রাবি প্রতিনিধি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী কৃষ্ণ রায়কে ‘শিবির’ আখ্যা দিয়ে হত্যার হুমকির ঘটনায় জড়িতদের ছাত্রত্ব বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের দক্ষিণ ফটকে আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে তাঁরা এ দাবি জানান।
কর্মসূচিতে বিভাগের বক্তারা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন নির্যাতনের ঘটনা প্রতিনিয়ত দেখা যায়। ছাত্রলীগ টাকার বিনিময়ে অথবা তাঁদের কর্মীকে হলে তোলে। যেখানে একজন সাধারণ শিক্ষার্থী তাঁর নৈতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। কৃষ্ণ রায়ের মতো একজন হিন্দু শিক্ষার্থীকে শিবির আখ্যা দিয়ে নির্যাতন করে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের এসব ঘটনায় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শৃঙ্খলা কমিটি আছে। কিন্তু দীর্ঘদিন এই কমিটির কোনো কার্যক্রম নেই। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের ছাত্রত্ব বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।’
মানববন্ধনে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক সাজ্জাদ বকুল বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি, ধীরে ধীরে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে উঠছে। অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে। বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে একটি রোল মডেল হয়ে উঠছে। আজ তাদেরই একটা অংশ যে কর্মকাণ্ডগুলো করছে, তাদের যদি যথাযথভাবে শাস্তি দিতে না পারি, তাহলে আমরা বাংলাদেশকে সেই জায়গায় নিয়ে যেতে পারব না। আমাদের শিক্ষার্থী কৃষ্ণ রায়ের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে, আমি তার সুষ্ঠু তদন্ত এবং এর সঙ্গে সম্পৃক্তদের বিচার চাই। সেই সঙ্গে তাদের ছাত্রত্ব বাতিলেরও দাবি জানাই।’
বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটা শিক্ষার্থীর অধিকার আছে কথা বলার, প্রতিবাদ করার। আর আমার সহকর্মী, তার সন্তান মার খাচ্ছে আর সে যাচ্ছে ছাত্রলীগের সাথে সমঝোতা করতে! এই অবস্থা শুধু আমাদের রাজশাহীতে না রুয়েট, কুয়েট, ঢাবিসহ সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। এই কালচার থেকে আমাদের বেরিয়ে এসে অন্যায়ের সাথে কোনো ধরনের আপস না করে প্রতিবাদ করতে হবে।’
বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবদুল্লাহ হীল বাকী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু অসাধারণ শিক্ষার্থী আছে, যারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের মারধর করে। খবরে দেখলাম কৃষ্ণকে শিবির বলে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। মারধরও করা হয়েছে। কিন্তু আমি তার সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পারলাম কৃষ্ণ লাশ হয়ে গেছে। সে এখন মানসিক ট্রমার মধ্যে আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে হলগুলোতে শুনেছি টর্চার সেল আছে, আবার এদিকে প্রশাসনের বিল্ডিংগুলোতে আপস বা সালিসি কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। যেকোনো ঘটনা ঘটলে ওই আপস কেন্দ্রগুলোতে মীমাংসা চলে।’
মানববন্ধনে বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মামুন হায়দার বলেন, ‘আজ এমন একটি পরিস্থিতিতে আমরা দাঁড়িয়েছি–এই ঘটনাটি শুধু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নয়। গত কয়েক দিনে বাংলাদেশের অনেকগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটেছে। আমরা পাতাল রেলে যাচ্ছি, আমরা কর্ণফুলীর নিচ দিয়ে ট্রেন চালাচ্ছি। ওপর দিয়ে ট্রেন চালাচ্ছি। পুরো বাংলাদেশ ট্রেনময় করে তুলছি, কিন্তু আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হলে থাকতে পারছে না। এই বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশে আমরা অবস্থান করছি।’
কর্মসূচিটি সঞ্চালনা করেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ফাহিম আহমদ। এ সময় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক এ বি এম সাইফুল ইসলাম, লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক স্বপ্নীল আহমেদসহ বিভাগের একাধিক শিক্ষার্থী বক্তব্য দেন। মানববন্ধনে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম ইসলাম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সোলাইমানের নেতৃত্বে কৃষ্ণ রায় নামের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়। এ সময় তাঁকে মারধর করে ‘শিবির’ বলে চালিয়ে দেওয়ারও হুমকি দেন ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হল প্রাধ্যক্ষ ও প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। হল প্রাধ্যক্ষ ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী কৃষ্ণ রায়কে ‘শিবির’ আখ্যা দিয়ে হত্যার হুমকির ঘটনায় জড়িতদের ছাত্রত্ব বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের দক্ষিণ ফটকে আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে তাঁরা এ দাবি জানান।
কর্মসূচিতে বিভাগের বক্তারা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন নির্যাতনের ঘটনা প্রতিনিয়ত দেখা যায়। ছাত্রলীগ টাকার বিনিময়ে অথবা তাঁদের কর্মীকে হলে তোলে। যেখানে একজন সাধারণ শিক্ষার্থী তাঁর নৈতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। কৃষ্ণ রায়ের মতো একজন হিন্দু শিক্ষার্থীকে শিবির আখ্যা দিয়ে নির্যাতন করে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের এসব ঘটনায় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শৃঙ্খলা কমিটি আছে। কিন্তু দীর্ঘদিন এই কমিটির কোনো কার্যক্রম নেই। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের ছাত্রত্ব বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।’
মানববন্ধনে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক সাজ্জাদ বকুল বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি, ধীরে ধীরে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে উঠছে। অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে। বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে একটি রোল মডেল হয়ে উঠছে। আজ তাদেরই একটা অংশ যে কর্মকাণ্ডগুলো করছে, তাদের যদি যথাযথভাবে শাস্তি দিতে না পারি, তাহলে আমরা বাংলাদেশকে সেই জায়গায় নিয়ে যেতে পারব না। আমাদের শিক্ষার্থী কৃষ্ণ রায়ের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে, আমি তার সুষ্ঠু তদন্ত এবং এর সঙ্গে সম্পৃক্তদের বিচার চাই। সেই সঙ্গে তাদের ছাত্রত্ব বাতিলেরও দাবি জানাই।’
বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটা শিক্ষার্থীর অধিকার আছে কথা বলার, প্রতিবাদ করার। আর আমার সহকর্মী, তার সন্তান মার খাচ্ছে আর সে যাচ্ছে ছাত্রলীগের সাথে সমঝোতা করতে! এই অবস্থা শুধু আমাদের রাজশাহীতে না রুয়েট, কুয়েট, ঢাবিসহ সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। এই কালচার থেকে আমাদের বেরিয়ে এসে অন্যায়ের সাথে কোনো ধরনের আপস না করে প্রতিবাদ করতে হবে।’
বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবদুল্লাহ হীল বাকী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু অসাধারণ শিক্ষার্থী আছে, যারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের মারধর করে। খবরে দেখলাম কৃষ্ণকে শিবির বলে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। মারধরও করা হয়েছে। কিন্তু আমি তার সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পারলাম কৃষ্ণ লাশ হয়ে গেছে। সে এখন মানসিক ট্রমার মধ্যে আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে হলগুলোতে শুনেছি টর্চার সেল আছে, আবার এদিকে প্রশাসনের বিল্ডিংগুলোতে আপস বা সালিসি কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। যেকোনো ঘটনা ঘটলে ওই আপস কেন্দ্রগুলোতে মীমাংসা চলে।’
মানববন্ধনে বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মামুন হায়দার বলেন, ‘আজ এমন একটি পরিস্থিতিতে আমরা দাঁড়িয়েছি–এই ঘটনাটি শুধু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নয়। গত কয়েক দিনে বাংলাদেশের অনেকগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটেছে। আমরা পাতাল রেলে যাচ্ছি, আমরা কর্ণফুলীর নিচ দিয়ে ট্রেন চালাচ্ছি। ওপর দিয়ে ট্রেন চালাচ্ছি। পুরো বাংলাদেশ ট্রেনময় করে তুলছি, কিন্তু আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হলে থাকতে পারছে না। এই বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশে আমরা অবস্থান করছি।’
কর্মসূচিটি সঞ্চালনা করেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ফাহিম আহমদ। এ সময় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক এ বি এম সাইফুল ইসলাম, লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক স্বপ্নীল আহমেদসহ বিভাগের একাধিক শিক্ষার্থী বক্তব্য দেন। মানববন্ধনে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম ইসলাম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সোলাইমানের নেতৃত্বে কৃষ্ণ রায় নামের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়। এ সময় তাঁকে মারধর করে ‘শিবির’ বলে চালিয়ে দেওয়ারও হুমকি দেন ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হল প্রাধ্যক্ষ ও প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। হল প্রাধ্যক্ষ ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
১২ আগস্ট ২০২৫লক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
১২ আগস্ট ২০২৫দুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
১২ আগস্ট ২০২৫চট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫