আনোয়ার হোসেন, মনিরামপুর (যশোর)
আনোয়ার হোসেন, মনিরামপুর (যশোর)
মালয়েশিয়ায় আটকে পড়া স্বামীকে দেশে আনতে জন্মসনদের প্রয়োজনে মনিরামপুরের খেদাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে যান কাশিপুর গ্রামের রুমি খাতুন। তিন বছর আগে ৩৬৫ টাকা জমা দিয়ে স্বামীর জন্য জন্মসনদের আবেদন করেন তিনি। শামীম ঠিকই দেশে পৌঁছেছেন, কিন্তু জন্মসনদ হয়নি তাঁর। অবশেষে গতকাল সোমবার রুমি জানতে পারেন তাঁর আবেদনের কোনো তথ্য নেই পরিষদে। নতুন আবেদন করতে হবে তাঁকে।
দুই মেয়ে তাকিয়া ও তাবাস্সুমের জন্মসনদের জন্য আট মাস আগে আবেদন করেছেন একই গ্রামের মাহফুজা খাতুন। কিন্তু এখনো মেয়েদের জন্মসনদ পাননি তিনি। মাহফুজা খাতুন বলেন, ‘আট মাস হাঁটিছি। আজ আইসে বলিছি আমার টাকা ফেরত দিতে। জন্মসনদ করাব না।’
এক মাস আগে স্ত্রী-সন্তানসহ নিজের জন্মসনদের আবেদন করেন মাহমুদকাটি গ্রামের নাজিম উদ্দিন। গেল ২৩ সেপ্টেম্বর আবেদন করে ওই দিনই মোবাইলে সফল বার্তা পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সনদ হাতে পাননি।
১০ দিন আগে একই পরিষদে জন্মসনদের আবেদন করেন ইমন হোসেন। গতকাল সোমবার ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে জানতে পারেন তাঁর ফাইল উধাও। এদিকে জন্মসনদ দেওয়ার কথা বলে গত রোববার (৩১ অক্টোবর) খেদাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাশিপুর গ্রামের আল আমিনকে বসিয়ে রাখেন সচিব। পরে তাঁকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেন।
জন্মসনদ নিয়ে ভোগান্তির এমন বহু অভিযোগ রয়েছে খেদাপাড়া ইউনিয়নের আবেদনকারীদের। অভিযোগ, পরিষদের চাহিদামতো টাকা এবং সব কাগজপত্র দিয়ে আবেদন করেও মাসের পর মাস ঘুরতে হয় পরিষদে, কিন্তু সনদ মেলে না। আবার বারবার টাকা নিয়ে একই নামে একাধিকবার ভুল সনদ দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে এই পরিষদের সচিব ও উদ্যোক্তার বিরুদ্ধে।
গতকাল সোমবার সরেজমিন খেদাপাড়া পরিষদে গেলে এসব অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। এ সময় ভুক্তভোগী রুমি খাতুন বলেন, ‘স্বামীর জন্মসনদের জন্য তিন বছরে বহুবার পরিষদে আইছি। সচিবের কাছে গেলি উদ্যোক্তারে দেখায়। আবার উদ্যোক্তার কাছে গেলি সচিবেরে দেখায়। কাজ করে দেয় না কেউ। ৩৬৫ টাকা দিয়ে কাগজপত্র জমা দিছি। এখন বলতেছে আমার আবেদনই হয়নি।’
রুমি বলেন, ‘স্বামীর জন্য সনদ আর কাজে না লাগলেও সামনে মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করাব। সে জন্য জন্মসনদ লাগবে।’
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী প্রোগ্রামার প্রহল্লাদ দেবনাথ বলেন, ‘আমি সপ্তাহে দুই দিন জন্মসনদের আবেদন দেখি। নতুন বা সংশোধনী যে আবেদনই হোক তিন থেকে চার দিনের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জন্মসনদের জন্য ৫০ টাকা আবেদন খরচ হলেও খেদাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে আবেদনকারীর কাছ থেকে প্রতি আবেদনে ২০০ টাকা করে নেওয়া হয়। এত টাকা দিয়ে আবেদন করেও মাসের পর মাস অপেক্ষা করতে হচ্ছে। ভুক্তভোগীদের অনেকেই অভিযোগ করেছেন, যাঁরা এর চেয়েও বেশি টাকা দেন, তাঁদের কাজ হয়ে যায় দ্রুত।
মাহমুদকাটি গ্রামের ইউসুফ আলী বলেন, ‘আমার ভাগনির জন্মসনদের জন্য দফাদার সোহরাবকে ৭০০ টাকা দিছি। এক সপ্তাহের মধ্যে সে আমার কাগজ বাড়ি পৌঁছে দেছে।’
অভিযোগ স্বীকারও করেছেন সোহবার। তিনি বলেন, ‘অনেকের জন্মসনদে ভুল থাকে। তাঁরা জরুরিভাবে সংশোধনী চায়। আমি বাড়তি দু–এক শ টাকা নিয়ে সচিবরে কিছু দিয়ে তাড়াতাড়ি কাজ করিয়ে নিই।’
এদিকে গত রোববার খেদাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে সরাসরি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জন্মসনদের ভোগান্তির কথা তুলে ধরেন রঘুনাথপুর গ্রামের নফর আলী। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে ও মেয়ের জন্য একসঙ্গে জন্মনিবন্ধন করতে দিই। অনেক দিন ঘোরানোর পর সনদ দেছে। তাতে ছেলের নামের জায়গায় মেয়ের নাম আর মেয়ের নামের জায়গায় ছেলের নাম দিয়ে ফেলেছে। আবার টাকা দিয়ে সংশোধনীর জন্য আবেদন করি। সেবারও আমার স্ত্রীর নামে ভুল করে। সচিবের কাছে গেলে বাড়তি টাকা চান। পরে টাকা দিয়ে আবার কাজ করাতে হয়েছে।’
এসব বিষয়ে উদ্যোক্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘অনেকে ঠিকমতো তথ্য দেন না। আবার কাজ সম্পন্ন হলে নিতে আসেন না। তাই দেরি হয়।’
সচিব মৃণালকান্তি বলেন, ‘২০০ টাকার অতিরিক্ত নেওয়া হয় না। অনেক সময় তথ্যের ত্রুটি থাকে। চেয়ারম্যান স্বাক্ষর করতে দেরি করেন। এ জন্য জন্মসনদ দিতে দেরি হয়। উদ্যোক্তা আনোয়ারও ঠিকমতো কথা শোনেন না। তিনি নিজের ইচ্ছেমতো কাজ করেন।’
মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হাসান বলেন, ‘কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আনোয়ার হোসেন, মনিরামপুর (যশোর)
মালয়েশিয়ায় আটকে পড়া স্বামীকে দেশে আনতে জন্মসনদের প্রয়োজনে মনিরামপুরের খেদাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে যান কাশিপুর গ্রামের রুমি খাতুন। তিন বছর আগে ৩৬৫ টাকা জমা দিয়ে স্বামীর জন্য জন্মসনদের আবেদন করেন তিনি। শামীম ঠিকই দেশে পৌঁছেছেন, কিন্তু জন্মসনদ হয়নি তাঁর। অবশেষে গতকাল সোমবার রুমি জানতে পারেন তাঁর আবেদনের কোনো তথ্য নেই পরিষদে। নতুন আবেদন করতে হবে তাঁকে।
দুই মেয়ে তাকিয়া ও তাবাস্সুমের জন্মসনদের জন্য আট মাস আগে আবেদন করেছেন একই গ্রামের মাহফুজা খাতুন। কিন্তু এখনো মেয়েদের জন্মসনদ পাননি তিনি। মাহফুজা খাতুন বলেন, ‘আট মাস হাঁটিছি। আজ আইসে বলিছি আমার টাকা ফেরত দিতে। জন্মসনদ করাব না।’
এক মাস আগে স্ত্রী-সন্তানসহ নিজের জন্মসনদের আবেদন করেন মাহমুদকাটি গ্রামের নাজিম উদ্দিন। গেল ২৩ সেপ্টেম্বর আবেদন করে ওই দিনই মোবাইলে সফল বার্তা পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সনদ হাতে পাননি।
১০ দিন আগে একই পরিষদে জন্মসনদের আবেদন করেন ইমন হোসেন। গতকাল সোমবার ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে জানতে পারেন তাঁর ফাইল উধাও। এদিকে জন্মসনদ দেওয়ার কথা বলে গত রোববার (৩১ অক্টোবর) খেদাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাশিপুর গ্রামের আল আমিনকে বসিয়ে রাখেন সচিব। পরে তাঁকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেন।
জন্মসনদ নিয়ে ভোগান্তির এমন বহু অভিযোগ রয়েছে খেদাপাড়া ইউনিয়নের আবেদনকারীদের। অভিযোগ, পরিষদের চাহিদামতো টাকা এবং সব কাগজপত্র দিয়ে আবেদন করেও মাসের পর মাস ঘুরতে হয় পরিষদে, কিন্তু সনদ মেলে না। আবার বারবার টাকা নিয়ে একই নামে একাধিকবার ভুল সনদ দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে এই পরিষদের সচিব ও উদ্যোক্তার বিরুদ্ধে।
গতকাল সোমবার সরেজমিন খেদাপাড়া পরিষদে গেলে এসব অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। এ সময় ভুক্তভোগী রুমি খাতুন বলেন, ‘স্বামীর জন্মসনদের জন্য তিন বছরে বহুবার পরিষদে আইছি। সচিবের কাছে গেলি উদ্যোক্তারে দেখায়। আবার উদ্যোক্তার কাছে গেলি সচিবেরে দেখায়। কাজ করে দেয় না কেউ। ৩৬৫ টাকা দিয়ে কাগজপত্র জমা দিছি। এখন বলতেছে আমার আবেদনই হয়নি।’
রুমি বলেন, ‘স্বামীর জন্য সনদ আর কাজে না লাগলেও সামনে মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করাব। সে জন্য জন্মসনদ লাগবে।’
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী প্রোগ্রামার প্রহল্লাদ দেবনাথ বলেন, ‘আমি সপ্তাহে দুই দিন জন্মসনদের আবেদন দেখি। নতুন বা সংশোধনী যে আবেদনই হোক তিন থেকে চার দিনের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জন্মসনদের জন্য ৫০ টাকা আবেদন খরচ হলেও খেদাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে আবেদনকারীর কাছ থেকে প্রতি আবেদনে ২০০ টাকা করে নেওয়া হয়। এত টাকা দিয়ে আবেদন করেও মাসের পর মাস অপেক্ষা করতে হচ্ছে। ভুক্তভোগীদের অনেকেই অভিযোগ করেছেন, যাঁরা এর চেয়েও বেশি টাকা দেন, তাঁদের কাজ হয়ে যায় দ্রুত।
মাহমুদকাটি গ্রামের ইউসুফ আলী বলেন, ‘আমার ভাগনির জন্মসনদের জন্য দফাদার সোহরাবকে ৭০০ টাকা দিছি। এক সপ্তাহের মধ্যে সে আমার কাগজ বাড়ি পৌঁছে দেছে।’
অভিযোগ স্বীকারও করেছেন সোহবার। তিনি বলেন, ‘অনেকের জন্মসনদে ভুল থাকে। তাঁরা জরুরিভাবে সংশোধনী চায়। আমি বাড়তি দু–এক শ টাকা নিয়ে সচিবরে কিছু দিয়ে তাড়াতাড়ি কাজ করিয়ে নিই।’
এদিকে গত রোববার খেদাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে সরাসরি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জন্মসনদের ভোগান্তির কথা তুলে ধরেন রঘুনাথপুর গ্রামের নফর আলী। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে ও মেয়ের জন্য একসঙ্গে জন্মনিবন্ধন করতে দিই। অনেক দিন ঘোরানোর পর সনদ দেছে। তাতে ছেলের নামের জায়গায় মেয়ের নাম আর মেয়ের নামের জায়গায় ছেলের নাম দিয়ে ফেলেছে। আবার টাকা দিয়ে সংশোধনীর জন্য আবেদন করি। সেবারও আমার স্ত্রীর নামে ভুল করে। সচিবের কাছে গেলে বাড়তি টাকা চান। পরে টাকা দিয়ে আবার কাজ করাতে হয়েছে।’
এসব বিষয়ে উদ্যোক্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘অনেকে ঠিকমতো তথ্য দেন না। আবার কাজ সম্পন্ন হলে নিতে আসেন না। তাই দেরি হয়।’
সচিব মৃণালকান্তি বলেন, ‘২০০ টাকার অতিরিক্ত নেওয়া হয় না। অনেক সময় তথ্যের ত্রুটি থাকে। চেয়ারম্যান স্বাক্ষর করতে দেরি করেন। এ জন্য জন্মসনদ দিতে দেরি হয়। উদ্যোক্তা আনোয়ারও ঠিকমতো কথা শোনেন না। তিনি নিজের ইচ্ছেমতো কাজ করেন।’
মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হাসান বলেন, ‘কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
১২ আগস্ট ২০২৫লক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
১২ আগস্ট ২০২৫দুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
১২ আগস্ট ২০২৫চট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫