চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধি
চারঘাট উপজেলার বুক চিরে বয়ে চলা বড়াল নদী ঘিরে ধরেছে এখানকার দখলদাররা। বছরের পর বছর সীমানা নির্ধারণ, যৌথ জরিপ, জনবল সংকটসহ বিভিন্ন অজুহাতে অবৈধ নদী দখল উচ্ছেদ কার্যক্রম বন্ধ থাকার সুযোগে অবৈধ দখলদাররা এখন স্থায়ীভাবে নদী দখল ও ভরাট করে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করছে।
২০১৯ সালে রাজশাহী জেলার অবৈধ নদ-নদী, খাল-বিল, জলাশয় ও পুকুর দখলকারী ১৯৬ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়। এতে চারঘাট উপজেলারই রয়েছে ৫৬ জন দখলকারীর নাম। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ড কিংবা স্থানীয় প্রশাসনের এসব দখলদারদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না থাকায় গড়ে উঠছে নতুন নতুন স্থাপনা।
জানা যায়, দখলদারদের তালিকা প্রকাশের পরেও পেশিশক্তির প্রভাব আর প্রভাবশালীদের বাধার মুখে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে পারছে না স্থানীয় প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড। উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী একাধিকবার সীমানা নির্ধারণ করতে গিয়ে হামলা শিকার হয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা না পাওয়ায়, পরবর্তীতে আর বিষয়গুলো সুষ্ঠুভাবে সমাধান করা হয়নি। আর এ সুযোগে বছরের পর বছর দখলকারীরা রয়েছে বহাল তবিয়তে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দখলদারদের তালিকা প্রকাশের পর গত দুই বছরে সবচেয়ে বেশি দখলের শিকার হয়েছে বড়াল নদী। চারঘাট পৌরসভা কর্তৃপক্ষ বড়াল নদী দখল করে তিনটি পাবলিক টয়লেট ও রাস্তা নির্মাণ করেছে। এ ছাড়াও চারঘাট বাজার ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আশপাশসহ বড়াল নদীর প্রায় সব স্থানে চলছে দখল। বিভিন্ন দলের স্থানীয় নেতাদের ছত্র ছায়ায় এলাকার কিছু প্রভাবশালী যে যেভাবে পারছেন নদীর পাড় দখল করে বাড়ি, মার্কেট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বিস্কুট ফ্যাক্টরি, আড়ত স্থাপন করছেন।
চারঘাট বাসস্ট্যান্ডের পূর্ব পাশে বড়াল নদীর জমি দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে সুবিশাল মার্কেট। এই মার্কেটের মালিক বিএনপি নেতা বেলাল হোসেন। বাসস্ট্যান্ডের ঠিক পেছনেই নদীর জমিতে গড়ে উঠেছে বাধন বিস্কুট ফ্যাক্টরি। এই বিস্কুট ফ্যাক্টরির মালিক আজিজুল ইসলাম। তবে তিনি এক ব্যক্তিকে প্রতি মাসে ভাড়া দিয়ে জায়গাটা ব্যবহার করছেন বলে জানিয়েছেন।
নদীর পাড় ঘিরে গড়ে ওঠা এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা জানান, তাঁরা শুধু দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করছেন, নদী দখলের বিষয়ে তাঁরা কিছু জানেন না। তাঁরা প্রতি মাসের নির্দিষ্ট সময়ে ভাড়া দিয়েই এসব জায়গায় ব্যবসা করছেন।
বড়াল নদী রক্ষা আন্দোলনের চারঘাট উপজেলা সভাপতি সাইফুল ইসলাম বাদশা জানান, চারঘাটে ৫৬ জন দখলদারের তালিকা তৈরি হয়েছে, তাতে সিংহ ভাগ দখলদারই তালিকার বাইরে থেকে গেছে। পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুত করে দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নয়তো বড়াল নদী চারঘাটের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে।
বড়াল নদী রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা নাটোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মখলেসুর রহমান বলেন, বড়াল নদী পর্যবেক্ষণ করে একটি প্রতিবেদন তৈরির কাজ চলছে। মাস খানিক পরে এই প্রতিবেদন হাতে পেলে তালিকা অনুযায়ী উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
চারঘাট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিয়তি রানী কৈরী বলেন, দখলদারদের তালিকা সৃজন করে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। আর পৌরসভার একটি পাবলিক টয়লেট আমি যোগদানের পূর্বে নির্মাণ করা হয়েছে। তবে কিছুদিন আগে নির্মিত পাবলিক টয়লেটের কাজ বন্ধ করা হয়েছে।
চারঘাট উপজেলার বুক চিরে বয়ে চলা বড়াল নদী ঘিরে ধরেছে এখানকার দখলদাররা। বছরের পর বছর সীমানা নির্ধারণ, যৌথ জরিপ, জনবল সংকটসহ বিভিন্ন অজুহাতে অবৈধ নদী দখল উচ্ছেদ কার্যক্রম বন্ধ থাকার সুযোগে অবৈধ দখলদাররা এখন স্থায়ীভাবে নদী দখল ও ভরাট করে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করছে।
২০১৯ সালে রাজশাহী জেলার অবৈধ নদ-নদী, খাল-বিল, জলাশয় ও পুকুর দখলকারী ১৯৬ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়। এতে চারঘাট উপজেলারই রয়েছে ৫৬ জন দখলকারীর নাম। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ড কিংবা স্থানীয় প্রশাসনের এসব দখলদারদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না থাকায় গড়ে উঠছে নতুন নতুন স্থাপনা।
জানা যায়, দখলদারদের তালিকা প্রকাশের পরেও পেশিশক্তির প্রভাব আর প্রভাবশালীদের বাধার মুখে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে পারছে না স্থানীয় প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড। উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী একাধিকবার সীমানা নির্ধারণ করতে গিয়ে হামলা শিকার হয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা না পাওয়ায়, পরবর্তীতে আর বিষয়গুলো সুষ্ঠুভাবে সমাধান করা হয়নি। আর এ সুযোগে বছরের পর বছর দখলকারীরা রয়েছে বহাল তবিয়তে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দখলদারদের তালিকা প্রকাশের পর গত দুই বছরে সবচেয়ে বেশি দখলের শিকার হয়েছে বড়াল নদী। চারঘাট পৌরসভা কর্তৃপক্ষ বড়াল নদী দখল করে তিনটি পাবলিক টয়লেট ও রাস্তা নির্মাণ করেছে। এ ছাড়াও চারঘাট বাজার ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আশপাশসহ বড়াল নদীর প্রায় সব স্থানে চলছে দখল। বিভিন্ন দলের স্থানীয় নেতাদের ছত্র ছায়ায় এলাকার কিছু প্রভাবশালী যে যেভাবে পারছেন নদীর পাড় দখল করে বাড়ি, মার্কেট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বিস্কুট ফ্যাক্টরি, আড়ত স্থাপন করছেন।
চারঘাট বাসস্ট্যান্ডের পূর্ব পাশে বড়াল নদীর জমি দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে সুবিশাল মার্কেট। এই মার্কেটের মালিক বিএনপি নেতা বেলাল হোসেন। বাসস্ট্যান্ডের ঠিক পেছনেই নদীর জমিতে গড়ে উঠেছে বাধন বিস্কুট ফ্যাক্টরি। এই বিস্কুট ফ্যাক্টরির মালিক আজিজুল ইসলাম। তবে তিনি এক ব্যক্তিকে প্রতি মাসে ভাড়া দিয়ে জায়গাটা ব্যবহার করছেন বলে জানিয়েছেন।
নদীর পাড় ঘিরে গড়ে ওঠা এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা জানান, তাঁরা শুধু দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করছেন, নদী দখলের বিষয়ে তাঁরা কিছু জানেন না। তাঁরা প্রতি মাসের নির্দিষ্ট সময়ে ভাড়া দিয়েই এসব জায়গায় ব্যবসা করছেন।
বড়াল নদী রক্ষা আন্দোলনের চারঘাট উপজেলা সভাপতি সাইফুল ইসলাম বাদশা জানান, চারঘাটে ৫৬ জন দখলদারের তালিকা তৈরি হয়েছে, তাতে সিংহ ভাগ দখলদারই তালিকার বাইরে থেকে গেছে। পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুত করে দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নয়তো বড়াল নদী চারঘাটের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে।
বড়াল নদী রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা নাটোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মখলেসুর রহমান বলেন, বড়াল নদী পর্যবেক্ষণ করে একটি প্রতিবেদন তৈরির কাজ চলছে। মাস খানিক পরে এই প্রতিবেদন হাতে পেলে তালিকা অনুযায়ী উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
চারঘাট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিয়তি রানী কৈরী বলেন, দখলদারদের তালিকা সৃজন করে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। আর পৌরসভার একটি পাবলিক টয়লেট আমি যোগদানের পূর্বে নির্মাণ করা হয়েছে। তবে কিছুদিন আগে নির্মিত পাবলিক টয়লেটের কাজ বন্ধ করা হয়েছে।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
১২ আগস্ট ২০২৫লক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
১২ আগস্ট ২০২৫দুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
১২ আগস্ট ২০২৫চট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫