ঢাকা : রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চলতি মাসে এ পর্যন্ত মোট ১৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে আরও ১০ জনের। তাঁদের পাঁচজনের বাড়ি রাজশাহী এবং পাঁচজনের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জে। গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে তাঁরা মারা যান। গত ১৯ দিনের মৃত্যুর পরিসংখ্যানের প্রবণতা বলছে, বিভাগে শিগগির কোভিডে মৃত্যু হ্রাসের সম্ভাবনা কম। কয়েকটি জেলায় নতুন করে সংক্রমণ বাড়তেও দেখা যাচ্ছে।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, নতুন করে মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে রাজশাহীর তিনজনের করোনা পজিটিভ ছিল। এ ছাড়া করোনার উপসর্গ নিয়ে রাজশাহীর আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত অন্য পাঁচজনের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের চারজনের করোনার উপসর্গ ছিল। নমুনা পরীক্ষার আগেই তাঁরা মারা গেছেন। আর একজনের নমুনা পরীক্ষায় রিপোর্ট নেগেটিভ হলেও শ্বাসকষ্ট ছিল।
মৃত ১০ জনের মধ্যে দুজন নারী এবং আটজন পুরুষ। বয়স বিবেচনায় ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন পুরুষ, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন পুরুষ, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে একজন পুরুষ, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে একজন পুরুষ এবং ষাটোর্ধ্ব চারজন পুরুষ ও দুজন নারী মারা গেছেন।
রামেক হাসপাতালে করোনা ডেডিকেটেড শয্যার সংখ্যা এখন ৩০৯। শনিবার সকালে সর্বোচ্চ ৩৬৫ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) ২০ শয্যার সবগুলোতেই রোগী ছিলেন শনিবার সকালে। অন্য রোগীরা ছিলেন বিভিন্ন ওয়ার্ডে।
গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিট থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৮ জন। আর নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৪৬ জন। বর্তমানে রাজশাহীর ২১৬ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৮৭ জন, নাটোরের ২৫ জন, নওগাঁর ২৪ জন, পাবনার ৬ জন, কুষ্টিয়ার ৪ জন, চুয়াডাঙ্গার ২ জন এবং অন্য এলাকার আরও ১ জন ভর্তি আছেন করোনা ইউনিটে। এদের মধ্যে নমুনা পরীক্ষায় ১৭১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আর ১৬০ জন আছেন উপসর্গ নিয়ে। তাঁদের নমুনা পরীক্ষা করা হবে।
রামেক হাসপাতালে চলতি মাসে মোট ১৮৫ জনের মৃত্যু হলো। এর মধ্যে ১,২ ও ৭ জুন ৭ জন; ৩ জুন ৯ জন; ৪ জুন ১৬ জন; ৫, ৮, ৯ ও ১০ জুন ৮ জন; ৬ জুন ৬ জন, ১১ জুন ১৫ জন, ১২ জুন ৪ জন, ১৩ ও ১৬ জুন ১৩ জন করে, ১৪, ১৫ ও ১৮ জুন ১২ জন এবং ১৭ জুন ১০ জন মারা গেছেন। সর্বশেষ শুক্রবার থেকে শনিবার পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হলো।
রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়ের হিসাব অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার রাজশাহীর আট জেলায় ৮১৮ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৫৯ জন শনাক্ত হন রাজশাহীতে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯১ জন জয়পুরহাটে। পাবনায় শনাক্তের সংখ্যা ৭৬। চাঁপাইনবাবগঞ্জে শনাক্তের সংখ্যা ৭৫। নাটোরে ৬৫, বগুড়ায় ৬১, নওগাঁয় ৫৮ ও সিরাজগঞ্জে ৩৩ জন শনাক্ত হয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অন্তত ১০ জেলার রোগীরা চিকিৎসার জন্য আসছেন। সবচেয়ে বেশি রোগী ভর্তি হচ্ছেন রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে। হাসপাতালটিতে এখন করোনা চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত শয্যার চেয়ে রোগীর সংখ্যা বেশি। তাই রোগীদের ভর্তি হতেও বেগ পেতে হচ্ছে। তার পরও জীবন বাঁচানোর আশায় স্বজনেরা রোগী নিয়ে হাসপাতালে আসছেন।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, যেভাবে রোগী আসছে, তাতে মনে হচ্ছে রাজশাহী অঞ্চলে করোনার ডেল্টা ধরনের সামাজিক সংক্রমণ শুরু হয়েছে। এই মুহূর্তে পরীক্ষা বাড়াতে হবে। আক্রান্তদের আলাদা করতে হবে। সংক্রমণ বিস্তার নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে শহরের বাইরে যেখানে বেশি শনাক্ত হচ্ছে সেসব এলাকাকে দ্রুত লকডাউনের আওতায় আনতে হবে বলেও পরামর্শ দেন তিনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
এদিকে জনস্বাস্থ্যবিদ ডা. চিন্ময় কুমার দাস বলছেন, র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর গড় শনাক্তের হার কমেছে। কিন্তু এটা প্রকৃত চিত্র নয়। করোনার চিত্র বোঝার জন্য আরটিপিসিআর ল্যাবকেই সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া উচিত। সেখানে সংক্রমণের হার দেখা যাচ্ছে ৪০ শতাংশের কাছাকাছি। তাঁর মতে, এখন আক্রান্তদের চিহ্নিত করে আইসোলেশন করা জরুরি।
রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাবিবুল আহসান তালুকদার বলেন, বিভাগের সব জেলাতেই সংক্রমণ আগের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জে সংক্রমণ কমতে শুরু করলেও রাজশাহীতে কমেনি।
ঢাকা : রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চলতি মাসে এ পর্যন্ত মোট ১৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে আরও ১০ জনের। তাঁদের পাঁচজনের বাড়ি রাজশাহী এবং পাঁচজনের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জে। গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে তাঁরা মারা যান। গত ১৯ দিনের মৃত্যুর পরিসংখ্যানের প্রবণতা বলছে, বিভাগে শিগগির কোভিডে মৃত্যু হ্রাসের সম্ভাবনা কম। কয়েকটি জেলায় নতুন করে সংক্রমণ বাড়তেও দেখা যাচ্ছে।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, নতুন করে মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে রাজশাহীর তিনজনের করোনা পজিটিভ ছিল। এ ছাড়া করোনার উপসর্গ নিয়ে রাজশাহীর আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত অন্য পাঁচজনের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের চারজনের করোনার উপসর্গ ছিল। নমুনা পরীক্ষার আগেই তাঁরা মারা গেছেন। আর একজনের নমুনা পরীক্ষায় রিপোর্ট নেগেটিভ হলেও শ্বাসকষ্ট ছিল।
মৃত ১০ জনের মধ্যে দুজন নারী এবং আটজন পুরুষ। বয়স বিবেচনায় ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন পুরুষ, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন পুরুষ, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে একজন পুরুষ, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে একজন পুরুষ এবং ষাটোর্ধ্ব চারজন পুরুষ ও দুজন নারী মারা গেছেন।
রামেক হাসপাতালে করোনা ডেডিকেটেড শয্যার সংখ্যা এখন ৩০৯। শনিবার সকালে সর্বোচ্চ ৩৬৫ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) ২০ শয্যার সবগুলোতেই রোগী ছিলেন শনিবার সকালে। অন্য রোগীরা ছিলেন বিভিন্ন ওয়ার্ডে।
গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিট থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৮ জন। আর নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৪৬ জন। বর্তমানে রাজশাহীর ২১৬ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৮৭ জন, নাটোরের ২৫ জন, নওগাঁর ২৪ জন, পাবনার ৬ জন, কুষ্টিয়ার ৪ জন, চুয়াডাঙ্গার ২ জন এবং অন্য এলাকার আরও ১ জন ভর্তি আছেন করোনা ইউনিটে। এদের মধ্যে নমুনা পরীক্ষায় ১৭১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আর ১৬০ জন আছেন উপসর্গ নিয়ে। তাঁদের নমুনা পরীক্ষা করা হবে।
রামেক হাসপাতালে চলতি মাসে মোট ১৮৫ জনের মৃত্যু হলো। এর মধ্যে ১,২ ও ৭ জুন ৭ জন; ৩ জুন ৯ জন; ৪ জুন ১৬ জন; ৫, ৮, ৯ ও ১০ জুন ৮ জন; ৬ জুন ৬ জন, ১১ জুন ১৫ জন, ১২ জুন ৪ জন, ১৩ ও ১৬ জুন ১৩ জন করে, ১৪, ১৫ ও ১৮ জুন ১২ জন এবং ১৭ জুন ১০ জন মারা গেছেন। সর্বশেষ শুক্রবার থেকে শনিবার পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হলো।
রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়ের হিসাব অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার রাজশাহীর আট জেলায় ৮১৮ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৫৯ জন শনাক্ত হন রাজশাহীতে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯১ জন জয়পুরহাটে। পাবনায় শনাক্তের সংখ্যা ৭৬। চাঁপাইনবাবগঞ্জে শনাক্তের সংখ্যা ৭৫। নাটোরে ৬৫, বগুড়ায় ৬১, নওগাঁয় ৫৮ ও সিরাজগঞ্জে ৩৩ জন শনাক্ত হয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অন্তত ১০ জেলার রোগীরা চিকিৎসার জন্য আসছেন। সবচেয়ে বেশি রোগী ভর্তি হচ্ছেন রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে। হাসপাতালটিতে এখন করোনা চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত শয্যার চেয়ে রোগীর সংখ্যা বেশি। তাই রোগীদের ভর্তি হতেও বেগ পেতে হচ্ছে। তার পরও জীবন বাঁচানোর আশায় স্বজনেরা রোগী নিয়ে হাসপাতালে আসছেন।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, যেভাবে রোগী আসছে, তাতে মনে হচ্ছে রাজশাহী অঞ্চলে করোনার ডেল্টা ধরনের সামাজিক সংক্রমণ শুরু হয়েছে। এই মুহূর্তে পরীক্ষা বাড়াতে হবে। আক্রান্তদের আলাদা করতে হবে। সংক্রমণ বিস্তার নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে শহরের বাইরে যেখানে বেশি শনাক্ত হচ্ছে সেসব এলাকাকে দ্রুত লকডাউনের আওতায় আনতে হবে বলেও পরামর্শ দেন তিনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
এদিকে জনস্বাস্থ্যবিদ ডা. চিন্ময় কুমার দাস বলছেন, র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর গড় শনাক্তের হার কমেছে। কিন্তু এটা প্রকৃত চিত্র নয়। করোনার চিত্র বোঝার জন্য আরটিপিসিআর ল্যাবকেই সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া উচিত। সেখানে সংক্রমণের হার দেখা যাচ্ছে ৪০ শতাংশের কাছাকাছি। তাঁর মতে, এখন আক্রান্তদের চিহ্নিত করে আইসোলেশন করা জরুরি।
রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাবিবুল আহসান তালুকদার বলেন, বিভাগের সব জেলাতেই সংক্রমণ আগের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জে সংক্রমণ কমতে শুরু করলেও রাজশাহীতে কমেনি।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
১২ আগস্ট ২০২৫লক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
১২ আগস্ট ২০২৫দুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
১২ আগস্ট ২০২৫চট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫