Ajker Patrika

বিএইচবিএফসির ঋণে মিথ্যা তথ্য দিলে ৫ বছরের জেল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৮ নভেম্বর ২০২১, ১৯: ০৯
বিএইচবিএফসির ঋণে মিথ্যা তথ্য দিলে ৫ বছরের জেল

মিথ্যা তথ্য দিয়ে বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স করপোরেশন (বিএইচবিএফসি) থেকে ঋণ নিলে ৫ বছরের জেল ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। এই বিধান রেখে ‘বিএইচবিএফসি সংশোধনী বিল-২০২১’ জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। 

এর আগে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও বিএনপির সংসদ সদস্যদের বিলটির জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। 

জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব ওঠানোর সময় জাপার শামীম হায়দার পাটোয়ারী প্রথমবার ফ্ল্যাট নির্মাণকারীদের জন্য স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়ার দাবি করেন। তিনি বলেন, যেসব কর্মকর্তা মিথ্যা তথ্য দেখেও ঋণ দেন, তাদেরও শাস্তির বিধান রাখতে হবে। এ ছাড়া শহর এলাকার সঙ্গে গ্রামেও গৃহঋণ দিতে হবে। 

জাপার আরেক সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান বলেন, সরকারি কর্মকর্তারা পাঁচ শতাংশ সুদে ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত গৃহঋণ পান। এই সুযোগ সবার জন্য উন্মুক্ত করা হোক। 

গত জুন মাসে বিলটি সংসদে তোলেন অর্থমন্ত্রী। এরপর সেটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। 

বর্তমান আইনে বলা আছে, করপোরেশনের কাছ থেকে কেউ যদি ঋণ গ্রহণে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা বিবরণী দেন বা জেনে শুনে মিথ্যা বিবরণী ব্যবহার করেন বা করপোরেশনে যে কোনো ধরনের জামানত গ্রহণে প্রবৃত্ত করেন, তাহলে দুই বছর কারাদণ্ড বা দুই হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। বিলে সেটাকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর কারাদণ্ড এবং পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হয়েছে। 

লিখিত সম্মতি ছাড়া প্রসপেক্টাসে বা বিজ্ঞাপনে বিএইচবিএফসির নাম ব্যবহারের সাজা হিসেবে আগে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা ছিল। এতে জরিমানা বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। 

বিদ্যমান আইনে অনুমোদিত মূলধন ১১০ কোটি আর পরিশোধিত মূলধন ছিল ১১০ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত আইনে এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধন আর ৫০০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের বিধান রাখা হয়েছে। 

বিলে বলা হয়, পরিচালকের মেয়াদ সরকারের সন্তুষ্টিক্রমে দুই মেয়াদের অনূর্ধ্ব তিন বছর পর্যন্ত বহাল থাকবে। এ ছাড়া করপোরেশন সরকারের কাছ থেকে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ নিতে পারবে। 

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘করপোরেশনের কার্যপরিধি বিস্তৃতির সঙ্গে সঙ্গে অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ বৃদ্ধি, পরিচালনা পর্ষদের গঠন সুনির্দিষ্টকরণ, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ, তহবিল সংগ্রহের লক্ষ্যে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন করা হবে। এ ছাড়া ঋণ গ্রহণ, অপরাধের শাস্তির পরিমাণ বৃদ্ধি, অপরাধের আমলযোগ্যতা, জামিন যোগ্যতা, ফৌজদারি কার্যবিধির প্রয়োগ ও অর্থদণ্ড আরোপের ক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেটের বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগের বিধান সংযোজন করা হয়েছে। অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংগতি রেখে বিদ্যমান আইন সংশোধনের লক্ষ্যে বিলটি আনা হয়েছে।’ 

বিষয়:

ঢাকাসংসদ
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত