কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রাম সদর থানা–পুলিশের বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে রিমান্ডের ভয় দেখিয়ে নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে সই নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আজ বুধবার দুপুরে কুড়িগ্রাম শহরে কলেজ মোড়ে ইউনাইটেড প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সাব ঠিকাদার মো. আসাদুজ্জামান লিটন।
স্ত্রী সন্তানসহ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে লিখিত বক্তব্যে পুলিশি হয়রানি ও মিথ্যা মামলার আশঙ্কার কথা জানান ভুক্তভোগী ঠিকাদার। একই সঙ্গে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
তবে পুলিশের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার। তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে পল্লী বিদ্যুতের মালামাল আত্মসাতের অভিযোগ এনে তাঁর মূল ঠিকাদার বাদী হয়ে মামলা করেছেন। পুলিশ মামলা নিয়ে তদন্তকাজ করছে। কারও কাছে কোনো স্ট্যাম্পে সই নেওয়া হয়নি।’
সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামান লিটন লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ঢাকার সাভারের মেসার্স মা মনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. সারোয়ার জাহানের একটি কাজ আমি সাব কন্ট্রাক্টে করছি। তাঁর নিকট ওই কাজ সম্পাদন বাবদ আমার ২৮ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। ওই টাকা চাইলে তিনি নানা টালবাহানা শুরু করেন। কাজ সম্পাদনের জন্য তাঁর কিছু মালামাল আমার কাছে রয়েছে। তিনি টাকা পরিশোধ করলে আমি মালামাল ফেরত দেওয়ার কথা বলি। কিন্তু এর মধ্যে তিনি পল্লী বিদ্যুতের সঙ্গে যোগসাজশে আমার নামে আরও বেশ কিছু মালামাল উত্তোলনের ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে, যাতে আমি কোনো স্বাক্ষর করিনি।’
ভুক্তভোগী ওই ব্যবসায়ী জানান, গত ২ নভেম্বর কুড়িগ্রাম সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আহসান হাবিব তাঁকে মোবাইলে শহরের ত্রিমোহনী বাজারে ডেকে নেন। এরপর তাঁকে থানায় তুলে নিয়ে যায়।
ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামান অভিযোগ করে বলেন, ‘থানায় নিয়ে তাকে ওসির নির্দেশে রিমান্ডের ভয় দেখিয়ে ৫ দিনের মধ্যে ইস্যুকৃত অতিরিক্ত মালামাল ফেরতের অঙ্গীকারনামা লেখা নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়া হয়। এ সময় ঠিকাদার সারোয়ার জাহান উপস্থিত না থাকলেও তার প্রতিনিধিদের সাক্ষী হিসেবে রাখা হয়। পরে আমি তাদের বেআইনি দাবিতে সাড়া না দেওয়ায় দফায়–দফায় আমি ও আমার পরিবারকে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। পুরো পরিবার নিয়ে আমি ঘরছাড়া জীবন যাপন করছি। ঠিকাদার সারোয়ার জাহানের মদদে পুলিশি হয়রানির শিকার হয়ে পাওনা টাকা তো দূরের কথা বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
এ দিকে আসাদুজ্জামানের এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন মূল ঠিকাদার সারোয়ার। তিনি বলেন, ‘আসাদুজ্জামান আমার প্রতিষ্ঠানের নামে পল্লী বিদ্যুৎ থেকে এক কোটি এক লাখ টাকার মালামাল তুলে তা ফেরত দিচ্ছেন না। এ সবকিছুর ডকুমেন্ট পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে আছে। দফায়–দফায় তার সঙ্গে বসে মালামাল ফেরত দিতে বললেও সে টালবাহানা করছে। সে উল্টো আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। মালামাল উদ্ধার ও জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আমি থানায় মামলা করেছি। স্ট্যাম্পে সই নেওয়ার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।’
পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামানের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে সদর থানার ওসি খান মো. শাহরিয়ার বলেন, ‘দুই ঠিকাদার তাদের কাজ সম্পর্কিত লেনদেন নিয়ে নিজেরাই স্ট্যাম্প তৈরি করেছেন। পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ তাদের মালামালের বিষয়ে পুলিশকে জানিয়েছে। ঠিকাদার সারোয়ার তাঁর সাব ঠিকাদার আসাদুজ্জামানের কাছে মালামাল ফেরত না পেয়ে থানায় মামলা করেছেন। আমরা মামলা রেকর্ড করে আইনগতভাবে কাজ করছি। পুলিশ কারও কাছে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়নি।’
ওসি আরও বলেন, ‘পুলিশ স্ট্যাম্পে সই নিয়ে থাকলে ওই সময়ই তিনি অভিযোগ করতে পারতেন। এখন মামলা হওয়ার খবর পেয়ে তিনি এত দিন পর পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন। এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’
কুড়িগ্রাম সদর থানা–পুলিশের বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে রিমান্ডের ভয় দেখিয়ে নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে সই নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আজ বুধবার দুপুরে কুড়িগ্রাম শহরে কলেজ মোড়ে ইউনাইটেড প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সাব ঠিকাদার মো. আসাদুজ্জামান লিটন।
স্ত্রী সন্তানসহ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে লিখিত বক্তব্যে পুলিশি হয়রানি ও মিথ্যা মামলার আশঙ্কার কথা জানান ভুক্তভোগী ঠিকাদার। একই সঙ্গে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
তবে পুলিশের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার। তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে পল্লী বিদ্যুতের মালামাল আত্মসাতের অভিযোগ এনে তাঁর মূল ঠিকাদার বাদী হয়ে মামলা করেছেন। পুলিশ মামলা নিয়ে তদন্তকাজ করছে। কারও কাছে কোনো স্ট্যাম্পে সই নেওয়া হয়নি।’
সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামান লিটন লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ঢাকার সাভারের মেসার্স মা মনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. সারোয়ার জাহানের একটি কাজ আমি সাব কন্ট্রাক্টে করছি। তাঁর নিকট ওই কাজ সম্পাদন বাবদ আমার ২৮ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। ওই টাকা চাইলে তিনি নানা টালবাহানা শুরু করেন। কাজ সম্পাদনের জন্য তাঁর কিছু মালামাল আমার কাছে রয়েছে। তিনি টাকা পরিশোধ করলে আমি মালামাল ফেরত দেওয়ার কথা বলি। কিন্তু এর মধ্যে তিনি পল্লী বিদ্যুতের সঙ্গে যোগসাজশে আমার নামে আরও বেশ কিছু মালামাল উত্তোলনের ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে, যাতে আমি কোনো স্বাক্ষর করিনি।’
ভুক্তভোগী ওই ব্যবসায়ী জানান, গত ২ নভেম্বর কুড়িগ্রাম সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আহসান হাবিব তাঁকে মোবাইলে শহরের ত্রিমোহনী বাজারে ডেকে নেন। এরপর তাঁকে থানায় তুলে নিয়ে যায়।
ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামান অভিযোগ করে বলেন, ‘থানায় নিয়ে তাকে ওসির নির্দেশে রিমান্ডের ভয় দেখিয়ে ৫ দিনের মধ্যে ইস্যুকৃত অতিরিক্ত মালামাল ফেরতের অঙ্গীকারনামা লেখা নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়া হয়। এ সময় ঠিকাদার সারোয়ার জাহান উপস্থিত না থাকলেও তার প্রতিনিধিদের সাক্ষী হিসেবে রাখা হয়। পরে আমি তাদের বেআইনি দাবিতে সাড়া না দেওয়ায় দফায়–দফায় আমি ও আমার পরিবারকে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। পুরো পরিবার নিয়ে আমি ঘরছাড়া জীবন যাপন করছি। ঠিকাদার সারোয়ার জাহানের মদদে পুলিশি হয়রানির শিকার হয়ে পাওনা টাকা তো দূরের কথা বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
এ দিকে আসাদুজ্জামানের এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন মূল ঠিকাদার সারোয়ার। তিনি বলেন, ‘আসাদুজ্জামান আমার প্রতিষ্ঠানের নামে পল্লী বিদ্যুৎ থেকে এক কোটি এক লাখ টাকার মালামাল তুলে তা ফেরত দিচ্ছেন না। এ সবকিছুর ডকুমেন্ট পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে আছে। দফায়–দফায় তার সঙ্গে বসে মালামাল ফেরত দিতে বললেও সে টালবাহানা করছে। সে উল্টো আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। মালামাল উদ্ধার ও জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আমি থানায় মামলা করেছি। স্ট্যাম্পে সই নেওয়ার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।’
পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামানের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে সদর থানার ওসি খান মো. শাহরিয়ার বলেন, ‘দুই ঠিকাদার তাদের কাজ সম্পর্কিত লেনদেন নিয়ে নিজেরাই স্ট্যাম্প তৈরি করেছেন। পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ তাদের মালামালের বিষয়ে পুলিশকে জানিয়েছে। ঠিকাদার সারোয়ার তাঁর সাব ঠিকাদার আসাদুজ্জামানের কাছে মালামাল ফেরত না পেয়ে থানায় মামলা করেছেন। আমরা মামলা রেকর্ড করে আইনগতভাবে কাজ করছি। পুলিশ কারও কাছে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়নি।’
ওসি আরও বলেন, ‘পুলিশ স্ট্যাম্পে সই নিয়ে থাকলে ওই সময়ই তিনি অভিযোগ করতে পারতেন। এখন মামলা হওয়ার খবর পেয়ে তিনি এত দিন পর পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন। এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
১২ আগস্ট ২০২৫লক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
১২ আগস্ট ২০২৫দুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
১২ আগস্ট ২০২৫চট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫