মো. আতাউর রহমান, জয়পুরহাট
জয়পুরহাটে ধানের ক্ষতিকর পোকামাকড় দমনে পরিবেশবান্ধব পার্চিং পদ্ধতির জনপ্রিয়তা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। খেতের পোকামাকড় দমনে তাই এই জেলায় কীটনাশকের পরিবর্তে বৈজ্ঞানিক পার্চিং পদ্ধতির প্রসার ঘটছে।
জয়পুরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম জানান, পার্চিং পদ্ধতি দুই প্রকার। ডেথ পার্চিং ও লাইফ পার্চিং। ডেথ পার্চিংয়ে প্রতি ৫ শতাংশ জমির জন্য একটি করে মরা ডাল বা টি আকৃতির বাঁশের খুঁটি পুঁতে দিয়ে পাখি বসার ব্যবস্থা করতে হয়। এই কাজে প্রতি বিঘায় (৩৩ শতাংশ জমির জন্য) ছয়টি মরা ডাল বা টি আকৃতির বাঁশের খুঁটি পুঁতে দিতে হয়। অন্যদিকে লাইফ পার্চিংয়ের জন্য ধানের চারা লাগানোর পরপরই প্রতি ৫ শতাংশ জমির জন্য একটি করে ধইঞ্চা গাছ লাগিয়ে পাখি বসার ব্যবস্থা করতে হয়। আর এ কাজে প্রতি বিঘায় (৩৩ শতাংশ জমির জন্য) ছয়-সাতটি ধইঞ্চার গাছ লাগাতে হয়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম জানান, জয়পুরহাট সদর উপজেলাসহ কালাই, ক্ষেতলাল, আক্কেলপুর ও পাঁচবিবি উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৬৯ হাজার ৪২৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এরই মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ জমি পার্চিং পদ্ধতির আওতায় এসেছে। আরও ৪-৫ শতাংশ জমি পার্চিং পদ্ধতির আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলমান আছে।
কৃষক ও কৃষি বিভাগের ধারণা, খেতের পোকামাকড় দমনে পার্চিং নামক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির সুফল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এরই মধ্যে এটি কৃষকদের মাঝে বেশ সাড়া ফেলেছে। ভবিষ্যতে ধানখেতের ক্ষতিকর মাজরা, ফুতিসহ অন্যান্য পোকামাকড় দমনে জৈবিক এই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন তাঁরা।
সদর উপজেলার কোমরগ্রামের কৃষক কালাম হাজি বলেন, ‘আমি সাত বিঘা বোরো ধানখেতের এরই মধ্যে পাঁচ বিঘা জমিতে বৈজ্ঞানিক ডেথ পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার করেছি। বাকি জমিতেও পার্চিং করার ইচ্ছে আছে।’
জেলার সদর উপজেলার করিমনগর গ্রামের কৃষক হাফিজুর রহমান বলেন, ‘স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের উৎসাহে আমি ১০ বিঘা জমিতে প্রতিবছরই বৈজ্ঞানিক পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকি। এতে বেশ সুফলও পাই। ধানখেতে পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার করলে কীটনাশক না দিলেও চলে। তবে আমি মাত্র একবার কীটনাশক স্প্রে করব। যাতে করে ধানের জমিতে অবশিষ্ট যে কয়েকটি মাজরা পোকা থাকে, সেগুলো দমন হয়।’
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কায়ছার ইকবাল বলেন, ‘মাজরা পোকা ধানের সবচেয়ে বড় শত্রু। গাছের মরা ডাল বা টি আকৃতির বাঁশের খুঁটির ওপরে বসে থেকে একেকটা পাখি দিনে তার সমান ওজনের, অর্থাৎ প্রায় ২০০ থেকে ২৫০টি মাজরা পোকা খেয়ে নেয়। ফলে মাজরা পোকা ধানের মাজ কাটতে পারে না। তাই জমিতে ফলনও বেশি হয়।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘লাইফ পার্চিং ও ডেথ পার্চিং—এ দুই ধরনের পার্চিং পদ্ধতির মধ্যে ডেথ পার্চিং পদ্ধতির সুবিধা বেশি। কম খরচে বেশি ফলন পাওয়ায় এবং কীটনাশকের ক্ষতিকর প্রভাবমুক্ত পরিবেশ পাওয়ার সুবাদে ভবিষ্যতে লাইফ পার্চিং ও ডেথ পার্চিং পদ্ধতিতেই কৃষকেরা চাষাবাদ করবেন বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।’
জয়পুরহাটে ধানের ক্ষতিকর পোকামাকড় দমনে পরিবেশবান্ধব পার্চিং পদ্ধতির জনপ্রিয়তা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। খেতের পোকামাকড় দমনে তাই এই জেলায় কীটনাশকের পরিবর্তে বৈজ্ঞানিক পার্চিং পদ্ধতির প্রসার ঘটছে।
জয়পুরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম জানান, পার্চিং পদ্ধতি দুই প্রকার। ডেথ পার্চিং ও লাইফ পার্চিং। ডেথ পার্চিংয়ে প্রতি ৫ শতাংশ জমির জন্য একটি করে মরা ডাল বা টি আকৃতির বাঁশের খুঁটি পুঁতে দিয়ে পাখি বসার ব্যবস্থা করতে হয়। এই কাজে প্রতি বিঘায় (৩৩ শতাংশ জমির জন্য) ছয়টি মরা ডাল বা টি আকৃতির বাঁশের খুঁটি পুঁতে দিতে হয়। অন্যদিকে লাইফ পার্চিংয়ের জন্য ধানের চারা লাগানোর পরপরই প্রতি ৫ শতাংশ জমির জন্য একটি করে ধইঞ্চা গাছ লাগিয়ে পাখি বসার ব্যবস্থা করতে হয়। আর এ কাজে প্রতি বিঘায় (৩৩ শতাংশ জমির জন্য) ছয়-সাতটি ধইঞ্চার গাছ লাগাতে হয়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম জানান, জয়পুরহাট সদর উপজেলাসহ কালাই, ক্ষেতলাল, আক্কেলপুর ও পাঁচবিবি উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৬৯ হাজার ৪২৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এরই মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ জমি পার্চিং পদ্ধতির আওতায় এসেছে। আরও ৪-৫ শতাংশ জমি পার্চিং পদ্ধতির আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলমান আছে।
কৃষক ও কৃষি বিভাগের ধারণা, খেতের পোকামাকড় দমনে পার্চিং নামক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির সুফল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এরই মধ্যে এটি কৃষকদের মাঝে বেশ সাড়া ফেলেছে। ভবিষ্যতে ধানখেতের ক্ষতিকর মাজরা, ফুতিসহ অন্যান্য পোকামাকড় দমনে জৈবিক এই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন তাঁরা।
সদর উপজেলার কোমরগ্রামের কৃষক কালাম হাজি বলেন, ‘আমি সাত বিঘা বোরো ধানখেতের এরই মধ্যে পাঁচ বিঘা জমিতে বৈজ্ঞানিক ডেথ পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার করেছি। বাকি জমিতেও পার্চিং করার ইচ্ছে আছে।’
জেলার সদর উপজেলার করিমনগর গ্রামের কৃষক হাফিজুর রহমান বলেন, ‘স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের উৎসাহে আমি ১০ বিঘা জমিতে প্রতিবছরই বৈজ্ঞানিক পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকি। এতে বেশ সুফলও পাই। ধানখেতে পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার করলে কীটনাশক না দিলেও চলে। তবে আমি মাত্র একবার কীটনাশক স্প্রে করব। যাতে করে ধানের জমিতে অবশিষ্ট যে কয়েকটি মাজরা পোকা থাকে, সেগুলো দমন হয়।’
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কায়ছার ইকবাল বলেন, ‘মাজরা পোকা ধানের সবচেয়ে বড় শত্রু। গাছের মরা ডাল বা টি আকৃতির বাঁশের খুঁটির ওপরে বসে থেকে একেকটা পাখি দিনে তার সমান ওজনের, অর্থাৎ প্রায় ২০০ থেকে ২৫০টি মাজরা পোকা খেয়ে নেয়। ফলে মাজরা পোকা ধানের মাজ কাটতে পারে না। তাই জমিতে ফলনও বেশি হয়।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘লাইফ পার্চিং ও ডেথ পার্চিং—এ দুই ধরনের পার্চিং পদ্ধতির মধ্যে ডেথ পার্চিং পদ্ধতির সুবিধা বেশি। কম খরচে বেশি ফলন পাওয়ায় এবং কীটনাশকের ক্ষতিকর প্রভাবমুক্ত পরিবেশ পাওয়ার সুবাদে ভবিষ্যতে লাইফ পার্চিং ও ডেথ পার্চিং পদ্ধতিতেই কৃষকেরা চাষাবাদ করবেন বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।’
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
১২ আগস্ট ২০২৫লক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
১২ আগস্ট ২০২৫দুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
১২ আগস্ট ২০২৫চট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫