কামাল হোসেন (খুলনা) কয়রা
কয়রা উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তাদের থাকার জন্য রয়েছে ৬টি আবাসিক ভবন। সব ক'টি বসবাসের অযোগ্য। ফলে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করতে হচ্ছে কর্মকর্তাদের। বাইরে ভালো বাসা না থাকায় পরিবার নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয় তাদের। আবাসন সংকটের কারণে অনেক কর্মকর্তা বদলি হওয়ার চেষ্টা করছেন। আবার নতুন যারা আসছেন তাদের অনেকেই একই সমস্যার কথা চিন্তা করে যোগদান না করে বদলির তদবিরে ব্যস্ত রয়েছেন।
গত রোববার ভবনগুলো ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি ভবনের দেয়ালে ফাটল ধরেছে। সেই সঙ্গে ছাদ ও দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়েছে। মেঝে ও সিঁড়ির একই অবস্থা। জানালা-দরজাগুলো অধিকাংশ ভাঙাচোরা। বৃষ্টি হলে সব ভবনের ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে বলে সেখানকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন। অনেকেই ছাদ দিয়ে পানি পড়া ঠেকাতে পলিথিন টানিয়েছেন। অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় দুটি ভবন সম্পূর্ণ খালি রয়েছে। অন্য চারটিতে দু-একজন করে থাকছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, কয়েক দিন আগে কোয়াটারের ওঠার প্রস্তুতি নিয়ে ছিলাম। যে দিন উঠতে ছেয়েছিলাম সেই দিনই ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে। পরিবার নিয়ে ঝুঁকির মধ্য বসবাস করা যায় না। তাই বাধ্য হয়ে বাইরে বাসা নিয়েছি।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এম সাইফুল্লাহ জানান, এক সপ্তাহ হলো এই উপজেলায় যোগদান করেছি। সরকারি কোয়ার্টারে থাকার মতো অবস্থা না থাকায় অফিসার্স ক্লাবে উঠেছে। বাইরে ভালো বাসা না পাওয়ায় পরিবার নিয়ে আসতে পারছি না।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৪ সালে উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তাদের থাকার জন্য ৬টি এবং উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনওর পৃথক দুটি বাংলো নির্মাণ করা হয়। এ ছাড়া কর্মচারীদের থাকার জন্য আলাদা ডরমিটরি ভবন রয়েছে। সুন্দরবন-সংলগ্ন এলাকা হওয়ায় এর ভবনগুলোর নাম দেওয়া হয় সুন্দরী, গেওয়া, বাইন, কাঁকড়া, গরান, ধুন্দল ইত্যাদি। বর্তমানে এসব ভবনের কোনোটিই বাসযোগ্য নয় বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। থাকার জায়গার অভাবে অনেকেই এসব ভবনে ঝুঁকি নিয়ে বাস করছেন। আবার অনেক কর্মকর্তাকে পরিবার নিয়ে বাইরে বাসা ভাড়া করে থাকতে হচ্ছে।
আবাসন সংকটের কথা উল্লেখ করে উপজেলা সমবায় অফিসার শ ম রাশিদুল আলম বলেন, আবাসন সংকটের কারণে এখানে যোগদানের পরপরই একটি আবাসিক হোটেলে রয়েছি। বাইরে ভালো বাসা না পাওয়ায় ছয় মাস ধরে হোটেলে থাকতে হচ্ছে। এভাবে আর কত দিন। বদলির চেষ্টা করছি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, বাইরে বাসাভাড়া তুলনামূলক বেশি এবং অফিস থেকে অনেক দূরে হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে কোয়ার্টারে থাকতে হচ্ছে। সেখানে বৃষ্টি হলে ছাদ দিয়ে পানি পড়ে। দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়ছে। যে কারণে পরিবার আনতে সাহস পাচ্ছি না।
কয়রা উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী আফজাল হোসেন বলেন, কর্মকর্তাদের থাকার জন্য প্রতিটি ভবনই বর্তমানে পরিত্যক্ত বলা চলে। তারপরও কর্মকর্তাদের অনেকটা বাধ্য হয়েই সেখানে থাকতে হচ্ছে। বিষয়টি উপজেলা পরিষদের সমন্বয় সভায় উপস্থাপন করা হয়েছে।
কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, ভবনগুলোর অবস্থা এতটা খারাপ যে সেখানে থাকার মতো পরিবেশ নেই। আমরা ভবনগুলোকে পরিত্যক্ত ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের আগামী সভায় রেজুলেশনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে বলে জানান তিনি।
কয়রা উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তাদের থাকার জন্য রয়েছে ৬টি আবাসিক ভবন। সব ক'টি বসবাসের অযোগ্য। ফলে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করতে হচ্ছে কর্মকর্তাদের। বাইরে ভালো বাসা না থাকায় পরিবার নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয় তাদের। আবাসন সংকটের কারণে অনেক কর্মকর্তা বদলি হওয়ার চেষ্টা করছেন। আবার নতুন যারা আসছেন তাদের অনেকেই একই সমস্যার কথা চিন্তা করে যোগদান না করে বদলির তদবিরে ব্যস্ত রয়েছেন।
গত রোববার ভবনগুলো ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি ভবনের দেয়ালে ফাটল ধরেছে। সেই সঙ্গে ছাদ ও দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়েছে। মেঝে ও সিঁড়ির একই অবস্থা। জানালা-দরজাগুলো অধিকাংশ ভাঙাচোরা। বৃষ্টি হলে সব ভবনের ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে বলে সেখানকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন। অনেকেই ছাদ দিয়ে পানি পড়া ঠেকাতে পলিথিন টানিয়েছেন। অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় দুটি ভবন সম্পূর্ণ খালি রয়েছে। অন্য চারটিতে দু-একজন করে থাকছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, কয়েক দিন আগে কোয়াটারের ওঠার প্রস্তুতি নিয়ে ছিলাম। যে দিন উঠতে ছেয়েছিলাম সেই দিনই ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে। পরিবার নিয়ে ঝুঁকির মধ্য বসবাস করা যায় না। তাই বাধ্য হয়ে বাইরে বাসা নিয়েছি।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এম সাইফুল্লাহ জানান, এক সপ্তাহ হলো এই উপজেলায় যোগদান করেছি। সরকারি কোয়ার্টারে থাকার মতো অবস্থা না থাকায় অফিসার্স ক্লাবে উঠেছে। বাইরে ভালো বাসা না পাওয়ায় পরিবার নিয়ে আসতে পারছি না।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৪ সালে উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তাদের থাকার জন্য ৬টি এবং উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনওর পৃথক দুটি বাংলো নির্মাণ করা হয়। এ ছাড়া কর্মচারীদের থাকার জন্য আলাদা ডরমিটরি ভবন রয়েছে। সুন্দরবন-সংলগ্ন এলাকা হওয়ায় এর ভবনগুলোর নাম দেওয়া হয় সুন্দরী, গেওয়া, বাইন, কাঁকড়া, গরান, ধুন্দল ইত্যাদি। বর্তমানে এসব ভবনের কোনোটিই বাসযোগ্য নয় বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। থাকার জায়গার অভাবে অনেকেই এসব ভবনে ঝুঁকি নিয়ে বাস করছেন। আবার অনেক কর্মকর্তাকে পরিবার নিয়ে বাইরে বাসা ভাড়া করে থাকতে হচ্ছে।
আবাসন সংকটের কথা উল্লেখ করে উপজেলা সমবায় অফিসার শ ম রাশিদুল আলম বলেন, আবাসন সংকটের কারণে এখানে যোগদানের পরপরই একটি আবাসিক হোটেলে রয়েছি। বাইরে ভালো বাসা না পাওয়ায় ছয় মাস ধরে হোটেলে থাকতে হচ্ছে। এভাবে আর কত দিন। বদলির চেষ্টা করছি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, বাইরে বাসাভাড়া তুলনামূলক বেশি এবং অফিস থেকে অনেক দূরে হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে কোয়ার্টারে থাকতে হচ্ছে। সেখানে বৃষ্টি হলে ছাদ দিয়ে পানি পড়ে। দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়ছে। যে কারণে পরিবার আনতে সাহস পাচ্ছি না।
কয়রা উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী আফজাল হোসেন বলেন, কর্মকর্তাদের থাকার জন্য প্রতিটি ভবনই বর্তমানে পরিত্যক্ত বলা চলে। তারপরও কর্মকর্তাদের অনেকটা বাধ্য হয়েই সেখানে থাকতে হচ্ছে। বিষয়টি উপজেলা পরিষদের সমন্বয় সভায় উপস্থাপন করা হয়েছে।
কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, ভবনগুলোর অবস্থা এতটা খারাপ যে সেখানে থাকার মতো পরিবেশ নেই। আমরা ভবনগুলোকে পরিত্যক্ত ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের আগামী সভায় রেজুলেশনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে বলে জানান তিনি।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
১২ আগস্ট ২০২৫লক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
১২ আগস্ট ২০২৫দুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
১২ আগস্ট ২০২৫চট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫