খুলনা প্রতিনিধি
খুলনায় আওয়ামী লীগ নেতার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবির বিএনপির দুই নেতা কল রেকর্ডের অডিও-ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। গতকাল বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই রেকর্ড ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে রাতেই ওই দুজনকে শোকজ করেছে মহানগর বিএনপি।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক রিয়াজ শাহেদ।
জানতে চাইলে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি যুগ্ম-আহ্বায়ক চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক রিয়াজ শাহেদের কল রেকর্ডটি শুনেছি। বুধবার রাতেই তাদের শোকজ (কারণ দর্শানো) করা হয়েছে।’ তাদের জবাব সন্তোষজনক না হলে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে বলে জানান তিনি।
অডিও-ভিডিও ক্লিপে বিএনপি নেতা চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেনকে বলতে শোনা যায়, ‘আমাদের মেইন লোক হলো রিয়াজ, হয়তো জানেন। এখন যে পজিশন, সেই পজিশানের মধ্যে ওই এলাকায় কী পরিমাণ ক্ষতি করেছে, আমাদের ওই এলাকায় অনেক ক্ষতি করেছে সে। যাই হোক লোকাল পলিটিকসে আপনি (শেখ খালিদ আহমেদ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক), বারবার বলতিছে যে, সে আমার ছোট বেলার বন্ধু, সে যেন না আসে। তার ব্যাপারটি একটু দেখতি হবে নে, যেন না ফাঁসে। ওর দিকে একটু খেয়াল-টেয়াল রাইখেন। তারপরও ওর জন্যি একটু করতি হবে।
প্রতি উত্তরে আরেকজনকে বলতে শোনা যায়, ভাই কী করতে হবে, বলেন না? ও তো আমার ভাই, বন্ধু সমস্যা নেই। কী করতে হবে বললি, আমার জন্য একটু সুবিধা হয়। তখন হোসেনকে বলতে শোনা যায়, কিছু হেল্পটেল্প করা লাগবে। পাশ থেকে ফিসফিসিয়ে আরেকজন বলে দুই লাখ টাকা দিতে হবে।
এ সময় হোসেনকে বলেন, এখন তো কম-বেশি দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ম্যানেজ করা লাগবে। অপর ফোন থেকে বলা হয়, আপনি বলেন, আপনি বললে আমার মনটা ঠান্ডা হয়ে যায়।
হোসেন বলেন, লাখ দুই টাকার ব্যবস্থা করে দিয়েন। উত্তরে সে বলে, আমি ব্যবস্থা করে দিচ্ছি ভাই, কোনো সমস্যা নেই।
এরপর হোসেন যার সঙ্গে কথা বলছিলেন তার আরেকটি ফোনে শোনা যায়, ভাইকে অনেক কষ্টে ম্যানেজ করেছি। তুই ওইটা ম্যানেজ কর বন্ধু। তখন সে জানতে চায়, তোকে কে ফোন দিয়েছিল। সে উত্তরে বলে উনি হলেন, আমাদের মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়ক হোসেন ভাই। খবরদার কারও কাছে নাম বলবি না। বললে অসুবিধা আছে। তখন সে বলে না কারও কাছে বলব না দোসত।
তবে এটিকে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করে বিএনপির রিয়াজ শাহেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কল রেকর্ডটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে একটি স্বার্থান্বেষী মহল। যারা আমাকে হত্যার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। তারাই এখন আমার রাজনৈতিক ইমেজ নষ্ট করতে বেনামে অপপ্রচারে পোস্টারিং করছে।
তাতেও ক্ষান্ত না হয়ে অডিও ক্লিপ বানিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে। এই রেকর্ড ভয়েস নকল করার অ্যাপস দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এতে ৬০/ ৭০ ভাগ মিল থাকলেও বাকি কণ্ঠের মিল নেই।’
একই কথা বলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন। তিনি বলেন, ‘অ্যাপসের মাধ্যমে ভয়েস কল নকল করে এখন এগুলো করা হচ্ছে। এই কল রেকর্ডটি একদম ফেক, মিথ্যা, নকল, বানোয়াট। আমরা একটি পরিচ্ছন্ন পরিবার। আমার নিজের ব্যবসা আছে, আর আমি দুই লাখ টাকা চাঁদা এটা কেউ বিশ্বাসও করবে না। আমি প্রতিবাদও দিয়েছি। প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
খুলনায় আওয়ামী লীগ নেতার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবির বিএনপির দুই নেতা কল রেকর্ডের অডিও-ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। গতকাল বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই রেকর্ড ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে রাতেই ওই দুজনকে শোকজ করেছে মহানগর বিএনপি।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক রিয়াজ শাহেদ।
জানতে চাইলে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি যুগ্ম-আহ্বায়ক চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক রিয়াজ শাহেদের কল রেকর্ডটি শুনেছি। বুধবার রাতেই তাদের শোকজ (কারণ দর্শানো) করা হয়েছে।’ তাদের জবাব সন্তোষজনক না হলে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে বলে জানান তিনি।
অডিও-ভিডিও ক্লিপে বিএনপি নেতা চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেনকে বলতে শোনা যায়, ‘আমাদের মেইন লোক হলো রিয়াজ, হয়তো জানেন। এখন যে পজিশন, সেই পজিশানের মধ্যে ওই এলাকায় কী পরিমাণ ক্ষতি করেছে, আমাদের ওই এলাকায় অনেক ক্ষতি করেছে সে। যাই হোক লোকাল পলিটিকসে আপনি (শেখ খালিদ আহমেদ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক), বারবার বলতিছে যে, সে আমার ছোট বেলার বন্ধু, সে যেন না আসে। তার ব্যাপারটি একটু দেখতি হবে নে, যেন না ফাঁসে। ওর দিকে একটু খেয়াল-টেয়াল রাইখেন। তারপরও ওর জন্যি একটু করতি হবে।
প্রতি উত্তরে আরেকজনকে বলতে শোনা যায়, ভাই কী করতে হবে, বলেন না? ও তো আমার ভাই, বন্ধু সমস্যা নেই। কী করতে হবে বললি, আমার জন্য একটু সুবিধা হয়। তখন হোসেনকে বলতে শোনা যায়, কিছু হেল্পটেল্প করা লাগবে। পাশ থেকে ফিসফিসিয়ে আরেকজন বলে দুই লাখ টাকা দিতে হবে।
এ সময় হোসেনকে বলেন, এখন তো কম-বেশি দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ম্যানেজ করা লাগবে। অপর ফোন থেকে বলা হয়, আপনি বলেন, আপনি বললে আমার মনটা ঠান্ডা হয়ে যায়।
হোসেন বলেন, লাখ দুই টাকার ব্যবস্থা করে দিয়েন। উত্তরে সে বলে, আমি ব্যবস্থা করে দিচ্ছি ভাই, কোনো সমস্যা নেই।
এরপর হোসেন যার সঙ্গে কথা বলছিলেন তার আরেকটি ফোনে শোনা যায়, ভাইকে অনেক কষ্টে ম্যানেজ করেছি। তুই ওইটা ম্যানেজ কর বন্ধু। তখন সে জানতে চায়, তোকে কে ফোন দিয়েছিল। সে উত্তরে বলে উনি হলেন, আমাদের মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়ক হোসেন ভাই। খবরদার কারও কাছে নাম বলবি না। বললে অসুবিধা আছে। তখন সে বলে না কারও কাছে বলব না দোসত।
তবে এটিকে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করে বিএনপির রিয়াজ শাহেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কল রেকর্ডটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে একটি স্বার্থান্বেষী মহল। যারা আমাকে হত্যার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। তারাই এখন আমার রাজনৈতিক ইমেজ নষ্ট করতে বেনামে অপপ্রচারে পোস্টারিং করছে।
তাতেও ক্ষান্ত না হয়ে অডিও ক্লিপ বানিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে। এই রেকর্ড ভয়েস নকল করার অ্যাপস দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এতে ৬০/ ৭০ ভাগ মিল থাকলেও বাকি কণ্ঠের মিল নেই।’
একই কথা বলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন। তিনি বলেন, ‘অ্যাপসের মাধ্যমে ভয়েস কল নকল করে এখন এগুলো করা হচ্ছে। এই কল রেকর্ডটি একদম ফেক, মিথ্যা, নকল, বানোয়াট। আমরা একটি পরিচ্ছন্ন পরিবার। আমার নিজের ব্যবসা আছে, আর আমি দুই লাখ টাকা চাঁদা এটা কেউ বিশ্বাসও করবে না। আমি প্রতিবাদও দিয়েছি। প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
২১ দিন আগেলক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
২১ দিন আগেদুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
২১ দিন আগেচট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
২১ দিন আগে