Ajker Patrika

করোনায় স্কুলছাত্র এখন কাঠ মিস্ত্রির সহযোগী

মিন্টু মিয়া, নান্দাইল (ময়মনসিংহ)
আপডেট : ২৬ জুলাই ২০২১, ১৪: ৪০
করোনায় স্কুলছাত্র এখন কাঠ মিস্ত্রির সহযোগী

তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. সোহেল রানা (৯)। পড়াশোনা করার স্বপ্ন থাকলেও করোনা সেই স্বপ্নে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। করোনার কারণে দীর্ঘ ১৭ মাস ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এখন কাঠ মিস্ত্রির সহযোগী হিসেবে কাজ করতে হচ্ছে সোহেলকে।

মো. সোহেল রানা নান্দাইল উপজেলার চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের জোড়পুকুর এলাকার মো. রুবেল হোসেনের ছেলে। সে স্থানীয় ব্র্যাক স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় সে এখন ফার্নিচারের দোকানে কাঠমিস্ত্রির সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। মিস্ত্রির সহযোগী হিসেবে কাজ করে সোহেল প্রতিদিন ১৫০ টাকা করে উপার্জন করে।

ফার্নিচার দোকানের মালিক মো. সাইফুল ইসলাম জানান, ছেলেটা খুব অসহায়। তাই তাকে আমার মিস্ত্রির সহযোগী হিসেবে কাজ দিয়েছি। স্কুল বন্ধ থাকায় অযথা এদিক-সেদিক ঘোরাফেরা করে সময় নষ্ট করে। পরে তার বাবা আমার ফার্নিচার দোকানে কাজ করতে দিয়ে যায়। ছোট মানুষ দেখে ভারী কাজে দেই না।’ 

সোহেল রানা বলে, ‘পরিবারে ছেলেদের মধ্যে বড় আমি। তাই আমাকে সংসারের দিকে খেয়াল রাখতে হয়। স্কুল বন্ধ কী করমু, বসে থাকলে তো হবে না, কাজ করে খেতে হবে।’

পড়াশোনা ছেড়ে কাজ করতে কষ্ট লাগে কি না, জানতে চাইলে সোহেল বলে, ‘কাজ করতে তো একটু কষ্ট লাগবেই। দিন শেষে তো টাকা পাই, এইডা সমস্যা না। স্কুল খোলা হলে আবার স্কুলে ফিইরা যামু।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত