সমির মল্লিক, খাগড়াছড়ি
দেড় বছরের বেশি সময় পর স্কুল খুললেও বন্ধ আছে খাগড়াছড়ির তিনটি প্রাথমিক আবাসিক বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস। এতে শ্রেণি পাঠদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। প্রতিটি বিদ্যালয়ে ১০০ শিক্ষার্থী থাকলেও উপস্থিত হচ্ছে মাত্র ৮ থেকে ১০ জন। দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় শিক্ষাজীবন নিশ্চিত করতে দ্রুত আবাসিক ছাত্রাবাস খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকেরা। খাগড়াছড়ির তিনটি আবাসিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে দুর্গম পাহাড়ের অন্তত ৩০০ শিক্ষার্থী।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, খাগড়াছড়ির দুর্গম এলাকার শিক্ষার্থীদের জন্য তিনটি আবাসিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে সরকার। বাড়ি থেকে বিদ্যালয় দূরে হওয়ায় শিশুরা এসব আবাসিক বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে থেকে পড়ালেখা করে। তবে করোনা শুরু হওয়ার পর থেকে বন্ধ আছে এসব ছাত্রাবাস। বিদ্যালয় খুললেও ছাত্রাবাস না খোলায় শ্রেণি পাঠদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দুর্গম পাহাড়ের শিক্ষার্থীরা।
দীঘিনালা উপজেলার কাঁঠালতলী আবাসিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১০০। এদের ৯০ শতাংশের বাড়ি জেলার বিভিন্ন দুর্গম পাহাড়ে। ছাত্রাবাস বন্ধ থাকায় দুর্গম পাহাড়ের শিক্ষার্থীরা শ্রেণিপাঠ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। গত রোববার ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, কোনো কোনো শ্রেণিকক্ষে মাত্র ২-৩ জন শিক্ষার্থী ক্লাস করছে। একই অবস্থা মহালছড়ি ও গুইমারার আবাসিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। এ অবস্থায় দ্রুত ছাত্রাবাস খুলে দেওয়ার জন্য দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকেরা।
কাঁঠালতলী আবাসিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শিউলি দাশ জানান, তৃতীয় শ্রেণিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৪ জন। অথচ আজ (রোববার) উপস্থিত রয়েছে মাত্র ৩ জন। বাকি শিক্ষার্থীরা দুর্গম এলাকায় থাকে। ছাত্রাবাস বন্ধ থাকায় তারা ক্লাস করতে পারছে না। বিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষিকা নুরুন্নাহার জানান, ‘আমাদের এখানে সবাই দুর্গম এলাকার শিক্ষার্থী। ছাত্রাবাস বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা ক্লাস করতে পারছে না। চতুর্থ শ্রেণিতে ৪১ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ৮ জন উপস্থিত হয়েছে।’
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জগৎময় ত্রিপুরা রনি বলেন, ‘আমাদের এখানে ১০০ শিক্ষার্থী আবাসিক ছাত্রাবাসে থেকে পড়ালেখা করে। এরা সবাই দুর্গম এবং পিছিয়ে পড়া এলাকার বাসিন্দা। করোনার পর ছাত্রাবাস বন্ধ হয়ে গেলে তারা বাড়ি চলে যায়। এখন বিদ্যালয় খুললেও ছাত্রাবাস বন্ধ রয়েছে। তাই শিক্ষার্থীরা শ্রেণিপাঠ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এভাবে বেশিদিন চললে এসব শিক্ষার্থী পিছিয়ে পড়বে।’বিদ্যালয় খোলার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর ধারাবাহিকতায় আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য ছাত্রাবাস খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন কাঁঠালতলী আবাসিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হৃদিপট চাকমা। তিনি বলেন, ‘বিদ্যালয়ের আশপাশে যেসব শিক্ষার্থীর বাড়ি তারা কেবল ক্লাস করছে। বেশিরভাগ শিক্ষার্থী সাজেকসহ বিভিন্ন দুর্গম এলাকার বাসিন্দা। ছাত্রাবাস বন্ধ থাকায় তারা ক্লাস করতে পারছে না। স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ বিদ্যালয় খোলার সব ধরনের প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি। দুর্গম পাহাড়ি এলাকার শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন নিশ্চিত করার জন্য দ্রুত ছাত্রাবাস খুলে দেওয়ার অনুরোধ করছি।’
জেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আবাসিক ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় এখনো ছাত্রাবাসগুলো বন্ধ রয়েছে। তবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অনুমোদন পাওয়ার পর আবাসিক বিদ্যালয় খুলে দেওয়া হবে।
দেড় বছরের বেশি সময় পর স্কুল খুললেও বন্ধ আছে খাগড়াছড়ির তিনটি প্রাথমিক আবাসিক বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস। এতে শ্রেণি পাঠদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। প্রতিটি বিদ্যালয়ে ১০০ শিক্ষার্থী থাকলেও উপস্থিত হচ্ছে মাত্র ৮ থেকে ১০ জন। দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় শিক্ষাজীবন নিশ্চিত করতে দ্রুত আবাসিক ছাত্রাবাস খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকেরা। খাগড়াছড়ির তিনটি আবাসিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে দুর্গম পাহাড়ের অন্তত ৩০০ শিক্ষার্থী।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, খাগড়াছড়ির দুর্গম এলাকার শিক্ষার্থীদের জন্য তিনটি আবাসিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে সরকার। বাড়ি থেকে বিদ্যালয় দূরে হওয়ায় শিশুরা এসব আবাসিক বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে থেকে পড়ালেখা করে। তবে করোনা শুরু হওয়ার পর থেকে বন্ধ আছে এসব ছাত্রাবাস। বিদ্যালয় খুললেও ছাত্রাবাস না খোলায় শ্রেণি পাঠদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দুর্গম পাহাড়ের শিক্ষার্থীরা।
দীঘিনালা উপজেলার কাঁঠালতলী আবাসিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১০০। এদের ৯০ শতাংশের বাড়ি জেলার বিভিন্ন দুর্গম পাহাড়ে। ছাত্রাবাস বন্ধ থাকায় দুর্গম পাহাড়ের শিক্ষার্থীরা শ্রেণিপাঠ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। গত রোববার ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, কোনো কোনো শ্রেণিকক্ষে মাত্র ২-৩ জন শিক্ষার্থী ক্লাস করছে। একই অবস্থা মহালছড়ি ও গুইমারার আবাসিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। এ অবস্থায় দ্রুত ছাত্রাবাস খুলে দেওয়ার জন্য দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকেরা।
কাঁঠালতলী আবাসিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শিউলি দাশ জানান, তৃতীয় শ্রেণিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৪ জন। অথচ আজ (রোববার) উপস্থিত রয়েছে মাত্র ৩ জন। বাকি শিক্ষার্থীরা দুর্গম এলাকায় থাকে। ছাত্রাবাস বন্ধ থাকায় তারা ক্লাস করতে পারছে না। বিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষিকা নুরুন্নাহার জানান, ‘আমাদের এখানে সবাই দুর্গম এলাকার শিক্ষার্থী। ছাত্রাবাস বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা ক্লাস করতে পারছে না। চতুর্থ শ্রেণিতে ৪১ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ৮ জন উপস্থিত হয়েছে।’
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জগৎময় ত্রিপুরা রনি বলেন, ‘আমাদের এখানে ১০০ শিক্ষার্থী আবাসিক ছাত্রাবাসে থেকে পড়ালেখা করে। এরা সবাই দুর্গম এবং পিছিয়ে পড়া এলাকার বাসিন্দা। করোনার পর ছাত্রাবাস বন্ধ হয়ে গেলে তারা বাড়ি চলে যায়। এখন বিদ্যালয় খুললেও ছাত্রাবাস বন্ধ রয়েছে। তাই শিক্ষার্থীরা শ্রেণিপাঠ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এভাবে বেশিদিন চললে এসব শিক্ষার্থী পিছিয়ে পড়বে।’বিদ্যালয় খোলার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর ধারাবাহিকতায় আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য ছাত্রাবাস খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন কাঁঠালতলী আবাসিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হৃদিপট চাকমা। তিনি বলেন, ‘বিদ্যালয়ের আশপাশে যেসব শিক্ষার্থীর বাড়ি তারা কেবল ক্লাস করছে। বেশিরভাগ শিক্ষার্থী সাজেকসহ বিভিন্ন দুর্গম এলাকার বাসিন্দা। ছাত্রাবাস বন্ধ থাকায় তারা ক্লাস করতে পারছে না। স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ বিদ্যালয় খোলার সব ধরনের প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি। দুর্গম পাহাড়ি এলাকার শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন নিশ্চিত করার জন্য দ্রুত ছাত্রাবাস খুলে দেওয়ার অনুরোধ করছি।’
জেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আবাসিক ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় এখনো ছাত্রাবাসগুলো বন্ধ রয়েছে। তবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অনুমোদন পাওয়ার পর আবাসিক বিদ্যালয় খুলে দেওয়া হবে।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
১২ আগস্ট ২০২৫লক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
১২ আগস্ট ২০২৫দুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
১২ আগস্ট ২০২৫চট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫