ফারুক মেহেদী
আজকের পত্রিকা: করোনায় পর্যটন খাতের কেমন ক্ষতি হলো?
জাবেদ আহমেদ: অর্থনীতির অন্যান্য খাত, যেগুলো করোনায় আক্রান্ত হয়েছে, সবই মোটামুটি ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। কমবেশি সবাই কিছু না কিছু কার্যক্রম করছে। পড়াশোনাও হচ্ছে অনলাইনে। শুধু পর্যটন খাতটি চরমভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে। বলতে পারেন সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত খাত এখন পর্যটন। পুরো দেড় বছরে এই পর্যটন খাতের ক্ষতি কত হলো–এ প্রশ্নটিও এখন সামনে এসেছে। ওয়ার্ল্ড ট্যুর অ্যান্ড ট্র্যাভেল কাউন্সিল–ডব্লিউটিটিসির হিসাবে আমাদের পর্যটন খাতের সরাসরি ন্যূনতম ক্ষতি হয়েছে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা। টার্নওভার হিসাবে আরও অনেক বেশি। আন্তর্জাতিক পর্যটকের হিসাব করলে এ সময়ে আমাদের দেশে কোনো পর্যটক আসেনি। একদম শূন্য। আর এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে ৯৬ শতাংশ আন্তর্জাতিক পর্যটক কমে গেছে।
আজকের পত্রিকা: পর্যটনের উপখাতগুলোর কী অবস্থা?
জাবেদ আহমেদ: আউটবাউন্ড পর্যটন একেবারে শূন্যের কোটায়। কেউ যায় না কোথাও। হজে প্রচুর লোক বাইরে যেত, সেটা বন্ধ রয়েছে। মেডিকেল ট্যুরিজম বন্ধ। শিক্ষা ট্যুরিজম একবারে ক্ষীণমাত্রায় চালু আছে। ইনবাউন্ড, আউটবাউন্ড পর্যটনের মতো ডোমেস্টিক পর্যটনের অবস্থাও খারাপ। হোটেল, মোটেল, রিসোর্টে কোনো বুকিং নেই, একেবারেই শূন্য। অ্যামিউজমেন্ট পার্কের অবস্থাও শূন্য। ওয়াটার ট্যুরিজম বা ব্যাকওয়াটার ট্যুরিজম বর্ষাকালে পর্যটনের বড় জায়গা। বিশেষ করে টাঙ্গুয়ার হাওর, মিঠামইন, সিলেটের রাতাগুলসহ আরও বিভিন্ন জায়গায় বিপুল পর্যটক ভ্রমণ করে। এটা পুরোপুরি বন্ধ আছে। পর্যটন ঘিরে কক্সবাজার, কুয়াকাটাসহ বিভিন্ন স্থানে যে কুটিরশিল্পের ব্যবসার প্রসার হতো, সেটাও নেই। বলতে পারেন, পর্যটনের প্রায় প্রতিটা উপখাতই এখন নাজুক অবস্থায় আছে।
আজকের পত্রিকা: লকডাউনে কেন পর্যটনই প্রধান লক্ষ্য?
জাবেদ আহমেদ: প্রতিটা খাতই সীমিত বা অল্প পরিসরে হোক, চলছে। যখনই লকডাউনের কথা হয়, যখনই বন্ধের কথা আসে, তখনই প্রথম আঘাত পর্যটন খাতে। মানে ব্যাপারটা এমন যে পর্যটনের সঙ্গে করোনার একটা যোগসূত্র আছে! মানে পর্যটন খাত খুললেই করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে! এটাও যে সীমিত পরিসরে চলতে পারে। এর সঙ্গে যে প্রায় ৪৫ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িয়ে আছে। এ বিষয়গুলো বিবেচনায় নেওয়া হয় বলে আমার মনে হয় না। সীমিত পরিসরে এটাও চলতে পারত।
আজকের পত্রিকা: খাতটি বাঁচাতে করণীয় কী?
জাবেদ আহমেদ: শুধু প্রণোদনা দিয়ে এ খাতকে বাঁচানো যাবে না। একটা কৌশল নিতে হবে। পৃথিবীর বহু দেশ এখন প্রযুক্তির ব্যবহার করে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ডোমেস্টিক ট্যুরিজম চালু করেছে। ধরুন রিসোর্ট। রিসোর্টে মানুষ ভিন্ন ভিন্ন রুমে থাকে। সেখানে পর্যটকের তেমন চাপও থাকে না। অথচ রিসোর্ট আমরা বন্ধ রেখেছি। যদি আমরা রিসোর্টকে বলি তোমরা ক্যাপাসিটির অর্ধেক পর্যটকের বুকিং নাও, তাহলে সমস্যা হবে বলে মনে করি না। এটা খুলে দিলে মানুষের শ্বাস নেওয়ার জায়গা হতে পারে। যেসব বিনোদন পার্ক আছে, সেগুলোতে ৪০ শতাংশ পর্যটকের বেড়ানোর সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। কক্সবাজারে যদি ১ লাখ লোকের ক্যাপাসিটি থাকে, সেখানে যদি ১০ থেকে ১৫ হাজারকে অনুমতি দেওয়া হয়, তাতেও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। এসব কৌশল নিলে শিল্পটিকে বাঁচিয়ে রাখা যাবে।
আজকের পত্রিকা: ট্যুরিজম বোর্ডের পক্ষ থেকে সামনে কী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন?
জাবেদ আহমেদ: কেউ তো এ খাতের দিকে তাকাচ্ছে না। এটি মরে যাচ্ছে। ক্যাপাসিটির চেয়ে অনেক কম পর্যটক দিয়ে কীভাবে শিল্পটিকে টিকিয়ে রাখতে হবে, সেই কৌশল ঠিক করা দরকার। আমরা বিষয়গুলো খাতসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করছি। তারাও মতামত দিচ্ছে। একটা সময় আমাদের ধারণা ছিল সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এখন তো তা হচ্ছে না। তাই উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় কার্যকর কৌশল ঠিক করে খাতটিকে রক্ষা করতে হবে। আমরা একটা এসওপি তৈরি করব। তা সরকারকে জানাব এবং এর ভিত্তিতে সামনে এগোব। এর ফলে খাতটি টিকে যাবে, মানুষের কর্মসংস্থান ফিরবে, আবারও করোনা সংক্রমণও ঠেকানো যাবে। সহসাই আমাদের এসওপি প্রস্তুত করব। বিভিন্ন দেশের উদাহরণগুলোও সামনে নিয়ে আসা হচ্ছে–কারা কীভাবে তাদের পর্যটনকে সুরক্ষা দিচ্ছে তা দেখা হচ্ছে। একটা ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটি থাকলেও তা কার্যকর নয়। এটাকে পুনর্গঠন করা হবে। পর্যটনের সচিবকে প্রধান করে একটি কমিটি করা যায় কি না সেটিও ভাবা হচ্ছে।
আজকের পত্রিকা: করোনায় পর্যটন খাতের কেমন ক্ষতি হলো?
জাবেদ আহমেদ: অর্থনীতির অন্যান্য খাত, যেগুলো করোনায় আক্রান্ত হয়েছে, সবই মোটামুটি ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। কমবেশি সবাই কিছু না কিছু কার্যক্রম করছে। পড়াশোনাও হচ্ছে অনলাইনে। শুধু পর্যটন খাতটি চরমভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে। বলতে পারেন সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত খাত এখন পর্যটন। পুরো দেড় বছরে এই পর্যটন খাতের ক্ষতি কত হলো–এ প্রশ্নটিও এখন সামনে এসেছে। ওয়ার্ল্ড ট্যুর অ্যান্ড ট্র্যাভেল কাউন্সিল–ডব্লিউটিটিসির হিসাবে আমাদের পর্যটন খাতের সরাসরি ন্যূনতম ক্ষতি হয়েছে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা। টার্নওভার হিসাবে আরও অনেক বেশি। আন্তর্জাতিক পর্যটকের হিসাব করলে এ সময়ে আমাদের দেশে কোনো পর্যটক আসেনি। একদম শূন্য। আর এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে ৯৬ শতাংশ আন্তর্জাতিক পর্যটক কমে গেছে।
আজকের পত্রিকা: পর্যটনের উপখাতগুলোর কী অবস্থা?
জাবেদ আহমেদ: আউটবাউন্ড পর্যটন একেবারে শূন্যের কোটায়। কেউ যায় না কোথাও। হজে প্রচুর লোক বাইরে যেত, সেটা বন্ধ রয়েছে। মেডিকেল ট্যুরিজম বন্ধ। শিক্ষা ট্যুরিজম একবারে ক্ষীণমাত্রায় চালু আছে। ইনবাউন্ড, আউটবাউন্ড পর্যটনের মতো ডোমেস্টিক পর্যটনের অবস্থাও খারাপ। হোটেল, মোটেল, রিসোর্টে কোনো বুকিং নেই, একেবারেই শূন্য। অ্যামিউজমেন্ট পার্কের অবস্থাও শূন্য। ওয়াটার ট্যুরিজম বা ব্যাকওয়াটার ট্যুরিজম বর্ষাকালে পর্যটনের বড় জায়গা। বিশেষ করে টাঙ্গুয়ার হাওর, মিঠামইন, সিলেটের রাতাগুলসহ আরও বিভিন্ন জায়গায় বিপুল পর্যটক ভ্রমণ করে। এটা পুরোপুরি বন্ধ আছে। পর্যটন ঘিরে কক্সবাজার, কুয়াকাটাসহ বিভিন্ন স্থানে যে কুটিরশিল্পের ব্যবসার প্রসার হতো, সেটাও নেই। বলতে পারেন, পর্যটনের প্রায় প্রতিটা উপখাতই এখন নাজুক অবস্থায় আছে।
আজকের পত্রিকা: লকডাউনে কেন পর্যটনই প্রধান লক্ষ্য?
জাবেদ আহমেদ: প্রতিটা খাতই সীমিত বা অল্প পরিসরে হোক, চলছে। যখনই লকডাউনের কথা হয়, যখনই বন্ধের কথা আসে, তখনই প্রথম আঘাত পর্যটন খাতে। মানে ব্যাপারটা এমন যে পর্যটনের সঙ্গে করোনার একটা যোগসূত্র আছে! মানে পর্যটন খাত খুললেই করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে! এটাও যে সীমিত পরিসরে চলতে পারে। এর সঙ্গে যে প্রায় ৪৫ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িয়ে আছে। এ বিষয়গুলো বিবেচনায় নেওয়া হয় বলে আমার মনে হয় না। সীমিত পরিসরে এটাও চলতে পারত।
আজকের পত্রিকা: খাতটি বাঁচাতে করণীয় কী?
জাবেদ আহমেদ: শুধু প্রণোদনা দিয়ে এ খাতকে বাঁচানো যাবে না। একটা কৌশল নিতে হবে। পৃথিবীর বহু দেশ এখন প্রযুক্তির ব্যবহার করে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ডোমেস্টিক ট্যুরিজম চালু করেছে। ধরুন রিসোর্ট। রিসোর্টে মানুষ ভিন্ন ভিন্ন রুমে থাকে। সেখানে পর্যটকের তেমন চাপও থাকে না। অথচ রিসোর্ট আমরা বন্ধ রেখেছি। যদি আমরা রিসোর্টকে বলি তোমরা ক্যাপাসিটির অর্ধেক পর্যটকের বুকিং নাও, তাহলে সমস্যা হবে বলে মনে করি না। এটা খুলে দিলে মানুষের শ্বাস নেওয়ার জায়গা হতে পারে। যেসব বিনোদন পার্ক আছে, সেগুলোতে ৪০ শতাংশ পর্যটকের বেড়ানোর সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। কক্সবাজারে যদি ১ লাখ লোকের ক্যাপাসিটি থাকে, সেখানে যদি ১০ থেকে ১৫ হাজারকে অনুমতি দেওয়া হয়, তাতেও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। এসব কৌশল নিলে শিল্পটিকে বাঁচিয়ে রাখা যাবে।
আজকের পত্রিকা: ট্যুরিজম বোর্ডের পক্ষ থেকে সামনে কী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন?
জাবেদ আহমেদ: কেউ তো এ খাতের দিকে তাকাচ্ছে না। এটি মরে যাচ্ছে। ক্যাপাসিটির চেয়ে অনেক কম পর্যটক দিয়ে কীভাবে শিল্পটিকে টিকিয়ে রাখতে হবে, সেই কৌশল ঠিক করা দরকার। আমরা বিষয়গুলো খাতসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করছি। তারাও মতামত দিচ্ছে। একটা সময় আমাদের ধারণা ছিল সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এখন তো তা হচ্ছে না। তাই উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় কার্যকর কৌশল ঠিক করে খাতটিকে রক্ষা করতে হবে। আমরা একটা এসওপি তৈরি করব। তা সরকারকে জানাব এবং এর ভিত্তিতে সামনে এগোব। এর ফলে খাতটি টিকে যাবে, মানুষের কর্মসংস্থান ফিরবে, আবারও করোনা সংক্রমণও ঠেকানো যাবে। সহসাই আমাদের এসওপি প্রস্তুত করব। বিভিন্ন দেশের উদাহরণগুলোও সামনে নিয়ে আসা হচ্ছে–কারা কীভাবে তাদের পর্যটনকে সুরক্ষা দিচ্ছে তা দেখা হচ্ছে। একটা ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটি থাকলেও তা কার্যকর নয়। এটাকে পুনর্গঠন করা হবে। পর্যটনের সচিবকে প্রধান করে একটি কমিটি করা যায় কি না সেটিও ভাবা হচ্ছে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরে পণ্য ও সেবা রপ্তানি থেকে ৬৩.৫ বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। এর মধ্যে পণ্যের রপ্তানি থেকে ৫৫ বিলিয়ন ডলার এবং সেবা খাত থেকে ৮.৫ বিলিয়ন ডলার আয়ের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান।
১২ আগস্ট ২০২৫পাঁচ ধরনের করদাতাকে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা থেকে ছাড় দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। অন্য সব করদাতার জন্য অনলাইনে রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। গতকাল সোমবার এ-সংক্রান্ত বিশেষ আদেশ জারি করা হয়।
১২ আগস্ট ২০২৫বিশ্ববাজারে চালের মূল্য ধারাবাহিকভাবে নেমে এলেও দেশের খুচরা বাজারে দাম কমছে না। এই অবস্থা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেসরকারিভাবে পাঁচ লাখ টন চাল আমদানির জন্য ২৪২টি প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচন করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
১২ আগস্ট ২০২৫আজ দেশের মুদ্রাবাজারে প্রধান মুদ্রাগুলোর মধ্যে ডলারের দাম কিছুটা বেড়েছে। ব্রিটিশ পাউন্ড স্টারলিংয়ের পাশাপাশি দাম কমেছে ইউরোরও। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত বৈদেশিক মুদ্রার দামের চেয়ে কিছুটা বেশি দামে খোলাবাজারে বিক্রি হয়। বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের ওঠানামার সঙ্গে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের খরচ ওঠানামা
১২ আগস্ট ২০২৫