আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা
রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক নানা সমীকরণের কারণে নিষ্প্রাণ পুঁজিবাজার। তবে এর মধ্যেও থেমে নেই কারসাজি। সাম্প্রতিক সময়ে দুই ডজনের বেশি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দর অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। উৎপাদন বন্ধ, লোকসানি ও স্বল্প মূলধনি কোম্পানিও রয়েছে এ তালিকায়। পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, কারসাজির মাধ্যমে শেয়ারের দাম বাড়িয়ে বড় অঙ্কের মুনাফা তুলে নিচ্ছেন একশ্রেণির বিনিয়োগকারী। বিপরীতে বিপাকে রয়েছেন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা।
পুঁজিবাজারে সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির বেঁধে দেওয়া ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকায় লোকসানেও শেয়ার বিক্রি করতে পারছেন না বিনিয়োগকারীরা। বিক্রি করে নতুন করে অন্য শেয়ার কিনতে পারছেন না, যা তাদের কারসাজির শেয়ারে বিনিয়োগে প্রলুব্ধ করছে। এতে কেউ কেউ মুনাফা করলেও বেশির ভাগই লোকসানে পড়েন।
পুঁজিবাজারে কারসাজি ‘চরম’ পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে মনে করেন পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ। তিনি বলেন, বাজার চলছেই তো জুয়াড়িদের মাধ্যমে। তাঁরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কোম্পানি নিয়ে খেলছেন, দাম বাড়িয়ে কামাই করে নিচ্ছেন।
পুঁজিবাজারে কারসাজি চক্রের এমন সক্রিয়তার জন্য ফ্লোর প্রাইসকে দায়ী করে অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, ফ্লোর প্রাইসের কারণে এখন বাজারে ৮০ শতাংশ বিনিয়োগকারী লেনদেন করতে পারছেন না। যত দিন ফ্লোর প্রাইস থাকবে, তত দিন পুঁজিবাজার স্বাভাবিক হবে না।
ফ্লোর প্রাইসের কারণে কারসাজি চক্রের সুবিধা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন না হওয়ার কারণে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বাধ্য হয়ে কারসাজির শেয়ারে বিনিয়োগ করছেন। এতে কেউ মুনাফার দেখা পাচ্ছেন, আবার কেউ লোকসান গুনছেন।
বিনিয়োগকারী কাজী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাজার এখন আইটেমনির্ভর হয়ে গেছে। যিনি আইটেম ধরতে পারছেন, তিনি মুনাফার দেখা পাচ্ছেন। তবে বেশির ভাগের বিনিয়োগই আটকে থাকায় তা সম্ভব হচ্ছে না।
দীর্ঘদিন ধরে উৎপাদন বন্ধ খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজের। কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেশ কিছুদিন অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। মাঝে বিমা খাতের উত্থান শুরু হলে এই কোম্পানির মূল্যবৃদ্ধির ধারা কিছুটা থেমে ছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে দর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে দাপট দেখাচ্ছে বিমা কোম্পানিগুলো। এই খাতের বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ারের দর এরই মধ্যে ৫০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। গত ২৪ আগস্ট ক্রিস্টাল ইনস্যুরেন্সের শেয়ারের দর ছিল ৫৭ টাকা ২০ পয়সা। ১৯ সেপ্টেম্বর শেয়ারের দাম দাঁড়ায় ১১৪ টাকা ৯০ পয়সা। অর্থাৎ এক মাসের মধ্যে শেয়ারের দর বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।
গত ২ এপ্রিল অ্যামারেল্ড অয়েলের শেয়ারের দর ছিল ৩০ টাকা ৮০ পয়সা। সেখান থেকে লাফিয়ে বেড়ে ১৯ সেপ্টেম্বর দাম দাঁড়িয়েছে ১৫৭ টাকা ৩০ পয়সায়। অর্থাৎ দর বেড়েছে পাঁচ গুণ।
গত ১৬ আগস্ট মিরাকেল ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারের দর ছিল ২৮ টাকা ৮০ পয়সা। সেখান থেকে দ্বিগুণ হয়ে ১২ সেপ্টেম্বর দর ওঠে ৫৭ টাকা ৪০ পয়সায়। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে দর কিছুটা কমেছে।
এ ছাড়াও বিমা খাতের এশিয়া, বাংলাদেশ জেনারেল, বাংলাদেশ ন্যাশনাল, জনতা, রিপাবলিক, ইস্টার্ণ ইনস্যুরেন্সসহ কয়েকটি কোম্পানির শেয়ারের দর সাম্প্রতিক সময়ে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। বিমা খাতে দরবৃদ্ধির জোয়ারের আগে মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ, ফু-ওয়াং ফুড, লিগ্যাসি ফুটওয়্যারসহ বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ারের দর অস্বাভাবিক হারে বাড়ে।
রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক নানা সমীকরণের কারণে নিষ্প্রাণ পুঁজিবাজার। তবে এর মধ্যেও থেমে নেই কারসাজি। সাম্প্রতিক সময়ে দুই ডজনের বেশি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দর অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। উৎপাদন বন্ধ, লোকসানি ও স্বল্প মূলধনি কোম্পানিও রয়েছে এ তালিকায়। পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, কারসাজির মাধ্যমে শেয়ারের দাম বাড়িয়ে বড় অঙ্কের মুনাফা তুলে নিচ্ছেন একশ্রেণির বিনিয়োগকারী। বিপরীতে বিপাকে রয়েছেন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা।
পুঁজিবাজারে সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির বেঁধে দেওয়া ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকায় লোকসানেও শেয়ার বিক্রি করতে পারছেন না বিনিয়োগকারীরা। বিক্রি করে নতুন করে অন্য শেয়ার কিনতে পারছেন না, যা তাদের কারসাজির শেয়ারে বিনিয়োগে প্রলুব্ধ করছে। এতে কেউ কেউ মুনাফা করলেও বেশির ভাগই লোকসানে পড়েন।
পুঁজিবাজারে কারসাজি ‘চরম’ পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে মনে করেন পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ। তিনি বলেন, বাজার চলছেই তো জুয়াড়িদের মাধ্যমে। তাঁরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কোম্পানি নিয়ে খেলছেন, দাম বাড়িয়ে কামাই করে নিচ্ছেন।
পুঁজিবাজারে কারসাজি চক্রের এমন সক্রিয়তার জন্য ফ্লোর প্রাইসকে দায়ী করে অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, ফ্লোর প্রাইসের কারণে এখন বাজারে ৮০ শতাংশ বিনিয়োগকারী লেনদেন করতে পারছেন না। যত দিন ফ্লোর প্রাইস থাকবে, তত দিন পুঁজিবাজার স্বাভাবিক হবে না।
ফ্লোর প্রাইসের কারণে কারসাজি চক্রের সুবিধা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন না হওয়ার কারণে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বাধ্য হয়ে কারসাজির শেয়ারে বিনিয়োগ করছেন। এতে কেউ মুনাফার দেখা পাচ্ছেন, আবার কেউ লোকসান গুনছেন।
বিনিয়োগকারী কাজী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাজার এখন আইটেমনির্ভর হয়ে গেছে। যিনি আইটেম ধরতে পারছেন, তিনি মুনাফার দেখা পাচ্ছেন। তবে বেশির ভাগের বিনিয়োগই আটকে থাকায় তা সম্ভব হচ্ছে না।
দীর্ঘদিন ধরে উৎপাদন বন্ধ খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজের। কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেশ কিছুদিন অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। মাঝে বিমা খাতের উত্থান শুরু হলে এই কোম্পানির মূল্যবৃদ্ধির ধারা কিছুটা থেমে ছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে দর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে দাপট দেখাচ্ছে বিমা কোম্পানিগুলো। এই খাতের বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ারের দর এরই মধ্যে ৫০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। গত ২৪ আগস্ট ক্রিস্টাল ইনস্যুরেন্সের শেয়ারের দর ছিল ৫৭ টাকা ২০ পয়সা। ১৯ সেপ্টেম্বর শেয়ারের দাম দাঁড়ায় ১১৪ টাকা ৯০ পয়সা। অর্থাৎ এক মাসের মধ্যে শেয়ারের দর বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।
গত ২ এপ্রিল অ্যামারেল্ড অয়েলের শেয়ারের দর ছিল ৩০ টাকা ৮০ পয়সা। সেখান থেকে লাফিয়ে বেড়ে ১৯ সেপ্টেম্বর দাম দাঁড়িয়েছে ১৫৭ টাকা ৩০ পয়সায়। অর্থাৎ দর বেড়েছে পাঁচ গুণ।
গত ১৬ আগস্ট মিরাকেল ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারের দর ছিল ২৮ টাকা ৮০ পয়সা। সেখান থেকে দ্বিগুণ হয়ে ১২ সেপ্টেম্বর দর ওঠে ৫৭ টাকা ৪০ পয়সায়। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে দর কিছুটা কমেছে।
এ ছাড়াও বিমা খাতের এশিয়া, বাংলাদেশ জেনারেল, বাংলাদেশ ন্যাশনাল, জনতা, রিপাবলিক, ইস্টার্ণ ইনস্যুরেন্সসহ কয়েকটি কোম্পানির শেয়ারের দর সাম্প্রতিক সময়ে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। বিমা খাতে দরবৃদ্ধির জোয়ারের আগে মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ, ফু-ওয়াং ফুড, লিগ্যাসি ফুটওয়্যারসহ বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ারের দর অস্বাভাবিক হারে বাড়ে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরে পণ্য ও সেবা রপ্তানি থেকে ৬৩.৫ বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। এর মধ্যে পণ্যের রপ্তানি থেকে ৫৫ বিলিয়ন ডলার এবং সেবা খাত থেকে ৮.৫ বিলিয়ন ডলার আয়ের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান।
২২ দিন আগেপাঁচ ধরনের করদাতাকে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা থেকে ছাড় দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। অন্য সব করদাতার জন্য অনলাইনে রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। গতকাল সোমবার এ-সংক্রান্ত বিশেষ আদেশ জারি করা হয়।
২২ দিন আগেবিশ্ববাজারে চালের মূল্য ধারাবাহিকভাবে নেমে এলেও দেশের খুচরা বাজারে দাম কমছে না। এই অবস্থা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেসরকারিভাবে পাঁচ লাখ টন চাল আমদানির জন্য ২৪২টি প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচন করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
২২ দিন আগেআজ দেশের মুদ্রাবাজারে প্রধান মুদ্রাগুলোর মধ্যে ডলারের দাম কিছুটা বেড়েছে। ব্রিটিশ পাউন্ড স্টারলিংয়ের পাশাপাশি দাম কমেছে ইউরোরও। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত বৈদেশিক মুদ্রার দামের চেয়ে কিছুটা বেশি দামে খোলাবাজারে বিক্রি হয়। বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের ওঠানামার সঙ্গে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের খরচ ওঠানামা
২২ দিন আগে