শিপুল ইসলাম
তারাগঞ্জ (রংপুর): দিন রাত পরিশ্রম করে খামারে উৎপাদন করা দুধ কোথাও বিক্রি করতে পারছেন না রংপুরের তারাগঞ্জের খামারিরা। করোনাভাইরাসরে সংক্রমণ ঠেকাতে গণ পরিবহন বন্ধ থাকায় ও ১ জুলাই থেকে কঠোর লকডাউন ঘোষণা হওয়ায় হোটেল, রেস্তোরাঁ ও কোম্পানিগুলো দুধ কেনা বন্ধ করে দিয়েছে। অর্ধেক দামেও দুধ বিক্রি করতে না পারায় খামারিদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। পরিমাণ মতো গাভিকেও খাবার দিতে পারছেন না। গরু নিয়ে খুব বিপাকে আছেন তাঁরা।
জগদীশপুর গ্রামের দুগ্ধ খামারি লাবণী বেগমের খামারে গাভি আছে ২০টি। তিনি প্রতিদিন ৭৫ থেকে ৮০ লিটার দুধ পান। ৪৫ টাকা কেজি দরে সেই দুধ বিক্রি করে খরচ বাদে দৈনিক আয় হয় এক হাজার টাকা। কিন্তু কয়েক দিন ধরে খামারের দুধ বিক্রি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তিনি। কোম্পানি ও হোটেল রেস্তোরাঁগুলো দুধ কেনা বন্ধ করায় এমন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
লাবণী বেগম বলেন, ‘করোনার কারণে দুধে বরাবরই লোকসান খাচ্ছি। লকডাউন আসলে দুধ বিক্রি জায়গা থাকে না। অর্ধেক দামেও কেউ দুধ নিতে চায় না। দুধ বিক্রি করতে না পারলে গাভিকে খাওয়াব কি? দুধ ও গাভিগুলোকে নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় আছি।’
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে ছোট বড় মিলে প্রায় ১১০টি গরুর খামার রয়েছে। এ ছাড়াও গৃহপালিত প্রায় ৮৩ হাজার গরু কৃষকদের ঘরে আছে। করোনা ভাইরাসের দুর্যোগের কারণে লকডাউনে পরিবহন, হাট-বাজার, হোটেল রেস্তোরাঁ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ফলে খামারিদের দুধ সরবরাহের জায়গা বন্ধ হয়ে গেছে।
তারাগঞ্জের ডেইরি খামার সমিতির সভাপতি এমদাদুল হক বলেন, ৪০ টাকা লিটারের দুধ এখন ২০ টাকা লিটারেও কেউ নিচ্ছেন না। লকডাউন হওয়ায় সরবরাহ বেড়ে গেছে। বিক্রির জায়গা কমে গেছে। কেউ কেউ প্যাকেট জাত করে বিক্রি করছেন অর্ধেক দামে। এ অবস্থায় গরু নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তাঁরা। প্রতিদিন তাদের লোকসানের পরিমাণ বাড়ছে। সরকারের উচিত খামারিদের পাশে দাঁড়ানো।
ওকড়াবাড়ি ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের খামারি রতন মিয়ার খামারেও দুগ্ধবতী ৭টি গাভি আছে। তিনি প্রতিদিন ৪০ লিটার দুধ পান খামার থেকে। করোনার এই মহামারিতে তিনিও দুধ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। রতন মিয়া বলেন, ‘খামারের সব গরু বিদেশি। ভুসি ছাড়া পানি খেতে চায় না। একটু খাবারের কম বেশি হলে গরুর সমস্যা দেখা। দুধ বিক্রি করে গরুর খাবার, সংসারের খরচ চলতো। কিন্তু দুধ বিক্রি করতে না পারলে গরুগুলোকে কি খাওয়াব। আমরা না হয় উপোস থাকতে পারি। কিন্তু গরুকে তো আর উপোস রাখা যায় না।’
গতকাল মঙ্গলবার তারাগঞ্জ হাটে কথা হয় গাভির খাদ্য কিনতে আসা সুরংগের বাজার গ্রামের খামারি মিল্টন হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘গাভি তো আর লকডাউন, শুক্র-শনিবার বোঝে না। প্রতিদিনই দুধ দেয়। সরকার প্রণোদনা তো একদিন দেবে। প্রণোদনার বদলে আমাদের কে দুধ বিক্রির ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক। দুধ বিক্রি করতে পারলে অন্তত গরুগুলোকে খাবার দিয়ে টিকে রাখতে পারব। আর তা না হলে গরু বিক্রি করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে নাই।’
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ফরহাদ নোমান বলেন, ‘সারা দেশের মতো তারাগঞ্জের খামারিরাও দুধ বিক্রি করতে পারছেন না। অনেক খামারি বিষয়টি আমাদের কে জানিয়েছেন। আমরা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে খামারিদের দুধ প্যাকেট জাত করে বিক্রির পরামর্শ দিচ্ছি। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলেছি।’
তারাগঞ্জ (রংপুর): দিন রাত পরিশ্রম করে খামারে উৎপাদন করা দুধ কোথাও বিক্রি করতে পারছেন না রংপুরের তারাগঞ্জের খামারিরা। করোনাভাইরাসরে সংক্রমণ ঠেকাতে গণ পরিবহন বন্ধ থাকায় ও ১ জুলাই থেকে কঠোর লকডাউন ঘোষণা হওয়ায় হোটেল, রেস্তোরাঁ ও কোম্পানিগুলো দুধ কেনা বন্ধ করে দিয়েছে। অর্ধেক দামেও দুধ বিক্রি করতে না পারায় খামারিদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। পরিমাণ মতো গাভিকেও খাবার দিতে পারছেন না। গরু নিয়ে খুব বিপাকে আছেন তাঁরা।
জগদীশপুর গ্রামের দুগ্ধ খামারি লাবণী বেগমের খামারে গাভি আছে ২০টি। তিনি প্রতিদিন ৭৫ থেকে ৮০ লিটার দুধ পান। ৪৫ টাকা কেজি দরে সেই দুধ বিক্রি করে খরচ বাদে দৈনিক আয় হয় এক হাজার টাকা। কিন্তু কয়েক দিন ধরে খামারের দুধ বিক্রি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তিনি। কোম্পানি ও হোটেল রেস্তোরাঁগুলো দুধ কেনা বন্ধ করায় এমন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
লাবণী বেগম বলেন, ‘করোনার কারণে দুধে বরাবরই লোকসান খাচ্ছি। লকডাউন আসলে দুধ বিক্রি জায়গা থাকে না। অর্ধেক দামেও কেউ দুধ নিতে চায় না। দুধ বিক্রি করতে না পারলে গাভিকে খাওয়াব কি? দুধ ও গাভিগুলোকে নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় আছি।’
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে ছোট বড় মিলে প্রায় ১১০টি গরুর খামার রয়েছে। এ ছাড়াও গৃহপালিত প্রায় ৮৩ হাজার গরু কৃষকদের ঘরে আছে। করোনা ভাইরাসের দুর্যোগের কারণে লকডাউনে পরিবহন, হাট-বাজার, হোটেল রেস্তোরাঁ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ফলে খামারিদের দুধ সরবরাহের জায়গা বন্ধ হয়ে গেছে।
তারাগঞ্জের ডেইরি খামার সমিতির সভাপতি এমদাদুল হক বলেন, ৪০ টাকা লিটারের দুধ এখন ২০ টাকা লিটারেও কেউ নিচ্ছেন না। লকডাউন হওয়ায় সরবরাহ বেড়ে গেছে। বিক্রির জায়গা কমে গেছে। কেউ কেউ প্যাকেট জাত করে বিক্রি করছেন অর্ধেক দামে। এ অবস্থায় গরু নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তাঁরা। প্রতিদিন তাদের লোকসানের পরিমাণ বাড়ছে। সরকারের উচিত খামারিদের পাশে দাঁড়ানো।
ওকড়াবাড়ি ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের খামারি রতন মিয়ার খামারেও দুগ্ধবতী ৭টি গাভি আছে। তিনি প্রতিদিন ৪০ লিটার দুধ পান খামার থেকে। করোনার এই মহামারিতে তিনিও দুধ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। রতন মিয়া বলেন, ‘খামারের সব গরু বিদেশি। ভুসি ছাড়া পানি খেতে চায় না। একটু খাবারের কম বেশি হলে গরুর সমস্যা দেখা। দুধ বিক্রি করে গরুর খাবার, সংসারের খরচ চলতো। কিন্তু দুধ বিক্রি করতে না পারলে গরুগুলোকে কি খাওয়াব। আমরা না হয় উপোস থাকতে পারি। কিন্তু গরুকে তো আর উপোস রাখা যায় না।’
গতকাল মঙ্গলবার তারাগঞ্জ হাটে কথা হয় গাভির খাদ্য কিনতে আসা সুরংগের বাজার গ্রামের খামারি মিল্টন হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘গাভি তো আর লকডাউন, শুক্র-শনিবার বোঝে না। প্রতিদিনই দুধ দেয়। সরকার প্রণোদনা তো একদিন দেবে। প্রণোদনার বদলে আমাদের কে দুধ বিক্রির ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক। দুধ বিক্রি করতে পারলে অন্তত গরুগুলোকে খাবার দিয়ে টিকে রাখতে পারব। আর তা না হলে গরু বিক্রি করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে নাই।’
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ফরহাদ নোমান বলেন, ‘সারা দেশের মতো তারাগঞ্জের খামারিরাও দুধ বিক্রি করতে পারছেন না। অনেক খামারি বিষয়টি আমাদের কে জানিয়েছেন। আমরা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে খামারিদের দুধ প্যাকেট জাত করে বিক্রির পরামর্শ দিচ্ছি। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলেছি।’
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
২৫ দিন আগেলক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
২৫ দিন আগেদুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
২৫ দিন আগেচট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
২৫ দিন আগে