নওগাঁয় দাফনের ৫৬ দিন পর কবর থেকে শিক্ষার্থীর মরদেহ উত্তোলন

নওগাঁয় দাফনের ৫৬ দিন পর কীর্তিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সিফাত হোসেনের (১৪) মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম। 

এর আগে দুপুরে উপজেলার কীর্তিপুর ইউনিয়নের হরিরামপুর গ্রামের কবরস্থান থেকে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উত্তোলন করা হয়। সিফাত হোসেন কীর্তিপুর ইউনিয়নের হরিরামপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে। সে কীর্তিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। 

জানা গেছে, নওগাঁ জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইকবাল হোসাইন, নওগাঁ সদর থানার ওসি (অপারেশন) আব্দুল গফুর এবং সিফাতের পরিবারের লোকজনের উপস্থিতিতে মরদেহ উত্তোলন করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। 

নিহত সিফাতের পরিবার, পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৩১ মে কীর্তিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে সিফাতকে মারধর করে ওই স্কুলের শিক্ষক সাজেদুর রহমান সাজুর ছেলেসহ কয়েকজন। ঘটনাটি সিফাত তার পরিবারকে জানালে ওই দিন সিফাতের বাবা মিজানুর রহমান প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করেন। পরে বিচার না পাওয়ায় আত্মহত্যা করে সিফাত। 

এ ঘটনায় সিফাতের বাবা মিজানুর রহমান আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে মামলা করেন। সেই মামলার তদন্তের জন্য সিফাতের মরদেহ আজ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। 

নিহত সিফাতের বাবা মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমার ছেলেকে আত্মহত্যার প্ররোচনা করা হয়েছে। স্কুলে গিয়ে অপমান সইতে না পেরে সে আত্মহত্যা করেছে। তাই আমার করা মামলায় আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য ছেলের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। জড়িতদের কঠিন শাস্তি চাই।’ 

এ বিষয়ে নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জুয়েল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে ও জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’ 

এ ব্যাপারে নওগাঁ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইকবাল হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, আদালতের নির্দেশে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। মরদেহ উত্তোলন করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।