লবীব আহমদ, সিলেট
৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকায় নির্মিত চারটি পদচারী-সেতু মানুষের কাজে আসছে না। নির্মাণের পর থেকেই এসব সেতুতে আগ্রহ নেই নগরবাসীর। বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের প্রচারকাজের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে এসব পদচারী-সেতু। এ দিকে অব্যবহৃত সেতুগুলো অপরাধীদের নানা অপকর্মের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। নগরবিদরা বলছেন, পরিকল্পনা ছাড়া তৈরি করার কারণে এগুলো কাজে আসছে না। তবে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) বলছে, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই এগুলো নির্মিত হয়েছে।
এ দিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, সিলেট নগরের সড়কগুলো সরু হওয়ায় এবং রাস্তা পারাপার সহজ থাকায় পদচারী-সেতুর কোনো প্রয়োজন নেই। অর্থ লুটপাটের জন্য অপ্রয়োজনীয় ও অপরিকল্পিত এসব প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। সেতুগুলো নগরবাসীর কোনো উপকারে আসছে না।
সিসিক সূত্রে জানা গেছে, ৯ কোটি ৬০ লাখ ২৮ হাজার ৫৮৯ টাকা ব্যয়ে চারটি পদচারী-সেতু নির্মাণ করা হয়। এর মধ্যে ২০১৬ সালে ১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ব্যয়ে সিলেট নগরের বন্দরবাজার এলাকার কোর্ট পয়েন্টে নির্মাণ করা হয় সিলেটের প্রথম পদচারী-সেতু। এরপর প্রায় ৯ বছর পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে সেতুটি। বর্তমানে সেখানে বসবাস করছে নানা অপকর্মে জড়িত শিশু-কিশোর ও ছিনতাইকারীরা।
২০২১ সালে ২ কোটি ৪ লাখ ৬২ হাজার ৩৮৮ টাকা ব্যয়ে সিলেটের টিলাগড়ে নির্মাণ করা হয় আরেকটি পদচারী-সেতু। সেই সেতুর নিচের রাস্তা ছোট হওয়ায় সহজে পারাপার হওয়া যায় বিধায় এই সেতুও কাজে আসছে না। পরে ২০২২ সালে সিলেটের কদমতলীর হুমায়ূন রশীদ চত্বরের পাশে ২ কোটি ৭৫ লাখ ৩১ হাজার ৭৪ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় আরেকটি সেতু। এটি কোনো কাজে না এলেও পরের বছর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ৩ কোটি ১৭ লাখ ৩৫ হাজার ১২৭ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় আরেকটি সেতু। সেটিও অনেকটা অকেজো অবস্থায় রয়েছে।
সরেজমিনে নগরীর চারটি পদচারী-সেতু ঘুরে দেখা যায়, রাস্তা পারাপারের ক্ষেত্রে পথচারীরা সেগুলো ব্যবহার করছেন না। পদচারী-সেতুর নিচ দিয়ে সহজে রাস্তা পারাপার হচ্ছে মানুষজন। কোর্ট পয়েন্টের সেতুতে ছিন্নমূল কিছু শিশু-কিশোরকে অবস্থান করতে দেখা যায়। আর তেমন মানুষজন পাওয়া যায়নি।
সিসিকের কর্মকর্তারা জানান, টিলাগড় এলাকায় রয়েছে এমসি কলেজ ও সরকারি কলেজের মতো বড় দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আর আখালিয়ায় শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই সেতুগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। সিলেটে আসা দূরপাল্লার সব বাস হুমায়ুন রশীদ চত্বরে থামে। বাসে আসা যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেই সেখানে সেতু নির্মাণ করা হয়।
মাহদী হাসান নামের একজন বলেন, ‘ফুটওভার ব্রিজ (পদচারী-সেতু) দেওয়া হয়েছিল মানুষের নিরাপত্তার জন্য। কিন্তু অনেক উঁচু হওয়ায় উঠতে নামতে মানুষের কষ্ট হয়। এ কারণেই মূলত মানুষ সেতুর নিচের রাস্তা দিয়েই পারাপার হয়।’
সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে নগরবাসীর বিভিন্ন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পদচারী-সেতুগুলো নির্মিত হয়েছে। কিন্তু এখন মানুষজন ব্যবহার করছেন না।’
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সিলেটের সম্পাদক ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘এগুলো পরিকল্পনা ছাড়াই তৈরি করা হয়েছে, না হলে মানুষজন ব্যবহার করত। এগুলো নির্মাণে অর্থের অপচয় করা হয়েছে।’
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোশতাক আহমেদ জানান, অনেক জায়গায় দরকার নেই, তবুও পদচারী-সেতু করা হয়েছে। এগুলো নির্মাণের জন্য ভালোভাবে সমীক্ষা করা দরকার। রাস্তার ডিজাইনটা এমনভাবে করতে হবে, যাতে মানুষ পদচারী-সেতু দিয়ে যেতে বাধ্য হয়। রাস্তা পারাপারের যখন অন্য কোনো অপশন থাকবে না, তখন মানুষ ওভারব্রিজে উঠবেই। এতে করে সড়ক দুর্ঘটনা কমে যাবে, যানজটও কমবে।
সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) ও সিসিকের প্রশাসক খান মো. রেজা-উন-নবী বলেন, ‘আমিতো নতুন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বলে দেব। যেগুলো প্রয়োজনীয় নয় সেগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকায় নির্মিত চারটি পদচারী-সেতু মানুষের কাজে আসছে না। নির্মাণের পর থেকেই এসব সেতুতে আগ্রহ নেই নগরবাসীর। বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের প্রচারকাজের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে এসব পদচারী-সেতু। এ দিকে অব্যবহৃত সেতুগুলো অপরাধীদের নানা অপকর্মের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। নগরবিদরা বলছেন, পরিকল্পনা ছাড়া তৈরি করার কারণে এগুলো কাজে আসছে না। তবে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) বলছে, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই এগুলো নির্মিত হয়েছে।
এ দিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, সিলেট নগরের সড়কগুলো সরু হওয়ায় এবং রাস্তা পারাপার সহজ থাকায় পদচারী-সেতুর কোনো প্রয়োজন নেই। অর্থ লুটপাটের জন্য অপ্রয়োজনীয় ও অপরিকল্পিত এসব প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। সেতুগুলো নগরবাসীর কোনো উপকারে আসছে না।
সিসিক সূত্রে জানা গেছে, ৯ কোটি ৬০ লাখ ২৮ হাজার ৫৮৯ টাকা ব্যয়ে চারটি পদচারী-সেতু নির্মাণ করা হয়। এর মধ্যে ২০১৬ সালে ১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ব্যয়ে সিলেট নগরের বন্দরবাজার এলাকার কোর্ট পয়েন্টে নির্মাণ করা হয় সিলেটের প্রথম পদচারী-সেতু। এরপর প্রায় ৯ বছর পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে সেতুটি। বর্তমানে সেখানে বসবাস করছে নানা অপকর্মে জড়িত শিশু-কিশোর ও ছিনতাইকারীরা।
২০২১ সালে ২ কোটি ৪ লাখ ৬২ হাজার ৩৮৮ টাকা ব্যয়ে সিলেটের টিলাগড়ে নির্মাণ করা হয় আরেকটি পদচারী-সেতু। সেই সেতুর নিচের রাস্তা ছোট হওয়ায় সহজে পারাপার হওয়া যায় বিধায় এই সেতুও কাজে আসছে না। পরে ২০২২ সালে সিলেটের কদমতলীর হুমায়ূন রশীদ চত্বরের পাশে ২ কোটি ৭৫ লাখ ৩১ হাজার ৭৪ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় আরেকটি সেতু। এটি কোনো কাজে না এলেও পরের বছর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ৩ কোটি ১৭ লাখ ৩৫ হাজার ১২৭ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় আরেকটি সেতু। সেটিও অনেকটা অকেজো অবস্থায় রয়েছে।
সরেজমিনে নগরীর চারটি পদচারী-সেতু ঘুরে দেখা যায়, রাস্তা পারাপারের ক্ষেত্রে পথচারীরা সেগুলো ব্যবহার করছেন না। পদচারী-সেতুর নিচ দিয়ে সহজে রাস্তা পারাপার হচ্ছে মানুষজন। কোর্ট পয়েন্টের সেতুতে ছিন্নমূল কিছু শিশু-কিশোরকে অবস্থান করতে দেখা যায়। আর তেমন মানুষজন পাওয়া যায়নি।
সিসিকের কর্মকর্তারা জানান, টিলাগড় এলাকায় রয়েছে এমসি কলেজ ও সরকারি কলেজের মতো বড় দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আর আখালিয়ায় শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই সেতুগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। সিলেটে আসা দূরপাল্লার সব বাস হুমায়ুন রশীদ চত্বরে থামে। বাসে আসা যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেই সেখানে সেতু নির্মাণ করা হয়।
মাহদী হাসান নামের একজন বলেন, ‘ফুটওভার ব্রিজ (পদচারী-সেতু) দেওয়া হয়েছিল মানুষের নিরাপত্তার জন্য। কিন্তু অনেক উঁচু হওয়ায় উঠতে নামতে মানুষের কষ্ট হয়। এ কারণেই মূলত মানুষ সেতুর নিচের রাস্তা দিয়েই পারাপার হয়।’
সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে নগরবাসীর বিভিন্ন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পদচারী-সেতুগুলো নির্মিত হয়েছে। কিন্তু এখন মানুষজন ব্যবহার করছেন না।’
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সিলেটের সম্পাদক ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘এগুলো পরিকল্পনা ছাড়াই তৈরি করা হয়েছে, না হলে মানুষজন ব্যবহার করত। এগুলো নির্মাণে অর্থের অপচয় করা হয়েছে।’
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোশতাক আহমেদ জানান, অনেক জায়গায় দরকার নেই, তবুও পদচারী-সেতু করা হয়েছে। এগুলো নির্মাণের জন্য ভালোভাবে সমীক্ষা করা দরকার। রাস্তার ডিজাইনটা এমনভাবে করতে হবে, যাতে মানুষ পদচারী-সেতু দিয়ে যেতে বাধ্য হয়। রাস্তা পারাপারের যখন অন্য কোনো অপশন থাকবে না, তখন মানুষ ওভারব্রিজে উঠবেই। এতে করে সড়ক দুর্ঘটনা কমে যাবে, যানজটও কমবে।
সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) ও সিসিকের প্রশাসক খান মো. রেজা-উন-নবী বলেন, ‘আমিতো নতুন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বলে দেব। যেগুলো প্রয়োজনীয় নয় সেগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
১২ আগস্ট ২০২৫লক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
১২ আগস্ট ২০২৫দুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
১২ আগস্ট ২০২৫চট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫