নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

নাটোরের লালপুরে যুবলীগ নেতা খাইরুল ইসলাম (৩৭) হত্যা মামলায় ১৩ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহীর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহা. মহিদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের আদেশের পর ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে তাণ্ডব শুরু করেন জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা। সেদিন খাইরুল ইসলামকে হত্যা করা হয়।
এদিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় রায়ে আদালত ৫৪ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। এ রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহত খাইরুলের স্বজনেরা। তাঁরা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডিত ১৩ আসামির কেউই উপস্থিত ছিলেন না। আদালত তাঁদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেছেন।
দণ্ডিত আসামিরা হলেন লালপুর উপজেলার পুকুরপাড়া চিলান গ্রামের সানা প্রামাণিক, করিম ও তাঁর ভাই খলিল, মতি সরদার, মকলেছ সরদার, মকলেছের ছেলে মহসিন, রানা, আনিসুর, আবদুর রাজ্জাক, জার্জিস, কদিম চিলান গ্রামের আবুল কালাম আজাদ প্রিন্স, মো. কালাম ও মিজানুর রহমান। তাঁরা সবাই জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মী বলে জানা গেছে।
নিহত খাইরুল লালপুর উপজেলার কদিমচিলান ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পেশায় নিরাপত্তাপ্রহরী ছিলেন তিনি। খাইরুলকে খুনের ঘটনায় তাঁর ভাই শাহীনুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেছিলেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আদালত ১৩ আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন। জরিমানার অর্থ অনাদায়ে আরও তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ অনুযায়ী, ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ হয়। এই রায়ের পর আসামিরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কদিমচিলান বাজারের বাসস্ট্যান্ডের কাছে মিছিল বের করেন। আসামিরা গুলিবর্ষণ করে এবং ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে। একপর্যায়ে তাঁরা পুকুরপাড়া চিলান গ্রামে যুবলীগ নেতা খাইরুল ইসলামের চাচা আবদুল জলিলের বাড়িতে ঢুকে পরিবারের সদস্যদের আক্রমণ করেন। তাঁরা বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন। বাড়িতে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান মালামাল লুট করেন।
জলিলের স্ত্রী মাজেদা বেগম বাধা দিতে গেলে আসামিরা তাঁকে কুপিয়ে জখম করেন। পরে জলিলের বাড়ি পেট্রল ঢেলে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় জলিল ও তাঁর স্ত্রী মাজেদার চিৎকারে যুবলীগ নেতা খাইরুল ইসলাম বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। তখন বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে আসামিরা তাঁকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এর পরও আসামিরা ক্ষান্ত হয়নি। খাইরুলের মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে পেটানো হয়। একপর্যায়ে ঘটনাস্থলেই খাইরুলের মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে সেদিনই নিহত খাইরুলের ভাই শাহীনুর রহমান লালপুর থানায় ৬০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। পরে পুলিশ তদন্ত করে ৬৭ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এ মামলায় ১৩ জনের সাজা হলো। অন্য সবাই বেকসুর খালাস পেলেন। যদিও রায় ঘোষণার সময় কোনো আসামি আদালতে হাজির ছিলেন না।
তবে আদালতে ছিলেন নিহত খাইরুলের আত্মীয়স্বজন। রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে খাইরুল ইসলামের ছেলে জুবায়ের ইসলাম বলেন, ‘মামলাটি হাইকোর্টে নিয়ে দীর্ঘদিন এর বিচার কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছিল। একপর্যায়ে নথিপত্র খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। আমরা বহু কষ্টে নথি জোগাড় করে আবার মামলাটি সক্রিয় করি। দীর্ঘদিন পর রায় হলো, কিন্তু সবার সাজা হলো না। অথচ দিনদুপুরে সবার সামনেই বাবাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হলো। তাই এ রায়ে আমরা খুশি নই। উচ্চ আদালতে আপিল করব। সেখানে আবার মামলার নথিপত্র গায়েব হয়ে যায় কিনা তা নিয়ে আমাদের শঙ্কা রয়েছে।’
রায়ের বিষয়ে সন্তোষ কিংবা অসন্তোষ প্রকাশ করেননি রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু। তিনি বলেন, ‘আদালত ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেছেন। আগে রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি তুলব। সেটা পর্যালোচনা করব। তারপর মন্তব্য করব। পরবর্তী সিদ্ধান্তের বিষয়ে তখনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

নাটোরের লালপুরে যুবলীগ নেতা খাইরুল ইসলাম (৩৭) হত্যা মামলায় ১৩ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহীর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহা. মহিদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের আদেশের পর ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে তাণ্ডব শুরু করেন জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা। সেদিন খাইরুল ইসলামকে হত্যা করা হয়।
এদিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় রায়ে আদালত ৫৪ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। এ রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহত খাইরুলের স্বজনেরা। তাঁরা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডিত ১৩ আসামির কেউই উপস্থিত ছিলেন না। আদালত তাঁদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেছেন।
দণ্ডিত আসামিরা হলেন লালপুর উপজেলার পুকুরপাড়া চিলান গ্রামের সানা প্রামাণিক, করিম ও তাঁর ভাই খলিল, মতি সরদার, মকলেছ সরদার, মকলেছের ছেলে মহসিন, রানা, আনিসুর, আবদুর রাজ্জাক, জার্জিস, কদিম চিলান গ্রামের আবুল কালাম আজাদ প্রিন্স, মো. কালাম ও মিজানুর রহমান। তাঁরা সবাই জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মী বলে জানা গেছে।
নিহত খাইরুল লালপুর উপজেলার কদিমচিলান ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পেশায় নিরাপত্তাপ্রহরী ছিলেন তিনি। খাইরুলকে খুনের ঘটনায় তাঁর ভাই শাহীনুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেছিলেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আদালত ১৩ আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন। জরিমানার অর্থ অনাদায়ে আরও তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ অনুযায়ী, ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ হয়। এই রায়ের পর আসামিরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কদিমচিলান বাজারের বাসস্ট্যান্ডের কাছে মিছিল বের করেন। আসামিরা গুলিবর্ষণ করে এবং ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে। একপর্যায়ে তাঁরা পুকুরপাড়া চিলান গ্রামে যুবলীগ নেতা খাইরুল ইসলামের চাচা আবদুল জলিলের বাড়িতে ঢুকে পরিবারের সদস্যদের আক্রমণ করেন। তাঁরা বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন। বাড়িতে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান মালামাল লুট করেন।
জলিলের স্ত্রী মাজেদা বেগম বাধা দিতে গেলে আসামিরা তাঁকে কুপিয়ে জখম করেন। পরে জলিলের বাড়ি পেট্রল ঢেলে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় জলিল ও তাঁর স্ত্রী মাজেদার চিৎকারে যুবলীগ নেতা খাইরুল ইসলাম বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। তখন বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে আসামিরা তাঁকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এর পরও আসামিরা ক্ষান্ত হয়নি। খাইরুলের মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে পেটানো হয়। একপর্যায়ে ঘটনাস্থলেই খাইরুলের মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে সেদিনই নিহত খাইরুলের ভাই শাহীনুর রহমান লালপুর থানায় ৬০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। পরে পুলিশ তদন্ত করে ৬৭ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এ মামলায় ১৩ জনের সাজা হলো। অন্য সবাই বেকসুর খালাস পেলেন। যদিও রায় ঘোষণার সময় কোনো আসামি আদালতে হাজির ছিলেন না।
তবে আদালতে ছিলেন নিহত খাইরুলের আত্মীয়স্বজন। রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে খাইরুল ইসলামের ছেলে জুবায়ের ইসলাম বলেন, ‘মামলাটি হাইকোর্টে নিয়ে দীর্ঘদিন এর বিচার কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছিল। একপর্যায়ে নথিপত্র খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। আমরা বহু কষ্টে নথি জোগাড় করে আবার মামলাটি সক্রিয় করি। দীর্ঘদিন পর রায় হলো, কিন্তু সবার সাজা হলো না। অথচ দিনদুপুরে সবার সামনেই বাবাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হলো। তাই এ রায়ে আমরা খুশি নই। উচ্চ আদালতে আপিল করব। সেখানে আবার মামলার নথিপত্র গায়েব হয়ে যায় কিনা তা নিয়ে আমাদের শঙ্কা রয়েছে।’
রায়ের বিষয়ে সন্তোষ কিংবা অসন্তোষ প্রকাশ করেননি রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু। তিনি বলেন, ‘আদালত ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেছেন। আগে রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি তুলব। সেটা পর্যালোচনা করব। তারপর মন্তব্য করব। পরবর্তী সিদ্ধান্তের বিষয়ে তখনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
১২ আগস্ট ২০২৫
লক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
১২ আগস্ট ২০২৫
দুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
১২ আগস্ট ২০২৫
চট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫