ঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
কেঁচো সার তৈরি করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার কিষানিরা। সংসারে এনেছেন সচ্ছলতা। গ্রামীণ নারীদের অর্থনৈতিক কাজের পরিধি ও আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি ক্রমেই চাষিদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই ভার্মি কম্পোস্ট সারের ব্যবহার।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার জাবরা, সাইংজুরী, কাউটিয়া, নালী, গোয়ালডাঙ্গী, তরা, আশাপুর, বড়টিয়া, সিংজুরীসহপাড়া, বিভিন্ন গ্রামে কেঁচো সার উৎপাদন করছেন কমপক্ষে অর্ধশতাধিক নারী। স্বল্প পুঁজি ও কম পরিশ্রমে কেঁচো সার উৎপাদন করে পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা এনেছেন তাঁরা।
উপজেলা কৃষি বিভাগ বলছে, জৈব সারের ব্যবহার বৃদ্ধিতে দিতে কাজ করছেন তাঁরা। এতে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি বাড়বে ফসলের মান ও উৎপাদন।
উপজেলার বানিয়াজুরী ইউনিয়নের জাবরা গ্রামের রহিমা বেগম (৫২) বাড়ির উঠানের একপাশে ১৬টি বড় রিং বসিয়েছেন কেঁচো পালনের জন্য। প্রতি মাসে এই রিং থেকে ৮০০ থেকে ১ হাজার কেজি জৈব সার উৎপাদিত হচ্ছে। খরচ বাদে মাসিক আয় থাকছে ১০ হাজার টাকার বেশি। রহিমার পরিবেশবান্ধব এই সার চলে যাচ্ছে বিভিন্ন স্থানে। তাঁর দেখাদেখি ওই গ্রামের বেশ কয়েকজন গৃহবধূ এ কাজ শুরু করেছেন।
রামেশ্বরপট্টি গ্রামের কিষানি হোসনেয়ারা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রাকৃতিক কৃষি কেন্দ্র প্রথম কেঁচো সার উৎপাদনের পরামর্শ দেয়। রিংয়ের মধ্যে গোবর আর কেঁচো দিয়ে সার তৈরি করি। প্রতি কেজি সার বিক্রি হয় ১২ থেকে ১৫ টাকা। মাসে ৬ হাজার টাকার টাকার ওপরে আয় হয়।’
জাবরা গ্রামে রহিমা বেগমের বাড়িতে দেখা যায়, একটি টিনের নিচে রিং বসিয়ে তিনি কেঁচো সার উৎপাদন করছেন। তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালে তরা গ্রামের কৃষক এমদাদুলের ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন দেখে অনুপ্রাণিত হই। তারপর কেঁচো সংগ্রহ করে অল্প পরিসরে পাঁচটা পাত্রে সার তৈরি করি। এখন আমার রিংয়ের সংখ্যা ১৬টি। মাসে আয় করছি ১০-১২ হাজার টাকা।’
তরা গ্রামের কেঁচো সার উৎপাদনকারী গৃহবধূ রোজিনা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রথমে অনেকে কেঁচো পালন বিষয়টি ভালোভাবে নিতেন না। এখন কদর বাড়ছে। প্রতি কেজি সার ১৫ টাকা, কেঁচো ৬০০ টাকায় বিক্রি করি। আমাদের সংসার ভালোই চলছে। ভবিষ্যতে বেশি পরিমাণ কেঁচো সার উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে।’
বারসিকের কৃষি উন্নয়ন কর্মকর্তা সুবীর কুমার সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ অঞ্চলে ভার্মি কম্পোস্টকে কেন্দ্র করে উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে। জৈব সারের যতই ব্যবহার বাড়বে, ততই ক্ষতিকর রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমে আসবে, ততই এলাকার প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষা পাবে।’
জৈব সার ব্যবহারকারী কৃষক দেলোয়ার জাহান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাসায়নিক সারের তুলনায় জৈব সারে ফসল উৎপাদন ভালো হয়। সেই সঙ্গে সাশ্রয়ীও। শুধু এই সার ব্যবহারে চলতি বছর সবজির স্বাস্থ্যসম্মত অধিক ফলন পেয়েছি।’
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা চিত্রা সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কেঁচো সার উৎপাদন করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন নারীরা। চাষিদের সবজিখেতে ও ফলের বাগানে ভার্মি কম্পোস্ট সার প্রয়োগ করার পরামর্শ দিচ্ছি। তাঁদের এ ধরনের উদ্যোগে যাবতীয় প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’
কেঁচো সার তৈরি করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার কিষানিরা। সংসারে এনেছেন সচ্ছলতা। গ্রামীণ নারীদের অর্থনৈতিক কাজের পরিধি ও আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি ক্রমেই চাষিদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই ভার্মি কম্পোস্ট সারের ব্যবহার।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার জাবরা, সাইংজুরী, কাউটিয়া, নালী, গোয়ালডাঙ্গী, তরা, আশাপুর, বড়টিয়া, সিংজুরীসহপাড়া, বিভিন্ন গ্রামে কেঁচো সার উৎপাদন করছেন কমপক্ষে অর্ধশতাধিক নারী। স্বল্প পুঁজি ও কম পরিশ্রমে কেঁচো সার উৎপাদন করে পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা এনেছেন তাঁরা।
উপজেলা কৃষি বিভাগ বলছে, জৈব সারের ব্যবহার বৃদ্ধিতে দিতে কাজ করছেন তাঁরা। এতে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি বাড়বে ফসলের মান ও উৎপাদন।
উপজেলার বানিয়াজুরী ইউনিয়নের জাবরা গ্রামের রহিমা বেগম (৫২) বাড়ির উঠানের একপাশে ১৬টি বড় রিং বসিয়েছেন কেঁচো পালনের জন্য। প্রতি মাসে এই রিং থেকে ৮০০ থেকে ১ হাজার কেজি জৈব সার উৎপাদিত হচ্ছে। খরচ বাদে মাসিক আয় থাকছে ১০ হাজার টাকার বেশি। রহিমার পরিবেশবান্ধব এই সার চলে যাচ্ছে বিভিন্ন স্থানে। তাঁর দেখাদেখি ওই গ্রামের বেশ কয়েকজন গৃহবধূ এ কাজ শুরু করেছেন।
রামেশ্বরপট্টি গ্রামের কিষানি হোসনেয়ারা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রাকৃতিক কৃষি কেন্দ্র প্রথম কেঁচো সার উৎপাদনের পরামর্শ দেয়। রিংয়ের মধ্যে গোবর আর কেঁচো দিয়ে সার তৈরি করি। প্রতি কেজি সার বিক্রি হয় ১২ থেকে ১৫ টাকা। মাসে ৬ হাজার টাকার টাকার ওপরে আয় হয়।’
জাবরা গ্রামে রহিমা বেগমের বাড়িতে দেখা যায়, একটি টিনের নিচে রিং বসিয়ে তিনি কেঁচো সার উৎপাদন করছেন। তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালে তরা গ্রামের কৃষক এমদাদুলের ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন দেখে অনুপ্রাণিত হই। তারপর কেঁচো সংগ্রহ করে অল্প পরিসরে পাঁচটা পাত্রে সার তৈরি করি। এখন আমার রিংয়ের সংখ্যা ১৬টি। মাসে আয় করছি ১০-১২ হাজার টাকা।’
তরা গ্রামের কেঁচো সার উৎপাদনকারী গৃহবধূ রোজিনা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রথমে অনেকে কেঁচো পালন বিষয়টি ভালোভাবে নিতেন না। এখন কদর বাড়ছে। প্রতি কেজি সার ১৫ টাকা, কেঁচো ৬০০ টাকায় বিক্রি করি। আমাদের সংসার ভালোই চলছে। ভবিষ্যতে বেশি পরিমাণ কেঁচো সার উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে।’
বারসিকের কৃষি উন্নয়ন কর্মকর্তা সুবীর কুমার সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ অঞ্চলে ভার্মি কম্পোস্টকে কেন্দ্র করে উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে। জৈব সারের যতই ব্যবহার বাড়বে, ততই ক্ষতিকর রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমে আসবে, ততই এলাকার প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষা পাবে।’
জৈব সার ব্যবহারকারী কৃষক দেলোয়ার জাহান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাসায়নিক সারের তুলনায় জৈব সারে ফসল উৎপাদন ভালো হয়। সেই সঙ্গে সাশ্রয়ীও। শুধু এই সার ব্যবহারে চলতি বছর সবজির স্বাস্থ্যসম্মত অধিক ফলন পেয়েছি।’
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা চিত্রা সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কেঁচো সার উৎপাদন করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন নারীরা। চাষিদের সবজিখেতে ও ফলের বাগানে ভার্মি কম্পোস্ট সার প্রয়োগ করার পরামর্শ দিচ্ছি। তাঁদের এ ধরনের উদ্যোগে যাবতীয় প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
১২ আগস্ট ২০২৫লক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
১২ আগস্ট ২০২৫দুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
১২ আগস্ট ২০২৫চট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫