নির্বাচনী সহিংসতায় আহত আরও একজনের মৃত্যু

শরীয়তপুর সদর উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের সমর্থকদের হামলায় আহত রাজ্জাক মোল্লা (৬০) ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ১৯ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ শুক্রবার ভোর সোয়া পাঁচটায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে তিনি মারা যান।

এর আগে গত ৭ নভেম্বর আঙ্গারিয়া ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্বতন্ত্রপ্রার্থী আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সমর্থকদের হামলায় গুরুতর আহত হন রাজ্জাক মোল্লা। পরিবারের অভিযোগ নৌকা মার্কার প্রার্থী আছমা আক্তারের পক্ষে নির্বাচন করায় তাঁর ওপর হামলা করে স্বতন্ত্রপ্রার্থীর সমর্থকেরা। 

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, দ্বিতীয় ধাপে শরীয়তপুর সদর উপজেলার আঙ্গারিয়াসহ ১০টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে ৭ নভেম্বর বিকেল সাড়ে চারটার দিকে আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের চরপাতাং এলাকায় থাকা নৌকার প্রার্থী আছমা আক্তারের নির্বাচনী ক্লাবে আলোচনা সভায় হামলা চালায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার হোসেনের সমর্থকেরা। এ সময় হামলাকারীরা শতাধিক ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে নৌকার পক্ষের অন্তত ১২ সমর্থককে। 

হামলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মাথায় মারাত্মক আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হন রাজ্জাক মোল্লা। আহত রাজ্জাককে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেন। 

স্বজনেরা তাঁকে ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় মস্তিষ্কে প্রচুর রক্তক্ষরণের প্রমাণ পায় চিকিৎসকেরা। গত ১০ নভেম্বর তাঁর মাথায় অস্ত্রোপচার করে চিকিৎসকেরা। অবস্থার অবনতি হলে ২০ নভেম্বর মুমূর্ষু রাজ্জাককে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করেন। সেখানে ৫ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর শুক্রবার ভোরে মারা যান রাজ্জাক মোল্লা। 

নির্বাচনের আগের সেই হামলার ঘটনায় মো. মনির হোসেন বাদী হয়ে হামলার সঙ্গে জড়িত ৬৮ জনকে আসামি করে পালং মডেল থানায় মামলা করেন। 

পালং মডেল থানার ওসি আকতার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৭ নভেম্বরের হামলার ঘটনায় হত্যার চেষ্টা অভিযোগে মামলা হয়েছে। যেহেতু আহত ১ ব্যক্তি মারা গেছেন আমরা মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণ করতে আবেদন করেছি। এখন পর্যন্ত ওই মামলায় অভিযুক্ত ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামিদের আটকের চেষ্টা করছে পুলিশ।’