শেরপুর প্রতিনিধি
লাশবাহী গাড়ি না থাকায় শেরপুরে দীর্ঘদিন ধরে পৌর এলাকার ময়লাবাহী গাড়িতে লাশ পরিবহন করা হয়। গত বৃহস্পতিবার বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সিনিয়র সাংবাদিক তালাপতুফ হোসেন মঞ্জুর মরদেহ পৌরসভার ময়লাবাহী গাড়িতে পরিবহন করা হয়েছে। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হলে গণমাধ্যমে নিজের অবস্থানের আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যাখ্যা দিয়েছেন পৌর মেয়র আলহাজ গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন। ময়লাবাহী গাড়িতে আর কোনো মরদেহ বহন করা হবে না বলে জানান তিনি। গতকাল শনিবার বিকেলে শেরপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিকদের নিয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ বিষয়ের পূর্ণ ব্যাখ্যা এবং সিদ্ধান্তের কথা জানান।
পৌর মেয়র বলেন, ‘পৌরসভার নিজস্ব কোনো লাশবাহী গাড়ি না থাকায় অনেক আগে থেকেই ওই গাড়ি পৌরবাসীর লাশ পরিবহনে ব্যবহার হয়ে আসছে। লাশ বহনের আগে গাড়িটি ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করে দেওয়া হয়। এতে পৌরবাসী উপকৃত হচ্ছে বলেই জানি। এরই ধারাবাহিকতায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম তালাপতুফ হোসেন মঞ্জুর পরিবারের সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ গাড়িটি ব্যবহারের জন্য মৌখিকভাবে চাইলে তা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে লাশ পরিবহনের জন্য প্রদান করি। পৌরসভার এই গাড়িটির বিকল্প আর কোনো গাড়ি নেই। কিন্তু ওই পরিবহনে মুক্তিযোদ্ধার লাশ বহন করা নিয়ে দু-একটি গণমাধ্যমে ভিন্নভাবে খবর প্রকাশ করায় পৌর কর্তৃপক্ষ মর্মাহত হয়েছে। এ জন্য এখন থেকে ওই গাড়ি আর কাউকে লাশ পরিবহনের জন্য দেওয়া হবে না।’ একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের বিনা মূল্যে সেবামূলক কাজে গণমাধ্যমকর্মীদের সুচিন্তিত ও গঠনমূলক পরামর্শও তুলে ধরার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘শেরপুর পৌরসভা এরই মধ্যে লাশবাহী পরিবহন কেনার জন্য আর্থিক সংস্থান করেছে এবং লাশবাহী গাড়িটি কেনার অনুমতির জন্য মন্ত্রণালয়ে পরপর দুটি পত্র পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আমি নিজেও সশরীরে বেশ কয়েকবার মন্ত্রণালয়ে গিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। কিন্তু অর্গানোগ্রামে না থাকায় এবং এখন পর্যন্ত কোনো পৌরসভাতেই লাশবাহী গাড়ি কেনার অনুমতি না দেওয়ায় আমরাও অনুমতি পাইনি। আর অনুমোদন না পাওয়ায় গাড়িটি কিনতেও পারছি না। তবে আশা করছি, দ্রুত গাড়ি কেনার অনুমতি পাব।’
এ সভায় উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আমরাই বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম তালাপতুফ হোসেন মঞ্জুর লাশ পরিবহনের জন্য গাড়িটি পৌরসভার কাছে চেয়েছিলাম।’
এ মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন পৌর প্যানেল মেয়র-১ নজরুল ইসলাম, শেরপুর প্রেসক্লাব সভাপতি মো. শরিফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাবিহা জামান শাপলা, সিনিয়র সহসভাপতি মলয় মোহন বল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আদিল মাহমুদ উজ্জল, সাংগঠনিক সম্পাদক মানিক দত্তসহ জেলার দায়িত্বশীল গণমাধ্যমকর্মীরা।
উল্লেখ্য, গত ২৭ জানুয়ারি হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সিনিয়র সাংবাদিক তালাপতুফ হোসেন মঞ্জু। পরে শহরের সজবরখিলা এলাকার বাসা থেকে তাঁর মরদেহ পৌরসভার ময়লা পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাকে করে প্রথমে জানাজার জন্য শহীদ দারোগ আলী পৌর পার্কে এবং পরে দাফনের জন্য চাপাতলী পৌর কবরস্থানে নেওয়া হয়। এ নিয়ে কয়েকটি গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে জেলাজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়েন পৌর মেয়র লিটন।
লাশবাহী গাড়ি না থাকায় শেরপুরে দীর্ঘদিন ধরে পৌর এলাকার ময়লাবাহী গাড়িতে লাশ পরিবহন করা হয়। গত বৃহস্পতিবার বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সিনিয়র সাংবাদিক তালাপতুফ হোসেন মঞ্জুর মরদেহ পৌরসভার ময়লাবাহী গাড়িতে পরিবহন করা হয়েছে। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হলে গণমাধ্যমে নিজের অবস্থানের আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যাখ্যা দিয়েছেন পৌর মেয়র আলহাজ গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন। ময়লাবাহী গাড়িতে আর কোনো মরদেহ বহন করা হবে না বলে জানান তিনি। গতকাল শনিবার বিকেলে শেরপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিকদের নিয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ বিষয়ের পূর্ণ ব্যাখ্যা এবং সিদ্ধান্তের কথা জানান।
পৌর মেয়র বলেন, ‘পৌরসভার নিজস্ব কোনো লাশবাহী গাড়ি না থাকায় অনেক আগে থেকেই ওই গাড়ি পৌরবাসীর লাশ পরিবহনে ব্যবহার হয়ে আসছে। লাশ বহনের আগে গাড়িটি ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করে দেওয়া হয়। এতে পৌরবাসী উপকৃত হচ্ছে বলেই জানি। এরই ধারাবাহিকতায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম তালাপতুফ হোসেন মঞ্জুর পরিবারের সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ গাড়িটি ব্যবহারের জন্য মৌখিকভাবে চাইলে তা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে লাশ পরিবহনের জন্য প্রদান করি। পৌরসভার এই গাড়িটির বিকল্প আর কোনো গাড়ি নেই। কিন্তু ওই পরিবহনে মুক্তিযোদ্ধার লাশ বহন করা নিয়ে দু-একটি গণমাধ্যমে ভিন্নভাবে খবর প্রকাশ করায় পৌর কর্তৃপক্ষ মর্মাহত হয়েছে। এ জন্য এখন থেকে ওই গাড়ি আর কাউকে লাশ পরিবহনের জন্য দেওয়া হবে না।’ একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের বিনা মূল্যে সেবামূলক কাজে গণমাধ্যমকর্মীদের সুচিন্তিত ও গঠনমূলক পরামর্শও তুলে ধরার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘শেরপুর পৌরসভা এরই মধ্যে লাশবাহী পরিবহন কেনার জন্য আর্থিক সংস্থান করেছে এবং লাশবাহী গাড়িটি কেনার অনুমতির জন্য মন্ত্রণালয়ে পরপর দুটি পত্র পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আমি নিজেও সশরীরে বেশ কয়েকবার মন্ত্রণালয়ে গিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। কিন্তু অর্গানোগ্রামে না থাকায় এবং এখন পর্যন্ত কোনো পৌরসভাতেই লাশবাহী গাড়ি কেনার অনুমতি না দেওয়ায় আমরাও অনুমতি পাইনি। আর অনুমোদন না পাওয়ায় গাড়িটি কিনতেও পারছি না। তবে আশা করছি, দ্রুত গাড়ি কেনার অনুমতি পাব।’
এ সভায় উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আমরাই বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম তালাপতুফ হোসেন মঞ্জুর লাশ পরিবহনের জন্য গাড়িটি পৌরসভার কাছে চেয়েছিলাম।’
এ মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন পৌর প্যানেল মেয়র-১ নজরুল ইসলাম, শেরপুর প্রেসক্লাব সভাপতি মো. শরিফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাবিহা জামান শাপলা, সিনিয়র সহসভাপতি মলয় মোহন বল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আদিল মাহমুদ উজ্জল, সাংগঠনিক সম্পাদক মানিক দত্তসহ জেলার দায়িত্বশীল গণমাধ্যমকর্মীরা।
উল্লেখ্য, গত ২৭ জানুয়ারি হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সিনিয়র সাংবাদিক তালাপতুফ হোসেন মঞ্জু। পরে শহরের সজবরখিলা এলাকার বাসা থেকে তাঁর মরদেহ পৌরসভার ময়লা পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাকে করে প্রথমে জানাজার জন্য শহীদ দারোগ আলী পৌর পার্কে এবং পরে দাফনের জন্য চাপাতলী পৌর কবরস্থানে নেওয়া হয়। এ নিয়ে কয়েকটি গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে জেলাজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়েন পৌর মেয়র লিটন।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
২২ দিন আগেলক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
২২ দিন আগেদুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
২২ দিন আগেচট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
২২ দিন আগে