রিপন চন্দ্র রায়, রাবি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গত বছরের ১১ মার্চ স্থানীয় বাসিন্দাদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এদের মধ্যে পুলিশের ছোড়া গুলিতে চোখে মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী।
ঘটনার পর এক সংবাদ সম্মেলনে তাদের চিকিৎসার সমস্ত ব্যয় বহনের আশ্বাস দিলেও সে কথা রাখেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাদের চিকিৎসার যে অর্থ ব্যয় হয়েছে সে তুলনায় সামান্য কিছু অর্থ দিয়েছে প্রশাসন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেউ খোঁজ নেয়নি।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, যারা যোগাযোগ করেছিল তাদের সবাইকে সহযোগিতা করা হয়েছে।
সেদিন চোখে মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হন আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আল আমিন। তাকে এখনো নিয়মিত ভারতে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। তার ডান চোখের দৃষ্টি স্প্লিন্টার লাগার কারণে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মূলত এ চোখেই সার্জারি হয়েছে। চোখের রেটিনাতে এখনো ক্ষত রয়ে গেছে। আবার বাম চোখের নার্ভের পাশে একটা স্প্লিন্টার লেগে থাকার কারণে বামচোখও ক্ষতিগ্রস্ত।
ভারতের চেন্নাইয়ের শংকর নেত্রালয় হাসপাতালে নিয়মিত চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি। কিছুদিন পরেই ভারতে গিয়ে আবার সার্জারি করাতে হবে। আর এ সার্জারির ন্যূনতম খরচ ৫০ হাজার টাকা। আর যদি রেটিনাতে আবারও সার্জারি করে তবে দেড় লাখের মতো টাকা লাগতে পারে।
এই এক বছরে চিকিৎসার জন্য প্রায় ৪ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে তার। এর মধ্যে উপাচার্যের তহবিল থেকে ৫০ হাজারসহ মোট ৫৮ হাজার টাকা দিয়েছে প্রশাসন।
তিনি অভিযোগ করেন, প্রশাসন যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা পূরণ করেনি। তবে একটি দাতব্য সংস্থা, নিজ ডিপার্টমেন্ট, পরিবার ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সহযোগিতায় এ চিকিৎসার খরচ বহন করছেন।
মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী আলিমুল ইসলাম। তিনিও সংঘর্ষে চোখে আঘাতপ্রাপ্ত হন। এখন তিনি বাম চোখে দেখতে পারেন না। তিনি বলেন, দুই দফা ভারতে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়া সত্ত্বেও বাম চোখের দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাননি। চোখে আঘাত পাওয়ার পর ভারতে ২ বার চিকিৎসা নিতে গিয়ে প্রায় দেড় লাখের বেশি টাকা খরচ হয়ে। তবে এক্ষেত্রে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো আর্থিক সহযোগিতা পাননি তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সহযোগিতার জন্য গেলে হয়রানির শিকার হতে হয় উল্লেখ করে আলিমুল বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেউ খোঁজ নেয়নি। তাঁরা চাইলে তো বিভাগের মাধ্যমে একটাবার খোঁজ নিতে পারতো। কিন্তু তাঁদের তো একজন সাধারণ শিক্ষার্থীকে নিয়ে ভাবার সুযোগ নেই। আর আমিও হয়রানির ভয়ে তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করার চেষ্টা করিনি।’
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন কাজকে দায়িত্বহীন কাজ মনে করেন আলিমুল। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং এই ক্যাম্পাসের ভালো-মন্দ দেখা প্রশাসনের দায়িত্ব। কিন্তু এতো বড় একটা ঘটনার পর শিক্ষার্থীদের খোঁজ খবর রাখতে ব্যর্থ তাঁরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট একটা ব্যাপারে প্রশাসনের এমন উদাসীনতা কাম্য নয় বলে মনে করেন এই শিক্ষার্থী।
সংঘর্ষে আহত ফারসি বিভাগের ছাত্র মিজবাহুল ইসলাম বলেন, আঘাত পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাকে খুব বেশি সাহায্য করেনি। প্রশাসন বলেছিল চিকিৎসা করে আসো, পরবর্তী সময় আমরা তোমাকে টাকা দিব। ঘটনার পর প্রথম আমি ভারত গিয়েছিলাম। সেখানে কয়েক দফায় চিকিৎসা করাতে আমার ৬ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাকে মাত্র ৫০ হাজার টাকা সহায়তা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সহায়তার জন্য বিশ্ববিদ্যায়লয়ের ছাত্র উপদেষ্টা, উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যের কাছে গেলেও আশানুরুপ কোনো সহায়তা পাইনি। এছাড়া স্বাস্থ্য বীমা থেকে টাকা দেওয়ার কথা ছিল, এখনো দেয়নি। আমি এখনো সুস্থ হয়ে উঠতে পারিনি। চোখে মাত্র ২০ শতাংশ দেখতে পাই। এখন কোনো লেখা পড়তে পারি না।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম সাউদ বলেন, ‘ওই ঘটনায় আহত যারা যোগাযোগ করেছিল, সবাইকে সহযোগিতা করা হয়েছিল। এখন যদি কেউ যোগাযোগ না করে অভিযোগ করে, তাহলে সেটা দুঃখজনক।’
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, ‘আহত শিক্ষার্থীদের সাহায্যের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে জেনে বলতে হবে। আহত শিক্ষার্থীদের বলবো তারা যেনো সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করে। তবে প্রশাসনের অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতার কথাও শিক্ষার্থীদের চিন্তা করতে হবে।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গত বছরের ১১ মার্চ স্থানীয় বাসিন্দাদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এদের মধ্যে পুলিশের ছোড়া গুলিতে চোখে মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী।
ঘটনার পর এক সংবাদ সম্মেলনে তাদের চিকিৎসার সমস্ত ব্যয় বহনের আশ্বাস দিলেও সে কথা রাখেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাদের চিকিৎসার যে অর্থ ব্যয় হয়েছে সে তুলনায় সামান্য কিছু অর্থ দিয়েছে প্রশাসন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেউ খোঁজ নেয়নি।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, যারা যোগাযোগ করেছিল তাদের সবাইকে সহযোগিতা করা হয়েছে।
সেদিন চোখে মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হন আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আল আমিন। তাকে এখনো নিয়মিত ভারতে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। তার ডান চোখের দৃষ্টি স্প্লিন্টার লাগার কারণে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মূলত এ চোখেই সার্জারি হয়েছে। চোখের রেটিনাতে এখনো ক্ষত রয়ে গেছে। আবার বাম চোখের নার্ভের পাশে একটা স্প্লিন্টার লেগে থাকার কারণে বামচোখও ক্ষতিগ্রস্ত।
ভারতের চেন্নাইয়ের শংকর নেত্রালয় হাসপাতালে নিয়মিত চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি। কিছুদিন পরেই ভারতে গিয়ে আবার সার্জারি করাতে হবে। আর এ সার্জারির ন্যূনতম খরচ ৫০ হাজার টাকা। আর যদি রেটিনাতে আবারও সার্জারি করে তবে দেড় লাখের মতো টাকা লাগতে পারে।
এই এক বছরে চিকিৎসার জন্য প্রায় ৪ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে তার। এর মধ্যে উপাচার্যের তহবিল থেকে ৫০ হাজারসহ মোট ৫৮ হাজার টাকা দিয়েছে প্রশাসন।
তিনি অভিযোগ করেন, প্রশাসন যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা পূরণ করেনি। তবে একটি দাতব্য সংস্থা, নিজ ডিপার্টমেন্ট, পরিবার ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সহযোগিতায় এ চিকিৎসার খরচ বহন করছেন।
মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী আলিমুল ইসলাম। তিনিও সংঘর্ষে চোখে আঘাতপ্রাপ্ত হন। এখন তিনি বাম চোখে দেখতে পারেন না। তিনি বলেন, দুই দফা ভারতে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়া সত্ত্বেও বাম চোখের দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাননি। চোখে আঘাত পাওয়ার পর ভারতে ২ বার চিকিৎসা নিতে গিয়ে প্রায় দেড় লাখের বেশি টাকা খরচ হয়ে। তবে এক্ষেত্রে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো আর্থিক সহযোগিতা পাননি তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সহযোগিতার জন্য গেলে হয়রানির শিকার হতে হয় উল্লেখ করে আলিমুল বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেউ খোঁজ নেয়নি। তাঁরা চাইলে তো বিভাগের মাধ্যমে একটাবার খোঁজ নিতে পারতো। কিন্তু তাঁদের তো একজন সাধারণ শিক্ষার্থীকে নিয়ে ভাবার সুযোগ নেই। আর আমিও হয়রানির ভয়ে তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করার চেষ্টা করিনি।’
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন কাজকে দায়িত্বহীন কাজ মনে করেন আলিমুল। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং এই ক্যাম্পাসের ভালো-মন্দ দেখা প্রশাসনের দায়িত্ব। কিন্তু এতো বড় একটা ঘটনার পর শিক্ষার্থীদের খোঁজ খবর রাখতে ব্যর্থ তাঁরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট একটা ব্যাপারে প্রশাসনের এমন উদাসীনতা কাম্য নয় বলে মনে করেন এই শিক্ষার্থী।
সংঘর্ষে আহত ফারসি বিভাগের ছাত্র মিজবাহুল ইসলাম বলেন, আঘাত পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাকে খুব বেশি সাহায্য করেনি। প্রশাসন বলেছিল চিকিৎসা করে আসো, পরবর্তী সময় আমরা তোমাকে টাকা দিব। ঘটনার পর প্রথম আমি ভারত গিয়েছিলাম। সেখানে কয়েক দফায় চিকিৎসা করাতে আমার ৬ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাকে মাত্র ৫০ হাজার টাকা সহায়তা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সহায়তার জন্য বিশ্ববিদ্যায়লয়ের ছাত্র উপদেষ্টা, উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যের কাছে গেলেও আশানুরুপ কোনো সহায়তা পাইনি। এছাড়া স্বাস্থ্য বীমা থেকে টাকা দেওয়ার কথা ছিল, এখনো দেয়নি। আমি এখনো সুস্থ হয়ে উঠতে পারিনি। চোখে মাত্র ২০ শতাংশ দেখতে পাই। এখন কোনো লেখা পড়তে পারি না।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম সাউদ বলেন, ‘ওই ঘটনায় আহত যারা যোগাযোগ করেছিল, সবাইকে সহযোগিতা করা হয়েছিল। এখন যদি কেউ যোগাযোগ না করে অভিযোগ করে, তাহলে সেটা দুঃখজনক।’
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, ‘আহত শিক্ষার্থীদের সাহায্যের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে জেনে বলতে হবে। আহত শিক্ষার্থীদের বলবো তারা যেনো সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করে। তবে প্রশাসনের অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতার কথাও শিক্ষার্থীদের চিন্তা করতে হবে।’
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
১২ আগস্ট ২০২৫লক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
১২ আগস্ট ২০২৫দুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
১২ আগস্ট ২০২৫চট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫