Ajker Patrika

খাঁচায় বন্দী জীবন! 

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
আপডেট : ২১ নভেম্বর ২০২১, ১৫: ৪৬
খাঁচায় বন্দী জীবন! 

মাত্র দুই বছর বয়স থেকে খাঁচায় বন্দিজীবন কাটাচ্ছে কালুখালী উপজেলার মাঝবাড়ি ইউনিয়নের পূর্ব ফুল কাউন গ্রামের শিশু শিখা রানী দাস। শিশুটি বাক, শ্রবণ ও শারীরিক প্রতিবন্ধী। বয়স ১১। 

শিশুটির পরিবার জানিয়েছে, দেশ-বিদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়েও কোনো লাভ হয়নি। 

শিখার বাবা মদন দাস জানান, তিনি সেলুনে কাজ করে সংসার চালান। দুই ছেলে, এক মেয়ে নিয়ে তাঁদের সংসার। শিখা জন্মের পর থেকে আশপাশে কেউ থাকলে তাকে কামড়ে দিত। এমনকি মারধরও করত। হাঁটতে না পারায় হামাগুড়ি দিয়ে বাইরে চলে যেত। এমন আচরণ দেখে দেশ-বিদেশে চিকিৎসা করিয়েছি, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। হারিয়ে যাওয়ার ভয়ে প্রথমে শিকল দিয়ে বেঁধে এবং পরে খাঁচায় আটকে রাখা হয়। 

দুই বছর বয়স থেকে খাঁচায় বন্দীসরেজমিনে দেখা যায়, সবাই ব্যস্ত। কেউ রান্নার কাজে, কেউ বাড়ির উঠান ঝাড়ু দেওয়ার কাজে। চারচালা একটি ঘরের বারান্দায় দুই পাশ প্লাস্টিকের নেট দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। তার মধ্যে বসে আছে শিখা রানী দাস। 

মা চন্দনা রানী বলেন, ‘শিখার চিকিৎসার জন্য সম্পত্তি যা ছিল তা শেষ করে ফেলেছি। এখন চিকিৎসা করানোর মতো কোনো সামর্থ্য নেই। কয়েক বছর আগে একটি প্রতিবন্ধী কার্ড পেয়েছিলাম। তিন মাস পর পর ২ হাজার ১০০ টাকা করে পেতাম। কিন্তু ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে সেটাও বন্ধ রয়েছে। এখন টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারি না।’

কালুখালী উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন জানার পর থেকে শিশুটিকে একটি কার্ড করে দেওয়া হয়েছে। শিশুটির চিকিৎসা সহায়তাসহ সব ধরনের সহায়তা করা হবে।’  

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত