রাবি প্রতিনিধি
‘গত ৩ বছরে মাত্র তিন সেমিস্টার শেষ হয়েছে। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ক্লাস শুরু হয়েছে আমাদের। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে এসে তৃতীয় সেমিস্টার এক্সাম দিচ্ছি। করোনার কারণে দেড় বছরের যে সেশনজট সৃষ্টি হয়েছে, তা কমিয়ে আনতে প্রশাসনের তেমন কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ দেখতে পাইনি। যা আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য একটা অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ কথাগুলো বলছিলেন—রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাকিল আহমেদ।
শাকিল আহমেদের মতো ভয়াবহ সেশন জটের কবলে পড়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ৬১ বিভাগের মধ্যে ৫৬ টির শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর তিন বছর পার হলেও এখনো দ্বিতীয় বর্ষের গণ্ডি পেরোতে পারেননি ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। গত বছরের ডিসেম্বরে ক্লাস শুরু করা ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা ১ম সেমিস্টার শেষ করে সবেমাত্র ২য় সেমিস্টার শুরু করেছেন। অন্য বর্ষের শিক্ষার্থীদেরও একই অবস্থা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, করোনা পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ না নেওয়ায় এই জটের সৃষ্টি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের টুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের তৃতীয় বর্ষের ক্লাস শুরু হয়েছে আগস্ট মাস থেকে। গণিত বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ক্লাস শুরু হয়েছে ৩০ অক্টোবর, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ১৩ নভেম্বর, ফলিত গণিত বিভাগের ১০ নভেম্বর এবং প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের ৮ ডিসেম্বর থেকে।
অন্যদিকে, বাকি ৫৬টি বিভাগের অধিকাংশ বিভাগের ২০১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের এখনো দ্বিতীয় বর্ষের ক্লাস চলছে। কয়েকটি বিভাগে দ্বিতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা চলছে এবং কয়েকটিতে চূড়ান্ত পরীক্ষা শিগগিরই শুরু হবে। এ ছাড়া এমনও বিভাগ রয়েছে যেখানে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় বর্ষের ক্লাস এখনো শুরু হয়নি। এমন অবস্থায় চরম হতাশা প্রকাশ করেছেন সেশনজটে ভোগা শিক্ষার্থীরা।
সেশনজটমুক্ত ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সোহান ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘আমাদের বিভাগে জট না থাকার কারণ হচ্ছে বিভাগের সভাপতিসহ শিক্ষকদের আন্তরিকতা এবং সময়মতো ক্লাস-পরীক্ষা নেওয়া। এ ছাড়া করোনাকালের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবং বিভাগকে গতিশীল রাখতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পারস্পরিক সহযোগিতাও বিভাগে সেশনজট না থাকার আরেকটি বড় কারণ।’
সেশনজটের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু বিভাগে সেশনজট আছে, এটা সত্য। একটা সময় ছিল যখন চার বছরের প্রোগ্রাম শেষ হতে সাত-আট বছর লেগে যেত। সে তুলনায় এখন সেশনজট অনেক কমে গেছে। করোনার কারণে আমরা অনেকটা পিছিয়ে পড়েছি। আবার নিয়োগ কার্যক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা থাকায় বর্তমানে কিছুটা শিক্ষক সংকটও রয়েছে। আমরা প্রশাসনিকভাবে সেশনজট কামিয়ে আনার চেষ্টা করছি। তবে রাতারাতি এটাকে জিরো লেভেলে আনা সম্ভব না।’
পাঁচটি বিভাগ কীভাবে সেশনজটমুক্ত আছে জানতে চাইলে সহ-উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর আরও বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্তশাসিত। এর প্রভাবও কিছুটা রয়েছে এখানে। যে বিভাগগুলো এগিয়ে গেছে, তাদের হয়তো চেষ্টা ও আন্তরিকতা ছিল বা তাদের অন্যান্য জটিলতা নেই। আর অন্যান্য বিভাগগুলো পিছিয়ে পড়ার পেছনে শিক্ষক স্বল্পতাও একটা কারণ হতে পারে।’
‘গত ৩ বছরে মাত্র তিন সেমিস্টার শেষ হয়েছে। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ক্লাস শুরু হয়েছে আমাদের। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে এসে তৃতীয় সেমিস্টার এক্সাম দিচ্ছি। করোনার কারণে দেড় বছরের যে সেশনজট সৃষ্টি হয়েছে, তা কমিয়ে আনতে প্রশাসনের তেমন কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ দেখতে পাইনি। যা আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য একটা অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ কথাগুলো বলছিলেন—রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাকিল আহমেদ।
শাকিল আহমেদের মতো ভয়াবহ সেশন জটের কবলে পড়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ৬১ বিভাগের মধ্যে ৫৬ টির শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর তিন বছর পার হলেও এখনো দ্বিতীয় বর্ষের গণ্ডি পেরোতে পারেননি ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। গত বছরের ডিসেম্বরে ক্লাস শুরু করা ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা ১ম সেমিস্টার শেষ করে সবেমাত্র ২য় সেমিস্টার শুরু করেছেন। অন্য বর্ষের শিক্ষার্থীদেরও একই অবস্থা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, করোনা পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ না নেওয়ায় এই জটের সৃষ্টি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের টুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের তৃতীয় বর্ষের ক্লাস শুরু হয়েছে আগস্ট মাস থেকে। গণিত বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ক্লাস শুরু হয়েছে ৩০ অক্টোবর, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ১৩ নভেম্বর, ফলিত গণিত বিভাগের ১০ নভেম্বর এবং প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের ৮ ডিসেম্বর থেকে।
অন্যদিকে, বাকি ৫৬টি বিভাগের অধিকাংশ বিভাগের ২০১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের এখনো দ্বিতীয় বর্ষের ক্লাস চলছে। কয়েকটি বিভাগে দ্বিতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা চলছে এবং কয়েকটিতে চূড়ান্ত পরীক্ষা শিগগিরই শুরু হবে। এ ছাড়া এমনও বিভাগ রয়েছে যেখানে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় বর্ষের ক্লাস এখনো শুরু হয়নি। এমন অবস্থায় চরম হতাশা প্রকাশ করেছেন সেশনজটে ভোগা শিক্ষার্থীরা।
সেশনজটমুক্ত ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সোহান ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘আমাদের বিভাগে জট না থাকার কারণ হচ্ছে বিভাগের সভাপতিসহ শিক্ষকদের আন্তরিকতা এবং সময়মতো ক্লাস-পরীক্ষা নেওয়া। এ ছাড়া করোনাকালের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবং বিভাগকে গতিশীল রাখতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পারস্পরিক সহযোগিতাও বিভাগে সেশনজট না থাকার আরেকটি বড় কারণ।’
সেশনজটের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু বিভাগে সেশনজট আছে, এটা সত্য। একটা সময় ছিল যখন চার বছরের প্রোগ্রাম শেষ হতে সাত-আট বছর লেগে যেত। সে তুলনায় এখন সেশনজট অনেক কমে গেছে। করোনার কারণে আমরা অনেকটা পিছিয়ে পড়েছি। আবার নিয়োগ কার্যক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা থাকায় বর্তমানে কিছুটা শিক্ষক সংকটও রয়েছে। আমরা প্রশাসনিকভাবে সেশনজট কামিয়ে আনার চেষ্টা করছি। তবে রাতারাতি এটাকে জিরো লেভেলে আনা সম্ভব না।’
পাঁচটি বিভাগ কীভাবে সেশনজটমুক্ত আছে জানতে চাইলে সহ-উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর আরও বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্তশাসিত। এর প্রভাবও কিছুটা রয়েছে এখানে। যে বিভাগগুলো এগিয়ে গেছে, তাদের হয়তো চেষ্টা ও আন্তরিকতা ছিল বা তাদের অন্যান্য জটিলতা নেই। আর অন্যান্য বিভাগগুলো পিছিয়ে পড়ার পেছনে শিক্ষক স্বল্পতাও একটা কারণ হতে পারে।’
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
১২ আগস্ট ২০২৫লক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
১২ আগস্ট ২০২৫দুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
১২ আগস্ট ২০২৫চট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫