জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
দেশের অর্থনীতিতে বৈদেশিক মুদ্রার জোগান দেয় প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স। আর প্রবাসী আয় সংগ্রহে তলানিতে রয়েছে সরকারি ব্যাংকগুলো। তবে বরাবরের মতো এগিয়ে বেসরকারি ব্যাংকগুলো। চলতি বছরের মার্চ প্রান্তিকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর রেমিট্যান্স সংগ্রহ প্রায় ২০ শতাংশ কমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি থেকে মার্চ) সময়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ৫টি ব্যাংক প্রবাসী আয় সংগ্রহ করেছে ৭৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার, যা টাকার অঙ্কে ৮২ হাজার ৭৯২ কোটি টাকারও বেশি (ডলার প্রতি ১০৮ টাকা হিসেবে), যা গত বছর ছিল ৯৫ কোটি ৭০ লাখ ডলার, যা একই সময়ের তুলনায় ১৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ বা ১৯১ মিলিয়ন ডলার কম। আবার জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত প্রথম তিন মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় সংগ্রহ করেছে অগ্রণী ব্যাংক। এ ব্যাংকটি এ সময়ে সর্বমোট ৩৪ কোটি ৩৮ লাখ ডলার সংগ্রহ করে প্রবাসীদের থেকে। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ১ কোটি ৭০ লাখ ডলার কম। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল সোনালী ব্যাংক। এ ব্যাংকটি চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে আয় করে ১৬ কোটি ৯২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ কোটি ৩৫ লাখ ডলার কম। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত জনতা ব্যাংক সংগ্রহ করে ১৫ কোটি ৬৯ লাখ ও রূপালী ব্যাংক আয় করে ৯ কোটি ৫৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলছে, প্রথম প্রান্তিকের রেমিট্যান্স সংগ্রহে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো গেল বছরের শেষ প্রান্তিকের চেয়েও পিছিয়ে আছে। ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর এই তিন মাসে রেমিট্যান্স সংগ্রহ করে ৮২ কোটি ১৭ লাখ ডলার, যা চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের চেয়েও ৬ দশমিক ৭৬ শতাংশ বেশি ছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, একই প্রান্তিকে বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর রেমিট্যান্স সংগ্রহে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। জানুয়ারি থেকে মার্চে বেসরকারি ব্যাংকগুলো ৪৬২ কোটি ৯৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পায়, যা আগের বছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় ১৬ শতাংশ বেশি। ২০২২ সালের প্রথম প্রান্তিকে বেসরকারি ব্যাংকগুলো আয় করেছিল ৩৯৮ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স সংগ্রহ করেছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড। ব্যাংকটি এ সময়ে ১১৩ কোটি ৮৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পায়। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল পূবালী ব্যাংক। এ ব্যাংকটি আয় করে ৩১ কোটি ৬৪ লাখ ডলার। তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে ছিল আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংক ও সিটি ব্যাংক। এ ব্যাংক দুটি আয় করে যথাক্রমে ২৮ কোটি ৮৭ লাখ ও ২৮ কোটি ১৬ লাখ ডলার।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘কম রেমিট্যান্সের কারণ মাল্টিপল এক্সচেঞ্জ রেট। একাধিক রেট থাকার কারণে সামগ্রিকভাবেই রেমিট্যান্স কম আসছে। এ ছাড়া বেসরকারি ব্যাংকগুলো রেমিট্যান্সের বিপরীতে আরও বেশ কিছু সুবিধা দিচ্ছে, তাই বেশির ভাগ গ্রাহক বেসরকারি ব্যাংকে লেনদেন করছে।’
বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, খোলা বাজার ও ব্যাংকের মধ্যে বিনিময় হার যদি সাড়ে ৩ শতাংশের হয় তবে এক শতাংশ রেমিট্যান্স কমে যায়।
দেশের অর্থনীতিতে বৈদেশিক মুদ্রার জোগান দেয় প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স। আর প্রবাসী আয় সংগ্রহে তলানিতে রয়েছে সরকারি ব্যাংকগুলো। তবে বরাবরের মতো এগিয়ে বেসরকারি ব্যাংকগুলো। চলতি বছরের মার্চ প্রান্তিকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর রেমিট্যান্স সংগ্রহ প্রায় ২০ শতাংশ কমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি থেকে মার্চ) সময়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ৫টি ব্যাংক প্রবাসী আয় সংগ্রহ করেছে ৭৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার, যা টাকার অঙ্কে ৮২ হাজার ৭৯২ কোটি টাকারও বেশি (ডলার প্রতি ১০৮ টাকা হিসেবে), যা গত বছর ছিল ৯৫ কোটি ৭০ লাখ ডলার, যা একই সময়ের তুলনায় ১৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ বা ১৯১ মিলিয়ন ডলার কম। আবার জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত প্রথম তিন মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় সংগ্রহ করেছে অগ্রণী ব্যাংক। এ ব্যাংকটি এ সময়ে সর্বমোট ৩৪ কোটি ৩৮ লাখ ডলার সংগ্রহ করে প্রবাসীদের থেকে। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ১ কোটি ৭০ লাখ ডলার কম। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল সোনালী ব্যাংক। এ ব্যাংকটি চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে আয় করে ১৬ কোটি ৯২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ কোটি ৩৫ লাখ ডলার কম। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত জনতা ব্যাংক সংগ্রহ করে ১৫ কোটি ৬৯ লাখ ও রূপালী ব্যাংক আয় করে ৯ কোটি ৫৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলছে, প্রথম প্রান্তিকের রেমিট্যান্স সংগ্রহে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো গেল বছরের শেষ প্রান্তিকের চেয়েও পিছিয়ে আছে। ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর এই তিন মাসে রেমিট্যান্স সংগ্রহ করে ৮২ কোটি ১৭ লাখ ডলার, যা চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের চেয়েও ৬ দশমিক ৭৬ শতাংশ বেশি ছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, একই প্রান্তিকে বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর রেমিট্যান্স সংগ্রহে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। জানুয়ারি থেকে মার্চে বেসরকারি ব্যাংকগুলো ৪৬২ কোটি ৯৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পায়, যা আগের বছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় ১৬ শতাংশ বেশি। ২০২২ সালের প্রথম প্রান্তিকে বেসরকারি ব্যাংকগুলো আয় করেছিল ৩৯৮ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স সংগ্রহ করেছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড। ব্যাংকটি এ সময়ে ১১৩ কোটি ৮৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পায়। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল পূবালী ব্যাংক। এ ব্যাংকটি আয় করে ৩১ কোটি ৬৪ লাখ ডলার। তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে ছিল আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংক ও সিটি ব্যাংক। এ ব্যাংক দুটি আয় করে যথাক্রমে ২৮ কোটি ৮৭ লাখ ও ২৮ কোটি ১৬ লাখ ডলার।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘কম রেমিট্যান্সের কারণ মাল্টিপল এক্সচেঞ্জ রেট। একাধিক রেট থাকার কারণে সামগ্রিকভাবেই রেমিট্যান্স কম আসছে। এ ছাড়া বেসরকারি ব্যাংকগুলো রেমিট্যান্সের বিপরীতে আরও বেশ কিছু সুবিধা দিচ্ছে, তাই বেশির ভাগ গ্রাহক বেসরকারি ব্যাংকে লেনদেন করছে।’
বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, খোলা বাজার ও ব্যাংকের মধ্যে বিনিময় হার যদি সাড়ে ৩ শতাংশের হয় তবে এক শতাংশ রেমিট্যান্স কমে যায়।
২০২৫-২৬ অর্থবছরে পণ্য ও সেবা রপ্তানি থেকে ৬৩.৫ বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। এর মধ্যে পণ্যের রপ্তানি থেকে ৫৫ বিলিয়ন ডলার এবং সেবা খাত থেকে ৮.৫ বিলিয়ন ডলার আয়ের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান।
১২ আগস্ট ২০২৫পাঁচ ধরনের করদাতাকে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা থেকে ছাড় দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। অন্য সব করদাতার জন্য অনলাইনে রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। গতকাল সোমবার এ-সংক্রান্ত বিশেষ আদেশ জারি করা হয়।
১২ আগস্ট ২০২৫বিশ্ববাজারে চালের মূল্য ধারাবাহিকভাবে নেমে এলেও দেশের খুচরা বাজারে দাম কমছে না। এই অবস্থা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেসরকারিভাবে পাঁচ লাখ টন চাল আমদানির জন্য ২৪২টি প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচন করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
১২ আগস্ট ২০২৫আজ দেশের মুদ্রাবাজারে প্রধান মুদ্রাগুলোর মধ্যে ডলারের দাম কিছুটা বেড়েছে। ব্রিটিশ পাউন্ড স্টারলিংয়ের পাশাপাশি দাম কমেছে ইউরোরও। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত বৈদেশিক মুদ্রার দামের চেয়ে কিছুটা বেশি দামে খোলাবাজারে বিক্রি হয়। বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের ওঠানামার সঙ্গে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের খরচ ওঠানামা
১২ আগস্ট ২০২৫