Ajker Patrika

স্বামীর সহযোগে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৫

হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
স্বামীর সহযোগে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৫

নিঝুম দ্বীপে সড়ক থেকে তুলে নিয়ে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ঘটনায় মো. শরীফ নামের (২৮) আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার বয়ারচরের হাতিয়া বাজার থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে এ ঘটনায় পুলিশ ভুক্তভোগী নারীর স্বামীসহ আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে হাতিয়া থানায় একটি মামলা করেন। 

গ্রেপ্তার শরীফ উপজেলার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মদিনা গ্রামের মৃত সিরাজের ছেলে। তিনি ধর্ষণ মামলার এজাহারভুক্ত ৪ নম্বর আসামি। 

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ২৪ বছর বয়সী ওই গৃহবধূ চট্টগ্রামে একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। গত ৩ আগস্ট নিজ এলাকা নিঝুম দ্বীপ যাওয়ার উদ্দেশে তাঁর দুই বছরের বাচ্চাকে নিয়ে হাতিয়ার মুক্তারিয়াঘাট থেকে ট্রলার যোগে রওনা করেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তিনি বন্দরটিলাঘাটে গিয়ে পৌঁছান। ঘাটে নেমে একটি ভাড়া চালিত মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। কিছু পথ যাওয়ার পর তাঁর স্বামী সোহেলসহ কয়েকজন মোটরসাইকেলটি গতিরোধ করে তাঁকে নামিয়ে হাত ও মুখ বেঁধে ফেলে। পরে তাঁরা ওই গৃহবধূকে সিডিএসপি বাজার পার্শ্ববর্তী বান্ধাখালি গ্রামের মেঘনা নদীর তীরে নিয়ে যান। পরে সেখানে তাঁকে আটকে রেখে সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত সোহেল, হক সাব, রাশেদ, আক্তারসহ ৭ জন পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে মুখের বাঁধন খুলে গেলে চিৎকার করেন ওই গৃহবধূ। এ সময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে ধর্ষণকারী অন্যরা পালিয়ে গেলেও স্বামী সোহেলকে আটক করে স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে নিঝুম দ্বীপ পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক সৌরজিৎ বড় ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে। 

এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে হক সাব, রাশেদ ও আক্তার হোসেনসহ তিনজনকে আটক করে। এদের সবার বাড়ি নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নরে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মদিনা গ্রামে। 

স্থানীয়রা জানায়, নির্যাতিতার স্বামী সোহেল এলাকায় বখাটে হিসাবে পরিচিত। তিনি এর আগে আরও দুটি বিয়ে করেন। ভুক্তভোগী ওই নারীর সঙ্গে তাঁর মনোমালিন্য চলে আসছে অনেক দিন থেকে। এরই মধ্যে সোহেল ওই গৃহবধূকে তালাক দেওয়ার জন্য চাপ দিয়ে আসছিল। 

এ বিষয়ে মামলার দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা হাতিয়া থানা পরিদর্শক (তদন্ত) কাঞ্চন কান্তি দাস বলেন, এই মামলায় পূর্বে গ্রেপ্তার হওয়া ৪ জনের মধ্যে দুজন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে আদালতে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে শরিফকে আটক করা হয়। এই মামলায় এজাহার নামিয় আরও দুই আসামি পলাতক রয়েছে। তাদেরও গ্রেপ্তার করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত