ইলিয়াস আহমেদ, ময়মনসিংহ
‘আমার ছেলেটা অত্যন্ত নম্র-ভদ্র ছিল। কোনো দিন কারও সঙ্গে বেয়াদবি করেনি। কারও দিকে চোখ তুলে তাকায়নি। তার এমন মৃত্যুতে কষ্ট আছে, তবে দুঃখ করি না। সবই আল্লাহর ইচ্ছা। সে দিয়েছে, আবার ভালো মনে করে নিয়ে গেছে। না হলে কেন আমার ছেলে হাসপাতালের কথা বলে মিন্টু কলেজ এলাকায় গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাবে? তার তো ওখানে যাওয়ার কথা না।’
শোকে কাতর হয়ে আজ শুক্রবার কথাগুলো বলছিলেন ময়মনসিংহ নগরীর চৌরঙ্গীমোড় এলাকার বাসিন্দা মো. আসাদুজ্জামান। তাঁর ছেলে রেদুয়ান হোসেন সাগর (২৪) ১৯ জুলাই নগরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
সাগর ফুলবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামান ও রহিমা খাতুন দম্পতির বড় সন্তান তিনি। আট বছর ধরে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী রহিমা খাতুন। এক ছেলে সাগর ও এক মেয়ে আফিয়া তাবাসসুমকে নিয়ে চলছিল তাঁদের সংসারজীবন। হঠাৎ কোটা সংস্কার আন্দোলনের ঝড়ে থমকে গেছে তাঁদের জীবন।
চৌরঙ্গীমোড় গিয়ে সাগরের বাবা আসাদুজ্জামানের সঙ্গে কথা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বুধবার (১৭ জুলাই) সেলুনে গিয়ে সাগর চুল-দাড়ি কাটে; চুল-দাড়ি কাটার পর ছেলেটাকে বেশ ভালোই লাগছিল। আমাদের কোনো অসুস্থ আত্মীয়স্বজন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসলেই সাগরের সহযোগিতা নিত। গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) বিকেলেও সাগর বাসা থেকে বের হয় হাসপাতালে কাউকে ডাক্তার দেখাবে বলে। সন্ধ্যা হয়ে গেলেও বাসায় না ফেরায় তাকে কল দেওয়া হলে সে রিসিভ করেনি। হঠাৎ তার মোবাইল থেকে অপরিচিতজন কল করে জানায় সাগর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আছে। তাৎক্ষণিক আমার ছোট ভাই সাগরের চাচা আকরামুজ্জামান হাসপাতালে ছুটে যায়। গিয়ে দেখে সাগর না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছে। তার বুকের বাঁ এবং ডান পাশে গুলি লাগে। ওই দিন রাত ৮টার দিকে ওইখানকার কয়েকজন অ্যাম্বুলেন্স করে মরদেহ বাসায় পৌঁছে দেয়। পরদিন সকাল ১০টায় জানাজা শেষে মাদ্রাসা কোয়ার্টার কবরস্থানে দাফন করা হয় সাগরকে।’
সাগরের মৃত্যুতে কাউকে দায়ী করেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘যা কপালে লেখা ছিল তাই হয়েছে; আমরা এ ঘটনায় কাউকে দায়ী করি না। পুলিশের সদস্যরা আমাদের খোঁজখবর নিয়েছেন, তাঁরা বলেছেন কোনো অভিযোগ থাকলে করার জন্য। কিন্তু আমরা কোনো অভিযোগ করতে চাই না। তবে যে আন্দোলনে আমার নিষ্পাপ ছেলেটা প্রাণ দিয়েছে তা যেন সফল হয়। আর কোনো আন্দোলনে কারও বাবা-মায়ের কোল যেন এভাবে খালি না হয়। দেশে শান্তি ফিরে আসুক।’
নিহত সাগরের চাচা মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘সাগর জন্মের পর থেকে আমাকে বাবা বলে ডাকত। কোনো কিছুর প্রয়োজন হলে আমার কাছেই আবদার করত। আমি তাকে সন্তানের মতো মানুষ করেছি। কারণ সে আমাদের বংশের বড় সন্তান।’
তিনি বলেন, ‘সাগর হিসাববিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করলেও আইটিতে তার খুব দক্ষতা ছিল। সব সময় ব্যতিক্রম কিছু করার চেষ্টা করত। ছেলেটা আমাদের এভাবে ছেড়ে চলে যাবে বুঝতে পারিনি। বিগত এক বছর আগে তার বাবা বাসা করেছে; কত স্বপ্ন কত আশা নিয়ে। যার জন্য করেছে সেই তো আজ নেই। মেয়েটাকে বিয়ে দিয়ে দিলে কে থাকবে এ বাসায়?’
তিনি বলেন, ‘সাগর কোনো রাজনীতি করত না। তবে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রকিবুল ইসলাম রাকিবের সঙ্গে সাগরের ভালো সম্পর্ক ছিল। আমাদের পরিবারের সদস্যরা ধর্মে-কর্মে একটু বেশি বিশ্বাসী; তাই মনে করি আল্লাহ যা ভালো মনে করেছেন তাই হয়েছে।’
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে সদরে সাগর নামের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। তবে তাঁদের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ না করলেও বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে।
‘আমার ছেলেটা অত্যন্ত নম্র-ভদ্র ছিল। কোনো দিন কারও সঙ্গে বেয়াদবি করেনি। কারও দিকে চোখ তুলে তাকায়নি। তার এমন মৃত্যুতে কষ্ট আছে, তবে দুঃখ করি না। সবই আল্লাহর ইচ্ছা। সে দিয়েছে, আবার ভালো মনে করে নিয়ে গেছে। না হলে কেন আমার ছেলে হাসপাতালের কথা বলে মিন্টু কলেজ এলাকায় গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাবে? তার তো ওখানে যাওয়ার কথা না।’
শোকে কাতর হয়ে আজ শুক্রবার কথাগুলো বলছিলেন ময়মনসিংহ নগরীর চৌরঙ্গীমোড় এলাকার বাসিন্দা মো. আসাদুজ্জামান। তাঁর ছেলে রেদুয়ান হোসেন সাগর (২৪) ১৯ জুলাই নগরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
সাগর ফুলবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামান ও রহিমা খাতুন দম্পতির বড় সন্তান তিনি। আট বছর ধরে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী রহিমা খাতুন। এক ছেলে সাগর ও এক মেয়ে আফিয়া তাবাসসুমকে নিয়ে চলছিল তাঁদের সংসারজীবন। হঠাৎ কোটা সংস্কার আন্দোলনের ঝড়ে থমকে গেছে তাঁদের জীবন।
চৌরঙ্গীমোড় গিয়ে সাগরের বাবা আসাদুজ্জামানের সঙ্গে কথা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বুধবার (১৭ জুলাই) সেলুনে গিয়ে সাগর চুল-দাড়ি কাটে; চুল-দাড়ি কাটার পর ছেলেটাকে বেশ ভালোই লাগছিল। আমাদের কোনো অসুস্থ আত্মীয়স্বজন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসলেই সাগরের সহযোগিতা নিত। গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) বিকেলেও সাগর বাসা থেকে বের হয় হাসপাতালে কাউকে ডাক্তার দেখাবে বলে। সন্ধ্যা হয়ে গেলেও বাসায় না ফেরায় তাকে কল দেওয়া হলে সে রিসিভ করেনি। হঠাৎ তার মোবাইল থেকে অপরিচিতজন কল করে জানায় সাগর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আছে। তাৎক্ষণিক আমার ছোট ভাই সাগরের চাচা আকরামুজ্জামান হাসপাতালে ছুটে যায়। গিয়ে দেখে সাগর না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছে। তার বুকের বাঁ এবং ডান পাশে গুলি লাগে। ওই দিন রাত ৮টার দিকে ওইখানকার কয়েকজন অ্যাম্বুলেন্স করে মরদেহ বাসায় পৌঁছে দেয়। পরদিন সকাল ১০টায় জানাজা শেষে মাদ্রাসা কোয়ার্টার কবরস্থানে দাফন করা হয় সাগরকে।’
সাগরের মৃত্যুতে কাউকে দায়ী করেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘যা কপালে লেখা ছিল তাই হয়েছে; আমরা এ ঘটনায় কাউকে দায়ী করি না। পুলিশের সদস্যরা আমাদের খোঁজখবর নিয়েছেন, তাঁরা বলেছেন কোনো অভিযোগ থাকলে করার জন্য। কিন্তু আমরা কোনো অভিযোগ করতে চাই না। তবে যে আন্দোলনে আমার নিষ্পাপ ছেলেটা প্রাণ দিয়েছে তা যেন সফল হয়। আর কোনো আন্দোলনে কারও বাবা-মায়ের কোল যেন এভাবে খালি না হয়। দেশে শান্তি ফিরে আসুক।’
নিহত সাগরের চাচা মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘সাগর জন্মের পর থেকে আমাকে বাবা বলে ডাকত। কোনো কিছুর প্রয়োজন হলে আমার কাছেই আবদার করত। আমি তাকে সন্তানের মতো মানুষ করেছি। কারণ সে আমাদের বংশের বড় সন্তান।’
তিনি বলেন, ‘সাগর হিসাববিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করলেও আইটিতে তার খুব দক্ষতা ছিল। সব সময় ব্যতিক্রম কিছু করার চেষ্টা করত। ছেলেটা আমাদের এভাবে ছেড়ে চলে যাবে বুঝতে পারিনি। বিগত এক বছর আগে তার বাবা বাসা করেছে; কত স্বপ্ন কত আশা নিয়ে। যার জন্য করেছে সেই তো আজ নেই। মেয়েটাকে বিয়ে দিয়ে দিলে কে থাকবে এ বাসায়?’
তিনি বলেন, ‘সাগর কোনো রাজনীতি করত না। তবে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রকিবুল ইসলাম রাকিবের সঙ্গে সাগরের ভালো সম্পর্ক ছিল। আমাদের পরিবারের সদস্যরা ধর্মে-কর্মে একটু বেশি বিশ্বাসী; তাই মনে করি আল্লাহ যা ভালো মনে করেছেন তাই হয়েছে।’
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে সদরে সাগর নামের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। তবে তাঁদের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ না করলেও বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
১২ আগস্ট ২০২৫লক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
১২ আগস্ট ২০২৫দুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
১২ আগস্ট ২০২৫চট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫