সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি
দেশের অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরগুলোর মধ্যে অন্যতম নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দর। বর্তমানে এখান থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার রুটে ফ্লাইট চলাচল করছে। এ বিমানবন্দরে প্রতিদিন ১৬টি উড়োজাহাজ ওঠানামা করে। বিমানবন্দরটি আন্তর্জাতিকে উন্নীত করার কাজও চলছে। কিন্তু নানা কারণে এটির রানওয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে মনে করছেন খোদ নিরাপত্তাকর্মীরা।
তাঁরা জানান, সীমানা প্রাচীরের নিচের মাটি সরে গিয়ে ফাঁকা হয়ে গেছে। দিনের বেলা কুকুর আর রাতে আশপাশের জঙ্গল থেকে শিয়ালসহ বিভিন্ন জীবজন্তু রানওয়েতে উঠে পড়ে। অনেকে ভেতরে ঢুকে ঘাসও কাটেন। নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হলেও এখনো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। যে কোনো সময় কক্সবাজারের মতো দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ নভেম্বর কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের সময় রানওয়েতে বিমান বাংলাদেশের একটি উড়োজাহাজের ডানার সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুটি গরুর মৃত্যু হয়। অল্পের জন্য ভয়াবহ দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পান ফ্লাইটের ৯৪ জন আরোহী।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালে প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয়ে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করা হয়। সাত বছর না যেতেই ২০১৯ সালের ২৪ আগস্ট প্রাচীরের ১০০ ফুট ধসে পড়ে। বিভিন্ন অংশে ফাটলও দেখা দেয়। পরবর্তীতে সংস্কার করা হলেও সীমানাপ্রাচীরের উত্তর, দক্ষিণ ও পশ্চিমপাশে নিচে এখনো ফাঁকা রয়ে গেছে। এ ছাড়া রয়েছে নিরাপত্তাকর্মীর সংকট। বিমানবন্দরটির নিরাপত্তায় বর্তমানে ১২৪ জন নিরাপত্তাকর্মী নিয়োজিত আছেন। তাঁদের মধ্যে আর্মড পুলিশ (এপিবিএন) ৫৮ জন, আনসার ৪৭ জন ও সিভিল অ্যাভিয়েশন ১৯ জন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সীমানাপ্রাচীরের বেশ কিছু জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া নেই। ফলে স্থানীয়রা সহজেই মই বেয়ে বা খড়ের গাদার ওপর দিয়ে দেয়াল টপকে বিমানবন্দরে ঢুকতে পারে।
আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-৪-এর অধিনায়ক জয়নুল আবেদীনের পক্ষ থেকে এ বিমানবন্দরের বিষয়ে গত ২৬ অক্টোবর একটি চিঠি দেওয়া হয়। পুলিশ সদর দপ্তর ও সিভিল অ্যাভিয়েশন অব বাংলাদেশে (সিএএবি) পাঠানো ওই চিঠিতে বিমানবন্দরের নিরাপত্তার ঝুঁকির বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।
জয়নুল আবেদীন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, বিমানবন্দরের সীমানা প্রাচীরের নিচের মাটি সরে যাওয়া এবং ড্রেন উন্মুক্ত থাকার কারণে প্রতিদিন বাইরের লোকজন ভেতরে প্রবেশ করে ঘাস কাটে। যে কোনো দুষ্কৃতকারী রানওয়েতে ঢুকে দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। তাই সীমানা প্রাচীর সংস্কার করা প্রয়োজন।
বিমানবন্দর এলাকার চারদিকে ও রানওয়েতে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থাও নেই। সীমানাপ্রাচীরের নিচে ফাঁকা ও চারপাশে জঙ্গল থাকায় বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণের সময় শিয়াল বা যে কোনো বন্যপ্রাণী দ্বারা উড়োজাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কাও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সৈয়দপুর বিমানবন্দরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে ‘সেন্ট্রি পোস্ট’ ও ‘ওয়াচ টাওয়ার’ নির্মাণ করতে হবে। উড়োজাহাজ উড্ডয়ন-অবতরণের সময় যাত্রীদের লাগেজসহ মালামাল আরও ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। বাড়াতে হবে পার্কিং এলাকায় টহল ও ভিআইপি গেটসহ প্রবেশমুখের নিরাপত্তা। সিভিল অ্যাভিয়েশনের সিসি ক্যামেরা ভাগাভাগিসহ নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর সহযোগিতা ও সমন্বয়ও জরুরি।
নিরাপত্তাপ্রাচীরের গোড়ার মাটি সরে গিয়ে সুড়ঙ্গ তৈরির হওয়ার কথা স্বীকার করে সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক সুপ্লব কুমার ঘোষ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্থানীয়রা এটা করেছে। তাঁরা ভোরে সুড়ঙ্গ দিয়ে ঘাস কাটার জন্য ভেতরে ঢোকে। নিরাপত্তার জন্য এখানে জনবল কম। আরও ৩৬ জন আনসার সদস্যের চাহিদা দেওয়া হয়েছে।’
শিগগিরই প্রাচীরের সুড়ঙ্গ বন্ধসহ নিরাপত্তা বাড়ানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
দেশের অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরগুলোর মধ্যে অন্যতম নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দর। বর্তমানে এখান থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার রুটে ফ্লাইট চলাচল করছে। এ বিমানবন্দরে প্রতিদিন ১৬টি উড়োজাহাজ ওঠানামা করে। বিমানবন্দরটি আন্তর্জাতিকে উন্নীত করার কাজও চলছে। কিন্তু নানা কারণে এটির রানওয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে মনে করছেন খোদ নিরাপত্তাকর্মীরা।
তাঁরা জানান, সীমানা প্রাচীরের নিচের মাটি সরে গিয়ে ফাঁকা হয়ে গেছে। দিনের বেলা কুকুর আর রাতে আশপাশের জঙ্গল থেকে শিয়ালসহ বিভিন্ন জীবজন্তু রানওয়েতে উঠে পড়ে। অনেকে ভেতরে ঢুকে ঘাসও কাটেন। নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হলেও এখনো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। যে কোনো সময় কক্সবাজারের মতো দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ নভেম্বর কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের সময় রানওয়েতে বিমান বাংলাদেশের একটি উড়োজাহাজের ডানার সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুটি গরুর মৃত্যু হয়। অল্পের জন্য ভয়াবহ দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পান ফ্লাইটের ৯৪ জন আরোহী।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালে প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয়ে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করা হয়। সাত বছর না যেতেই ২০১৯ সালের ২৪ আগস্ট প্রাচীরের ১০০ ফুট ধসে পড়ে। বিভিন্ন অংশে ফাটলও দেখা দেয়। পরবর্তীতে সংস্কার করা হলেও সীমানাপ্রাচীরের উত্তর, দক্ষিণ ও পশ্চিমপাশে নিচে এখনো ফাঁকা রয়ে গেছে। এ ছাড়া রয়েছে নিরাপত্তাকর্মীর সংকট। বিমানবন্দরটির নিরাপত্তায় বর্তমানে ১২৪ জন নিরাপত্তাকর্মী নিয়োজিত আছেন। তাঁদের মধ্যে আর্মড পুলিশ (এপিবিএন) ৫৮ জন, আনসার ৪৭ জন ও সিভিল অ্যাভিয়েশন ১৯ জন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সীমানাপ্রাচীরের বেশ কিছু জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া নেই। ফলে স্থানীয়রা সহজেই মই বেয়ে বা খড়ের গাদার ওপর দিয়ে দেয়াল টপকে বিমানবন্দরে ঢুকতে পারে।
আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-৪-এর অধিনায়ক জয়নুল আবেদীনের পক্ষ থেকে এ বিমানবন্দরের বিষয়ে গত ২৬ অক্টোবর একটি চিঠি দেওয়া হয়। পুলিশ সদর দপ্তর ও সিভিল অ্যাভিয়েশন অব বাংলাদেশে (সিএএবি) পাঠানো ওই চিঠিতে বিমানবন্দরের নিরাপত্তার ঝুঁকির বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।
জয়নুল আবেদীন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, বিমানবন্দরের সীমানা প্রাচীরের নিচের মাটি সরে যাওয়া এবং ড্রেন উন্মুক্ত থাকার কারণে প্রতিদিন বাইরের লোকজন ভেতরে প্রবেশ করে ঘাস কাটে। যে কোনো দুষ্কৃতকারী রানওয়েতে ঢুকে দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। তাই সীমানা প্রাচীর সংস্কার করা প্রয়োজন।
বিমানবন্দর এলাকার চারদিকে ও রানওয়েতে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থাও নেই। সীমানাপ্রাচীরের নিচে ফাঁকা ও চারপাশে জঙ্গল থাকায় বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণের সময় শিয়াল বা যে কোনো বন্যপ্রাণী দ্বারা উড়োজাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কাও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সৈয়দপুর বিমানবন্দরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে ‘সেন্ট্রি পোস্ট’ ও ‘ওয়াচ টাওয়ার’ নির্মাণ করতে হবে। উড়োজাহাজ উড্ডয়ন-অবতরণের সময় যাত্রীদের লাগেজসহ মালামাল আরও ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। বাড়াতে হবে পার্কিং এলাকায় টহল ও ভিআইপি গেটসহ প্রবেশমুখের নিরাপত্তা। সিভিল অ্যাভিয়েশনের সিসি ক্যামেরা ভাগাভাগিসহ নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর সহযোগিতা ও সমন্বয়ও জরুরি।
নিরাপত্তাপ্রাচীরের গোড়ার মাটি সরে গিয়ে সুড়ঙ্গ তৈরির হওয়ার কথা স্বীকার করে সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক সুপ্লব কুমার ঘোষ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্থানীয়রা এটা করেছে। তাঁরা ভোরে সুড়ঙ্গ দিয়ে ঘাস কাটার জন্য ভেতরে ঢোকে। নিরাপত্তার জন্য এখানে জনবল কম। আরও ৩৬ জন আনসার সদস্যের চাহিদা দেওয়া হয়েছে।’
শিগগিরই প্রাচীরের সুড়ঙ্গ বন্ধসহ নিরাপত্তা বাড়ানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
১২ আগস্ট ২০২৫লক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
১২ আগস্ট ২০২৫দুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
১২ আগস্ট ২০২৫চট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫