ময়মনসিংহে বিএনপির পৌনে তিন শ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তারের অভিযোগ

ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ রোডমার্চ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ময়মনসিংহে ২২টি মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় প্রায় পৌনে তিন শ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। আজ শনিবার দুপুরে রোডমার্চ কর্মসূচির শিডিউল জানাতে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স এই অভিযোগ করেন।

এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ময়মনসিংহের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অগণতান্ত্রিক সরকারের নির্দেশে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের দমন-পীড়ন চালিয়ে এই আন্দোলন বন্ধ করতে চায়। গত ১৫-২০ দিন ধরে ময়মনসিংহ বিভাগের জেলা, মহানগরের প্রতিটি এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে। একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করে গণগ্রেপ্তার করছে।

বিএনপির এই নেতা প্রশাসনের এই কর্মকাণ্ডকে বেআইনি আখ্যা দিয়ে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মিথ্যা মামলা, হামলা, দমন-নিপীড়ন, গ্রেপ্তার ও হয়রানি বন্ধের দাবি জানান। একই সঙ্গে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করে রোডমার্চসহ আন্দোলন-সংগ্রাম তথা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

বিএনপির এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল উপজেলার বগারবাজারে গণসমাবেশের মধ্য দিয়ে রোডমার্চ শুরু হবে। এরপর রোডমার্চের গাড়িবহর বগারবাজার থেকে রওনা হয়ে চুরখাই বাজার, বাইপাস মোড়, কেওয়াটখালী, শম্ভুগঞ্জ ব্রিজ, চায়না মোড়, শম্ভুগঞ্জ বাজার, গৌরীপুর, ঈশ্বরগঞ্জ, নান্দাইল হয়ে কিশোরগঞ্জে গিয়ে শেষ হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ারেস আলী মামুন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. মাহবুবুর রহমান লিটন, উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ কালাম, দক্ষিণ জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন বাবলু ও আলমগীর মাহমুদ আলম, মহানগর সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দ, শেখ আমদাজ আলী, এম এ হান্নান খান, এ কে এম মাহবুবুল আলম, শামীম আজাদ, উত্তর জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার, সদস্য ইয়াসের খান চৌধুরী, ফুলবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আক্তারুল আলম ফারুক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।