হাতিয়া (নোয়খালী) প্রতিনিধি
দেশে তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে সড়কে যানবাহনের ন্যায় নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার জেলেপল্লিতে। গভীর সমুদ্রে ইঞ্জিনচালিত নৌকা ও ট্রলার নিয়ে মাছ শিকারে যান দ্বীপের প্রায় ১ লাখ জেলে। মাছ ধরার এসব নৌকা ও ট্রলারে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয় ডিজেল। দেশে তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং কাঙ্ক্ষিত মাছ না পাওয়ায় অনেক জেলে মাছ শিকার বন্ধ রেখেছে। তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে প্রভাব পড়েছে জেলেদের দৈনন্দিন জীবিকায়। এতে বিপাকে পড়েছেন এই দ্বীপের মাছ শিকার ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িত লক্ষাধিক মানুষ।
জেলে ও মাছ ব্যবসায়ীরা জানান, মাছ ধরার নৌকা বা ট্রলারে ব্যবহৃত ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মাছ সংরক্ষণে ব্যবহৃত বরফের দামও বেড়েছে। প্রতি পিস বরফের মূল্য বেড়েছে ৫০ টাকা। আগে আকারবেঁধে ১০০ ও ১৫০ টাকায় যে বরফ পাওয়া যেত, তা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকায়। তেল ও বরফ কিনতে জেলেদের যেমন ব্যয় বেড়েছে, তেমনি সাগরে কাঙ্ক্ষিত মাছও পাচ্ছেন না তাঁরা। যে পরিমাণ মাছ পাচ্ছেন, তাতে তাঁদের তেল ও বরফের খরচও উঠছে না।
হাতিয়ার বাংলাবাজার ঘাটের জেলে নুরউদ্দিন (৪৫) জানান, বুধবার সকালে ঘাটের পাশে বাংলাবাজার থেকে সরকারনির্ধারিত ১১৪ টাকার ডিজেল ১২০ টাকায় কিনতে হয়েছে তাঁকে। চার-পাঁচ দিনের জন্য সাগরে গেলে একবারে বারো-তেরো শ লিটার তেল নিয়ে যেতে হয়। এখন তেমন মাছও পাওয়া যাচ্ছে না। তাই ২০০ লিটার ডিজেল কিনে নিয়েছেন। গভীর সমুদ্রে না গিয়ে নদীতে মাছ শিকার করবেন।
আজ বুধবার সকালে উপজেলার সূর্যমুখী ঘাটে গিয়ে কথা হয় কয়েকজন জেলের সঙ্গে। এর মধ্যে এমভি মা আয়েশা ট্রলারের মাঝি আলাউদ্দিন (৫৫) জানান, সাগর উত্তাল থাকায় চার দিন ধরে তাঁরা ঘাটে অবস্থান করছেন। আজ সাগরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। প্রতিবারের ন্যায় ট্রলারের জন্য জ্বালানি তেল (ডিজেল) কিনতে গিয়ে দেখেন ব্যারেলপ্রতি (২০০ লিটার) মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ৭ হাজার ৫০০ টাকা। আগে প্রতি লিটার কিনতেন ৮২ টাকায়, এখন কিনতে হচ্ছে ১২০ টাকায়।
আলাউদ্দিন আরও জানান, ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার পরে এক ট্রিপ মাছ শিকার করে এসেছেন। ছয় দিন সাগরে থেকে মাছ পেয়েছেন ছয় মণ, যা ১৬ হাজার টাকা ধরে বিক্রি করে পেয়েছেন ৯৬ হাজার টাকা। এতে ৮০০ লিটার (৪ ব্যারেল) তেল পুড়িয়ে অন্যান্য খরচসহ তেমন একটা লাভের মুখ দেখেননি। এর মধ্যে তেলের দাম বাড়ানোয় ২০ জন মাঝিমাল্লা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বলে জানান তিনি।
হাতিয়া ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি রাশেদ উদ্দিন জানান, তাঁদের সমিতির অধীনে হাতিয়ায় প্রায় ৫০০ বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। একেকটি ট্রলারে ২০-২২ জন মাঝিমাল্লা থাকেন। এসব ট্রলার গভীর সমুদ্রে গিয়ে মাছ শিকার করে। একেকটি ট্রলার সমুদ্রে যাওয়ার সময় ঘাট থেকে ৮-১০ ব্যারেল করে তেল নিয়ে যায়। হঠাৎ তেলের দাম বাড়ায় অনেক ট্রলার সমুদ্রে যাওয়া বন্ধ রেখে ঘাটে অবস্থান করছে।
জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতি হাতিয়া শাখার সভাপতি নুরুল করিম রতন জানান, হাতিয়ায় ছোট-বড় প্রায় ১০ হাজার জেলেনৌকা রয়েছে। তাতে ১০ জন করে হলেও এসব নৌকায় ১ লাখ লোক এই পেশার সঙ্গে জড়িত। এখন আর পাল তোলা নৌকা নাই। সবাই ইঞ্জিন ব্যবহার করে মাছ শিকার করেন। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বরফসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন এসব জেলে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম হোসেন বলেন, সরকার ডিজেলের মূল্য নির্ধারণ করেছে ১১৪ টাকা। হাতিয়া একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হওয়ায় এখানে পরিবহন খরচ একটু বেশি। তাই সরকারনির্ধারিত দামের চেয়ে লিটারপ্রতি আরও তিন-চার টাকা বেশি বিক্রি করতে হয় এখানকার ব্যবসায়ীদের। কিন্তু এর চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করলে আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করব। ইতিমধ্যে কয়েকটি ঘাটে অভিযান চালিয়ে জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
দেশে তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে সড়কে যানবাহনের ন্যায় নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার জেলেপল্লিতে। গভীর সমুদ্রে ইঞ্জিনচালিত নৌকা ও ট্রলার নিয়ে মাছ শিকারে যান দ্বীপের প্রায় ১ লাখ জেলে। মাছ ধরার এসব নৌকা ও ট্রলারে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয় ডিজেল। দেশে তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং কাঙ্ক্ষিত মাছ না পাওয়ায় অনেক জেলে মাছ শিকার বন্ধ রেখেছে। তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে প্রভাব পড়েছে জেলেদের দৈনন্দিন জীবিকায়। এতে বিপাকে পড়েছেন এই দ্বীপের মাছ শিকার ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িত লক্ষাধিক মানুষ।
জেলে ও মাছ ব্যবসায়ীরা জানান, মাছ ধরার নৌকা বা ট্রলারে ব্যবহৃত ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মাছ সংরক্ষণে ব্যবহৃত বরফের দামও বেড়েছে। প্রতি পিস বরফের মূল্য বেড়েছে ৫০ টাকা। আগে আকারবেঁধে ১০০ ও ১৫০ টাকায় যে বরফ পাওয়া যেত, তা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকায়। তেল ও বরফ কিনতে জেলেদের যেমন ব্যয় বেড়েছে, তেমনি সাগরে কাঙ্ক্ষিত মাছও পাচ্ছেন না তাঁরা। যে পরিমাণ মাছ পাচ্ছেন, তাতে তাঁদের তেল ও বরফের খরচও উঠছে না।
হাতিয়ার বাংলাবাজার ঘাটের জেলে নুরউদ্দিন (৪৫) জানান, বুধবার সকালে ঘাটের পাশে বাংলাবাজার থেকে সরকারনির্ধারিত ১১৪ টাকার ডিজেল ১২০ টাকায় কিনতে হয়েছে তাঁকে। চার-পাঁচ দিনের জন্য সাগরে গেলে একবারে বারো-তেরো শ লিটার তেল নিয়ে যেতে হয়। এখন তেমন মাছও পাওয়া যাচ্ছে না। তাই ২০০ লিটার ডিজেল কিনে নিয়েছেন। গভীর সমুদ্রে না গিয়ে নদীতে মাছ শিকার করবেন।
আজ বুধবার সকালে উপজেলার সূর্যমুখী ঘাটে গিয়ে কথা হয় কয়েকজন জেলের সঙ্গে। এর মধ্যে এমভি মা আয়েশা ট্রলারের মাঝি আলাউদ্দিন (৫৫) জানান, সাগর উত্তাল থাকায় চার দিন ধরে তাঁরা ঘাটে অবস্থান করছেন। আজ সাগরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। প্রতিবারের ন্যায় ট্রলারের জন্য জ্বালানি তেল (ডিজেল) কিনতে গিয়ে দেখেন ব্যারেলপ্রতি (২০০ লিটার) মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ৭ হাজার ৫০০ টাকা। আগে প্রতি লিটার কিনতেন ৮২ টাকায়, এখন কিনতে হচ্ছে ১২০ টাকায়।
আলাউদ্দিন আরও জানান, ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার পরে এক ট্রিপ মাছ শিকার করে এসেছেন। ছয় দিন সাগরে থেকে মাছ পেয়েছেন ছয় মণ, যা ১৬ হাজার টাকা ধরে বিক্রি করে পেয়েছেন ৯৬ হাজার টাকা। এতে ৮০০ লিটার (৪ ব্যারেল) তেল পুড়িয়ে অন্যান্য খরচসহ তেমন একটা লাভের মুখ দেখেননি। এর মধ্যে তেলের দাম বাড়ানোয় ২০ জন মাঝিমাল্লা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বলে জানান তিনি।
হাতিয়া ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি রাশেদ উদ্দিন জানান, তাঁদের সমিতির অধীনে হাতিয়ায় প্রায় ৫০০ বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। একেকটি ট্রলারে ২০-২২ জন মাঝিমাল্লা থাকেন। এসব ট্রলার গভীর সমুদ্রে গিয়ে মাছ শিকার করে। একেকটি ট্রলার সমুদ্রে যাওয়ার সময় ঘাট থেকে ৮-১০ ব্যারেল করে তেল নিয়ে যায়। হঠাৎ তেলের দাম বাড়ায় অনেক ট্রলার সমুদ্রে যাওয়া বন্ধ রেখে ঘাটে অবস্থান করছে।
জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতি হাতিয়া শাখার সভাপতি নুরুল করিম রতন জানান, হাতিয়ায় ছোট-বড় প্রায় ১০ হাজার জেলেনৌকা রয়েছে। তাতে ১০ জন করে হলেও এসব নৌকায় ১ লাখ লোক এই পেশার সঙ্গে জড়িত। এখন আর পাল তোলা নৌকা নাই। সবাই ইঞ্জিন ব্যবহার করে মাছ শিকার করেন। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বরফসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন এসব জেলে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম হোসেন বলেন, সরকার ডিজেলের মূল্য নির্ধারণ করেছে ১১৪ টাকা। হাতিয়া একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হওয়ায় এখানে পরিবহন খরচ একটু বেশি। তাই সরকারনির্ধারিত দামের চেয়ে লিটারপ্রতি আরও তিন-চার টাকা বেশি বিক্রি করতে হয় এখানকার ব্যবসায়ীদের। কিন্তু এর চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করলে আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করব। ইতিমধ্যে কয়েকটি ঘাটে অভিযান চালিয়ে জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
১২ আগস্ট ২০২৫লক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
১২ আগস্ট ২০২৫দুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
১২ আগস্ট ২০২৫চট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫