নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
ঢাকায় ১০ ডিসেম্বরের বিএনপির সমাবেশ সামনে রেখে এখনও পরিবহন ধর্মঘট ডাকা না হলেও তিন দিন আগেই সিলেট থেকে বাসে রাজধানীতে আসতে যাত্রীরা পদে পদে বাধার মুখে পড়ছেন বলে অভিযোগ করছেন যাত্রীরা।
দুদিন ধরে সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের বিভিন্ন কাউন্টারে টিকেট করতে গিয়ে যাত্রীদের জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে। এছাড়া পথেও নানা বাধা আসছে। গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে এমনটি ঘটছে বিএনপির অভিযোগ।
তাঁরা বলছেন, ঢাকাগামী বিভিন্ন বাসের যাত্রীরা সিলেটের কাউন্টারগুলোতে গেলে ঢাকার টিকিট কিনতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে গাড়ি থামিয়ে–ঢাকার কোথায় যাচ্ছেন, কেন যাচ্ছেন, এমন প্রশ্নও করা হচ্ছে যাত্রীদের।
আজ বুধবার বিকেল পর্যন্ত সিলেট-ঢাকা বাস চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাতে অথবা বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সিলেটে বন্ধ হয়ে যেতে পারে ঢাকাগামী বাস চলাচল।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে নগরের লামাবাজার এলাকার একজন বাসিন্দা আজকের পত্রিকাকে জানান, ৮ ডিসেম্বর ঢাকায় তার জরুরি কাজ। বুধবার যেতে চেয়েছিলেন ঢাকায়। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে বাসের টিকিট কিনতে গেলে হানিফ কাউন্টারে তাকে প্রথমে নিরুৎসাহিত করা হয়। পরে তিনি মামুন পরিবহনের কাউন্টার থেকে বুধবারের টিকিট ক্রয় করলেও সেখানের ম্যানেজার তাকে ঢাকায় যাওয়া নিয়ে নানা প্রশ্ন করেন।
গ্রীন লাইন পরিবহনের হুমায়ুন রশিদ চত্বর শাখার এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগামী দু-এক দিন ঢাকার বাস চলাচল করবে কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। তাই যাত্রীদের টিকিট নিতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।’
বুধবার বিকেলে সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ঘুরে কয়েকজন পরিবহন শ্রমিক ও নেতার সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার এ প্রতিনিধির। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাঁরা জানান, বুধবার পর্যন্ত ঢাকাগামী বাসগুলো চলাচল করছে। তবে বুধবার রাত কিংবা বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকাগামী বাস চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আসার আশঙ্কা রয়েছে।
সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মইনুল ইসলাম বুধবার সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মঙ্গলবার থেকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে বাস থামিয়ে যাত্রীদের ঢাকার কোথায় যাচ্ছেন, কেন যাচ্ছেন, এমন প্রশ্ন করছে পুলিশ।
‘আমাদের বাস কাউন্টারগুলোতে ঢাকাগামী যাত্রীদের বাধা দেওয়া হচ্ছে- এমন কোনো খবর পাইনি।’
এক প্রশ্নের জবাবে মইনুল ইসলাম বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ঢাকাগামী বাস চলাচলে কোনো বাধা-বিপত্তি আসেনি। তবে নিষেধাজ্ঞা আসার আশঙ্কাই বেশি।’
এবিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী বুধবার সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিলেটের বাস কাউন্টারগুলোতে নিরুৎসাহিত করা ও পথে পথে বাধার বিষয়ে আমাদের বেশ কিছু নেতা কর্মীর কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। এ ক্ষেত্রে আমাদের বক্তব্য হচ্ছে—আওয়ামী লীগ সরকার এসব বাধা-বিপত্তির মাধ্যমে তাদের পতনকে আরও ত্বরান্বিত করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে, ব্যক্তিগতভাবেই কয়েক হাজার নেতা কর্মী ঢাকায় পৌঁছাবেন। ৯ ডিসেম্বর বলা যাবে, সিলেট থেকে কত হাজার নেতা কর্মী ঢাকায় গেছেন।’
ঢাকার গণসমাবেশ ঘিরে পরিবহন ধর্মঘটের কোনো সম্ভাবনা সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সিলেট বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক শাহ জিয়াউল কবীর পলাশ।
আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বাস ধর্মঘট বা চলাচল বন্ধ করার কেন নির্দেশনা আমরা পাইনি।’
আগামী ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশ করতে চায় বিএনপি। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে সমাবেশের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে জায়গা দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ দেখিয়ে বিএনপি নয়াপল্টনে সমাবেশের বিষয়ে অনড় রয়েছে।
এর মধ্যে আজ বুধবার সকাল থেকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেওয়া শুরু করেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। বেলা আড়াইটার দিকে পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দিতে গেলে সংঘর্ষ বাঁধে। ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল ছোড়ার ঘটনা ঘটে। এঘটনায় সর্বশেষ একজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকে। ঘটনার পর বিএনপির বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতাসহ দেড়শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আরো পড়ুন:
ঢাকায় ১০ ডিসেম্বরের বিএনপির সমাবেশ সামনে রেখে এখনও পরিবহন ধর্মঘট ডাকা না হলেও তিন দিন আগেই সিলেট থেকে বাসে রাজধানীতে আসতে যাত্রীরা পদে পদে বাধার মুখে পড়ছেন বলে অভিযোগ করছেন যাত্রীরা।
দুদিন ধরে সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের বিভিন্ন কাউন্টারে টিকেট করতে গিয়ে যাত্রীদের জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে। এছাড়া পথেও নানা বাধা আসছে। গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে এমনটি ঘটছে বিএনপির অভিযোগ।
তাঁরা বলছেন, ঢাকাগামী বিভিন্ন বাসের যাত্রীরা সিলেটের কাউন্টারগুলোতে গেলে ঢাকার টিকিট কিনতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে গাড়ি থামিয়ে–ঢাকার কোথায় যাচ্ছেন, কেন যাচ্ছেন, এমন প্রশ্নও করা হচ্ছে যাত্রীদের।
আজ বুধবার বিকেল পর্যন্ত সিলেট-ঢাকা বাস চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাতে অথবা বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সিলেটে বন্ধ হয়ে যেতে পারে ঢাকাগামী বাস চলাচল।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে নগরের লামাবাজার এলাকার একজন বাসিন্দা আজকের পত্রিকাকে জানান, ৮ ডিসেম্বর ঢাকায় তার জরুরি কাজ। বুধবার যেতে চেয়েছিলেন ঢাকায়। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে বাসের টিকিট কিনতে গেলে হানিফ কাউন্টারে তাকে প্রথমে নিরুৎসাহিত করা হয়। পরে তিনি মামুন পরিবহনের কাউন্টার থেকে বুধবারের টিকিট ক্রয় করলেও সেখানের ম্যানেজার তাকে ঢাকায় যাওয়া নিয়ে নানা প্রশ্ন করেন।
গ্রীন লাইন পরিবহনের হুমায়ুন রশিদ চত্বর শাখার এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগামী দু-এক দিন ঢাকার বাস চলাচল করবে কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। তাই যাত্রীদের টিকিট নিতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।’
বুধবার বিকেলে সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ঘুরে কয়েকজন পরিবহন শ্রমিক ও নেতার সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার এ প্রতিনিধির। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাঁরা জানান, বুধবার পর্যন্ত ঢাকাগামী বাসগুলো চলাচল করছে। তবে বুধবার রাত কিংবা বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকাগামী বাস চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আসার আশঙ্কা রয়েছে।
সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মইনুল ইসলাম বুধবার সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মঙ্গলবার থেকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে বাস থামিয়ে যাত্রীদের ঢাকার কোথায় যাচ্ছেন, কেন যাচ্ছেন, এমন প্রশ্ন করছে পুলিশ।
‘আমাদের বাস কাউন্টারগুলোতে ঢাকাগামী যাত্রীদের বাধা দেওয়া হচ্ছে- এমন কোনো খবর পাইনি।’
এক প্রশ্নের জবাবে মইনুল ইসলাম বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ঢাকাগামী বাস চলাচলে কোনো বাধা-বিপত্তি আসেনি। তবে নিষেধাজ্ঞা আসার আশঙ্কাই বেশি।’
এবিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী বুধবার সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিলেটের বাস কাউন্টারগুলোতে নিরুৎসাহিত করা ও পথে পথে বাধার বিষয়ে আমাদের বেশ কিছু নেতা কর্মীর কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। এ ক্ষেত্রে আমাদের বক্তব্য হচ্ছে—আওয়ামী লীগ সরকার এসব বাধা-বিপত্তির মাধ্যমে তাদের পতনকে আরও ত্বরান্বিত করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে, ব্যক্তিগতভাবেই কয়েক হাজার নেতা কর্মী ঢাকায় পৌঁছাবেন। ৯ ডিসেম্বর বলা যাবে, সিলেট থেকে কত হাজার নেতা কর্মী ঢাকায় গেছেন।’
ঢাকার গণসমাবেশ ঘিরে পরিবহন ধর্মঘটের কোনো সম্ভাবনা সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সিলেট বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক শাহ জিয়াউল কবীর পলাশ।
আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বাস ধর্মঘট বা চলাচল বন্ধ করার কেন নির্দেশনা আমরা পাইনি।’
আগামী ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশ করতে চায় বিএনপি। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে সমাবেশের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে জায়গা দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ দেখিয়ে বিএনপি নয়াপল্টনে সমাবেশের বিষয়ে অনড় রয়েছে।
এর মধ্যে আজ বুধবার সকাল থেকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেওয়া শুরু করেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। বেলা আড়াইটার দিকে পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দিতে গেলে সংঘর্ষ বাঁধে। ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল ছোড়ার ঘটনা ঘটে। এঘটনায় সর্বশেষ একজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকে। ঘটনার পর বিএনপির বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতাসহ দেড়শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আরো পড়ুন:
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
১২ আগস্ট ২০২৫লক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
১২ আগস্ট ২০২৫দুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
১২ আগস্ট ২০২৫চট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫