সাদ্দাম হোসেন
ঠাকুরগাঁও (রংপুর): ‘কখনো ভাগ্যে জুটলে খেতে পারি, আবার কখনো স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে শুধু পানি খেয়ে দিন পার করি। বড় আশা করে স্যারের (ডিসি) কাছে সাহায্যের আবেদন নিয়ে এসেছিলাম। ভাবছি স্যার আমার কষ্টের কথা বুঝবেন। কিন্তু স্যারকে লেখা আমার আবেদনপত্রটি গ্রহণ করেননি স্যারের অফিস সহকারী। এখন কী করব? কার কাছে যাব বুঝতে পারছি না। সন্তান ও স্ত্রী আমার অপেক্ষায় আছে, হয়তো তারা ভাবছে ডিসি স্যার একটা ব্যবস্থা করে দেবেন। এখন কাউকে বলতেও পারছি না, আবার সইতেও পারছি না।’
এক শ্বাসে কথাগুলো বলে অঝোরে কাঁদতে থাকেন ঠাকুরগাঁও শহরের একটি বেসরকারি কিন্ডারগার্টেনের সহকারী শিক্ষক মোতাহার হোসেন। ঠাকুরগাঁওয়ের নবাগত জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমানের কাছে সাহায্যের আবেদন নিয়ে গেলে অফিস সহকারী আবেদন না রেখে তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি এ কথাগুলো বলেন।
মোতাহার হোসেন বলেন, 'দুই বছর ধরে বেতন পাই না। সুদে টাকা নিয়ে সংসার চালিয়েছি; দিনে দিনে সুদ বেড়েছে দ্বিগুণ। এখন দাদন ব্যবসায়ী টাকা পরিশোধের জন্য চাপ দিচ্ছে। চক্ষুলজ্জায় কারও কাছে চাইতে পারি না। মানসম্মানের জন্য দিনমজুরি করতে পারছি না। অন্য দিকে ডায়াবেটিসসহ নানা রোগে ভুগছি। এ অবস্থায় চিকিৎসা ও আর্থিক সহায়তা চেয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদনও লিখেছি। গত সোমবার সেই আবেদনটি জেলা প্রশাসকের অফিস সহকারীকে দিতে গেলে তিনি তা গ্রহণ না করে আমাকে ফিরিয়ে দেন।'
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসকের অফিস সহকারী মো. মামুন বলেন, করোনাকালের এ সময়ে আর্থিক সহযোগিতা বন্ধ আছে। যদি সহযোগিতা দিতে না পারি, আবেদনটা নিয়ে আমি কী করব? আবেদনটা স্যারকে (ডিসি) দিলে তিনি বলবেন এ ফান্ডে আপাতত কোনো কিছু (অর্থ) আসতেছে না। তা ছাড়া আবেদনটা দিয়ে গেলে উনিও (শিক্ষক) অনুদানের আশায় থাকবেন। যেহেতু আপাতত কোনো ফান্ড নেই, তাই ওনার আবেদন নেওয়া হয়নি। এ আবেদনগুলো সমাজসেবায় জমা দিই, গত বছর যেসব আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে, সেগুলো এখন পর্যন্ত বরাদ্দ পায়নি।’
শিক্ষক মোতাহার হোসেনের সাহায্যের আবেদন গ্রহণ না করার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, এ বিষয়টি সম্পর্কে আমার জানা নেই। তবে এ রকম কিছু হয়ে থাকলে সেটি ভালো কাজ হয়নি। অফিস সহকারী যে দরখাস্তটি ফিরিয়ে দিয়েছে, এটি মোটেও কাম্য নয়। কারণ জেলা প্রশাসকের কাছে সব শ্রেণি-পেশার মানুষজন আসবেন। তাঁদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। তাঁদের কতটুকু সহযোগিতা করতে পারব তা পরের বিষয়, কিন্তু তাঁদের আবেদন ফিরিয়ে দেওয়াটা অনুচিত হয়েছে। পরবর্তী সময়ে আর কোনো ধরনের আবেদন যেন না ফিরিয়ে দেওয়া হয়, এ বিষয়ে অফিস সহকারীকে জানিয়ে দেওয়া হবে।' ওই শিক্ষকের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে তাঁকে সহযোগিতা করা হবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন।
এদিকে জেলা কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এ জেলায় কিন্ডারগার্টেনের সংখ্যা প্রায় দুই শর বেশি। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ২ হাজারের মতো। এই শিক্ষকদের পরিবারে চলছে নীরব দুর্ভিক্ষ। তাঁদের সহায়তায় কেউ এগিয়ে না আসায় পরিবার–পরিজন নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন তাঁরা। এসব বিষয় নিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর দুইবার স্মারকলিপি দিয়েছি। একাধিকবার মানববন্ধন করেছি। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। সদ্য বিদায়ী জেলা প্রশাসকের কাছে কিছুদিন আগে আবারও সম্মানজনক প্রণোদনার দাবি নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু স্যারের কাছ থেকে কিছু পাইনি। একপর্যায়ে স্যার (ডিসি) বললেন, “আমাদের রিলিফ দেওয়া যেতে পারে।” কিন্তু ২০০-৫০০ টাকা রিলিফ নিয়ে কী হবে? আমরা রিলিফ নিতে রাজি না হলে ডিসি স্যার বললেন, “আমার পক্ষে এর চেয়ে বেশি সহযোগিতা করা সম্ভব নয়।” পরে আমরা সেখান থেকে চলে আসি।’
এ প্রসঙ্গে নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘করোনার কারণে কর্মহীন যাঁরাই রয়েছেন; সেটা শিক্ষক, কর্মচারী বা অন্য যেকোনো পেশাজীবীর মানুষই হোক, তাঁদের একটি নির্দিষ্ট প্যাকেজের আওতায় নিয়ে আসতে কাজ করা হচ্ছে। কর্মহীন মানুষদের এই প্যাকেজে আওতাভুক্ত করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌরসভাকে বলা হয়েছে। আর যতটুকু সম্ভব কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষকদের প্রাথমিকভাবে কিছু প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হবে এবং উপজেলায় যেসব শিক্ষক আছেন, তাঁদের প্রণোদনা ইউএনওদের মাধ্যমে দেওয়া হবে।’
ঠাকুরগাঁও (রংপুর): ‘কখনো ভাগ্যে জুটলে খেতে পারি, আবার কখনো স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে শুধু পানি খেয়ে দিন পার করি। বড় আশা করে স্যারের (ডিসি) কাছে সাহায্যের আবেদন নিয়ে এসেছিলাম। ভাবছি স্যার আমার কষ্টের কথা বুঝবেন। কিন্তু স্যারকে লেখা আমার আবেদনপত্রটি গ্রহণ করেননি স্যারের অফিস সহকারী। এখন কী করব? কার কাছে যাব বুঝতে পারছি না। সন্তান ও স্ত্রী আমার অপেক্ষায় আছে, হয়তো তারা ভাবছে ডিসি স্যার একটা ব্যবস্থা করে দেবেন। এখন কাউকে বলতেও পারছি না, আবার সইতেও পারছি না।’
এক শ্বাসে কথাগুলো বলে অঝোরে কাঁদতে থাকেন ঠাকুরগাঁও শহরের একটি বেসরকারি কিন্ডারগার্টেনের সহকারী শিক্ষক মোতাহার হোসেন। ঠাকুরগাঁওয়ের নবাগত জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমানের কাছে সাহায্যের আবেদন নিয়ে গেলে অফিস সহকারী আবেদন না রেখে তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি এ কথাগুলো বলেন।
মোতাহার হোসেন বলেন, 'দুই বছর ধরে বেতন পাই না। সুদে টাকা নিয়ে সংসার চালিয়েছি; দিনে দিনে সুদ বেড়েছে দ্বিগুণ। এখন দাদন ব্যবসায়ী টাকা পরিশোধের জন্য চাপ দিচ্ছে। চক্ষুলজ্জায় কারও কাছে চাইতে পারি না। মানসম্মানের জন্য দিনমজুরি করতে পারছি না। অন্য দিকে ডায়াবেটিসসহ নানা রোগে ভুগছি। এ অবস্থায় চিকিৎসা ও আর্থিক সহায়তা চেয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদনও লিখেছি। গত সোমবার সেই আবেদনটি জেলা প্রশাসকের অফিস সহকারীকে দিতে গেলে তিনি তা গ্রহণ না করে আমাকে ফিরিয়ে দেন।'
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসকের অফিস সহকারী মো. মামুন বলেন, করোনাকালের এ সময়ে আর্থিক সহযোগিতা বন্ধ আছে। যদি সহযোগিতা দিতে না পারি, আবেদনটা নিয়ে আমি কী করব? আবেদনটা স্যারকে (ডিসি) দিলে তিনি বলবেন এ ফান্ডে আপাতত কোনো কিছু (অর্থ) আসতেছে না। তা ছাড়া আবেদনটা দিয়ে গেলে উনিও (শিক্ষক) অনুদানের আশায় থাকবেন। যেহেতু আপাতত কোনো ফান্ড নেই, তাই ওনার আবেদন নেওয়া হয়নি। এ আবেদনগুলো সমাজসেবায় জমা দিই, গত বছর যেসব আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে, সেগুলো এখন পর্যন্ত বরাদ্দ পায়নি।’
শিক্ষক মোতাহার হোসেনের সাহায্যের আবেদন গ্রহণ না করার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, এ বিষয়টি সম্পর্কে আমার জানা নেই। তবে এ রকম কিছু হয়ে থাকলে সেটি ভালো কাজ হয়নি। অফিস সহকারী যে দরখাস্তটি ফিরিয়ে দিয়েছে, এটি মোটেও কাম্য নয়। কারণ জেলা প্রশাসকের কাছে সব শ্রেণি-পেশার মানুষজন আসবেন। তাঁদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। তাঁদের কতটুকু সহযোগিতা করতে পারব তা পরের বিষয়, কিন্তু তাঁদের আবেদন ফিরিয়ে দেওয়াটা অনুচিত হয়েছে। পরবর্তী সময়ে আর কোনো ধরনের আবেদন যেন না ফিরিয়ে দেওয়া হয়, এ বিষয়ে অফিস সহকারীকে জানিয়ে দেওয়া হবে।' ওই শিক্ষকের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে তাঁকে সহযোগিতা করা হবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন।
এদিকে জেলা কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এ জেলায় কিন্ডারগার্টেনের সংখ্যা প্রায় দুই শর বেশি। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ২ হাজারের মতো। এই শিক্ষকদের পরিবারে চলছে নীরব দুর্ভিক্ষ। তাঁদের সহায়তায় কেউ এগিয়ে না আসায় পরিবার–পরিজন নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন তাঁরা। এসব বিষয় নিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর দুইবার স্মারকলিপি দিয়েছি। একাধিকবার মানববন্ধন করেছি। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। সদ্য বিদায়ী জেলা প্রশাসকের কাছে কিছুদিন আগে আবারও সম্মানজনক প্রণোদনার দাবি নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু স্যারের কাছ থেকে কিছু পাইনি। একপর্যায়ে স্যার (ডিসি) বললেন, “আমাদের রিলিফ দেওয়া যেতে পারে।” কিন্তু ২০০-৫০০ টাকা রিলিফ নিয়ে কী হবে? আমরা রিলিফ নিতে রাজি না হলে ডিসি স্যার বললেন, “আমার পক্ষে এর চেয়ে বেশি সহযোগিতা করা সম্ভব নয়।” পরে আমরা সেখান থেকে চলে আসি।’
এ প্রসঙ্গে নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘করোনার কারণে কর্মহীন যাঁরাই রয়েছেন; সেটা শিক্ষক, কর্মচারী বা অন্য যেকোনো পেশাজীবীর মানুষই হোক, তাঁদের একটি নির্দিষ্ট প্যাকেজের আওতায় নিয়ে আসতে কাজ করা হচ্ছে। কর্মহীন মানুষদের এই প্যাকেজে আওতাভুক্ত করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌরসভাকে বলা হয়েছে। আর যতটুকু সম্ভব কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষকদের প্রাথমিকভাবে কিছু প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হবে এবং উপজেলায় যেসব শিক্ষক আছেন, তাঁদের প্রণোদনা ইউএনওদের মাধ্যমে দেওয়া হবে।’
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
১২ আগস্ট ২০২৫লক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
১২ আগস্ট ২০২৫দুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
১২ আগস্ট ২০২৫চট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫