যশোর প্রতিনিধি
যশোর-৪ (বাঘারপাড়া ও অভয়নগর) আসনে ভোটের মাঠে অনেকটাই সুবিধাজনক অবস্থানে আছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী এনামুল হক বাবুল। এরপরও প্রতিদিন নির্বাচনী এলাকার এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ছুটে বেড়াচ্ছেন তিনি। দলীয় নেতা–কর্মীর পাশাপাশি বিভিন্ন স্তরের মানুষ তাঁর পক্ষে মাঠে নেমেছেন। এই আসনে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও বিভাজনের রাজনীতির অভিযোগ থাকা বর্তমান সংসদ সদস্য রণজিত কুমার রায়ও দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তবে বাবুলের প্রার্থিতা বহালে আপিল বিভাগের আদেশের পর নির্বাচনী এলাকায় রণজিতের সরে দাঁড়ানোর গুঞ্জন উঠেছে।
এ বিষয়ে রণজিত কুমার রায়ের কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি পাওয়া যায়নি। চেষ্টা করেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে রণজিত কুমার রায়ের ব্যক্তিগত সহকারী তপন বিশ্বাস নিজের ফেসবুক পেজে নির্বাচন থেকে রণজিত কুমার রায়ের সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী থেকে সরে দাঁড়ালেন যশোর-৪ এর বর্তমান এমপি রণজিত কুমার রায়।’ তবে, সাধারণ ভোটাররা জানিয়েছেন, এ আসনে এবার ভোটের মাঠে জায়গা করে নিতে শক্ত লড়াইয়ে রয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী জহুরুল হক।
যশোর-৪ আসনে এবার আটজন নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সচিব সন্তোষ অধিকারীর মনোনয়ন বাতিল হয়। এখন নৌকার এনামুল হক বাবুল, স্বতন্ত্র রণজিত কুমার ও জাপার জহুরুল হক ছাড়াও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন তৃণমূল বিএনপির শাব্বির আহমেদ, জাকের পার্টির লিটন মোল্যা, বিএনএমের সুকৃতী কুমার মণ্ডল ও ইসলামী আন্দোলনের ইউনুস আলী।
রিটার্নিং কর্মকর্তার থেকে মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের প্রার্থী এনামুল হকের বিরুদ্ধে ঋণখেলাপির অভিযোগ তুলে তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিলের জন্য নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রার্থী সুকৃতি কুমার মণ্ডল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী রণজিত কুমার রায়। শুনানি শেষে ১৩ ডিসেম্বর এনামুল হকের মনোনয়নপত্র বাতিল করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে ও প্রার্থিতা ফিরে পেতে এনামুল হক ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন। শুনানি নিয়ে ১৮ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রিটটি সরাসরি খারিজ করে দেন। হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন এনামুল হক। এর ওপর ১৯ ডিসেম্বর চেম্বার আদালতে শুনানি হয়। শুনানি নিয়ে সেদিন চেম্বার আদালত এনামুল হকের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন। তার প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্ত এবং রিট খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করা হয়। ফলে এনামুল হকের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পথ খোলে। ১৯ ডিসেম্বরের আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে ওই দুই প্রার্থী আবেদন করেন।
অন্যদিকে রিট খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে এনামুল হক লিভ টু আপিল করেন। গতকাল মঙ্গলবার এই লিভ টু আপিল এবং চেম্বার আদালতের আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে অপর দুই প্রার্থীর করা আবেদন একসঙ্গে শুনানির জন্য ওঠে। এনামুল হকের প্রার্থিতা বহালে চেম্বার আদালতের দেওয়া আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
নেতা–কর্মীরা জানিয়েছেন, যশোর-৪ আসনে ২০০৮,২০১৪ ও ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন রণজিত কুমার রায়। এবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন রণজিত। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। তাঁর প্রতীক ঈগল। আর আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এনামুল হক। যশোর-৪ আসনে গিয়ে দেখা যায়, নৌকার প্রার্থী বাবুল ও তাঁর পক্ষে দুই উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতা–কর্মীরা এলাকার বিভিন্ন স্থানে ছুটে যাচ্ছেন ভোটারদের কাছে। কর্মী সমাবেশ, উঠান বৈঠক ও পথসভা করে ভোটারদের কাছে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নচিত্র তুলে ধরছেন তাঁরা। তবে কোথাও তেমন চোখে পড়েনি এমপি রণজিতের কোনো নির্বাচনী তৎপরতা। নির্বাচনী এলাকার কোনো জায়গায় পোস্টার যেমন সাঁটানো হয়নি, তেমনি রণজিত করেননি কোনো সভা-সমাবেশও। অন্য প্রার্থীদের মধ্যে ইসলামী আন্দোলনের ইউনুস আলীরও কোনো প্রচার-প্রচারণা চোখে পড়েনি। তবে মাঠে রয়েছেন জাপার জহুরুল হক। তৃণমূল বিএনপির শাব্বির আহমেদ ও বিএনএমের সুকৃতী মণ্ডলের কিছু জায়গায় পোস্টার দেখা গেছে। জানা গেছে, তারা ভোটের মাঠে শক্ত জায়গা করে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে জাকের পার্টি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোয় দলটির প্রার্থী লিটন মোল্যার এখন তৎপরতা নেই।
স্থানীয় সূত্র বলছে, এমপি রণজিত বিভাজন ও অবহেলা করলেও দলের ত্যাগী নেতাদের পাশে ছায়া হয়ে থেকেছেন অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এনামুল হক বাবুল। দল তাঁকে মনোনয়ন দেওয়ায় এবার আশায় বুক বেঁধেছেন এলাকার মানুষ। সবাই মিলে নৌকাকে জয়ী করতে বদ্ধপরিকর। বাঘারপাড়ার খাজুরা এলাকায় মাছুম রেজা খান বলেন, ‘তিনবারের এমপি রণজিত রায় মানুষের কোনো কাজে আসেননি। তিনি স্কুল-কলেজের নিয়োগ বাণিজ্য করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। বাঘারপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান আলী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘রণজিত কুমার এবার নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা জেনেশুনেই তাকে এবার মনোনয়ন দেননি।’
লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী জহুরুল হক বলেন, ‘এই আসনে দুবার জাতীয় পার্টির প্রার্থী জিতেছিলেন। আমি শতভাগ আশাবাদী, প্রকৃত ভোট হলে এবারও লাঙ্গল জিতবে।’
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এনামুল হক বাবুল বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা যে আশা নিয়ে আমাকে নৌকার মনোনয়ন দিয়েছেন, আমি জনগণের ভোটে জয়লাভ করে আসনটি অবশ্যই তাঁকে উপহার দিতে চাই। আমার সঙ্গে জনগণের ভালোবাসা আছে। ভোটে নৌকার জয় হবে ইনশাআল্লাহ। সংসদে যেতে পারলে এই অঞ্চলের মানুষের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে কাজ করে যাব।’
যশোর-৪ (বাঘারপাড়া ও অভয়নগর) আসনে ভোটের মাঠে অনেকটাই সুবিধাজনক অবস্থানে আছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী এনামুল হক বাবুল। এরপরও প্রতিদিন নির্বাচনী এলাকার এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ছুটে বেড়াচ্ছেন তিনি। দলীয় নেতা–কর্মীর পাশাপাশি বিভিন্ন স্তরের মানুষ তাঁর পক্ষে মাঠে নেমেছেন। এই আসনে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও বিভাজনের রাজনীতির অভিযোগ থাকা বর্তমান সংসদ সদস্য রণজিত কুমার রায়ও দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তবে বাবুলের প্রার্থিতা বহালে আপিল বিভাগের আদেশের পর নির্বাচনী এলাকায় রণজিতের সরে দাঁড়ানোর গুঞ্জন উঠেছে।
এ বিষয়ে রণজিত কুমার রায়ের কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি পাওয়া যায়নি। চেষ্টা করেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে রণজিত কুমার রায়ের ব্যক্তিগত সহকারী তপন বিশ্বাস নিজের ফেসবুক পেজে নির্বাচন থেকে রণজিত কুমার রায়ের সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী থেকে সরে দাঁড়ালেন যশোর-৪ এর বর্তমান এমপি রণজিত কুমার রায়।’ তবে, সাধারণ ভোটাররা জানিয়েছেন, এ আসনে এবার ভোটের মাঠে জায়গা করে নিতে শক্ত লড়াইয়ে রয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী জহুরুল হক।
যশোর-৪ আসনে এবার আটজন নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সচিব সন্তোষ অধিকারীর মনোনয়ন বাতিল হয়। এখন নৌকার এনামুল হক বাবুল, স্বতন্ত্র রণজিত কুমার ও জাপার জহুরুল হক ছাড়াও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন তৃণমূল বিএনপির শাব্বির আহমেদ, জাকের পার্টির লিটন মোল্যা, বিএনএমের সুকৃতী কুমার মণ্ডল ও ইসলামী আন্দোলনের ইউনুস আলী।
রিটার্নিং কর্মকর্তার থেকে মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের প্রার্থী এনামুল হকের বিরুদ্ধে ঋণখেলাপির অভিযোগ তুলে তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিলের জন্য নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রার্থী সুকৃতি কুমার মণ্ডল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী রণজিত কুমার রায়। শুনানি শেষে ১৩ ডিসেম্বর এনামুল হকের মনোনয়নপত্র বাতিল করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে ও প্রার্থিতা ফিরে পেতে এনামুল হক ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন। শুনানি নিয়ে ১৮ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রিটটি সরাসরি খারিজ করে দেন। হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন এনামুল হক। এর ওপর ১৯ ডিসেম্বর চেম্বার আদালতে শুনানি হয়। শুনানি নিয়ে সেদিন চেম্বার আদালত এনামুল হকের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন। তার প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্ত এবং রিট খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করা হয়। ফলে এনামুল হকের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পথ খোলে। ১৯ ডিসেম্বরের আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে ওই দুই প্রার্থী আবেদন করেন।
অন্যদিকে রিট খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে এনামুল হক লিভ টু আপিল করেন। গতকাল মঙ্গলবার এই লিভ টু আপিল এবং চেম্বার আদালতের আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে অপর দুই প্রার্থীর করা আবেদন একসঙ্গে শুনানির জন্য ওঠে। এনামুল হকের প্রার্থিতা বহালে চেম্বার আদালতের দেওয়া আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
নেতা–কর্মীরা জানিয়েছেন, যশোর-৪ আসনে ২০০৮,২০১৪ ও ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন রণজিত কুমার রায়। এবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন রণজিত। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। তাঁর প্রতীক ঈগল। আর আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এনামুল হক। যশোর-৪ আসনে গিয়ে দেখা যায়, নৌকার প্রার্থী বাবুল ও তাঁর পক্ষে দুই উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতা–কর্মীরা এলাকার বিভিন্ন স্থানে ছুটে যাচ্ছেন ভোটারদের কাছে। কর্মী সমাবেশ, উঠান বৈঠক ও পথসভা করে ভোটারদের কাছে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নচিত্র তুলে ধরছেন তাঁরা। তবে কোথাও তেমন চোখে পড়েনি এমপি রণজিতের কোনো নির্বাচনী তৎপরতা। নির্বাচনী এলাকার কোনো জায়গায় পোস্টার যেমন সাঁটানো হয়নি, তেমনি রণজিত করেননি কোনো সভা-সমাবেশও। অন্য প্রার্থীদের মধ্যে ইসলামী আন্দোলনের ইউনুস আলীরও কোনো প্রচার-প্রচারণা চোখে পড়েনি। তবে মাঠে রয়েছেন জাপার জহুরুল হক। তৃণমূল বিএনপির শাব্বির আহমেদ ও বিএনএমের সুকৃতী মণ্ডলের কিছু জায়গায় পোস্টার দেখা গেছে। জানা গেছে, তারা ভোটের মাঠে শক্ত জায়গা করে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে জাকের পার্টি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোয় দলটির প্রার্থী লিটন মোল্যার এখন তৎপরতা নেই।
স্থানীয় সূত্র বলছে, এমপি রণজিত বিভাজন ও অবহেলা করলেও দলের ত্যাগী নেতাদের পাশে ছায়া হয়ে থেকেছেন অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এনামুল হক বাবুল। দল তাঁকে মনোনয়ন দেওয়ায় এবার আশায় বুক বেঁধেছেন এলাকার মানুষ। সবাই মিলে নৌকাকে জয়ী করতে বদ্ধপরিকর। বাঘারপাড়ার খাজুরা এলাকায় মাছুম রেজা খান বলেন, ‘তিনবারের এমপি রণজিত রায় মানুষের কোনো কাজে আসেননি। তিনি স্কুল-কলেজের নিয়োগ বাণিজ্য করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। বাঘারপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান আলী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘রণজিত কুমার এবার নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা জেনেশুনেই তাকে এবার মনোনয়ন দেননি।’
লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী জহুরুল হক বলেন, ‘এই আসনে দুবার জাতীয় পার্টির প্রার্থী জিতেছিলেন। আমি শতভাগ আশাবাদী, প্রকৃত ভোট হলে এবারও লাঙ্গল জিতবে।’
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এনামুল হক বাবুল বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা যে আশা নিয়ে আমাকে নৌকার মনোনয়ন দিয়েছেন, আমি জনগণের ভোটে জয়লাভ করে আসনটি অবশ্যই তাঁকে উপহার দিতে চাই। আমার সঙ্গে জনগণের ভালোবাসা আছে। ভোটে নৌকার জয় হবে ইনশাআল্লাহ। সংসদে যেতে পারলে এই অঞ্চলের মানুষের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে কাজ করে যাব।’
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
১২ আগস্ট ২০২৫লক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
১২ আগস্ট ২০২৫দুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
১২ আগস্ট ২০২৫চট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫