Ajker Patrika

ঝিনাইদহে তীব্র গরমের প্রভাব শিশুস্বাস্থ্যে

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ এপ্রিল ২০২৩, ১৯: ৪৬
ঝিনাইদহে তীব্র গরমের প্রভাব শিশুস্বাস্থ্যে

ঝিনাইদহে তীব্র গরম শিশুস্বাস্থ্যে মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। প্রতিদিন পানিশূন্যতা, টাইফয়েড, ডায়রিয়া, জ্বর, জন্ডিসসহ নানান রোগে আক্রান্ত হয়ে শিশুরা চিকিৎসা নিচ্ছে হাসপাতালগুলোতে।

জানা গেছে, জেলার একমাত্র বিশেষায়িত ২৫ শয্যা সরকারি শিশু হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ১৩০ থেকে ১৪০টি শিশু গরমজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে বহির্বিভাগে সেবা নিচ্ছে, ভর্তিও হচ্ছে অনেকে। হাসপাতালে হঠাৎ রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় ২৫ শয্যার বিপরীতে ভর্তি রয়েছে ৪৪ জন।

শিশু হাসপাতালে ভর্তি শহরের পাগলাকানাই এলাকার গৃহবধূ সুমাইয়া আক্তার বলেন, ‘আট দিন হলো আমার ছেলে জ্বরে আক্রান্ত। হাসপাতালে ভর্তি হলে ডাক্তার পরীক্ষা করে বলেছেন, জ্বরের সঙ্গে রক্তে ইনফেকশন আছে। চিকিৎসা চলছে। এখন একটু ভালো আছে।’

শৈলকুপা উপজেলার হাসনা ভিটা গ্রামের স্বর্ণ খাতুন তাঁর ১৬ মাসের শিশুকে নিয়ে ভর্তি আছেন হাসপাতালে। চিকিৎসা নেওয়ার তিন দিন পর এখন সুস্থ আছে শিশুটি।

ঝিনাইদহ বিশেষায়িত ২৫ শয্যা সরকারি শিশু হাসপাতালের চিকিৎসক আলী হাসান ফরিদ জামিল বলেন, গরমের কারণে ঘেমে শিশুর শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণ পানি বের হয়ে যায়। এতে পানিশূন্যতায় প্রস্রাবে সমস্যা হচ্ছে। কেউ কেউ ১২ ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় প্রস্রাব করছে না। ১২ ঘণ্টার বেশি সময় শিশু প্রস্রাব না করলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

আলী হাসান ফরিদ জামিল আরও বলেন, শিশুকে প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দিতে হবে। কারণ, প্রস্রাব না হলে কিডনির ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। এমনকি কিডনির কার্যক্ষমতা কমে যায়। যে কারণে সঠিক চিকিৎসা না পেলে কিডনি বিকল হয়ে যাওয়ারও শঙ্কা তৈরি হতে পারে। শরীরে জ্বরের মাত্রা বেড়ে কখনো কখনো ১০৩ বা ১০৪ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠছে। যদিও এটি তিন-চার দিন স্থায়ী হয়।

এই শিশুবিশেষজ্ঞ বলেন, এসব রোগ থেকে শিশুদের সুস্থ রাখতে হলে অবশ্যই বাড়িতে ঠান্ডা জায়গা রাখতে হবে। বাইরের খোলা খাবার খাওয়ানো যাবে না। বাসায় তৈরি লেবুর শরবত, গ্লুকোজ ও স্যালাইন নিয়মিত খাওয়াতে হবে। সর্বোপরি গরমের মধ্যে শিশুকে বাইরে বের হতে দেওয়া যাবে না। নিয়মিত গোসল করাতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত