ইসমাইল হোসেন কিরণ, হাতিয়া (নোয়াখালী)
জসিম উদ্দিন (৫০) একজন ব্যবসায়ী। তিনি অসুস্থ স্ত্রী ঝর্না বেগমকে নিয়ে ২৮ আগস্ট ঢাকায় যাওয়ার জন্য রওনা দেন। ঢাকার উদ্দেশ্যে দুপুর ১২টায় তাঁদের বহনকারী লঞ্চটি স্থানীয় ঘাট থেকে ছেড়ে যায়। পরদিন সকালে ঢাকায় নেমে স্ত্রীকে উন্নত চিকিৎসা করানোর চিন্তা থাকলেও লঞ্চের মধ্যে রাত ১২টার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন ঝর্না বেগম। দেখা দেয় প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট। মোবাইলে ঢাকায় একটি অভিজাত হসপিটালে যোগাযোগ করলে রোগীকে অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু লঞ্চের মধ্যে নেই অক্সিজেনের ব্যবস্থা। ফলে ক্রমান্বয়ে রোগীর অবস্থা দুর্বল হয়ে রাত ২টার দিকে মারা যান তিন। আলাপকালে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন।
জসিম উদ্দিনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁর বাড়ি নোয়াখালী জালার হাতিয়ার জোড়খালী গ্রামে। তাঁর স্ত্রী ঝর্না বেগমের জ্বর ছিল। কয়েক দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তারদের পরামর্শে তাঁকে ওষুধ খাওয়ানো হয়। কিন্তু জ্বর ভালো না হওয়ায় ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন জসিম উদ্দিন। এ জন্য তমরদ্দিঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাতায়াত করা এমভি তাসরিফ-১ এর ভিআইপি কেবিন-২ বুকিং করেন। কিন্তু রাতেই লঞ্চের মধ্যে প্রাণ যায় তাঁর স্ত্রীর। পরদিন সকালে ঢাকা সদরঘাট নেমে অ্যাম্বুলেন্সে করে মৃত স্ত্রীকে নিয়ে আবার হাতিয়া আসেন তিনি। লঞ্চে অক্সিজেনের অভাবে তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে আক্ষেপ করেন তিনি।
শুধু জসিম উদ্দিনের স্ত্রী নয়। একইভাবে ২০২০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি মারা যান আলী আফরোজ খাঁন নোহেল। নোহেল হাতিয়া পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন।
এ বিষয়ে নোহেল খাঁনের ভাই আলী মর্তুজা খান বলেন, আমার ভাইয়ের হার্টে সমস্যা ছিল। নিয়মিত ডাক্তার দেখানোর জন্য ঢাকায় যেতে হতো। ঘটনার দিন সকালে একই রুটে চলাচলকারী এমভি ফারহান-৩ লঞ্চে যোগে ঢাকা রওনা দেন তিনি। লঞ্চটি চাঁদপুর পৌঁছালে ভাইয়ের বুকে ব্যথা শুরু হয়। কিন্তু লঞ্চের মধ্যে ডাক্তার ও অক্সিজেনের ব্যবস্থা ছিল না। এতে রাত আড়াইটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারী মেডিকেল অফিসার মানছুর উদ্দিন বলেন, হাতিয়া থেকে দুটি লঞ্চ প্রতিদিন ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এসব লঞ্চে রোগী ছাড়াও অনেক লোক আসা যাওয়া করেন। হাতিয়া থেকে দুপুর ১২টায় ছেড়ে গিয়ে পরদিন সকালে ঢাকা পৌঁছায় এসব লঞ্চ। দীর্ঘ ১৬-১৭ ঘণ্টা পারি দিয়ে ঢাকায় যাওয়া এই রুটটি রোগীদের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ লঞ্চের মধ্যে নেই কোন ডাক্তার ও অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা। আমরা সাধারণত উন্নত চিকিৎসা নেওয়ার জন্য হাতিয়ার বাইরে যাওয়া রোগীদের এই রুটটি ব্যবহার না করার জন্য পরামর্শ দেই। কিন্তু নদী উত্তাল থাকলে নলচিরা-চেয়ারম্যান ঘাট রুট ব্যবহার করা যায় না। বাধ্য হয়ে রোগীদের তমরদ্দি ঘাট থেকে ঢাকার লঞ্চে উঠতে হয়।
ঢাকা-হাতিয়া রুটে চলাচলকারী লঞ্চ এমভি ফারহান-৩ এর মাস্টার মো. বজলুর রহমান বলেন, লঞ্চের মধ্যে জীবন রক্ষা সরঞ্জামের মধ্যে লাইফ বয়া, অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্র, কিছু প্যারাসিটামল ও বুমির ট্যাবলেট এবং একটি ফাস্ট এইড বক্স ছাড়া কিছুই নেই। হাতিয়া থেকে ছেড়ে যাওয়ার পর লঞ্চে থাকা কোন রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়লে তীরে নামিয়ে দেওয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না। তবে চাঁদপুর পার হয়ে গেলে তাও সম্ভব হয় না। কারণ গভীর রাতে তখন ঘাট দেওয়ার মতো পথে কোন জায়গা নেই।
এ ব্যাপারে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার নাজিম উদ্দিন বলেন, ঢাকা-হাতিয়া রুটে চলাচল করে দুটি অত্যাধুনিক লঞ্চ। এসব লঞ্চে আধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। কিন্তু সহস্রাধিক যাত্রী বহনে সক্ষম এসব লঞ্চে নেই কোন ডাক্তার কিংবা মেডিকেল টিম। যা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
জসিম উদ্দিন (৫০) একজন ব্যবসায়ী। তিনি অসুস্থ স্ত্রী ঝর্না বেগমকে নিয়ে ২৮ আগস্ট ঢাকায় যাওয়ার জন্য রওনা দেন। ঢাকার উদ্দেশ্যে দুপুর ১২টায় তাঁদের বহনকারী লঞ্চটি স্থানীয় ঘাট থেকে ছেড়ে যায়। পরদিন সকালে ঢাকায় নেমে স্ত্রীকে উন্নত চিকিৎসা করানোর চিন্তা থাকলেও লঞ্চের মধ্যে রাত ১২টার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন ঝর্না বেগম। দেখা দেয় প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট। মোবাইলে ঢাকায় একটি অভিজাত হসপিটালে যোগাযোগ করলে রোগীকে অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু লঞ্চের মধ্যে নেই অক্সিজেনের ব্যবস্থা। ফলে ক্রমান্বয়ে রোগীর অবস্থা দুর্বল হয়ে রাত ২টার দিকে মারা যান তিন। আলাপকালে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন।
জসিম উদ্দিনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁর বাড়ি নোয়াখালী জালার হাতিয়ার জোড়খালী গ্রামে। তাঁর স্ত্রী ঝর্না বেগমের জ্বর ছিল। কয়েক দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তারদের পরামর্শে তাঁকে ওষুধ খাওয়ানো হয়। কিন্তু জ্বর ভালো না হওয়ায় ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন জসিম উদ্দিন। এ জন্য তমরদ্দিঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাতায়াত করা এমভি তাসরিফ-১ এর ভিআইপি কেবিন-২ বুকিং করেন। কিন্তু রাতেই লঞ্চের মধ্যে প্রাণ যায় তাঁর স্ত্রীর। পরদিন সকালে ঢাকা সদরঘাট নেমে অ্যাম্বুলেন্সে করে মৃত স্ত্রীকে নিয়ে আবার হাতিয়া আসেন তিনি। লঞ্চে অক্সিজেনের অভাবে তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে আক্ষেপ করেন তিনি।
শুধু জসিম উদ্দিনের স্ত্রী নয়। একইভাবে ২০২০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি মারা যান আলী আফরোজ খাঁন নোহেল। নোহেল হাতিয়া পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন।
এ বিষয়ে নোহেল খাঁনের ভাই আলী মর্তুজা খান বলেন, আমার ভাইয়ের হার্টে সমস্যা ছিল। নিয়মিত ডাক্তার দেখানোর জন্য ঢাকায় যেতে হতো। ঘটনার দিন সকালে একই রুটে চলাচলকারী এমভি ফারহান-৩ লঞ্চে যোগে ঢাকা রওনা দেন তিনি। লঞ্চটি চাঁদপুর পৌঁছালে ভাইয়ের বুকে ব্যথা শুরু হয়। কিন্তু লঞ্চের মধ্যে ডাক্তার ও অক্সিজেনের ব্যবস্থা ছিল না। এতে রাত আড়াইটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারী মেডিকেল অফিসার মানছুর উদ্দিন বলেন, হাতিয়া থেকে দুটি লঞ্চ প্রতিদিন ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এসব লঞ্চে রোগী ছাড়াও অনেক লোক আসা যাওয়া করেন। হাতিয়া থেকে দুপুর ১২টায় ছেড়ে গিয়ে পরদিন সকালে ঢাকা পৌঁছায় এসব লঞ্চ। দীর্ঘ ১৬-১৭ ঘণ্টা পারি দিয়ে ঢাকায় যাওয়া এই রুটটি রোগীদের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ লঞ্চের মধ্যে নেই কোন ডাক্তার ও অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা। আমরা সাধারণত উন্নত চিকিৎসা নেওয়ার জন্য হাতিয়ার বাইরে যাওয়া রোগীদের এই রুটটি ব্যবহার না করার জন্য পরামর্শ দেই। কিন্তু নদী উত্তাল থাকলে নলচিরা-চেয়ারম্যান ঘাট রুট ব্যবহার করা যায় না। বাধ্য হয়ে রোগীদের তমরদ্দি ঘাট থেকে ঢাকার লঞ্চে উঠতে হয়।
ঢাকা-হাতিয়া রুটে চলাচলকারী লঞ্চ এমভি ফারহান-৩ এর মাস্টার মো. বজলুর রহমান বলেন, লঞ্চের মধ্যে জীবন রক্ষা সরঞ্জামের মধ্যে লাইফ বয়া, অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্র, কিছু প্যারাসিটামল ও বুমির ট্যাবলেট এবং একটি ফাস্ট এইড বক্স ছাড়া কিছুই নেই। হাতিয়া থেকে ছেড়ে যাওয়ার পর লঞ্চে থাকা কোন রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়লে তীরে নামিয়ে দেওয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না। তবে চাঁদপুর পার হয়ে গেলে তাও সম্ভব হয় না। কারণ গভীর রাতে তখন ঘাট দেওয়ার মতো পথে কোন জায়গা নেই।
এ ব্যাপারে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার নাজিম উদ্দিন বলেন, ঢাকা-হাতিয়া রুটে চলাচল করে দুটি অত্যাধুনিক লঞ্চ। এসব লঞ্চে আধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। কিন্তু সহস্রাধিক যাত্রী বহনে সক্ষম এসব লঞ্চে নেই কোন ডাক্তার কিংবা মেডিকেল টিম। যা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
১২ আগস্ট ২০২৫লক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
১২ আগস্ট ২০২৫দুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
১২ আগস্ট ২০২৫চট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫