নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহী শহরের বহরমপুর এলাকার বাসিন্দা কালাম শেখ। দুপুরের খাবার খেতে তিনি বাড়ি যাচ্ছিলেন। বাড়ির গলিতেই পুলিশ তাঁকে ধরে কাগজে সই নেন। পরে কালাম জানতে পারেন, তিনি একটি মাদক মামলার সাক্ষী। কালামকে যে মামলায় সাক্ষী করা হয় সে মামলার আসামির স্বজনদের অভিযোগ, পুলিশ বাড়ি থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা জব্দ করলেও জব্দ তালিকায় মাত্র ১৩ হাজার ৪০ টাকা দেখানো হয়েছে।
তাদের অভিযোগ, পুলিশ বাড়ি থেকে জব্দ করা ১ লাখ ১৬ হাজার ৯৬০ টাকা আত্মসাৎ করেছে। এ অভিযোগের তদন্তও শুরু হয়েছে। এখন পুলিশ কালাম শেখকে চাপ দিচ্ছে যেন তদন্ত কর্মকর্তার কাছে গিয়ে তিনি বলেন যে, অভিযানের সময় ১৩ হাজার ৪০ টাকাই জব্দ করা হয়েছিল।
এ মামলার আরেক সাক্ষীকেও একই ধরনের চাপ দেওয়া হচ্ছে। রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) রাজপাড়া থানা পুলিশের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।
গত ৯ মার্চ দুপুরে রাজপাড়া থানা-পুলিশের একটি দল শহরের বহরমপুর এলাকার মো. সেন্টুর বাড়িতে এ অভিযান চালিয়েছিল। সেন্টু একজন মাদকসেবী। সেন্টুর সঙ্গে তাঁর স্ত্রী মিতা পারভীনকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ৩০ গ্রাম হেরোইন ও ১০টি ইয়াবা উদ্ধার দেখিয়ে পুলিশ একটি মামলা করে। কিন্তু অভিযোগ ওঠে, পুলিশ বাড়ি থেকে জব্দ করা টাকা আত্মসাৎ করেছে।
সেন্টুর স্বজনদের দাবি, মিতা একটি বেসরকারি সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে বাড়ির কাজ করছিলেন। বাড়িতে তাঁর ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা ছিল। পুলিশ এই টাকাও জব্দ করেছিল। কিন্তু মামলার জব্দ তালিকায় মাত্র ১৩ হাজার ৪০ টাকা দেখানো হয়। বাকি টাকা অভিযানে অংশ নেওয়া উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল জলিল এবং সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মজনু মিয়া আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ তাঁদের। এ অভিযোগের তদন্ত করছে আরএমপি। পুলিশের একজন সহকারী কমিশনারকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
মামলার সাক্ষী সেন্টুর প্রতিবেশী কালাম শেখ বলেন, সেদিন দুপুরে তিনি দুপুরের খাবার খেতে বাড়ি যাচ্ছিলেন। বাড়ির গলিতে ঢোকার সময় একজন পুলিশ তাঁর কাছ থেকে সই নেন। এরপর তিনি বাড়িতে ঢুকে যখন ভাত খাচ্ছিলেন তখন ওই পুলিশ সদস্য আবার এসে মোবাইল নম্বর নিয়ে যান। পরে তিনি জানতে পারেন যে, তিনি সেন্টুর বাড়িতে অভিযানের মামলার সাক্ষী।
কালাম শেখ বলেন, তিনি সেদিন সেন্টুর বাড়ি যাননি। বাড়ি থেকে পুলিশ কি কি নিয়ে গেছে তার কিছুই দেখেননি। এখন পুলিশ শিখিয়ে দিচ্ছে, তদন্ত কর্মকর্তার কাছে গিয়ে তিনি যেন বলেন বাড়ি থেকে মাদকদ্রব্যের পাশাপাশি ১৩ হাজার ৪০ টাকা জব্দ করা হয়েছিল।
এই মামলার আরেক সাক্ষী মো. তুষার। পেশায় তিনি নির্মাণ শ্রমিক। অভিযানের দিন সেন্টুর বাড়িতেই কাজ করছিলেন তিনি। তুষার বলেন, কয়েকদিন ধরে থানা থেকে তাকে বার বার ফোন করা হচ্ছে। তদন্ত কর্মকর্তার কাছে ডাকা হচ্ছে। তাকেও শিখিয়ে দেওয়া হচ্ছে যেন তিনি গিয়ে বলেন বাড়ি থেকে ১৩ হাজার ৪০ টাকা জব্দ করা হয়েছিল। তুষার জানান, টাকা কিংবা মাদক জব্দ করার পর তাকে দেখানো হয়নি। এখন পুলিশের কথা না শুনলে ক্ষতি হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন। এ নিয়ে আতঙ্কে থাকার কথাও জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোবাইলে কোনো মন্তব্য করতে চাননি অভিযানে অংশ নেওয়া এএসআই মজনু মিয়া। আর এসআই আবদুল জলিল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সাক্ষীদের সামনে জব্দ তালিকা করা হয়েছিল। সাক্ষীরা সবই দেখেছে। এসব অভিযোগ করে লাভ নেই।
অভিযানের কিছু না দেখলেও মামলায় সাক্ষী করা এবং মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে চাপ দেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে নগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার রফিকুল আলম বলেন, এ ধরনের কোনো বিষয় আমার জানা নেই। এসব নিয়ে যদি কেউ সংক্ষুব্ধ হন, তাহলে তিনি অভিযোগ দিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে তদন্ত করে দেখা হবে। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাজশাহী শহরের বহরমপুর এলাকার বাসিন্দা কালাম শেখ। দুপুরের খাবার খেতে তিনি বাড়ি যাচ্ছিলেন। বাড়ির গলিতেই পুলিশ তাঁকে ধরে কাগজে সই নেন। পরে কালাম জানতে পারেন, তিনি একটি মাদক মামলার সাক্ষী। কালামকে যে মামলায় সাক্ষী করা হয় সে মামলার আসামির স্বজনদের অভিযোগ, পুলিশ বাড়ি থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা জব্দ করলেও জব্দ তালিকায় মাত্র ১৩ হাজার ৪০ টাকা দেখানো হয়েছে।
তাদের অভিযোগ, পুলিশ বাড়ি থেকে জব্দ করা ১ লাখ ১৬ হাজার ৯৬০ টাকা আত্মসাৎ করেছে। এ অভিযোগের তদন্তও শুরু হয়েছে। এখন পুলিশ কালাম শেখকে চাপ দিচ্ছে যেন তদন্ত কর্মকর্তার কাছে গিয়ে তিনি বলেন যে, অভিযানের সময় ১৩ হাজার ৪০ টাকাই জব্দ করা হয়েছিল।
এ মামলার আরেক সাক্ষীকেও একই ধরনের চাপ দেওয়া হচ্ছে। রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) রাজপাড়া থানা পুলিশের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।
গত ৯ মার্চ দুপুরে রাজপাড়া থানা-পুলিশের একটি দল শহরের বহরমপুর এলাকার মো. সেন্টুর বাড়িতে এ অভিযান চালিয়েছিল। সেন্টু একজন মাদকসেবী। সেন্টুর সঙ্গে তাঁর স্ত্রী মিতা পারভীনকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ৩০ গ্রাম হেরোইন ও ১০টি ইয়াবা উদ্ধার দেখিয়ে পুলিশ একটি মামলা করে। কিন্তু অভিযোগ ওঠে, পুলিশ বাড়ি থেকে জব্দ করা টাকা আত্মসাৎ করেছে।
সেন্টুর স্বজনদের দাবি, মিতা একটি বেসরকারি সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে বাড়ির কাজ করছিলেন। বাড়িতে তাঁর ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা ছিল। পুলিশ এই টাকাও জব্দ করেছিল। কিন্তু মামলার জব্দ তালিকায় মাত্র ১৩ হাজার ৪০ টাকা দেখানো হয়। বাকি টাকা অভিযানে অংশ নেওয়া উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল জলিল এবং সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মজনু মিয়া আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ তাঁদের। এ অভিযোগের তদন্ত করছে আরএমপি। পুলিশের একজন সহকারী কমিশনারকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
মামলার সাক্ষী সেন্টুর প্রতিবেশী কালাম শেখ বলেন, সেদিন দুপুরে তিনি দুপুরের খাবার খেতে বাড়ি যাচ্ছিলেন। বাড়ির গলিতে ঢোকার সময় একজন পুলিশ তাঁর কাছ থেকে সই নেন। এরপর তিনি বাড়িতে ঢুকে যখন ভাত খাচ্ছিলেন তখন ওই পুলিশ সদস্য আবার এসে মোবাইল নম্বর নিয়ে যান। পরে তিনি জানতে পারেন যে, তিনি সেন্টুর বাড়িতে অভিযানের মামলার সাক্ষী।
কালাম শেখ বলেন, তিনি সেদিন সেন্টুর বাড়ি যাননি। বাড়ি থেকে পুলিশ কি কি নিয়ে গেছে তার কিছুই দেখেননি। এখন পুলিশ শিখিয়ে দিচ্ছে, তদন্ত কর্মকর্তার কাছে গিয়ে তিনি যেন বলেন বাড়ি থেকে মাদকদ্রব্যের পাশাপাশি ১৩ হাজার ৪০ টাকা জব্দ করা হয়েছিল।
এই মামলার আরেক সাক্ষী মো. তুষার। পেশায় তিনি নির্মাণ শ্রমিক। অভিযানের দিন সেন্টুর বাড়িতেই কাজ করছিলেন তিনি। তুষার বলেন, কয়েকদিন ধরে থানা থেকে তাকে বার বার ফোন করা হচ্ছে। তদন্ত কর্মকর্তার কাছে ডাকা হচ্ছে। তাকেও শিখিয়ে দেওয়া হচ্ছে যেন তিনি গিয়ে বলেন বাড়ি থেকে ১৩ হাজার ৪০ টাকা জব্দ করা হয়েছিল। তুষার জানান, টাকা কিংবা মাদক জব্দ করার পর তাকে দেখানো হয়নি। এখন পুলিশের কথা না শুনলে ক্ষতি হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন। এ নিয়ে আতঙ্কে থাকার কথাও জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোবাইলে কোনো মন্তব্য করতে চাননি অভিযানে অংশ নেওয়া এএসআই মজনু মিয়া। আর এসআই আবদুল জলিল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সাক্ষীদের সামনে জব্দ তালিকা করা হয়েছিল। সাক্ষীরা সবই দেখেছে। এসব অভিযোগ করে লাভ নেই।
অভিযানের কিছু না দেখলেও মামলায় সাক্ষী করা এবং মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে চাপ দেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে নগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার রফিকুল আলম বলেন, এ ধরনের কোনো বিষয় আমার জানা নেই। এসব নিয়ে যদি কেউ সংক্ষুব্ধ হন, তাহলে তিনি অভিযোগ দিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে তদন্ত করে দেখা হবে। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
১২ আগস্ট ২০২৫লক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
১২ আগস্ট ২০২৫দুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
১২ আগস্ট ২০২৫চট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫