রাজশাহী প্রতিনিধি
এবার লাঞ্ছনার শিকার অধ্যক্ষ মো. সেলীম রেজার দপ্তরে দলবল নিয়ে ঘুরে এলেন রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ওমর ফারুক চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে তিনি রাজাবাড়ী ডিগ্রি কলেজে গিয়ে অধ্যক্ষের পাশে প্রায় ৩০ মিনিট বসে ছিলেন।
এ সময় কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদুল হক ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন সোহেলসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এই কলেজের অধ্যক্ষকেই ৭ জুলাই এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী মারধর করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনার পর লোকচক্ষুর আড়ালেই ছিলেন অধ্যক্ষ। তাঁকে মারধরের খবরে দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় উঠলে ১৪ জুলাই অধ্যক্ষকে নিয়ে নিজের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন ওমর ফারুক চৌধুরী। সেখানে অধ্যক্ষ সেলীম রেজা দাবি করেন, এমপি তাঁকে মারধর করেননি। আর এমপি দাবি করেন, তাঁকে নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ।
এর প্রতিবাদে গতকাল শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের একটি অডিও রেকর্ড দেন। দাবি করা হয়, এটি অধ্যক্ষ সেলীম রেজা ও আওয়ামী লীগের এক নেতার কথোপকথন। অডিওতে শোনা যায়, নিজেকে অধ্যক্ষ দাবি করা ব্যক্তি এমপির হাতে মারধর শিকার হওয়ার ঘটনা বর্ণনা করছেন।
এ নিয়ে এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী প্রকাশিত একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের ফেসবুক পেজে আজ রোববার দুপুরে অধ্যক্ষের সাক্ষাৎকার লাইভ করা হয়। পোর্টালটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান সম্পাদক নিজেই ওই অধ্যক্ষের দীর্ঘ সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন। ওই সময় এমপিও কলেজ ক্যাম্পাসে ছিলেন।
সাক্ষাৎকারে অধ্যক্ষ সেলীম রেজা বলেন, আসাদুজ্জামান আসাদ যে অডিও রেকর্ড প্রকাশ করেছেন সেটি তাঁর নয়। অডিওটি তাঁর ভয়েস ক্লোন করে বানানো। অধ্যক্ষ সেলীম রেজা দাবি করেন, আসাদ তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন ঠিকই, তবে তাঁর সঙ্গে মারধর নিয়ে কোনো কথা হয়নি।
দোতলা থেকে যখন লাইভটি প্রচার করা হচ্ছিল তখন কলেজের মাঠে এমপির ব্যবহৃত গাড়িটিও দেখা গেছে।
হঠাৎ কলেজে যাওয়ার কারণ জানতে এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীকে ফোন করা হলে তিনি জবাব দেননি। তবে তাঁর সঙ্গে যাওয়া দলীয় এক নেতা দাবি করেছেন, অধ্যক্ষের কক্ষে আলোচনার সময় মারধরের ঘটনা নিয়ে কোনো কথা হয়নি। অন্য নানা বিষয়ে অধ্যক্ষ, গভর্নিং বডি ও শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেছেন এমপি।
এদিকে অধ্যক্ষ সেলীম রেজাকে মারধরের অভিযোগটি তদন্ত করছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি। ১৪ জুলাই থেকেই কমিটির সদস্যরা রাজশাহীতে আছেন। আসাদুজ্জামান আসাদের দেওয়া অডিওতে দুই ব্যক্তির কথোপকথনে আরও যেসব ব্যক্তির নাম এসেছে আজ কমিটির সদস্যরা তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে তদন্ত কমিটির প্রধান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেন বলেন, ‘আমরা তদন্তকাজ চালিয়ে যাচ্ছি। এরই মধ্যে ৫০ জনের বেশি মানুষের সঙ্গে আমরা এ বিষয়ে কথা বলেছি। তদন্তের প্রতিটি পর্যায়ে যার যার নাম পাওয়া যাচ্ছে তাদের প্রত্যেকের সঙ্গেই আমরা কথা বলছি। সর্বশেষ যে অডিওটি প্রকাশ হয়েছে এবং সেখানে যাদের নাম এসেছে তাদের সঙ্গেও কথা বলছি। আমরা পুরো বিষয়টা নিশ্চিত হচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘এই তদন্ত নিয়ে আমরা কোনো তাড়াহুড়ো করছি না। আস্তেধীরে সমস্ত কিছু বিশ্লেষণ করেই একটা সিদ্ধান্তে যাব। আমরা আমাদের প্রশাসনিক নিয়ম অনুযায়ীই কাজ করছি।’
এবার লাঞ্ছনার শিকার অধ্যক্ষ মো. সেলীম রেজার দপ্তরে দলবল নিয়ে ঘুরে এলেন রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ওমর ফারুক চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে তিনি রাজাবাড়ী ডিগ্রি কলেজে গিয়ে অধ্যক্ষের পাশে প্রায় ৩০ মিনিট বসে ছিলেন।
এ সময় কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদুল হক ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন সোহেলসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এই কলেজের অধ্যক্ষকেই ৭ জুলাই এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী মারধর করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনার পর লোকচক্ষুর আড়ালেই ছিলেন অধ্যক্ষ। তাঁকে মারধরের খবরে দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় উঠলে ১৪ জুলাই অধ্যক্ষকে নিয়ে নিজের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন ওমর ফারুক চৌধুরী। সেখানে অধ্যক্ষ সেলীম রেজা দাবি করেন, এমপি তাঁকে মারধর করেননি। আর এমপি দাবি করেন, তাঁকে নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ।
এর প্রতিবাদে গতকাল শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের একটি অডিও রেকর্ড দেন। দাবি করা হয়, এটি অধ্যক্ষ সেলীম রেজা ও আওয়ামী লীগের এক নেতার কথোপকথন। অডিওতে শোনা যায়, নিজেকে অধ্যক্ষ দাবি করা ব্যক্তি এমপির হাতে মারধর শিকার হওয়ার ঘটনা বর্ণনা করছেন।
এ নিয়ে এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী প্রকাশিত একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের ফেসবুক পেজে আজ রোববার দুপুরে অধ্যক্ষের সাক্ষাৎকার লাইভ করা হয়। পোর্টালটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান সম্পাদক নিজেই ওই অধ্যক্ষের দীর্ঘ সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন। ওই সময় এমপিও কলেজ ক্যাম্পাসে ছিলেন।
সাক্ষাৎকারে অধ্যক্ষ সেলীম রেজা বলেন, আসাদুজ্জামান আসাদ যে অডিও রেকর্ড প্রকাশ করেছেন সেটি তাঁর নয়। অডিওটি তাঁর ভয়েস ক্লোন করে বানানো। অধ্যক্ষ সেলীম রেজা দাবি করেন, আসাদ তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন ঠিকই, তবে তাঁর সঙ্গে মারধর নিয়ে কোনো কথা হয়নি।
দোতলা থেকে যখন লাইভটি প্রচার করা হচ্ছিল তখন কলেজের মাঠে এমপির ব্যবহৃত গাড়িটিও দেখা গেছে।
হঠাৎ কলেজে যাওয়ার কারণ জানতে এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীকে ফোন করা হলে তিনি জবাব দেননি। তবে তাঁর সঙ্গে যাওয়া দলীয় এক নেতা দাবি করেছেন, অধ্যক্ষের কক্ষে আলোচনার সময় মারধরের ঘটনা নিয়ে কোনো কথা হয়নি। অন্য নানা বিষয়ে অধ্যক্ষ, গভর্নিং বডি ও শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেছেন এমপি।
এদিকে অধ্যক্ষ সেলীম রেজাকে মারধরের অভিযোগটি তদন্ত করছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি। ১৪ জুলাই থেকেই কমিটির সদস্যরা রাজশাহীতে আছেন। আসাদুজ্জামান আসাদের দেওয়া অডিওতে দুই ব্যক্তির কথোপকথনে আরও যেসব ব্যক্তির নাম এসেছে আজ কমিটির সদস্যরা তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে তদন্ত কমিটির প্রধান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেন বলেন, ‘আমরা তদন্তকাজ চালিয়ে যাচ্ছি। এরই মধ্যে ৫০ জনের বেশি মানুষের সঙ্গে আমরা এ বিষয়ে কথা বলেছি। তদন্তের প্রতিটি পর্যায়ে যার যার নাম পাওয়া যাচ্ছে তাদের প্রত্যেকের সঙ্গেই আমরা কথা বলছি। সর্বশেষ যে অডিওটি প্রকাশ হয়েছে এবং সেখানে যাদের নাম এসেছে তাদের সঙ্গেও কথা বলছি। আমরা পুরো বিষয়টা নিশ্চিত হচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘এই তদন্ত নিয়ে আমরা কোনো তাড়াহুড়ো করছি না। আস্তেধীরে সমস্ত কিছু বিশ্লেষণ করেই একটা সিদ্ধান্তে যাব। আমরা আমাদের প্রশাসনিক নিয়ম অনুযায়ীই কাজ করছি।’
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
২২ দিন আগেলক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
২২ দিন আগেদুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
২২ দিন আগেচট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
২২ দিন আগে