রংপুর প্রতিনিধি
রংপুরের পীরগাছায় নিজ মেয়ে রাবেয়া বেগমকে অপহরণ ও গুম করার মামলায় বাবা লুৎফর রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-২ এর বিচারক মো. রোকনুজ্জামান এ রায় প্রদান করেন।
রায় ঘোষণার সময় অভিযুক্ত লুৎফর রহমান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালত ও মামলার বিবরণে জানা যায়, পীরগাছা উপজেলার মকরমপুর গ্রামের লুৎফর রহমানের মেয়ে রাবেয়া খাতুন ভালোবেসে বিয়ে করেন একই এলাকার আব্দুর রশীদ নামে এক যুবককে। এ নিয়ে রাবেয়ার পরিবারের সঙ্গে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের চরম বিরোধ দেখা দেয়। একপর্যায়ে রাবেয়ার ভাশুর হোসেন আলী হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।
এ ঘটনায় রাবেয়ার বাবাসহ তাঁর পরিবারের লোকজনদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হয়। এ মামলায় লুৎফর রহমানসহ অন্য আসামিরা নিম্ন আদালতে খালাস পান। কিন্তু এ হত্যাকাণ্ডের একমাত্র চাক্ষুষ সাক্ষী ছিলেন তার মেয়ে রাবেয়া খাতুন। এ ঘটনার পর রাবেয়া খাতুন অনেকবার তাঁর বাবা লুৎফর রহমানকে বলেছেন যে, তাঁর সামনে ভাশুর হোসেন আলীকে হত্যা করা হয়েছে এবং বিষয়টি তিনি উচ্চ আদালতে সাক্ষ্য দেবেন। এ ঘটনার পর থেকে বাবা লুৎফর রহমান তাঁর মেয়ে রাবেয়াকে হত্যার পর লাশ গুম করার পরিকল্পনা করতে থাকেন। একপর্যায়ে ১৯৯৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাবেয়াকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য কৌশলে পীরগাছার চৌধুরানী বাজারে বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে যান লুৎফর রহমান ও তাঁর সহযোগীরা। কিন্তু রাবেয়া তাঁর বাবার মতলব বুঝতে পেরে চিৎকার শুরু করলে বাধ্য হয়ে লুৎফর রহমান তার মেয়ে রাবেয়াকে বাসায় ফেরত নিয়ে যান।
এরপর থেকে রাবেয়া বেগমের কোনো সন্ধান না পাওয়ায় তাঁর ছেলে রাঙ্গা মিয়া থানায় ডায়েরি করেন। পরবর্তীকালে মায়ের কোনো সন্ধান না পেয়ে পীরগাছা থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ মামলা গ্রহণ না করায় আদালতে নালিশি মামলা দায়ের করেন রাঙ্গা মিয়া। বিচারক মামলাটি এজাহার হিসেবে রেকর্ড করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দেন। পুলিশ তদন্ত শেষে বাবা লুৎফর রহমানসহ ১০ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এর মধ্যে এক আসামি মৃত্যুবরণ করেছেন। মামলায় ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেলা শেষে আসামি লুৎফর রহমানকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫ লাখ টাকা জরিমানা ও অপর আসামিদের খালাস আদেশ দেন বিচারক। জরিমানার অর্থ রাবেয়ার ছেলে রাঙ্গাসহ তাঁর সন্তানদের প্রদান করার আদেশ দেওয়া হয়।
সরকারপক্ষে মামলা পারিচালনাকারী আইনজীবী নারী ও মিশু নির্যাতন দমন আদালত-২ এর বিশেষ পিপি জাহাঙ্গীর হোসেন তুহিন বলেন, দীর্ঘদিন পর চাঞ্চল্যকর একটি মামলার রায় হয়েছে। রায়ে প্রধান অভিযুক্ত সাজা পেলেও অপর আসামিরা খালাস পেয়েছেন। বাদীর সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে বলেও জানান জাহাঙ্গীর হোসেন তুহিন।
রংপুরের পীরগাছায় নিজ মেয়ে রাবেয়া বেগমকে অপহরণ ও গুম করার মামলায় বাবা লুৎফর রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-২ এর বিচারক মো. রোকনুজ্জামান এ রায় প্রদান করেন।
রায় ঘোষণার সময় অভিযুক্ত লুৎফর রহমান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালত ও মামলার বিবরণে জানা যায়, পীরগাছা উপজেলার মকরমপুর গ্রামের লুৎফর রহমানের মেয়ে রাবেয়া খাতুন ভালোবেসে বিয়ে করেন একই এলাকার আব্দুর রশীদ নামে এক যুবককে। এ নিয়ে রাবেয়ার পরিবারের সঙ্গে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের চরম বিরোধ দেখা দেয়। একপর্যায়ে রাবেয়ার ভাশুর হোসেন আলী হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।
এ ঘটনায় রাবেয়ার বাবাসহ তাঁর পরিবারের লোকজনদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হয়। এ মামলায় লুৎফর রহমানসহ অন্য আসামিরা নিম্ন আদালতে খালাস পান। কিন্তু এ হত্যাকাণ্ডের একমাত্র চাক্ষুষ সাক্ষী ছিলেন তার মেয়ে রাবেয়া খাতুন। এ ঘটনার পর রাবেয়া খাতুন অনেকবার তাঁর বাবা লুৎফর রহমানকে বলেছেন যে, তাঁর সামনে ভাশুর হোসেন আলীকে হত্যা করা হয়েছে এবং বিষয়টি তিনি উচ্চ আদালতে সাক্ষ্য দেবেন। এ ঘটনার পর থেকে বাবা লুৎফর রহমান তাঁর মেয়ে রাবেয়াকে হত্যার পর লাশ গুম করার পরিকল্পনা করতে থাকেন। একপর্যায়ে ১৯৯৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাবেয়াকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য কৌশলে পীরগাছার চৌধুরানী বাজারে বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে যান লুৎফর রহমান ও তাঁর সহযোগীরা। কিন্তু রাবেয়া তাঁর বাবার মতলব বুঝতে পেরে চিৎকার শুরু করলে বাধ্য হয়ে লুৎফর রহমান তার মেয়ে রাবেয়াকে বাসায় ফেরত নিয়ে যান।
এরপর থেকে রাবেয়া বেগমের কোনো সন্ধান না পাওয়ায় তাঁর ছেলে রাঙ্গা মিয়া থানায় ডায়েরি করেন। পরবর্তীকালে মায়ের কোনো সন্ধান না পেয়ে পীরগাছা থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ মামলা গ্রহণ না করায় আদালতে নালিশি মামলা দায়ের করেন রাঙ্গা মিয়া। বিচারক মামলাটি এজাহার হিসেবে রেকর্ড করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দেন। পুলিশ তদন্ত শেষে বাবা লুৎফর রহমানসহ ১০ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এর মধ্যে এক আসামি মৃত্যুবরণ করেছেন। মামলায় ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেলা শেষে আসামি লুৎফর রহমানকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫ লাখ টাকা জরিমানা ও অপর আসামিদের খালাস আদেশ দেন বিচারক। জরিমানার অর্থ রাবেয়ার ছেলে রাঙ্গাসহ তাঁর সন্তানদের প্রদান করার আদেশ দেওয়া হয়।
সরকারপক্ষে মামলা পারিচালনাকারী আইনজীবী নারী ও মিশু নির্যাতন দমন আদালত-২ এর বিশেষ পিপি জাহাঙ্গীর হোসেন তুহিন বলেন, দীর্ঘদিন পর চাঞ্চল্যকর একটি মামলার রায় হয়েছে। রায়ে প্রধান অভিযুক্ত সাজা পেলেও অপর আসামিরা খালাস পেয়েছেন। বাদীর সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে বলেও জানান জাহাঙ্গীর হোসেন তুহিন।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
১২ আগস্ট ২০২৫লক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
১২ আগস্ট ২০২৫দুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
১২ আগস্ট ২০২৫চট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫