গাজীপুরের শ্রীপুরে রাতভর নির্যাতনের পর নিহত যুবক রানার মরদেহ রাস্তায় রেখে মানববন্ধন করেছেন গ্রামবাসী। মরদেহ দাফনের আগে রাস্তার দুপাশে প্রায় সহস্রাধিক মানুষ মানববন্ধনে অংশ নেয়। এ সময় পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে যুবকের মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত সকল আসামির মৃত্যুদণ্ডের দাবি করে বিক্ষোভ করেন তাঁরা। সেই সঙ্গে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামি গ্রেপ্তার করা না হলে কঠোর কর্মসূচির দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
আজ রোববার রাত আটটার দিকে উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের মাওনা নয়নপুর সংযোগ সড়কের সরকার বাড়ি সংলগ্ন এক কিলোমিটার সড়কে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
নির্যাতনের শিকার হয়ে নিহত মো. রানা মিয়া (২২) উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের মাওনা গ্রামের মো. আমিরুল ইসলামের ছেলে। তিনি পেশায় নির্মাণ শ্রমিকের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন—শিপন (২৭), আকাশ (২৫), উজ্বল (৪৫), শওকত (৩০), ইমন (৩০) ও মোশাররফ (৫০)। তারা প্রত্যেকেই একই এলাকার বাসিন্দা ও প্রতিবেশী।
সরেজমিনে দেখা যায়, নিহতের মরদেহ বাড়ি থেকে কাঁধে নিয়ে এলাকাবাসী বিক্ষোভ করছে। পরে মরদেহ রাস্তায় রেখে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে তারা। এ সময় বিভিন্ন বয়সী হাজারো নারী–পুরুষ, রাজনৈতিক দলের নেতা–কর্মী, পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা মানববন্ধনে প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি দাবি করেন। এ সময় ক্ষোভ প্রকাশ করে এলাকাবাসী বলেন, হত্যাকাণ্ডের ২৪ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া স্থানীয় বাসিন্দা মো. ইব্রাহিম আলম বলেন, ‘রানাকে নির্দয়ভাবে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করেছে। রানার গোপাঙ্গন দিয়ে লোহার তার ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এ সময় রানার মুখে গামছা ঢুকিয়ে দেওয়া হয়।’
একই গ্রামের বাসিন্দা লোকমান হেকিম বলেন, ‘মানুষকে খুন করার অনেক ঘটনা জানি, শুনি কিন্তু রানাকে যেভাবে মারা হলো সেটা সত্যিই লোমহর্ষক। এমন হত্যাকাণ্ডের ঘটার অনেক সময় পার হলেও এখনো কোনো আসামিকে ধরতে পারেনি পুলিশ।
ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. তরিকুল ইসলাম রিপন বলেন, ‘আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত সকল আসামির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করি। প্রশাসনের কাছে এলাকাবাসীর জোর দাবি, দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেন আসামিদের গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করে।’
নিহত রানা মিয়ার বাবা আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার একমাত্র ছেলেকে ওঁরা নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে। আমি খুনের বিচার না পেলে ছেলেকে দাফন করব না। সারা রাত আমার ছেলেকে নির্যাতন করেছে ওরা। আমার ছেলের হাত, পা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এ ঘটনায় আমি থানায় মামলা দায়ের করেছি।’
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘এ ঘটনায় নিহত যুবকের বাবা বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ্য করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করতে কাজ করছে পুলিশের একাধিক টিম। মরদেহ নিয়ে এলাকাবাসীর মানববন্ধনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ অবস্থায় মানববন্ধনের কারণে আসামিদের গ্রেপ্তার করতে আরও কঠিন হবে।’
উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় গুরুতর আহত যুবক রানাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাতভর তাঁকে শারীরিক নির্যাতন চালায় অভিযুক্ত স্থানীয় যুবক শিপনসহ তার সঙ্গের লোকজন। এতে রানা গুরুতর আহত হয়।
গাজীপুরের শ্রীপুরে রাতভর নির্যাতনের পর নিহত যুবক রানার মরদেহ রাস্তায় রেখে মানববন্ধন করেছেন গ্রামবাসী। মরদেহ দাফনের আগে রাস্তার দুপাশে প্রায় সহস্রাধিক মানুষ মানববন্ধনে অংশ নেয়। এ সময় পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে যুবকের মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত সকল আসামির মৃত্যুদণ্ডের দাবি করে বিক্ষোভ করেন তাঁরা। সেই সঙ্গে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামি গ্রেপ্তার করা না হলে কঠোর কর্মসূচির দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
আজ রোববার রাত আটটার দিকে উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের মাওনা নয়নপুর সংযোগ সড়কের সরকার বাড়ি সংলগ্ন এক কিলোমিটার সড়কে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
নির্যাতনের শিকার হয়ে নিহত মো. রানা মিয়া (২২) উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের মাওনা গ্রামের মো. আমিরুল ইসলামের ছেলে। তিনি পেশায় নির্মাণ শ্রমিকের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন—শিপন (২৭), আকাশ (২৫), উজ্বল (৪৫), শওকত (৩০), ইমন (৩০) ও মোশাররফ (৫০)। তারা প্রত্যেকেই একই এলাকার বাসিন্দা ও প্রতিবেশী।
সরেজমিনে দেখা যায়, নিহতের মরদেহ বাড়ি থেকে কাঁধে নিয়ে এলাকাবাসী বিক্ষোভ করছে। পরে মরদেহ রাস্তায় রেখে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে তারা। এ সময় বিভিন্ন বয়সী হাজারো নারী–পুরুষ, রাজনৈতিক দলের নেতা–কর্মী, পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা মানববন্ধনে প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি দাবি করেন। এ সময় ক্ষোভ প্রকাশ করে এলাকাবাসী বলেন, হত্যাকাণ্ডের ২৪ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া স্থানীয় বাসিন্দা মো. ইব্রাহিম আলম বলেন, ‘রানাকে নির্দয়ভাবে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করেছে। রানার গোপাঙ্গন দিয়ে লোহার তার ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এ সময় রানার মুখে গামছা ঢুকিয়ে দেওয়া হয়।’
একই গ্রামের বাসিন্দা লোকমান হেকিম বলেন, ‘মানুষকে খুন করার অনেক ঘটনা জানি, শুনি কিন্তু রানাকে যেভাবে মারা হলো সেটা সত্যিই লোমহর্ষক। এমন হত্যাকাণ্ডের ঘটার অনেক সময় পার হলেও এখনো কোনো আসামিকে ধরতে পারেনি পুলিশ।
ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. তরিকুল ইসলাম রিপন বলেন, ‘আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত সকল আসামির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করি। প্রশাসনের কাছে এলাকাবাসীর জোর দাবি, দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেন আসামিদের গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করে।’
নিহত রানা মিয়ার বাবা আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার একমাত্র ছেলেকে ওঁরা নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে। আমি খুনের বিচার না পেলে ছেলেকে দাফন করব না। সারা রাত আমার ছেলেকে নির্যাতন করেছে ওরা। আমার ছেলের হাত, পা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এ ঘটনায় আমি থানায় মামলা দায়ের করেছি।’
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘এ ঘটনায় নিহত যুবকের বাবা বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ্য করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করতে কাজ করছে পুলিশের একাধিক টিম। মরদেহ নিয়ে এলাকাবাসীর মানববন্ধনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ অবস্থায় মানববন্ধনের কারণে আসামিদের গ্রেপ্তার করতে আরও কঠিন হবে।’
উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় গুরুতর আহত যুবক রানাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাতভর তাঁকে শারীরিক নির্যাতন চালায় অভিযুক্ত স্থানীয় যুবক শিপনসহ তার সঙ্গের লোকজন। এতে রানা গুরুতর আহত হয়।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
১২ আগস্ট ২০২৫লক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
১২ আগস্ট ২০২৫দুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
১২ আগস্ট ২০২৫চট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫