টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি
গাজীপুরের টঙ্গীতে শ্রমিক নেতা শহিদুল ইসলামকে পিটিয়ে হত্যার মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দিয়েছে পুলিশ। পুলিশের তদন্ত শেষে অভিযোগ পত্রে ১৪ জনকে আসামি করে গতকাল শনিবার রাতে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়।
হত্যা মামলার প্রায় আট মাস পর শনিবার রাত ৮টার দিকে অভিযোগপত্র দাখিল করল পুলিশ।
আজ রোববার রাতে হত্যা মামলার তদন্ত তদারক কমিটির প্রধান ও গাজীপুর শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইমরান আহম্মেদ অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগপত্রে স্থানীয় এক প্রভাবশালী জমি ব্যবসায়ীর ভাই ও একটি কারখানার প্রশাসনিক কর্মকর্তাও আছেন। ওই দুজনের ‘ইশারাতেই’ শহিদুলকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছে পুলিশ।
গত বছরের ২৫ জুন টঙ্গীর সাতাইশ বাগানবাড়ি এলাকার ‘প্রিন্স জ্যাকার্ড সোয়েটার লিমিটেড’ নামের কারখানায় শ্রমিকদের পাওনা টাকা আদায় সংক্রান্ত কাজ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত হন শহিদুল। পরদিন ২৬ জুন টঙ্গী পশ্চিম থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি কল্পনা আক্তার।
প্রাথমিক অবস্থায় মামলাটির তদন্ত করে টঙ্গী পশ্চিম থানা-পুলিশ। পরে বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৬ জুলাই মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় গাজীপুর শিল্প পুলিশকে।
অভিযোগপত্রে মাজাহারুল ইসলাম (৩৫), আকাশ আহম্মেদ ওরফে বাবুল (৪৩), রাসেল মণ্ডল (৩৫), রাইতুল ইসলাম ওরফে রাতুল (১৯), সোহেল রানা (২৩), জুলহাস আলী (২৩), সোহেল হাসান সোহাগ (২৬), শাহীনুল ইসলাম (২১), শাকিল মোল্লা (২৩), মো. আমির হোসেন (৪০), মো. হালিম মিয়া (৪২), মো. রফিকুল ইসলাম (৪৬), জুয়েল মিয়া (২২) ও আবু সালেহের (৩৯) নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শহিদুল ইসলাম বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল শ্রমিক ফেডারেশনের গাজীপুর জেলা শাখার সভাপতি ছিলেন। তিনি বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি ও পাওনা বেতন আদায় করে দিতে কাজ করতেন। তাঁর সঙ্গে কাজ করতেন মো. মোস্তফা, আক্কাছ ও শরিফ নামে আরও তিন শ্রমিক নেতা। এর মাঝে বিভিন্ন কারখানায় কমিটি দেওয়াকে কেন্দ্র করে তাঁদের সঙ্গে শ্রমিক নেতা মাহাজারুল ও রাসেল মণ্ডলদের বিরোধ বাঁধে। এরপর শহিদুলরা কাজ করতেন নগরের গাছা থানা এলাকায়। মাজাহারুলরা কাজ করতেন টঙ্গীর সাতাইশ এলাকার বিভিন্ন কারখানায়।
গত ২৫ জুন শহিদুল ও তাঁর সঙ্গীরা বেতন ও ঈদ বোনাস নিয়ে প্রিন্স জ্যাকার্ড লিমিটেডে শ্রমিকদের সমস্যা সমাধান করতে যান। বিষয়টি ভালোভাবে নেননি মাজাহারুল ও তাঁর লোকজন।
মে ও জুন মাসের বেতন ও ঈদ বোনাসকে কেন্দ্র করে ২৫ জুন দুপুর থেকে প্রিন্স জ্যাকার্ড কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দেয়। খবর পেয়ে বিকেলেই কারখানাটির শ্রমিকদের বেতন আদায় করে দিতে কারখানাটিতে যান শহিদুল, মোস্তফা, আক্কাছ ও শরিফ। বেতন ও বোনাসের বিষয়ে কথাবার্তা বলে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কারখানা থেকে বের হন তাঁরা। এর মাঝেই স্থানীয় প্রভাবশালী মো. আমির হোসেন ও কারখানার মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা মো. সালেহর ‘ইশারায়’ মাজাহারুলেরা শহিদুলদের ওপর চড়াও হন। শহিদুলকে মারধর করেন। এতে শহিদুল গুরুতর আহত হন। তাঁকে গাজীপুরের বোটবাজারে এলাকার তাইরুন নেসা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
পুলিশের অভিযোগপত্রের বিষয়ে বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি কল্পনা আক্তার বলেন, ‘আমি মামলাটির বাদী। পুলিশ প্রায় আট মাস পর মামলাটির অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেওয়ার বিষয়টি জানিয়েছে। আশা করি, ন্যায়বিচার পাব।’
মামলার তদন্ত তদারক কমিটির সভাপতি ও গাজীপুর শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান আহম্মেদ ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, মামলাটির তদন্তভার পেয়ে স্থানীয় তদন্তে ও সাক্ষ্য–প্রমাণের ভিত্তিতে শ্রমিক নেতার হত্যার ঘটনায় স্থানীয় প্রভাবশালী আমির হোসেন ও কারখানার কর্মকর্তা আবু সালের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এরই মধ্যে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁদের ইশারায় অন্য আসামিরা শহিদুলের ওপর হামলা চালায়। তদন্তে ও যাচাই–বাছাই শেষে অভিযোগপত্রটি অনলাইনে আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।
গাজীপুরের টঙ্গীতে শ্রমিক নেতা শহিদুল ইসলামকে পিটিয়ে হত্যার মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দিয়েছে পুলিশ। পুলিশের তদন্ত শেষে অভিযোগ পত্রে ১৪ জনকে আসামি করে গতকাল শনিবার রাতে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়।
হত্যা মামলার প্রায় আট মাস পর শনিবার রাত ৮টার দিকে অভিযোগপত্র দাখিল করল পুলিশ।
আজ রোববার রাতে হত্যা মামলার তদন্ত তদারক কমিটির প্রধান ও গাজীপুর শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইমরান আহম্মেদ অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগপত্রে স্থানীয় এক প্রভাবশালী জমি ব্যবসায়ীর ভাই ও একটি কারখানার প্রশাসনিক কর্মকর্তাও আছেন। ওই দুজনের ‘ইশারাতেই’ শহিদুলকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছে পুলিশ।
গত বছরের ২৫ জুন টঙ্গীর সাতাইশ বাগানবাড়ি এলাকার ‘প্রিন্স জ্যাকার্ড সোয়েটার লিমিটেড’ নামের কারখানায় শ্রমিকদের পাওনা টাকা আদায় সংক্রান্ত কাজ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত হন শহিদুল। পরদিন ২৬ জুন টঙ্গী পশ্চিম থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি কল্পনা আক্তার।
প্রাথমিক অবস্থায় মামলাটির তদন্ত করে টঙ্গী পশ্চিম থানা-পুলিশ। পরে বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৬ জুলাই মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় গাজীপুর শিল্প পুলিশকে।
অভিযোগপত্রে মাজাহারুল ইসলাম (৩৫), আকাশ আহম্মেদ ওরফে বাবুল (৪৩), রাসেল মণ্ডল (৩৫), রাইতুল ইসলাম ওরফে রাতুল (১৯), সোহেল রানা (২৩), জুলহাস আলী (২৩), সোহেল হাসান সোহাগ (২৬), শাহীনুল ইসলাম (২১), শাকিল মোল্লা (২৩), মো. আমির হোসেন (৪০), মো. হালিম মিয়া (৪২), মো. রফিকুল ইসলাম (৪৬), জুয়েল মিয়া (২২) ও আবু সালেহের (৩৯) নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শহিদুল ইসলাম বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল শ্রমিক ফেডারেশনের গাজীপুর জেলা শাখার সভাপতি ছিলেন। তিনি বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি ও পাওনা বেতন আদায় করে দিতে কাজ করতেন। তাঁর সঙ্গে কাজ করতেন মো. মোস্তফা, আক্কাছ ও শরিফ নামে আরও তিন শ্রমিক নেতা। এর মাঝে বিভিন্ন কারখানায় কমিটি দেওয়াকে কেন্দ্র করে তাঁদের সঙ্গে শ্রমিক নেতা মাহাজারুল ও রাসেল মণ্ডলদের বিরোধ বাঁধে। এরপর শহিদুলরা কাজ করতেন নগরের গাছা থানা এলাকায়। মাজাহারুলরা কাজ করতেন টঙ্গীর সাতাইশ এলাকার বিভিন্ন কারখানায়।
গত ২৫ জুন শহিদুল ও তাঁর সঙ্গীরা বেতন ও ঈদ বোনাস নিয়ে প্রিন্স জ্যাকার্ড লিমিটেডে শ্রমিকদের সমস্যা সমাধান করতে যান। বিষয়টি ভালোভাবে নেননি মাজাহারুল ও তাঁর লোকজন।
মে ও জুন মাসের বেতন ও ঈদ বোনাসকে কেন্দ্র করে ২৫ জুন দুপুর থেকে প্রিন্স জ্যাকার্ড কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দেয়। খবর পেয়ে বিকেলেই কারখানাটির শ্রমিকদের বেতন আদায় করে দিতে কারখানাটিতে যান শহিদুল, মোস্তফা, আক্কাছ ও শরিফ। বেতন ও বোনাসের বিষয়ে কথাবার্তা বলে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কারখানা থেকে বের হন তাঁরা। এর মাঝেই স্থানীয় প্রভাবশালী মো. আমির হোসেন ও কারখানার মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা মো. সালেহর ‘ইশারায়’ মাজাহারুলেরা শহিদুলদের ওপর চড়াও হন। শহিদুলকে মারধর করেন। এতে শহিদুল গুরুতর আহত হন। তাঁকে গাজীপুরের বোটবাজারে এলাকার তাইরুন নেসা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
পুলিশের অভিযোগপত্রের বিষয়ে বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি কল্পনা আক্তার বলেন, ‘আমি মামলাটির বাদী। পুলিশ প্রায় আট মাস পর মামলাটির অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেওয়ার বিষয়টি জানিয়েছে। আশা করি, ন্যায়বিচার পাব।’
মামলার তদন্ত তদারক কমিটির সভাপতি ও গাজীপুর শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান আহম্মেদ ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, মামলাটির তদন্তভার পেয়ে স্থানীয় তদন্তে ও সাক্ষ্য–প্রমাণের ভিত্তিতে শ্রমিক নেতার হত্যার ঘটনায় স্থানীয় প্রভাবশালী আমির হোসেন ও কারখানার কর্মকর্তা আবু সালের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এরই মধ্যে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁদের ইশারায় অন্য আসামিরা শহিদুলের ওপর হামলা চালায়। তদন্তে ও যাচাই–বাছাই শেষে অভিযোগপত্রটি অনলাইনে আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিএনপি নেতা। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগে গাজীপুর আদালতে এ মামলা করেছেন তিনি।
১২ আগস্ট ২০২৫লক্ষ্মীপুরে রামগতিতে নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক হোসেন (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও দুজন। আজ মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক হোসেন মারা যান।
১২ আগস্ট ২০২৫দুই বছর আগে ফেনী পৌরসভার সুমাইয়া হোসেন আনিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং ও গ্রাফিক ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন স্বামীর অনলাইন ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। আনিকা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পেয়েছি, কিন্তু কাজের সুযোগ খুবই কম।’ আনিকার
১২ আগস্ট ২০২৫চট্টগ্রাম বন্দরে আন্দোলন দমাতে টাকা দাবির ভিডিও ভাইরালের পর এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তাঁর লিখিত ব্যাখা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫