চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২৫ মার্চ মাদক মামলায় ১৫ জনের রায় দেওয়ার কথা ছিল। তবে রায় দেওয়ার আগে আদালতের বিচারক মো. হুমায়ুন কবীর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণের স্বার্থে ডোপ টেস্টের নির্দেশ দেন। ডোপ টেস্টের সেই রিপোর্ট পর্যালোচনায় সন্দেহ সৃষ্টি হলে একই দিন আসামিদের নিয়ে ২৫০ শয্যার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ছুটে যান বিচারক। সেখানে গিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলা আর আসামিদের ডোপ টেস্টের জন্য দেওয়া প্রস্রাবের (ইউরিন) বদলে পানি পূর্ণ করে ল্যাবে জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন। পরে আদালতে ফিরে আসামিদের ছয় মাস থেকে তিন বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন তিনি।
গতকাল শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিচারক হুমায়ুন কবীর ঘটনাটি তুলে ধরেন। ফেসবুক পোস্টে তিনি জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনিয়ম আর ন্যায়বিচারের পথে শত বাধার কঠিন বাস্তবতার অবতারণা করেছেন। এদিকে এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বিচারক হুমায়ুন কবীর ফেসবুক পোস্টে লিখেন, ‘২৫ মার্চ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৫টি মাদক মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। মামলাগুলো ২০১৭-১৮-১৯ সালের। দীর্ঘদিন আসামিরা আদালত চত্বরে ঘোরাঘুরি করেছেন নিয়মিত হাজিরাও দিয়েছেন। অন্যদিকে মাদকের পরিমাণও বেশি না। সবকিছু বিবেচনা করে মনে করলাম, আসামিদের প্রবেশন দেওয়া যায় কি না। আবার ভাবলাম দেখি আসামিদের ডোপ টেস্টের রেজাল্ট কী আসে তারপরে সিদ্ধান্ত নেব। এটা বিবেচনা করে ডোপ টেস্টের জন্য ২৫০ শয্যার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে পাঠালাম।
‘আসামিরা ডোপ টেস্টের রেজাল্ট নিয়ে হাজির হলো। দেখলাম মাত্র একজন আসামির রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে, বাকি সবগুলোর নেগেটিভ। চিন্তায় পড়ে গেলাম রেজাল্ট কি ঠিক আসল নাকি সত্যি সত্যিই আসামিরা মাদক ছেড়ে দিয়েছে। আমার জানা মতে, ছয় মাস আগেও যদি কেউ মাদক গ্রহণ করে তবুও ডোপ টেস্টে তাঁর রেজাল্ট পজিটিভ আসবে। এমনিতেও আসামিরা আদালতে দাঁড়িয়ে বলেন তাঁরা মাদকের সঙ্গে জড়িত না। মিথ্যা মামলা দিয়ে তাঁদের ফাঁসানো হয়েছে। তখন মনে হচ্ছিল, এতগুলো নিরপরাধ মানুষকে কীভাবে ফাঁসানো হলো। আরও অনেক চিন্তা মাথায় ঘুরছিল। এরপর ডোপ টেস্টের সব রিপোর্ট ভালোভাবে পর্যালোচনা করে দেখলাম। দেখতে পেলাম সব কয়টা ইউরিন অর্থাৎ প্রস্রাব গ্রহণের মাধ্যমে টেস্ট করা হয়েছে।’
বিচারক আরও লিখেন, ‘আমার কাছে একটু সন্দেহ হলো। আমি বললাম ব্লাড টেস্টের মাধ্যমে রিপোর্ট নিয়ে আসেন। কিছুক্ষণ পর একজন আইনজীবী এসে বললেন, ‘‘স্যার প্রত্যেক টেস্টের জন্য ১১০০ টাকা খরচ হচ্ছে। এরা গরিব মানুষ। এত টাকা কোথায় পাবে।’’ আবার আসামিদের ডাকলাম। আমার ধারণা ছিল সরকারি হাসপাতাল ১০ টাকার টিকিট কেটে টেস্ট করা সম্ভব। আসামিরা পুনরায় এসে একটি ভয়ংকর তথ্য দিলেন। তাঁরা বললেন, স্যার ৯০০ টাকা রিপোর্টের জন্য আরও ২০০ টাকা বকশিশ (ঘুষ) নিয়েছে। এজলাস থেকে নেমে আসামিদের নিয়ে হাসপাতালে গেলাম। জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মহোদয়ের রুমে গেলাম এবং উনাকে সমস্ত ঘটনা খুলে বললাম। আমার কথা উনি মনোযোগ সহকারে শুনে ডোপ টেস্টের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের ডাকলেন।
‘তত্ত্বাবধায়ক মহোদয় আমার অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতেই সংশ্লিষ্টরা অকপটে স্বীকার করে বলেন, ‘‘স্যার ৯০০ টাকা টেস্টের খরচ। আর ২০০ টাকা আমাদের খুশি হয়ে দিয়েছে। শুনে খুব রাগ হচ্ছিল। এরপরেও রাগ চেপে রেখে মৃদু হেসে নিজেকে সংযত করলাম। পরবর্তী ঘটনা ছিল আরও ভয়ংকর। আমি তত্ত্বাবধায়ক মহোদয়কে বললাম ইউরিন বা প্রস্রাব টেস্টের মাধ্যমে সঠিক ডোপ টেস্টের রেজাল্ট পাওয়া যায় কি? উনি আমাকে নিশ্চয়তা দিয়ে বললেন, ‘‘অবশ্যই! ৯৮% সঠিক আসবে।’’ কিন্তু আমার মনে হচ্ছে কোথায় যেন একটা ঘাপলা আছে। আরও গভীরে যাওয়ার চেষ্টা করলাম। কয়েক ঘণ্টা কেটে গেল। অবশ্য তাতে আমার আপত্তি নেই। সঠিক তথ্য বের করতেই হবে। এবার পেলাম সেই ভয়ংকর তথ্য। ইউরিন বা প্রস্রাব দেওয়ার বিপরীতে আসামিরা বাথরুমে ঢুকে পটে করে পানি নিয়ে ল্যাবে জমা দিয়েছে। ফলশ্রুতিতে রেজাল্ট যা আসার তাই এসেছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মাসুদ পারভেজ বলেন, ‘বেশ কয়েকজন রোগী আদালত থেকে এসে জরুরি ডোপ টেস্টের জন্য তাড়াহুড়ো করেন। তাঁরা টেকনিশিয়ানদের হাতে কিছু টাকাও দেন। যেন তাঁদের রিপোর্ট জরুরি হয়। এখানে সরকারি ফি ৯০০ টাকা ছাড়াও বকশিশ নেওয়া হয়। যার প্রমাণ মিলেছে। এমন অপরাধের জন্য একজন টেকনিশিয়ানকে শোকজ করা হয়েছে, একজনকে সতর্ক ও অপরজনকে জেলা হাসপাতাল থেকে বদলি করা হবে।’
ডা. মাসুদ পারভেজ আরও বলেন, ‘ডোপ টেস্টে অর্থ আদায়ের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আরও কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়—সে বিষয়ে পরিচালকের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. হুমায়ুন কবীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রত্যেককে ছয় মাস থেকে তিন বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনটি ফেসবুকে তুলে ধরার মাধ্যমে পদে পদে অসংগতি আর আদালতের এজলাসে বসে সঠিক রায় দেওয়া কত কঠিন সেটি বোঝানোর চেষ্টা করেছি।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২৫ মার্চ মাদক মামলায় ১৫ জনের রায় দেওয়ার কথা ছিল। তবে রায় দেওয়ার আগে আদালতের বিচারক মো. হুমায়ুন কবীর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণের স্বার্থে ডোপ টেস্টের নির্দেশ দেন। ডোপ টেস্টের সেই রিপোর্ট পর্যালোচনায় সন্দেহ সৃষ্টি হলে একই দিন আসামিদের নিয়ে ২৫০ শয্যার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ছুটে যান বিচারক। সেখানে গিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলা আর আসামিদের ডোপ টেস্টের জন্য দেওয়া প্রস্রাবের (ইউরিন) বদলে পানি পূর্ণ করে ল্যাবে জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন। পরে আদালতে ফিরে আসামিদের ছয় মাস থেকে তিন বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন তিনি।
গতকাল শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিচারক হুমায়ুন কবীর ঘটনাটি তুলে ধরেন। ফেসবুক পোস্টে তিনি জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনিয়ম আর ন্যায়বিচারের পথে শত বাধার কঠিন বাস্তবতার অবতারণা করেছেন। এদিকে এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বিচারক হুমায়ুন কবীর ফেসবুক পোস্টে লিখেন, ‘২৫ মার্চ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৫টি মাদক মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। মামলাগুলো ২০১৭-১৮-১৯ সালের। দীর্ঘদিন আসামিরা আদালত চত্বরে ঘোরাঘুরি করেছেন নিয়মিত হাজিরাও দিয়েছেন। অন্যদিকে মাদকের পরিমাণও বেশি না। সবকিছু বিবেচনা করে মনে করলাম, আসামিদের প্রবেশন দেওয়া যায় কি না। আবার ভাবলাম দেখি আসামিদের ডোপ টেস্টের রেজাল্ট কী আসে তারপরে সিদ্ধান্ত নেব। এটা বিবেচনা করে ডোপ টেস্টের জন্য ২৫০ শয্যার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে পাঠালাম।
‘আসামিরা ডোপ টেস্টের রেজাল্ট নিয়ে হাজির হলো। দেখলাম মাত্র একজন আসামির রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে, বাকি সবগুলোর নেগেটিভ। চিন্তায় পড়ে গেলাম রেজাল্ট কি ঠিক আসল নাকি সত্যি সত্যিই আসামিরা মাদক ছেড়ে দিয়েছে। আমার জানা মতে, ছয় মাস আগেও যদি কেউ মাদক গ্রহণ করে তবুও ডোপ টেস্টে তাঁর রেজাল্ট পজিটিভ আসবে। এমনিতেও আসামিরা আদালতে দাঁড়িয়ে বলেন তাঁরা মাদকের সঙ্গে জড়িত না। মিথ্যা মামলা দিয়ে তাঁদের ফাঁসানো হয়েছে। তখন মনে হচ্ছিল, এতগুলো নিরপরাধ মানুষকে কীভাবে ফাঁসানো হলো। আরও অনেক চিন্তা মাথায় ঘুরছিল। এরপর ডোপ টেস্টের সব রিপোর্ট ভালোভাবে পর্যালোচনা করে দেখলাম। দেখতে পেলাম সব কয়টা ইউরিন অর্থাৎ প্রস্রাব গ্রহণের মাধ্যমে টেস্ট করা হয়েছে।’
বিচারক আরও লিখেন, ‘আমার কাছে একটু সন্দেহ হলো। আমি বললাম ব্লাড টেস্টের মাধ্যমে রিপোর্ট নিয়ে আসেন। কিছুক্ষণ পর একজন আইনজীবী এসে বললেন, ‘‘স্যার প্রত্যেক টেস্টের জন্য ১১০০ টাকা খরচ হচ্ছে। এরা গরিব মানুষ। এত টাকা কোথায় পাবে।’’ আবার আসামিদের ডাকলাম। আমার ধারণা ছিল সরকারি হাসপাতাল ১০ টাকার টিকিট কেটে টেস্ট করা সম্ভব। আসামিরা পুনরায় এসে একটি ভয়ংকর তথ্য দিলেন। তাঁরা বললেন, স্যার ৯০০ টাকা রিপোর্টের জন্য আরও ২০০ টাকা বকশিশ (ঘুষ) নিয়েছে। এজলাস থেকে নেমে আসামিদের নিয়ে হাসপাতালে গেলাম। জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মহোদয়ের রুমে গেলাম এবং উনাকে সমস্ত ঘটনা খুলে বললাম। আমার কথা উনি মনোযোগ সহকারে শুনে ডোপ টেস্টের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের ডাকলেন।
‘তত্ত্বাবধায়ক মহোদয় আমার অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতেই সংশ্লিষ্টরা অকপটে স্বীকার করে বলেন, ‘‘স্যার ৯০০ টাকা টেস্টের খরচ। আর ২০০ টাকা আমাদের খুশি হয়ে দিয়েছে। শুনে খুব রাগ হচ্ছিল। এরপরেও রাগ চেপে রেখে মৃদু হেসে নিজেকে সংযত করলাম। পরবর্তী ঘটনা ছিল আরও ভয়ংকর। আমি তত্ত্বাবধায়ক মহোদয়কে বললাম ইউরিন বা প্রস্রাব টেস্টের মাধ্যমে সঠিক ডোপ টেস্টের রেজাল্ট পাওয়া যায় কি? উনি আমাকে নিশ্চয়তা দিয়ে বললেন, ‘‘অবশ্যই! ৯৮% সঠিক আসবে।’’ কিন্তু আমার মনে হচ্ছে কোথায় যেন একটা ঘাপলা আছে। আরও গভীরে যাওয়ার চেষ্টা করলাম। কয়েক ঘণ্টা কেটে গেল। অবশ্য তাতে আমার আপত্তি নেই। সঠিক তথ্য বের করতেই হবে। এবার পেলাম সেই ভয়ংকর তথ্য। ইউরিন বা প্রস্রাব দেওয়ার বিপরীতে আসামিরা বাথরুমে ঢুকে পটে করে পানি নিয়ে ল্যাবে জমা দিয়েছে। ফলশ্রুতিতে রেজাল্ট যা আসার তাই এসেছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মাসুদ পারভেজ বলেন, ‘বেশ কয়েকজন রোগী আদালত থেকে এসে জরুরি ডোপ টেস্টের জন্য তাড়াহুড়ো করেন। তাঁরা টেকনিশিয়ানদের হাতে কিছু টাকাও দেন। যেন তাঁদের রিপোর্ট জরুরি হয়। এখানে সরকারি ফি ৯০০ টাকা ছাড়াও বকশিশ নেওয়া হয়। যার প্রমাণ মিলেছে। এমন অপরাধের জন্য একজন টেকনিশিয়ানকে শোকজ করা হয়েছে, একজনকে সতর্ক ও অপরজনকে জেলা হাসপাতাল থেকে বদলি করা হবে।’
ডা. মাসুদ পারভেজ আরও বলেন, ‘ডোপ টেস্টে অর্থ আদায়ের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আরও কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়—সে বিষয়ে পরিচালকের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. হুমায়ুন কবীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রত্যেককে ছয় মাস থেকে তিন বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনটি ফেসবুকে তুলে ধরার মাধ্যমে পদে পদে অসংগতি আর আদালতের এজলাসে বসে সঠিক রায় দেওয়া কত কঠিন সেটি বোঝানোর চেষ্টা করেছি।’
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
১২ আগস্ট ২০২৫লক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
১২ আগস্ট ২০২৫দুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
১২ আগস্ট ২০২৫চট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫