনিয়ন জমা দেওয়ায় শ্রমিক নেতা শামীম খানের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানা এবং শ্রম অধিদপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন প্রতারণার শিকার শ্রমিক নেতারা।
অভিযোগে বলা হয়, শ্রমিক নেতা শামীম খানের নিয়োগ দেওয়া এজেন্টরা বিজিএমইএ থেকে ফ্রি চিকিৎসাসেবার সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়ার কথা বলে শ্রমিকদের আইডি কার্ডের ছবি নেন। পরবর্তী সময়ে তাঁদের নাম ও পদবি ঠিক রেখে জাল স্বাক্ষর ও বাবা-মায়ের উল্টোপাল্টা নাম বসিয়ে শ্রম অধিদপ্তরে ট্রেড ইউনিয়ন জমা দেন। শ্রমিকদের অনুমতি না নিয়েই এমন হলুদ ইউনিয়ন জমা দেওয়ায় আশুলিয়া থানায় তাঁরা অভিযোগ দায়ের করেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, শুধু উচ্চো ফ্যাশন নয়, কালার সিটি লিমিটেড, মতি স্পিনিং মিলস, ডেই ইউ ফ্যাশন লিমিটেড, ডিজাইন টেক্স সোয়েটার লিমিটেড, স্প্যারো অ্যাপারেলস লিমিটেড, টার্গেট ফ্যাশন লিমিটেড, ইনক্রেডিবল অ্যাপারেলস লিমিটেডসহ অসংখ্য পোশাক কারখানার শ্রমিকদের প্রতারণার মাধ্যমে আইডি কার্ড সংগ্রহ করার চেষ্টা করেছেন শামীম খানের এজেন্টরা। এ ছাড়া শুধু আশুলিয়া থানায় শামীম খান এমন ৪৭টি হলুদ ইউনিয়ন জমা দিয়েছেন বলে দাবি আরেক শ্রমিক নেতার। পরবর্তী সময়ে সেসব কারখানা থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে ট্রেড ইউনিয়ন কার্যক্রম বন্ধ করে দেন বলে দাবি করেন শ্রমিক নেতারা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ বস্ত্র ও পোশাক শিল্প শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও আইবিসির সাভার আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, আসলে ট্রেড ইউনিয়ন বলতে আমরা বুঝি, শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষা ও কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টিকারী এবং শ্রমিক শ্রেণির কল্যাণে আইন স্বীকৃত সংগঠনই হলো ট্রেড ইউনিয়ন। যার স্বীকৃতি শ্রম আইন দিয়েছে। শ্রমিকেরা চাইলে বৈধভাবে এই ট্রেড ইউনিয়ন করতে পারবেন। এখানে অন্য কারও এই ইউনিয়ন করার এখতিয়ার নেই। কিন্তু শামীম খান আইডি কার্ড সংগ্রহ করে শ্রমিকদের না জানিয়ে উচ্চো ফ্যাশন লিমিটেড কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন জমা দেন। একই ঘটনা ঘটিয়েছেন গাজীপুরের আহসান কম্পোজিট কারখানায়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড ট্রেড ইউনিয়ন শ্রমিক আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে, যা প্রকৃত ও গঠনমূলক ট্রেড ইউনিয়নের জন্য অশনি সংকেত।
হলুদ ট্রেড ইউনিয়ন সম্পর্কে এই শ্রমিক নেতা জানান, হলুদ ট্রেড ইউনিয়নের জন্য গোপনে একটি কারখানার কমপক্ষে ৯ জন শ্রমিকের আইডি কার্ড সংগ্রহ করেন অসাধু শ্রমিক নেতারা। পরে আইডি কার্ড অনুযায়ী শুধু নাম-পদবি ঠিক রেখে ভুলভাল বাবার নাম, ঠিকানা ও ভুয়া স্বাক্ষর দিয়ে কাগজ প্রস্তুত করে জমা দেন। জমা দেওয়ার পর কারখানায় একটি চিঠি আসে। চিঠি আসা মাত্র কারখানা কর্তৃপক্ষ ট্রেড ইউনিয়ন বন্ধে তোড়জোড় শুরু করে। আর এই কাজে সহযোগিতা করেন খোদ শ্রম অধিদপ্তরের অসাধু কর্মকর্তারা। পরবর্তীতে অসাধু শ্রমিক নেতা সেই কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে ট্রেড ইউনিয়ন না করার শর্তে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেন। এর বিনিময়ে প্রস্তুতকৃত কাগজের এক কপি কারখানা কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়। কাগজপত্রে যাঁদের নাম থাকে তাঁদের কৌশলে ছাঁটাই করে কারখানা কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকে শ্রমিক নেতার হদিস পাওয়া যায় না। একসময় ইউনিয়নটি প্রত্যাখ্যান করে শ্রম অধিদপ্তর।
শ্রম অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ট্রেড ইউনিয়ন প্রত্যাখ্যান হয়েছে ৫৭৯টি। আর শ্রমিক নেতাদের তথ্য অনুযায়ী, ৫৭৯টি প্রত্যাখ্যাত ইউনিয়নের কারণে এ পর্যন্ত চাকরি হারিয়েছেন ৫ হাজার ২১১ জন শ্রমিক। যাঁদের কেউ হয়তো কষ্টে জোগাড় করেছেন চাকরি, কেউবা হয়েছেন রিকশাচালক।
ভুয়া ট্রেড ইউনিয়নের অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শামীম খান বলেন, শ্রমিকেরা যখন কোনো কারখানার ইউনিয়ন করেন, তখন মালিকেরা বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করেন। যাতে ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠিত না হয়। মালিকেরা বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখান। আপনারা দেখেছেন, ইউনিয়ন করার কারণে অনেক শ্রমিক চাকরিচ্যুত হয়েছেন। শ্রমিকদের ভুলভাল বুঝিয়ে চাকরির ভয় দেখিয়ে অনেক মালিকই সফল হন। মালিকেরা ট্রেড ইউনিয়নের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এর সঙ্গে কিছু নামধারী শ্রমিক নেতৃবৃন্দ আছেন, যাঁরা মালিকদের ষড়যন্ত্রে সহযোগিতা করেন। মালিকদের কিছু দালাল রয়েছেন, যাঁরা টাকা খেয়ে শ্রমিকদের ক্ষতি করেন।
২০২৫-২৬ অর্থবছরে পণ্য ও সেবা রপ্তানি থেকে ৬৩.৫ বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। এর মধ্যে পণ্যের রপ্তানি থেকে ৫৫ বিলিয়ন ডলার এবং সেবা খাত থেকে ৮.৫ বিলিয়ন ডলার আয়ের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান।
১২ আগস্ট ২০২৫পাঁচ ধরনের করদাতাকে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা থেকে ছাড় দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। অন্য সব করদাতার জন্য অনলাইনে রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। গতকাল সোমবার এ-সংক্রান্ত বিশেষ আদেশ জারি করা হয়।
১২ আগস্ট ২০২৫বিশ্ববাজারে চালের মূল্য ধারাবাহিকভাবে নেমে এলেও দেশের খুচরা বাজারে দাম কমছে না। এই অবস্থা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেসরকারিভাবে পাঁচ লাখ টন চাল আমদানির জন্য ২৪২টি প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচন করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
১২ আগস্ট ২০২৫আজ দেশের মুদ্রাবাজারে প্রধান মুদ্রাগুলোর মধ্যে ডলারের দাম কিছুটা বেড়েছে। ব্রিটিশ পাউন্ড স্টারলিংয়ের পাশাপাশি দাম কমেছে ইউরোরও। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত বৈদেশিক মুদ্রার দামের চেয়ে কিছুটা বেশি দামে খোলাবাজারে বিক্রি হয়। বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের ওঠানামার সঙ্গে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের খরচ ওঠানামা
১২ আগস্ট ২০২৫