বেলাল হোসাইন, রামগড় (খাগড়াছড়ি)
খাগড়াছড়ির রামগড় পৌরসভার বেশির ভাগ সড়কেই পর্যাপ্ত সড়কবাতি নেই। রাত হলেই অন্ধকারে নিমজ্জিত হয় পুরো শহর। বিদ্যুৎ চলে গেলে স্থানীয় দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আলো নিভে সৃষ্টি হয় ভুতুড়ে পরিবেশ। এতে রাতের বেলায় চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় স্থানীয়দের।
জানা যায়, ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় রামগড় পৌরসভা। কাগজে কলমে দ্বিতীয় শ্রেণির পৌরসভা এটি। তবে, প্রতিষ্ঠার ২০ বছর ফেরিয়ে গেলেও পৌরসভায় নাগরিকদের সড়কবাতির চাহিদা পূরণ করতে পারেনি পৌর কর্তৃপক্ষ। পৌরসভার আয়তন ২১ বর্গ কিলোমিটার হলেও ১৫-১৬ কিলোমিটারের ও বেশি জায়গায় সড়ক বাতি নেই। সরকারি কার্যালয়গুলোর সামনে থাকা সড়কবাতিগুলোরও বেশির ভাগ নষ্ট।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাত ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত পুরো পৌরসভা ঘুরে কয়েকটি সড়কবাতি দেখা গেলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট কম। পৌর সদর ছাড়া স্থানীয় বাজারগুলোতে নেই কোন সড়কবাতি। রামগড় পৌরসভা থেকে বর্তমান পৌর মেয়রের বাড়ি পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার এলাকায় একটি সড়কবাতিও নেই। পৌর মেয়রের বাড়ি থেকে ৫০০ গজ দূরে সোনাইপুল বাজার পর্যন্ত কয়েকটি সড়কবাতি থাকলেও সোনাইপুল বাজারের পর থেকে বাগানটিলা এবং বলিপাড়া পর্যন্ত ৪ কিলোমিটারে কোন সড়কবাতি নেই। রামগড় উপজেলা প্রশাসন কার্যালয়ের পর থেকে বল্টুরাম বাজার এবং জগন্নাথ পাড়া পর্যন্ত একটি সড়কবাতিও নেই। পৌরশহরের দারোগাপাড়া, মহামুনি, চৌধুরীপাড়া, আনন্দ পাড়া, সুকেন্দ্রপাড়া, পাইন্দাংপড়া, বাগানটিলা, তৈছালাপাড়া, ফেনীর কুল, নজিরটিলা এলাকার বাসিন্দারাও কোন সড়কবাতির সুবিধা পাচ্ছে না। শহরের প্রধান সড়কগুলোর পাশে নির্মিত বৈদ্যুতিক খুঁটিতে সড়কবাতি দেখা গেলেও বেশির ভাগই জ্বলছে না।
রামগড় পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড তৈছালাপাড়ার কাউন্সিলর মোহাম্মদ শামীম আজকের পত্রিকাকে জানান, তাঁর এলাকায় বিজিবি ক্যাম্পের সামনে কয়েকটি সড়কবাতি রয়েছে। এগুলো ছাড়া পুরো এলাকায় কোন সড়কবাতি নেই। ভুক্তভোগীরা বারবার অভিযোগ করলেও প্রতিশ্রুতি ছাড়া কোন সমাধান দেননি মেয়র।
রামগড় পৌরশহরের ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান মতি জানান, রামগড় বাজারেও যথেষ্ট সড়ক বাতি নেই। দোকানপাট এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আলোতে চলাচল করতে হয়। বিদ্যুৎ চলে গেলে শহরে এক প্রকার ভুতুড়ে পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রামগড় মধ্যবাজারের এক প্রসাধনী সামগ্রী বিক্রেতা জানান, রামগড় বাজারে কয়েকটি সড়কবাতি থাকলেও বাজারের ভেতরের দিকে কোন সড়কবাতি নেই। আলো না থাকায় রাতের বেলায় অনেকে প্রসাধনী সামগ্রী চুরি করে নিয়ে যায় বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
ফেনীরকুল এলাকার বাসিন্দা জয়নাল মিয়া জানান, রামগড় পৌরসভার পর থেকে মেয়রের বাড়ি পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার এলাকায় কোন সড়কবাতি নেই। অন্ধকারে আতঙ্ক নিয়ে চলাফেরা করতে হয়। মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে বাড়ি ফিরতে হয় বলে জানান তিনি।
রামগড় পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী সমর কান্তি মজুমদার আজকের পত্রিকা কে জানান, সড়ক বাতির জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। খুব দ্রুত সড়ক বাতি লাগিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
রামগড় পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ আহসান উল্ল্যাহ আজকের পত্রিকাকে জানান, সড়কবাতি না থাকায় মানুষের দুর্ভোগের কথা তিনি শুনেছেন। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকায় বরাদ্দ পেতে বিলম্ব হয়েছে। তবে দ্রুতই সড়কবাতি লাগিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
খাগড়াছড়ির রামগড় পৌরসভার বেশির ভাগ সড়কেই পর্যাপ্ত সড়কবাতি নেই। রাত হলেই অন্ধকারে নিমজ্জিত হয় পুরো শহর। বিদ্যুৎ চলে গেলে স্থানীয় দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আলো নিভে সৃষ্টি হয় ভুতুড়ে পরিবেশ। এতে রাতের বেলায় চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় স্থানীয়দের।
জানা যায়, ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় রামগড় পৌরসভা। কাগজে কলমে দ্বিতীয় শ্রেণির পৌরসভা এটি। তবে, প্রতিষ্ঠার ২০ বছর ফেরিয়ে গেলেও পৌরসভায় নাগরিকদের সড়কবাতির চাহিদা পূরণ করতে পারেনি পৌর কর্তৃপক্ষ। পৌরসভার আয়তন ২১ বর্গ কিলোমিটার হলেও ১৫-১৬ কিলোমিটারের ও বেশি জায়গায় সড়ক বাতি নেই। সরকারি কার্যালয়গুলোর সামনে থাকা সড়কবাতিগুলোরও বেশির ভাগ নষ্ট।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাত ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত পুরো পৌরসভা ঘুরে কয়েকটি সড়কবাতি দেখা গেলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট কম। পৌর সদর ছাড়া স্থানীয় বাজারগুলোতে নেই কোন সড়কবাতি। রামগড় পৌরসভা থেকে বর্তমান পৌর মেয়রের বাড়ি পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার এলাকায় একটি সড়কবাতিও নেই। পৌর মেয়রের বাড়ি থেকে ৫০০ গজ দূরে সোনাইপুল বাজার পর্যন্ত কয়েকটি সড়কবাতি থাকলেও সোনাইপুল বাজারের পর থেকে বাগানটিলা এবং বলিপাড়া পর্যন্ত ৪ কিলোমিটারে কোন সড়কবাতি নেই। রামগড় উপজেলা প্রশাসন কার্যালয়ের পর থেকে বল্টুরাম বাজার এবং জগন্নাথ পাড়া পর্যন্ত একটি সড়কবাতিও নেই। পৌরশহরের দারোগাপাড়া, মহামুনি, চৌধুরীপাড়া, আনন্দ পাড়া, সুকেন্দ্রপাড়া, পাইন্দাংপড়া, বাগানটিলা, তৈছালাপাড়া, ফেনীর কুল, নজিরটিলা এলাকার বাসিন্দারাও কোন সড়কবাতির সুবিধা পাচ্ছে না। শহরের প্রধান সড়কগুলোর পাশে নির্মিত বৈদ্যুতিক খুঁটিতে সড়কবাতি দেখা গেলেও বেশির ভাগই জ্বলছে না।
রামগড় পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড তৈছালাপাড়ার কাউন্সিলর মোহাম্মদ শামীম আজকের পত্রিকাকে জানান, তাঁর এলাকায় বিজিবি ক্যাম্পের সামনে কয়েকটি সড়কবাতি রয়েছে। এগুলো ছাড়া পুরো এলাকায় কোন সড়কবাতি নেই। ভুক্তভোগীরা বারবার অভিযোগ করলেও প্রতিশ্রুতি ছাড়া কোন সমাধান দেননি মেয়র।
রামগড় পৌরশহরের ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান মতি জানান, রামগড় বাজারেও যথেষ্ট সড়ক বাতি নেই। দোকানপাট এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আলোতে চলাচল করতে হয়। বিদ্যুৎ চলে গেলে শহরে এক প্রকার ভুতুড়ে পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রামগড় মধ্যবাজারের এক প্রসাধনী সামগ্রী বিক্রেতা জানান, রামগড় বাজারে কয়েকটি সড়কবাতি থাকলেও বাজারের ভেতরের দিকে কোন সড়কবাতি নেই। আলো না থাকায় রাতের বেলায় অনেকে প্রসাধনী সামগ্রী চুরি করে নিয়ে যায় বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
ফেনীরকুল এলাকার বাসিন্দা জয়নাল মিয়া জানান, রামগড় পৌরসভার পর থেকে মেয়রের বাড়ি পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার এলাকায় কোন সড়কবাতি নেই। অন্ধকারে আতঙ্ক নিয়ে চলাফেরা করতে হয়। মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে বাড়ি ফিরতে হয় বলে জানান তিনি।
রামগড় পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী সমর কান্তি মজুমদার আজকের পত্রিকা কে জানান, সড়ক বাতির জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। খুব দ্রুত সড়ক বাতি লাগিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
রামগড় পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ আহসান উল্ল্যাহ আজকের পত্রিকাকে জানান, সড়কবাতি না থাকায় মানুষের দুর্ভোগের কথা তিনি শুনেছেন। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকায় বরাদ্দ পেতে বিলম্ব হয়েছে। তবে দ্রুতই সড়কবাতি লাগিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
২৪ দিন আগেলক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
২৫ দিন আগেদুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
২৫ দিন আগেচট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
২৫ দিন আগে