Ajker Patrika

সুজানগরে ১ কেজি মুড়ির দামে ৩ কেজি চাল

প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ এপ্রিল ২০২১, ২০: ১৪
সুজানগরে ১ কেজি মুড়ির দামে ৩ কেজি চাল

সুজানগর (পাবনা): পাবনার সুজানগরের হাট-বাজারে চালের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। তবে মুড়ির দামের দিকে তাকালে সে দামকে সহনীয় মনে হবে নিশ্চয়। কারণ, সুজানগরে মুড়ির দাম এককথায় আকাশচুম্বি।

রমজান মাসে পুরো বাংলাদেশের মানুষের কাছেই মুড়ির কদর বেড়ে যায়। ইফতারে ছোলা–মুড়ি না হলে অনেকেরই চলে না। ফলে রোজার শুরুতেই মুড়ির চাহিদা যায় বেড়ে। অর্থনীতির সূত্র মেনে চাহিদা বাড়লে দাম তো বাড়বেই। কিন্তু তাই বলে এত!

সরেজমিনে দেখা গেছে, সুজানগর পৌর বাজারসহ উপজেলার প্রতিটি হাট-বাজারে প্রতি কেজি আউশ ধানের মুড়ি বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা দরে। অন্যদিকে বর্তমানে প্রতি কেজি মোটা (স্বর্ণা, টোপা বোরো) চাল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪২ টাকা দরে। ফলে এক কেজি মুড়ির দামে সুজানগরে তিন কেজি চাল মিলছে বললে অত্যুক্তি হবে না।

শুনতে যত সহজ মনে হোক না কেন, মুড়ির এমন অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি নিম্ন আয়ের মানুষকে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে ফেলেছে। এ বিষয়ে উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চালের দাম বাড়লেও তা এখনো আমরা কিনতে পারছি। কিন্তু মুড়ির বর্তমান বাজার নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।’

মুড়ি নিত্য প্রয়োজনীয় খাবার না হলেও রমজান মাসে প্রায় প্রতিটি ঘরে এর চাহিদা বেড়ে যায়। উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের আবদুর রবও বললেন এ কথা। সঙ্গে বললেন, রমজান মাসে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছা করেই দাম বাড়িয়েছেন। এত দামে বহু মানুষ মুড়ি কিনে খেতে পারছেন না।

এ বিষয়ে মুড়ি ব্যবসায়ী আনন্দ সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মুড়ি তৈরিতে চালের দামের চেয়ে ভাজা খরচ অনেক বেশি। এ কারণে চালের চেয়ে মুড়ির দাম বেশি।’

তবে ভাজা খরচের কারণে দামের এত বাড়বাড়ন্তি সত্যি বিস্ময়কর। এর কোনো যৌক্তিক কারণও কেউ জানাতে পারলেন না। চাহিদার বিপরীতে যোগানের ঘাটতি হলেই একমাত্র এতটা দাম বাড়তে পারে। কিন্তু সে রকম কোনো পরিস্থিতিও তৈরি হয়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ফলে এটি শুধু মৌসুমি অতি–মুনাফার প্রবণতা ছাড়া আর কিছুই নয় বললে বাড়িয়ে বলা হবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত